সম্মানিত নগরপাল,
আপনার ঘাসখাওয়া বাসস্থান থেকে নির্গত হতে হতে প্রায়শঃ উচ্চারণ করেন আমার নাম।
আপনি কেনেন রুই মাছ-তাদের কাঁটাখেকো চাকরটিকে হাঁকান ‘কুত্তারবাচ্চা’।
আমি তলীয় শহরের ত্রিকালীন সামরিক-যাদের ‘নেড়ি কুত্তা’ বলা হয়ে থাকে।

জানেন?
আপনার গাড়ীর নিচে চাপা পড়তে পড়তে আমার ঘেউ ঘেউ করা হলনা-
চাকাগুলো ঘাড় ভাঙার পরও ছিটকে বেড়োনো কুকুরজাত বুদ্ধিগুলো রাস্তাকে চুষিয়ে দিল।
অথচ আমার আপনাকে কামড়ানোর কথা ছিল॥

আপনার অ্যালসেশিয়ান দু’টো আসার পর-
ও পাড়ার কুকুরীটা আর ছানি পড়া ডাস্টবিনে ফিরল না,
মানেন নাকি-‘নেড়ি কুত্তা’ভালোবাসে তারাবিহীন জোছনায়?

থাকগে যা বলছিলাম,উন্নত জাতের কুকুরে খাবারের ভাগ বসাত সে,
আর আমি ওদের কামড়খেতাম।
আচ্ছা, আপনার পা চাটার জন্য উন্নত এর ক্রান্তিক মাত্রা কী??

এসব কথা এখন আমার দেবে যাওয়া মগজে ঘুরছে,
টেসে থাকা চোখ অ্যালসেশিয়ানের জিভে ঐ মখমল কুকুরীটিকে দেখতে পাচ্ছে-
অথচ আমি নেড়ি কুত্তার প্রাদৈহিক অবশেষ॥

আপনার কর্পোরেশন আমার লাশটাকে তুলে নিক,ফেলে দিক ওটাকে,
কবর অথবা শ্মশান কেবল নাগরিকত্বের স্বেচ্ছাচার ইদানিংকালে।।

হঠাৎ হঠাৎ,অনাবাসিক-অনাহারী লোম চাঁছা কুকুরাত্মা গুলো বেঁচে উঠুক-
এরা বিলুপ্ত হলে তোমরা বিশ্বস্ততাকে কাদের তুলনায় গালি দেবে,নগরবাসী?

নেড়ি মারছ,মার- মৃত্যুগুলো ময়লা ফেঁড়ে জ্বলে উঠবে একদিন-
তোমরা সযত্ন জল সংগ্রহে মনোযোগ দাও পাচাটা জীবনধারীগণ-
কুকুরাত্মাদের স্বপ্নগুলো কোন বুলডোজারে খুন করবে?

যেহেতু তোমরা শরীর মেরে খুশি থাকতেই অভ্যস্ত,
আত্মার সঞ্চারণকে কোন মর্মে প্রত্যক্ষ করবে?

‘জীবন’ নামক স্বাক্ষরতায় অন্ততঃ শিক্ষিত হও শহরবাসী,
প্রার্থনা অবশেষ-
সময় জঞ্জালে ভাসানের পূর্বে তোমাদের পদবী হোক “মনুষ্যত্ব”।।

৫১১জন ৫১১জন

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ