রুনা এমন এক বাড়িতে জন্ম যেখানে কেউ কৃতকার্জ হলে বাবা খুব খুশি হলেও বেশির ভাগ মানুষ তাতে অখুশি হয়। যেমন করে হোক তাকে ছোট করতে উঠে পড়ে লাগে।
প্রশংসা ?
এ বাড়ির মানুষ তা করতে জানে না । ইচ্ছা করেই করবেনা । উদ্দেশ্য “আমরা সেটাকে মূল্য দিবনা” ।
সারা জীবন রুনা এটা দেখতে দেখতেই বড় হয়েছে । যার ফলে তার মনে গেঁথে গেছে সে “ফেইলর” । এটাই তার প্রাপ্য । মনোবল নষ্ট করে দেয়া একটা পরিবার। পরবর্তিতে
চাইল্ড সাইকোলজি পড়তে গিয়ে রুনা বুঝেছে “প্রশংসা” করা কত দরকার একটা বাচ্চার কনফিডেন্স বৃদ্ধির জন্য।
এই রুনার কাছ থেকেই জানা যায় তার যখন এই অবস্থা তখন সে যখন প্রবাসী হলো অনেক কষ্টে তাকে বেশ ভালো একটা পজিসানে যেতে হয়েছে।অনেক কোর্স তার সাথে এক্সপেরিয়েন্স সংগ্রহ করতে হয়েছে উপরে উঠার জন্য।
কিন্তু বিধি বাম সেই রুনাকে দেশে যখন যেতে হলো সেই একই আচরণের সম্মুখীন হতে হলো ।
তার অর্জন অর্জন নয়। পড়াশুনা কিছুই নয়।
কিন্তু যেহেতু সে প্রবাসী তাকে আর তার পড়াশুনাকে মুল্যায়ন না করলেও তার টাকার উপরে তাদের দাবির শেষ সীমা নাই।
রুনা ভালো করেই বুঝলো এই তার কপাল । যা সারা জীবন তাকে মানসিক কষ্ট দিয়েছে দেশে এসেও আবার তার সম্মুখীন হতে হয়েছে । তার বাবাও নাই ভালোবাসা দেয়ার মানুষটাও নাই ।