
ঋণখেলাপি
আমার কোনও ঋন ছিলোনা তখন,
নিস্পাপ শিশুর পরিচয়েই পরিচিত ছিলাম,
আজ আমি পূর্ণ বয়স্ক ঋণখেলাপি একজন।।
বাবা মাকে দিয়েই শুরু সেই ঋন,
সংক্রামিত হলো সে,
পড়শী স্বজন হয়ে
ধুলির ধারার প্রতিটি ধুলি কনাতে।
প্রকৃতি অকাতরে বিলিয়ে তার,
আলো বাতাস মাটি ও পানি,
রাখিলো বাচিয়ে আমায়,করিলো ঋনি।
অন্ন বস্ত্র বাসস্থান ও চিকিৎসা দিয়ে,
এই দেশ ও সমাজ সংসারে
জরিয়ে নিলো আমায়,তারই মায়া জালে।
আজ আমি পূর্ণ বয়স্ক ঋণখেলাপি একজন,
অথচ নিস্পাপ শিশুর পরিচয়েই পরিচিত ছিলাম,
আমার কোনও ঋন ছিলোনা তখন।
কখন যেন ডাক আসেগো আমার,
স্রষ্টার যত্নে গড়া সৃষ্টি ই তো ছিলাম এই আমি,
অথচ ঋণখেলাপি আসামি হয়ে
হাজির হবো রোজহাশরে,খোদাতায়ালার দরবারে।
কি জবাব আর দিব আমি,
তার সামনে, হয়ে আসামি।
স্বাক্ষ দিবে সবাই তারা,
করলো আমায় ঋনি যারা।
লোভ লালসার মোহে পরে,
শুধিবার সময় যে, আর পেলাম না রে।
আমি এক জন্মপাপি,রয়ে গেলাম ঋণখেলাপি।
মুক্তি কি আর পাবো আমি।
আমার কোনও ঋন ছিলোনা তখন,
নিস্পাপ শিশুর পরিচয়েই পরিচিত ছিলাম,
আর আজ আমি পূর্ণ বয়স্ক ঋণখেলাপি একজন।।
২টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
এই ঋণ কোখন সদ করা যায় না কবি দা
ভাল থাকবেন——–
মো: মোয়াজ্জেম হোসেন অপু
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, এই ঋন আসলেই আমাদের মতো পাপীদের পক্ষে সুদ করা সম্ভব নয়। ভালো থাকবেন ভাই