এই রং নিয়ে আপন মা সেই ছোট্ট অবুঝ মেয়েটিকে কত কটূক্তি না করেছে! শুধু কি কটূক্তি ? তার সাথে মারধোর।
সে তো বাচ্চা মানুষ । বুঝতে পারে না তার কি অপরাধ?
মারধোরের ধরন কষ্ট দিয়ে । কখনো পিঠে লাথি ,কখনো মাথা খাটের পায়ার সাথে থেঁতলে দেয়া।
অভাগা, অবুঝ, নিরপরাধ ছোট্ট মেয়েটি অপলক দৃষ্টিতে পিঠা পিঠি বড়ো বোন আর ছোটো ভাই টির দিকে চেয়ে থাকে । ভাবে তারা যেন এগিয়ে এসে মা কে বাধা দায় , তাহলে সে মারার হাত থেকে বাঁচ তে পারে ।
তারাও ছোটো আর এর মধ্যে জড়িয়ে আছে মার সুনজরে থাকা । তার বিরাগ ভাজন কে হতে চায় ।
মা কিন্তু তার যতো আক্রোশ আর ক্রোধ ঝাড়তে শ্যামা ছোটো মেয়েটিকে লক্ষ্য করে। সেই বড়ো বোনও নয় ভাইটি তো নয় ।
সে সময়ের মা বাবা পুত্র ধন কে মহা মূল্যবান মনে করে আলাদা ভাবে ট্রিট করতো । এখন কি করে জানি না।
পেছনে কারন বড়ো হলে ইনকাম করে তারা কে দিবে। আরও কারন আছে যেমন পুত্র বংশ রক্ষা করে আর মেয়ের ঘরের সন্তান তাদের বংশের নয়।
এই সব অযৌক্তিক চিন্তা চেতনায় তারা বড়ো হওয়া মানুষ।
তারা জেন্ডার ইকুলিটি মানে না । বাচ্চার অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা নাই । পক্ষপাতিত্ব দুষ্ট আচরণ করে । সম অধিকার, সম সন্মান দেয়া এগুলো চর্চা করে না।
কৃতিত্ব পুর্ন স্কুল রেজাল্ট করলেও প্রশংসা করে না। চাকুরী ক্ষেত্রে প্রমোশন পেলেও তা উপেক্ষা করে ।কারন সেই মেয়েটিকে নিচু করতেই তার মজা ।
বাচ্চাকে বুলি করা যে কত খানি খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে তা জানে না।
সেই শ্যামা মেয়ে টি এক দিন বড়ো হয় , সন্মান জনক চাকুরী পায় কিন্তু ছোটবেলার নিজের মার কাছ থেকে যে অত্যাচারিত হয়ে ছিল তা মানসিক ভাবে তাকে এতো এফেক্ট করে তা তার মন থেকে কোনো দিন যায় নি ।
তার বিচারও পাই নি। অনেক কে সে বলেছে কিন্তু কেউ সেই মাকে গিয়ে বলে নাই কেন এরকম করেছ বা এটা তার ভুল আচরণ ।
মারাও যে অপরাধ করে তা অনেকে মানে না। আমরা দেখেও দেখি না, শুনেও শুনি না। চার দিকে কত যে অবিচার আর অত্যাচার ।
উন্নত দেশ গুলোর মতো এ দেশে চাইল্ড লাইন নাই ( ,চাইল্ড প্রটেকসান আইন নাই, NSPCC নাই, মা হওয়ার আগে চাইল্ড সাইকোলজি পড়ে না, কি ভাবে ভালো মা বাবা হওয়া যায় তা স্কুলে পড়ানো হয় না।
খুশি আপা আর এই পৃথিবীতে নাই । চলে গেছে অনেক অভিমান নিয়ে অনেক দুঃখ নিয়ে ।
প্রতিবাদ যে সে করে নাই তা নয় । তবে তা করলেই সে মা সবার কাছে আরও বেশি করে তাকে খারাপ বানানোর চেষ্টা করতো ।
খুশি আপা হয়ে গিয়েছিলো একজন বিকার গ্রস্ত মেয়ে। তা ছিল সেই মার আচরণের পরিণতি ।
এখনো কান পাতলে ভেসে আসে তার গেয়ে বেড়ান সেই গানের রেশ “রদনো ভরা এ বসন্ত ,সখি কখনো আসেনি বুঝি আগে “
৯টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
টেস্ট কমেন্ট
নার্গিস রশিদ
সাবিনা আপা , কি এর মানে বুঝলাম না । লেখা দিতে চাই কিন্তু সমস্যা ,প্রকাশ করতে গিয়ে যায় না ।
হালিমা আক্তার
আমি আজ চেষ্টা করেছিলাম। লেখা জমা দেয়া যাচ্ছে না।
নাজমুল আহসান
এখন একবার চেষ্টা করতে পারেন। ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা।
হালিমা আক্তার
সমাজে অনেক খুশি আছে। বাবা মায়েরা বুঝতে পারে না, যে এ ধরনের আচরণ করা অনুচিত। অনেক দিন পর ভালো লাগলো।
নার্গিস রশিদ
সত্যি তাই ।
নার্গিস রশিদ
লেখা যায় না
হালিমা আক্তার
নাজমুল ভাই চেষ্টা করেছিলাম। লেখা জমা দেয়া যায়না।
নাজমুল আহসান
ঠিক আছে। আমি আবার দেখব।