Pride And Prejudice সিনেমার শুটিং
🎬 Pride and Prejudice 🏰 সিনেমা ও সমাজের গল্প
“It is a truth universally acknowledged, that a single man in possession of a good fortune must be in want of a wife.”
এটি এমন একটি সত্য, যা বিশ্বজনীনভাবে স্বীকৃত — একজন ধনী পুরুষ নিশ্চয়ই একজন স্ত্রীর খোঁজে থাকবে। “Money and status is important, not friendship.” “It also is the painful truth behind the whole novel.” একজন যোগ্য পুরুষ বিয়ে করতে চায় কি চায় না, সেটা পুরোপুরি সেই পুরুষটির বিষয়!
কিন্তু একটি বিবাহযোগ্য মেয়ের বাবা–মা উঠে–পড়ে লাগেন সেই পুরুষটির পেছনে — যেমন করেই হোক, তাদের মেয়েকে সেই পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। এই উপন্যাসটি জেইন অস্টেনের পরের বছরেই লেখা।
জেইন অস্টিনের লেখা উপন্যাস তৎকালীন সমাজ এর পুরানো প্রথা পুরানো চিন্তা ধারা এবং মেয়েদের দুরাবস্থা ফুটে উঠেছে । নিজেই এই গল্পের বিষয়বস্তু । তার লেখা চিঠি এবং উপন্যাসের চরিত্র থেকে জানা যায় এটা তার জীবনের গল্প ।
জেইন এক ছেলেকে পছন্দ করেছিল । পছন্দ দুই জোনেরেই ছিল । কিন্তু তা বিয়ে পর্যন্ত যায় নি। কারন জেইনের বাবার আর্থিক অবস্থা ছেলেটির পরিবারের মতো নয় । তাই ছেলের বাবামা জেইন কে প্রত্যাখ্যান করে । জেইন অপমানিত হয়। নিজের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায় । নিজেকে নিয়ে ভাবতে থাকে তাহলে কি আমি বিয়ের পাত্রী হিসেবে উপযুক্ত নই ?
তার চিন্তায় আসে বিয়ে কি শুধু ধন দিয়েই বিচার হওয়া উচিৎ ?
আর এই ঘটনা দিয়েই “Pride And Prejudice” উপন্যাস টি লিখেন তিনি ।
এই উপন্যাসে তার পরিপক্বতা আসে এবং এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত রচনায় পরিণত হয়। সময়টি ১৭শ শতাব্দী।
সেই সময়ের সমাজে মেয়েদের ছোট থেকেই শেখানো হতো — একজন পুরুষের স্ত্রী হয়ে জীবন কাটাতে হবে। কারণ, স্বামীই হবে তার আর্থিক সহায়তাকারী। বাবার সম্পত্তি যেত ছেলের কাছে, আর মেয়েদের কোনো আর্থিক শক্তি থাকত না। তাই স্বামী ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাথার উপর ছাদ এবং পেটের খাবারের জন্য মা–বাবারা পাত্র খুঁজতে থাকতেন।
তখনকার নিয়ম অনুযায়ী, পাত্র–পাত্রীরা নিজেদের সঙ্গী খুঁজে নিত বল (ball) ড্যান্স পার্টির আয়োজনের মাধ্যমে। জর্জিয়ান ম্যারেজ মার্কেট সে আমলে ছিল একেবারে রুথলেস — অর্থাৎ হৃদয়হীন। পাত্র যদি ধনী না হতো, বাবা–মা মেয়ে দিতেন না।
আবার ধনী পাত্র খুঁজতেন ধনী ঘরের পাত্রী। মেলামেশার পর ছেলে–মেয়ে নিজেদের মধ্যে পছন্দ হয়ে গেলেও, যদি মেয়েটি ধনী ঘরের না হতো, তবে বাবা–মা সম্পর্ক ভেঙে দিতে বাধ্য করতেন।
অর্থাৎ ছেলে–মেয়ের নিজস্ব ইচ্ছার কোনো মূল্য ছিল না। এই গল্পের মূল বিষয়বস্তু হলো —
**বিয়ে হওয়া উচিত ধন দেখে নয়, বরং মনের মিল এবং পারস্পরিক পছন্দের উপর ভিত্তি করে।
চলবে