স্থাপিত-১৮৪৯, পরিচিত ছিল ব্রিটিশ আর্মি স্কুল নামে, পরে ১৯১৬ সালে এই স্কুলটি পাইলট হাই স্কুল নামে পূন-প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আমার স্কুল, আমার বিদ্যালয় সখাঃ
ষান্মাসিকে কিংবা ফুটবলের ম্যাচে,
অন্যদের প্রতিদ্বন্দ্বী করে
সামান্য এগিয়ে গেলেও অসামান্য সুখ!
আঙ্গুলে আঙ্গুলে ভাব বা মুহূর্তে কাটাকাটি।
একদিন আন্তঃস্কুলের; ঐ কালো পীচে
দলবদ্ধ ভাবে বিজয় মুকুট নিতে শিকারী হয়েছি;
যেন বিদ্যালয় সারা জীবনের, তার স্বার্থেই লড়ে যাওয়া।
আচ্ছা, স্কুল কি আমাদের মনে রাখে?
শুনেছি সবাই ভালো আছে,
সাফল্যে কেউ নেতা
পতনে কেউ কবি!!
যোগভাগ নিয়ে আমারো চলে যায়, কম বেশি
অর্থ কড়ি ঘরে, ব্যাস্ততা নিয়েছি চিনে।
বাস্তব খেলায়, খেলা মুছে গেছে সেই কবেই,
মাঠ গেছে দখলে!!
হতে পারে ভাব বা রোমন্থন
নৌকার মত স্মৃতির গুনটানা কিংবা
যে নামেই তাকে ডাকি!
কৈশরের রোদেলা দিনগুলো আমাদের
শ্রেষ্ঠ সময়; চাইলেই তাদের ভোলা যায় না।
সবাই কোথায়?
বাইরে, দেশে ব্যাবসায়, কাজে কেরানিত্বে;
অথচ কি জ্বলে জ্বলে স্মৃতি,
যেন আগে ভাগে স্কুলে পৌঁছে;
সতীর্থদের অপেক্ষায় আছি।
আচ্ছা,
স্কুল কি আমাদের মনে রেখেছে?
প্রথম প্রকাশঃ সাহিত্য সাময়িকী ২০০০(সম্ভবত ঈদ সংখ্যা মনে নাই, উন্মাদ তাই), কবিতাটি ছবি আকারে, অনলাইন কবিতা সংকলনে দ্বিতীয়বার প্রকাশ হয় ২০০৯ সালে।
১৪টি মন্তব্য
তানজির খান
স্মৃতি চারণ, আবেগটা ভাল লেগেছে।
সীমান্ত উন্মাদ
আমার কাছে স্মৃতি হল বাঘের মত, যে শুধু পিছু পিছু ধাওয়া করে জীবনের আদিপন্তে। ভালো লেগেছে জেনে ভালোলাগলো আর শুভকামনা থাকল নিরন্তর।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঐ সময়টাই আসলে আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। স্মৃতি কথন ভালো হয়েছে।
সীমান্ত উন্মাদ
জী আপু ঐ সময়টা আসলেই আমদের শ্রেষ্ঠ সময়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামন, ভালো থাকবেন দিবানিশি।
জিসান শা ইকরাম
স্বর্নালী দিন কি ভোলা যায়?
সীমান্ত উন্মাদ
না মামা স্বর্নালী দিন কখনো ভোলা যায় না, সম্ভব না। স্কুলের মাঠ, গাছ, প্রতিটি ইটের গাঁথুনির মাঝে আজো লুকিয়ে আছে আমাদের করা দুষ্টুমি গুলোর সদা জীবন্ত আঁচড়।
অনেক অনেক শুভকামনা জানিবেন মামা।
শুন্য শুন্যালয়
কবিতাটা ভীষন ভালো লেগেছে। আঙ্গুলে ভাব, কাটাকাটি। সামান্য এগিয়ে অসামান্য সুখ। আগেভাগে স্কুলে পৌঁছে সতীর্থদের অপেক্ষা। সবকিছু দারুন। পতনে কবি? কবিরা তো এখন বেশ জমজমাট অবস্থায় আছে 🙂
দারুন কবিতা।
সীমান্ত উন্মাদ
হাঁ পতনে কেউ কবি, কারন আমাদের দেশে কবিরাই লেখকদের মাঝে সবচেয়ে অবহেলিত আজ।:P
শেখ সাদীর গল্পটাতো জানই, যার শেষ অংশেছিল, উপরে ফিটফাট, ভেতর মানিব্যাগের দৈন্য দশায়, দফা কাত। আর জমজমাট ভাব দেখাতে গিয়ে হয়ে যায় হিমালয় আল্পসের জমাট বরফের মত, কেউ গরম ভাপ দেয় না বলে কখনই গলেনা, মাঝে মাঝে প্রকৃতির আচরনে গললেও, মুহূর্ত বাদে আবার জমে যায়।
কেমন আছো বন্ধু?
খেয়ালী মেয়ে
রাখে রাখে স্কুলও মনে রাখে, শুধু প্রকাশ করতে পারে না এই যা…..
দারুন লিখেছেন…..
সাফল্যে কেউ নেতা
পতনে কেউ কবি—————— লাইন ২টা একটু বেশি মনে ধরেছে (y)
সীমান্ত উন্মাদ
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর খেয়ালী মেয়ে। হাঁ স্কুল মনে রাখে, কারন আমি মাঝেই মাঝেই আমি তার ডাক শুনি। ভালো থাকবেন সব সময়।
মিথুন
ফিরে গেলাম সেই স্কুল ঘরে। খুবই সুন্দর কবিতা………
সীমান্ত উন্মাদ
আপনাকে আপনার স্কুল ঘরে ফিরে নিতে পেরিছি যতটুকু, ততটুকুই আমার সার্থকতা। অনেক অনেক শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
ইমন
মনে পড়ে গেলো ছেই দিনগুলার কথা।
সীমান্ত উন্মাদ
আপনাকে মনে করাতে পেরেছি, এটাই আমার কাছে অনেক অনেক বড় পাওয়া। রম্যকার আমি সিরিয়াস কিছু লিখতে পারি না। চেষ্টায় অনুপ্রেরনা পাচ্ছি, সেটাই বড় আমার কাছে। ভাল থাকিবেন নিরন্তর।