মানুষ তার কিছু সহজাত প্রবৃত্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।সেই প্রবৃত্তিগুলো তাকে যেমন নিয়ে যেতে পারে সাফল্যের চরম শিখরে ঠিক তেমনি তাকে তার এই প্রবৃত্তি নামিয়ে আনতে পারে অকল্পনীয় নিচুস্তরে।যদিও বা তার অবস্থান ভালো হলে এই কথাগুলো নেহাৎ সমালোচনাই থেকে যায়।তাতে ঐ ব্যক্তির অবস্থানের কোনরূপ ক্ষতি সাধিত হয় না।বরং এই সমালোচনার মাধ্যমেই সে বারবার আলোচনায় আসে।
এইরূপ একটি সহজাত প্রবৃত্তি হল কেউ যদি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তার এই ক্ষমতার অহমিকা তাকে ক্ষমতার অপব্যাবহারের ক্ষেত্রে কিছু মাত্রায় সহিংস করে থাকে।তখন সে তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে অথবা বৃদ্ধি করতে একটা ব্যাপারে সহিংসতা সৃষ্টি করে থাকে।(এটা ঐ কাতারের মানুষের ক্ষেত্রে সহজাত সকল ক্ষেত্রের মানুষের জন্য নয়।)তো এই সহিংসতা অনেক কারণে হয়ে থাকে।কারণটা শুধুমাত্র একটা উপলক্ষ মাত্র।
আমরা আজ এতটাই হীনবুদ্ধিতার পরিচয় দিচ্ছি যে ঐ কারণ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে ধর্মকে।ধর্ম নিয়ে সহিংসতা সৃষ্টি করে শুধুমাত্র একটা অহেতুক বিপর্যয় সৃষ্টি করছি যার পরিনতি ভয়ঙ্কর।কারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ক্ষেত্রে তাদের ধর্মে আঘাত করে কথা বলাটা খুবই আপত্তিকর।এতটাই আপত্তিকর যে তা তুমুল সহিংসতা সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট।একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ যে ধর্মেরই হোক না কেন সে তার ধর্মের ব্যাপারে বাজে মন্তব্য মানতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক।তো সেখানে আঘাত করে সহিংসতা সৃষ্টি করা পাপ নয় বরং মহাপাপ।সহিংসতার জন্য তো আরও অনেক উপলক্ষ আছে তাই না।আর শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ধর্মের ব্যক্তিরা খারাপ এটা তো যুক্তি নয় বরং মূর্খের মত কথা।কারণ খারাপ ভালো নির্ভর করে মানুষের মানসিকতার উপর।সে যে ধর্মের হোক না কেন তার মানসিকতা ভালো হলে সে অবশ্যই একজন ভালো মানুষ তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আমরা সমস্ত পৃথিবীর মানুষ আজ এই ধর্ম সংক্রান্ত বিদ্বেষের শিকার।যার কারণে ধর্মে ধর্মে আজ সংঘাত এমনকি নিজেদের মধ্যেও সেই বিদ্বেষ বজ্রগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।তাই আমাদের সবার এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে যেন আমরা সেই বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে নিজের ভাইয়ের বুকে গুলি চালিয়ে না বসি।বরং ভাইয়ের হাতটি ধরে এই অরাজকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।আর সেই শ্রেণীর মানুষের প্রতি আমাদের একটাই আর্জি থাকবে যে তোমরা সহিংসতা সৃষ্টি করতে অন্য পথ বেছে নাও।একটি ধর্মের একজন মানুষ খারাপ হলে সেই ধর্মের সকল মানুষই খারাপ হয়ে যায় না।আমরা তোমাদের এই ধর্ম সংক্রান্ত বিদ্বেষের হাত থেকে মুক্তি চাই।।
রাহাত হোসেন
২টি মন্তব্য
খসড়া
ধন্যবাদ, ভাল পোস্ট, কিন্তু এর শেষ বা সমাধান কি?
রাহাত হোসেন
এর শেষ বা সমাধান হল নিজেদের মানসিকতা পরিবর্তন করা।মানবধর্ম পালনে ব্রতী হওয়া।আমরা মানুষরা যদি সবাই একতার সহিত পরস্পর ঠিক থাকি তবে বাইরে থেকে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।তাই সবাইকে ব্যাপারটা বুঝতে হবে এবং বোঝাতে হবে।তবেই এর থেকে মুক্তি সম্ভব।ধন্যবাদ,ভালো থাকবেন।।