
জান্নাতারা বানুর সেদিন বিধ্বস্ত মুখটা দেখেই মায়ায় পরেছিলাম। কখনো সাহস হয়নি বলতে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি, তোমার বিধ্বস্ত চেহারার প্রেমে পরে গেছি।
তার এতো মায়ার রুপের কাছে আমি কখনোই নিজেকে তার যোগ্য মনে করিনি। তার জিবন যোদ্ধের গল্পে কখনো নিজেকে সেই জায়গায় কল্পনাও করতে পারিনা। একটা মেয়ে কতটা যোদ্ধা হতে পারে আমার জান্নাতারা বানুকে না দেখলে কখনো ফিল করতে পারতামনা।
সে কেনো আমার মত নাদান অযোগ্য রাগী মানুষটাকে গ্রহণ করেছে তাও বলতে পারিনা। প্রথম দিন একটা পিক চেয়েছিলাম শুধু প্রতারক কিনা চিনতে। সাথে সাথেই বিশ্বাস করে জান্নাতারা বানু পিক দিয়ে দিয়েছিলো। সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম এই জান্নাতারা বানুটাই একদিন আমার জান্নাত হবে।
কটাদিন হলো তার সাথে পরিচয়, আমার মনেহয় যেন কত জনম জনমের পরিচয় তার সাথে। আমার প্রবাস জিবনে নিজের মানুষজন যখন যন্ত্রণার তিক্ত আগুনে আমাকে নিক্ষেপ করেছিল ঠিক তখনই জান্নাতারা বানু আমাকে মানসিক সাপোর্ট দিয়েছে। এজন্য তার প্রতি আজিবন কৃতজ্ঞ।
আমার আপন মানুষজন যখন আমার দুর্দিনে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো তখন আমি তার কাছে যা চেয়েছি তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। বিনিময়ে কিছুই দিতে পারিনি তাকে। তার বিধ্বস্ত মুখটার মায়ায় আমি কুরবান হয়ে যাই। বিধাতার কাছে দোয়া চাই আর জিবনে তার বিধ্বস্ত মুখটা যেন না দেখতে পাই।
আজ জান্নাতারা বানু এবং আমার ফুটফুটে একটা মেয়ে আছে আলহামদুলিল্লাহ। জান্নাতারা বানু যদি আমার বিশ্বাস এবং ভালোবাসা ধরে রাখতে পারে তবে এই জিবন তার নামে কুরবান করে দিব। যত কষ্টই হোক কখনো তার হাতটা আমি ছাড়বোনা। শত বাধা বিপত্তিতেও তার পাশে থাকবো।
প্রিয় জান্নাতারা বানু, শুধু তোমার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা চাই আর কিছুই চাইনা জিবনে। আশাকরি তুমি তোমার সর্বাত্মক চেষ্টা করে আমাকে সুখি দেখতে চাইবে। খোদা তাআলা তোমার উপর খুশি থাকুক একজন স্বামী হিসেবে এই প্রার্থনাই করি সবসময়।
একটি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
জান্নাতারা বানু ভালো থাকুক। সুন্দর গল্প। সত্যি জীবন যদি গল্পের মতো সুন্দর হতো। শুভ কামনা রইলো।