প্রবাসী হওয়া মানেই পরিবার থেকে ছিন্ন হয়ে পড়া। আর তারা আগের মত ট্রিট করেনা।
যা হয়েছে নিশির ক্ষেত্রে। নিশি ভাবতেই পারেনাই পরিবার তার সাথে এরকম দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মত ব্যাবহার করবে।
বিয়ের পরেই নিশি কে চলে যেতে হয়েছে সুদূর প্রবাসে। যেখানে নাই কোনো পরিচিত মানুষ বা আত্মীয় স্বজন ।
নিজের মনেও কথা বলার কেউ নাই। এযে কতখানি কষ্টের তা শুধু প্রবাসীই বুঝবে।
সবায় কে ছেড়ে থাকা কত কষ্টের , দেশ ফেলে সমাজ ফেলে দিয়ে ভিন্ন এক পরিবেশে থাকতে হবে নিশি তা জানতো না। মা ভাইবোন সবায় কে একটু দেখা যায় না ইচ্ছা মত এটা যে কষ্টের তা তারা বুঝতেই চায় না।
যা হোক একটা দেশ থেকে আর একটা দেশে গিয়ে জীবন আরম্ভ করা ,জীবন চালাতে কাজ পাওয়া সবকিছুতে অনেক বাধা, কিন্তু তা বোঝানো যায়না এই মানুষ গুলোকে।
নিশি এমন এক পাঁকে পড়ে গেছে তা থেকে বের হওয়া অনেক কষ্টের।
হাতে টাকা পয়সা যা কিছু ছিল সব দিয়ে মাথা গোঁজার একটা আশ্রয় কিনতে হয় তাদের কে । প্রতিমুহূর্তে পরিবারের সবার মুখ মনে পড়ে । রাতে শুয়ে শুধু কান্না । এ কেমন জীবন।
নিশি আর তার হাজবেন্ড দুই জনেই বিরাট পরিবার থেকে আসা ।
তা আবার সেই সময়ের দরিদ্র বাংলাদেশ থেকে। তখন কিছুই ছিল না।
তিন বছর পর নিশি যাওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু প্লেনের ভাড়া কোথায় পাবে? এক বন্ধু ওয়ান ওয়ের প্লেন ভাড়া ধার হিসেবে দায়। মনে রাখবে তার কথা সারা জীবন।
কিন্তু হায় এটাই কি তার জন্য অপেক্ষা করছিল। ? নিশি তার বাবার বাড়ির সবার আক্রোশে পড়ে। প্রধান কারন সে কেন বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পেলো কেন তারা নয় এটায় তাদের প্রধান রাগের কারন।