বসে টিভি দেখছিলাম। আমার এক কলিগ মেসেঞ্জারে নক করল। একটু অবাক হলাম। কারণ অফিসিয়াল প্রয়োজন ছাড়া তার সাথে আমার তেমন কথা হয় না। তাছাড়া কলিগ হলেও এখন ভিন্ন স্কুলে আছি। কথা প্রসঙ্গে একটি লোভনীয় অফার দিল। সিম কোম্পানিগুলো ৫ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি দিচ্ছে। আমার নাম্বার দিলে উনি করে দিবেন। বললাম বাসায় WiFi চলে এক্সট্রা জিবির প্রয়োজন নাই। তারপর ও রিকোয়েস্ট করলো নাম্বার দিলে করে দিবে। বললাম এ খবর আপনি কোথা থেকে পেয়েছেন। আর আমার জিবি লাগবে না । কিছুক্ষণ পর ফেসবুকে প্রবেশ করে জানতে পারলাম ওনার আইডি হ্যাক হয়েছে। এতক্ষণ তাহলে হ্যাকার এর সাথে কথা বললাম।

বেশ কিছুদিন আগে এক স্কুল ফ্রেন্ড ইন বক্সে নক করলো ১০০০০ টাকা চেয়ে। স্কুল লাইফের পর আর দেখা হয় নাই। ফেসবুক ছাড়াও ফোনে দুই একবার কথা হয়েছে। বুঝতে পারলাম হয়তোবা একাউন্ট হ্যাক হয়েছে। কিছুটা ধারণা নেয়ার জন্য বললাম টাকা কোথায় পাঠাবো। একটা ফোন নম্বর পাঠালো। ঘন্টা দুই পর সেই ফ্রেন্ড ইন বক্সে নক করে জানালো, ওর একাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। কয়েক দিন পর সেই ফ্রেন্ড তার ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে আমাকে বাদ দিলো। আমার মনে আজও সন্দেহ বাসা বেঁধে আছে।

শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পায়। যারা উপবৃত্তি পায়। তাদের বিকাশ বা নগদ একাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকে যায়। কিন্তু কিছুদিন আগে। শিক্ষার্থীর অভিভাবক এর ফোনে কল আসতে শুরু করলো। তারা এটিএম কার্ডের নম্বর চাচ্ছে। অভিভাবকের বোঝাতে হলো ওরা প্রতারক।

এই প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হয়। যদিও এখন মানুষ আগের চেয়ে সচেতন। এই শিক্ষিত ভদ্র প্রতারক চক্রের হাত থেকে বাঁচার উপায় কি।

২১০জন ১৫৩জন
0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ