প্রথম প্রেম প্রথম ভালোবাসা ক্লাস টুতে পড়ি,স্কুলে যাচ্ছি। বাসা থেকে একটু সামনেই মেইন রোড, রিকশার জন্য অপেক্ষা।হালেমার এক হাতে আমার স্কুল বেগ আরেক হাতে আমার হাত খানা শক্ত করে ধরা।আমাদের গ্রামেই তার বাড়ি, তেরো জন ভাই বোনের বিশাল সংসার,সবার ছোট সে। বাবা একজন বর্গা চাষী নিজস্ব জায়গা বলতে বাড়ির ভিটা টুকুই। হঠাৎ মাঝবয়সী এক সুন্দরী [বিস্তারিত]
ডায়েরিভর্তি দীর্ঘশ্বাস সন্ধ্যার আঁধারের সঙ্গে দুঃখের কোনো যোগসূত্র আছে হয়ত। নইলে রোজ সন্ধ্যায় আমার মনের আকাশে এমন ঘন কালো মেঘ নেমে আসে কেনো? একমাত্র পুত্র অয়নকে রাতের খাবার শেষে বিছানায় শুইয়ে আমি যখন লিখতে বসি, আমায় শুধুই দীর্ঘশ্বাস তাড়া করে ফেরে। কত কী মনে পড়ে! বাবার কথা, মার কথা, ভাইবোনের কথা, আমাদের যে সুখী একটি পরিবার [বিস্তারিত]

কবিতা হেঁটে যায়

আলমগীর সরকার লিটন ৩০ জুলাই ২০২২, শনিবার, ১২:৩৫:১৮অপরাহ্ন কবিতা ৩ মন্তব্য
মধ্য মাঠে কবিতার অসুখ নেই; কেবলি কবির অসুস্থতা প্রায় দুর্চিন্তার মাঝেও কবিতা হেঁটে যায় যেতে যে হবে মিষ্টি ভাবনায় এযে কবির সুনিশ্চিত প্রত্যয় ফুল; ওপারে ওশর কতটুকু বা গন্ধ ছড়াবে কবিতা ভাল করে জানেন- অথচ কবির অসুখের খবর রাখেন না মেঠো পথের ধূলি বালি কবিতার সৌন্দর্য মুখ! তবু দোয়ার মাঝে থাকেন কবিতার সুখ। ১১শ্রাবণ ১৪২৯, [বিস্তারিত]
গলির মোড়ে রেনেসাঁ সমাবেশ, পৃথিবী গড়বার শপথ নেবেন ঈশ্বর, হাততালি দেবে কিছু দেবদূত-ইভ ও ইবলিশ । চল্ আমরাও গলিমুখো হই, সেখানে প্রতীক্ষমান রাত্রির রমনী। চল্ 'দেশলাই' খুঁজি। না হয় কিছুটা প্রেম শুঁকে নিস্ তুই, তারপর জপতে থাকিস্ সাম্যবাদী শ্লোগান। তলিয়ে যাওয়া পৃথিবী তুলতে উত্তপ্ত আগুনের প্রয়োজন। চল্ বারুদ খুঁজে নিই। আমরাও হয়ে যাই নাগরিক ঈশ্বর।
এই শহরে জমে আছে না বলা কথকতা। ব্যস্ত জীবনের পাওয়া না পাওয়া, বাঁধভাঙ্গা হাসি গান, কখনও অশ্রুসিক্ত রাতের আঁধার। মায়াবি এ শহরের দূ্র্ণিবার আকর্ষণ, ভোজবাজির মত উধাও হয় আবেগ। বিশ্বাস হয় খেলার সামগ্রী। ভালবাসা ফিকে হয় ক্রমে ক্রমে, এ যেন যন্ত্রমানবের শহর! এখানে স্বপ্নগুলো ধরা দেয় প্রতিবিম্বের মত। ঠিক যেমন,  শেষ বিকেলের আলো ঠিকরে পড়ে  [বিস্তারিত]
নিদ্রা হইতে জাগিয়া দাঁত মাজিতে মাজিতে মস্তিষ্কে এক দুষ্ট বুদ্ধি উদিত হইলো।বাজারের যে দিনকাল তাহাতে 'সস্তা' শব্দখানা এখন দুর্লভ হইয়া পড়িয়াছে।তাহার পর ও আজকের দিনখানা বিনা খরচে পার করিবার বুদ্ধিখানা মস্তিষ্কে ধারণ করিয়া বাসা হইতে বাহির হইলাম। সকাল ১০.০০ টা বাজিয়াছে। দিবসের প্রথম আহার করা হইয়া উঠে নাই  অদ্যবধি। এক বন্ধুর বাসগৃহকে টার্গেট করিলাম আহার [বিস্তারিত]
বিশ্বসাহিত্যে মানবতাবাদী সাহিত্যিক
বিশ্বসাহিত্যে যে তিনজন সাহিত্যিক হিউম্যানিজম বা মানবতাবাদের জন্য উচ্চপ্রশংসিত তারা হলেন- 'শেক্সপিয়ার', 'ভিক্টর হুগো' এবং 'গ্যেটে'। এনারা প্রত্যেকেই সাহিত্যের এক-একজন দিকপাল এবং তাঁরা সকলেই তাঁদের নিজস্ব ভঙ্গীতে নিজস্ব ভাব-কল্পনা অনুসারে মানুষকে প্রতিফলিত করেছেন তাঁদের নিজস্ব সাহিত্যে। শেক্সপিয়ার রিপু-বিড়ম্বিত, নিয়তি-শৃঙ্খলিত সংসারের সাধারণ মানব জীবনের অপার রহস্যের কবি। আশা-নিরাশা, আনন্দ-বেদনা, লোভ-হিংসা, কাম-প্রেম, স্নেহ-ভালবাসা, শত দুর্বলতা, শত সংকীর্ণতা [বিস্তারিত]
কুকুরটা এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে বেশ ক্লান্ত। ওভারব্রিজের রেলিংয়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে হাপাচ্ছে। একবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছে, আরেকবার মানুষের ভীড়ের দিকে। চোখ থেকে নোনাজল গড়িয়ে পড়ছে মাটিতে। আর বানরটি মানুষের কাণ্ড দেখে দাঁত কেলিয়ে হাসছে। অনিক খেয়াল করল তার বাবাও একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে কুকুরটার দিকে। হাতে ধরে রাখা আঙুলে হালকা ঝাঁকি দিয়ে প্রশ্ন করল--- -- [বিস্তারিত]

অবহেলায় রেখো

শাকের নাজির ২৯ জুলাই ২০২২, শুক্রবার, ০৬:১৫:৫৬অপরাহ্ন কবিতা ৪ মন্তব্য
আমিতো ঝুম বৃষ্টি চাইনি যদি একটু মেঘলা আকাশ দিতে। চাইনিতো অধিকার হাত ধরে অনন্ত পথ চলার যদি একটু পাশাপাশি হাঁটতে দিতে।   তোমার পুরোটা আকাশ হবার সাধ্য আমার কই? যদি কিছুটা সময় ঘুড়ি হয়ে উড়তে দিতে। গৃহত্যাগী জোছনায় পোড়াতে পারতামনা জানি যদি জোনাকির আলোয় পুলকিত করেতে দিতে।   তোমার কাব্যগ্রন্থ জুড়ে থাকার সৌভাগ্য নেই তোমার [বিস্তারিত]
ছোটবেলা থেকেই রমেশের খুব শখ, কুকুর-বিড়াল পোষার। কিন্তু নিজের পৈতৃক ভিটেমাটি না থাকার কারণে এসব মনের শখ তার ভেস্তে যায়। তবুও রাস্তা-ঘাটে কোনও কুকুর-বিড়াল দেখলে রমেশ কাছে গিয়ে নিজ হাতে হাত বুলিয়ে আদর করে। রমেশ ছোটখাটো একটা চাকরি করে। বেতন যৎসামান্য! তবুও সবসময়ই ওদের কাছে ডাকে, খাবার কিনে দেয়, খাওয়ায়। এভাবেই রাস্তা-ঘাটে অযত্নে-অবহেলায় থাকা বেওয়ারিশ [বিস্তারিত]
  তুমি আমাকে ছুঁয়ে দাও আমি আবার জেগে উঠি, নতুন কুঁড়িতে,  স্বপ্নের বিভোরে জীর্ণতাকে ভুলে,  পায়ে পায়ে পথ চলি, বিস্তৃত পরিসরে  ।   তুমি আমাকে ছুঁয়ে দাও আমি আবার ফুটে উঠি সুভাসিত বুকে, সজিব নির্যাসে মনোহর মন্ত্রের আবেশে৷।   তুমি আমাকে ছুঁয়ে দাও আমি আবার বয়ে চলি উদ্যাম মাঠে, হিমেল দোলে ভাটিয়ালী সুরে,  উত্তাল পালে [বিস্তারিত]
অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট - নবকুমার দাস অশ্বতর  প্রৌঢ় বাবা বলতেন : গাধা পিটিয়ে কখনো ঘোড়া হয়না । তবুও আমি গাধাদের সামনে থেকে ঘাসজল খাইয়ে গেছি যদি তাদের মধ্যে দুই একটা ডারউইন সাহেবের  ভক্ত  হয়ে ওঠে। অবাক হয়ে দেখলাম : অশ্ব নয়, বরং দিন দিন অশ্বতর হয়ে উঠছে মহান রাষভকুল ।।     কুম্ভীর ওঁত পেতে শুয়ে [বিস্তারিত]

স্মৃতি

বন্যা লিপি ২৯ জুলাই ২০২২, শুক্রবার, ০২:৫৬:০৭পূর্বাহ্ন স্মৃতিকথা ১৩ মন্তব্য
মিষ্টি  গোলাপী টাইপ একটা রং, তার ভেতরে সেনালী কালোয় জলছাপ একটা দারুন ফিনফিনে জর্জেট শাড়ি,ম্যাচিং শার্টিনের ব্লাউজ। ধবধবে ফর্সা গায়ের রংয়ে যেন বৃ্ষ্টি ভেজা গোলাপের মত একটা মানবীয় মুখ। কনে বৌয়ের কপালে লাল টিপ,চোখে গাঢ় কাজলে টানা চোখ। রাঙা ঠোঁটে লাজুক হাসি। সামান্য গহনায় ঐশ্বর্যের খামতি নেই। চোখমুখে দৃঢ় একটা দৃশ্যায়ন চোখে পড়ল আমার।  ওটা আসলে [বিস্তারিত]
সাদা সাদা কালা কালা রং জমেছে সাদা কালা…. আরফান মৃধা শিবলুর গাওয়া এ গানটা কেন জানি আজ সারাদিন আমার মনের গহীনে নীরব সূরে গাইছে।বিষয়টা আমি গান পাগল তা না এর পেছনের কারন হলো মাটির টান।গানটির মাঝে আবহাওয়ামান বাংলার মুল সংস্কৃতি উঠে এসেছে যা আমাদের পূর্ব পূরুষদের মনস্পর্শ অনুভুতি জাগ্রত করে।চিরচেনা গ্রাম বাংলা সেই পল্লীগীতি লালনগীতি [বিস্তারিত]

স্মৃতিকথা (সোনেলা ম্যাগাজিন ২০২২)

শিরিন হক ২৮ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১১:০০:০৯অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৮ মন্তব্য
আমি তখন নওল কিশোরী  কৃষ্ণবর্ণ পূর্ণ যৌবনা। ষোড়শী গ্রন্থে অনুধাবণ করছিলাম বসন্তের রং প্রাণপুরুষের দেখা হবে কবে? মনের আকুলতা উদযাপন করতে বারবার আয়নায় নিজেকে দেখতাম। কাজল চোখে কেমন লাগে? ফ্যান্টাসি গল্পে টিপ আর কাঁচের চুড়ির শব্দ! শুনেছিলাম ভালোবাসায় অনেক সুখ! প্রেমে পড়লে মুখ লাল হয়ে যায় হাত ঘামে, ক্ষুধা লাগেনা। মাটির ঘর স্বর্গ মনে হয়! [বিস্তারিত]

সংরক্ষণাগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ