
সাগরও আমার, ঝড়ও আমার,
শুধু বুকের ভিতর আছে শূন্য খামার!
নির্ঘুম চোখ দেয় পাহারা দূর আকাশে,
তবু ঘোর বরষায় দূরে সরে যায়
কালপুরুষে!
ঢেউও আমার, তীব্র সুনামিও আমার,
তবু তৃষ্ণায় শুকায় গলা বারংবার!
তোমাকে শংখচিল ভেবে খুঁজি
দ্বীপের ঠিকানা,
যতো কাছে যাই দেখি সরিয়ে ফেলেছ
ডানা!
অস্ফুট বলি- ‘আরেকটু কাছে এসোনা’
সমুদ্রের গর্জনে তুমি টের পাওনা!
হাতের তালুতে লুকিয়ে রাখো যে বদ্বীপ,
যখন কাছে এসেছিলে সন্ধ্যার নীলে,
সেখানে জ্বালিয়ে দিয়েছি রুপালী প্রদীপ,
হাত পেতে নাও শিখা, বুকে নাও উত্তাপ,
পলির প্রান্তে আমাদের পায়ের পাতা
রেখে যাচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক ছাপ!
আমরা মরিনা তাই, বাঁচিওনা অনন্তকাল,
হাতের রেখায় মাখি জ্যান্ত রক্তের লাল,
তোমার কপালে টিপ, তীক্ষ্ণ আংগুলে ছোঁয়া,
রক্তও আমার, আংগুলও আমার,
হয়ত বেদনায় নীল কপালটা তোমার!
দু:খের ছায়ায় কাটে প্রতিটি ভরা কোটাল,
তবু জানি জন্মান্তরে খুঁজব আবার,
তোমার বুকের খাদে লুকানো স্নেহের খাল,
ভরা কোটাল আমার, মরা কোটালও আমার,
যতবার ছিঁড়ে যাবে সুতা ঝড়ের আকাশে,
অচিন বনে দেখা হবে বারবার!
তুমি সেই বুনো অঝর বাতাস যার নি:শ্বাসে,
কেটে যায় পলিদ্বীপে যুগের অন্ধকার!
অন্ধকার আমার, কিন্তু আলো তো তোমার,
বিস্ফোরিত ছায়াপথের মতো সুদূর বিন্দু থেকে,
দূর করো প্রাচীন গলিতে জমা নিকষ আঁধার!
অপেক্ষায় আমি আছি, আরো আছে গ্রহ-তারা,
সবুজ ঘাসের বুকে লাল ডোরা পতংগেরা,
নেমে এসো আংগিনায় প্রণয়ী আমার!