প্রথম পৃথিবীতে এসেই মাকে পেলাম,

মা’ই আমার সব আমার হাসি আমার কান্না।

একটু বড় হয়েই যখন বুঝলাম বাবার কষ্টার্জিত  রোজগারেই সব।

বাবাকে পেলাম আমার আনন্দে,

বাবাকে পেলাম আমার বেদনায়।

বাবাকেই পেলাম আমার সমস্ত সত্তায়।

কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পদার্পন,

হঠাৎই এক ফালগুনীর মিষ্টি হাসি হৃদয়ে ঝড় তুলে আমাকে সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

সবকিছুর মাঝেই ঘুরেফিরে শুধুই ফাল্গুনী।

সেই আমার ধ্যান সেই আমার আরাধনা।

একদিন সেও হারিয়ে যায় দুরে কোথাও।

আসে এক অচেনা মেয়ে ঘর হয়ে মন্দ ভালো।

শুরু হলো নতুন জীবন তার সুরে সুর মিলিয়ে পথ চলা

বউ’ই এখন সব।ফালগুনী শুধুই একটা অতীত।

মা বাবাও এখন আগের চেয়ে অনেক দুরে।

বউ’ই এখন একমাত্র বর্তমান।

অতপর সন্তানকে পাওয়া।

শুরু হলো সন্তানকে নিয়ে পথ চলা।

সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কষ্ট ভুলে থাকা।

তার জন্যই আমার বেচে থাকা।

এখন সেই আমার সব,তার মাঝেই আমার স্বপ্ন।

সেই স্বপ্নটাও যখন ভেঙে যায়,

অবশেষে খুজে পাই ঈশ্বরকে।

বেলা শেষে জানতে পারি ঈশ্বরই আমার সব,

বাকিরা সবাই সময়ের অতিথি কিংবা সময়ের চাওয়া পাওয়া ছাড়া আর কিছুই না।

 

এসেছিলাম একা চলে যেতে হবে একা,

মাঝখানের সময়টুকু একের পর এক তাদের মায়াজালে আটকে থাকা।

মা বাবা,ফালগুনী,বউ কিংবা সন্তানকে ঘিরে বেঁচে থাকা,

জীবনের প্রয়োজনে জীবনকে বাঁচিয়ে রাখা।

পরম ঈশ্বরকে খুঁজেফিরা,

শেষ বেলায় এসে পরন্ত বেলার ঈশ্বরকে খুজেপাওয়া।।

৪৪৪জন ৩৪২জন

৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ