প্রবাসী নিলুর ডায়েরিঃ  নিলুর স্ত্রাগল
সকাল ছয়টায় নিলুকে রেডি হয়ে যেতে হয় রুটিন মোতাবেক। কারন কাজ আরম্ভ আট টায় ,যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টা । দুই বাস ধরতে হয়। তাই ঠিক সময় রওনা না দিলে সব লেট হোয়ে পড়বে ।
নভেম্বরের সকাল মানেই আট টায় কিছুটা আলো হয় ।তার মানে সাতটায় অন্ধকার ।
নিলু রেডি হোয়ে বেরিয়ে পড়ে। বাচ্চা টা যেতে দিতে চায়না। কাপড় ধরে টানে । কিন্তু কি করা ? টাকার তো দরকার । হাতে কোনও পয়সা নাই। যা ছিল তা  মুছে বাড়ী কেনার জন্য দিতে হয়েছে।এদেশে এই এক সুবিধা ,কিছু টাকা জমা করে দিলেই একতা বাড়ী কেনা যায়। অবশ্য মাসে  মাসে লোণের টাকা শোধ করতে না পারলে ব্যাঙ্ক নিয়ে নিবে বাড়ি ।
স্বামীর চাকুরী তে চলা কঠিন। বেতন তেমন নয়। তখন পুরো বাড়ির এক্সট্রা ঘর গুলো ভাড়া দিয়ে দিতে হয়।
এভাবে কাজ করছে এদেশের মাটিতে পা রাখার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই
কে বলবে কদিন আগেই তার বিয়ে হয়েছে বা সে নববধূ । সংসারের যাঁতাকল আর কঠিন বিদেশ । সব পরিস্থিতিকে যে মানিয়ে চলতে পারবে সেই জয়ী হবে।
চরায় উৎরায় মানে জীবন।
সব কিছু দেশে রেখে আসা পরিবার কে জানানো যায় না । বলতে হয় “তোমার দোয়ায় ভালো আছি মা ” নাটকের বুলি।
কিন্তু জীবন খুব কঠিন তারপরে বিদেশ। কাউ টাকা দায় না। টাকা অর্জন করে নিতে হয়।
নিলু আজকের মতো ডায়েরির  খাতা  এখানেই শেষ করে বন্ধ রাখে ।
৪২জন ৩৯জন

২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ