
সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে চললো সবাই যারযার বাড়িতে অবস্থান করলেও থামছে না তান্ত্রিকদের যত্রতত্র মন্ত্রপূত !
আগত তান্ত্রিকদের মধ্য জটাধারী মহাতান্ত্রিকের নাম রাসেশ্বর। নামে গুণে ও তান্ত্রিক যাদুতে না কী বেশ চালাক চতুর!
তান্ত্রিক মহাসাধু রামলোচনকে বশীকরণ করে রণচণ্ডী বউয়ের কাছে একটা জলের বোতল দিয়ে বলছেন রোজ সকাল সন্ধ্যা গায়ের মধ্যে ছিটিয়ে দিতে।
বশীকরণ শেষে রণচণ্ডী বউ অনেকক্ষণ বসে হতচ্ছাড়া পতিকে নিয়ে বাড়ি ফিরে বড় একটা বটগাছের সাথে বেঁধে রেখে দিয়েছে ।
আর রামলোচনকে বলছে হতচ্ছাড়া পতি আজ হতে সেখানে থাকবে তুমি।
ও গিন্নী সে কী গো?
আমি যে মরে যাবো..।
ঠিক আছে মরে যাবার আগে আমায় একবার বলো।
এ কথা বলে রণচণ্ডী বউ বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
রামলোচন আজ হতে রণচণ্ডী বউয়ের কাছে বশীকরণ।
এদিকে বিলাস বাবুর বাড়ির বটগাছের তলায় তান্ত্রিক জটাধারীরা বসে বসে গাঁজায় দিচ্ছে মনেপ্রাণে টান।
বাড়ির আশেপাশের লোকজন তান্ত্রিকদের যাদু মন্ত্র দেখে তাদের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
আর একে একে নিজের মনস্কামনার জন্য এ তান্ত্রিক সাধুর কাছে সবকিছু বিলিয়ে দিচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত বিলাস বাবুর গিন্নী ললিতা রাণী নিজের কানের দোল দিয়ে তান্ত্রিক সাধুকে বলছেন হে বাবা তান্ত্রিক মহাসাধু আপনি আমার পতির লোভকে ধৈর্যের আওতায় এনে দিন।
হবে হবে সব হবে!
এ কথা বলে তান্ত্রিক মহাসাধু ললিতা রাণীকে তথাস্তু প্রকাশ করলেন।
বিলাস বাবু ক্লান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে প্রমাদ গুনছেন। বিলাস বাবুর দিনশেষে তাঁর আর খাওয়া হলো না পাঁঠার মাংস। সবকিছু একে একে তান্ত্রিকদের ভোগে যেতে চলছে!
লোভের বশে বিলাস বাবুর সকল কর্মের ফললাভ নেপথ্যে যেতে চললো।
এদিকে তান্ত্রিকরা সবকিছু গুছিয়ে বিলাস বাবু আর রামলোচনকে ফাঁকি দিয়ে যে যার মতো করে সবাই চলে গিয়েছে দূরদেশে।
খানিকক্ষণ পর বিলাস বাবুর গিন্নী ললিতা রাণী মন্দির প্রাঙ্গনের বটগাছের তলায় কাউকে না দেখতে পেয়ে বিলাস বাবুকে বলছেন ওগো শুনছো?
সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে!
হলো হলো.!
কী হয়েছে গো গিন্নী?
সবশেষ হলো গো সবশেষ হলো!
আরে বলো কী এমন সর্বনাশ হলো?
আর কি বলবো গো তোমার মঙ্গলের জন্য আমার কানের দোল তান্ত্রিক মহাসাধুকে দিয়ে বলেছিলাম তোমার লোভের ক্ষমতা ধৈর্যের আওতায় এনে দিতে।
এ কী বলছো গো গিন্নী?
আমি তোমার পতি হয়ে তুমি বলছো আমি লোভী!
হ্যাঁ গো।
এখন আমি কী করি বলো গো?
হয়েছে হয়েছে গিন্নী?
আমি তোমার পতি হয়ে বলছো আমি না কি লোভী!
গিন্নী তুমি তো দেখছি রামলোচনের বউয়ের থেকে কমও না।
ও গো গিন্নী বুঝলাম, বড্ড বুঝলাম গো।
রামলোচনকে গলাটিপে কখনো বশীকরণ করে মারছে তার রণচণ্ডী বউ তদ্রূপ তুমিও আমায় মারতে চাচ্ছো।
তাই তো বেশ!
বেশ গো গিন্নী।
যাই করো হাতের আংটি বিক্রি করো নেই সেটাই বড়ো কথা। দেখো দেখো গিন্নী আমাকে বশীকরণ করতে গিয়ে নিজের কানের স্বর্ণের দোল হারিয়েছ।
বেশ হয়েছে।
আজ হতে তোমার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে গেলো গো গিন্নী। তোমায় নিয়ে আমার যাপিত সংসার অনেক হলো।
এদিকে বিনু ও রাঘব দুজনি ঘুমঘোরে ক্লান্ত।
সারারাত ধরে নিদ্রাহীনে আচ্ছন্ন ছিলো।
১৮টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দেখছি রামলোচনের বৌয়ের ভাগ্যটাই ভালো। সেই পারলো পতিকে জব্দ করতে। 🙂🙂। তান্ত্রিক রা এভাবেই ঠকায় । ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দিদি।
ভালো থাকুন অনেক।
সুরাইয়া পারভীন
অবশেষে হতচ্ছাড়া প্রতি জব্দ
কিন্তু ললিতা রাণী তার কানের দুল জোড়া হারালো
এই বার কি হবে….
পরের পর্বের অপেক্ষায় শুভকামনা রইলো দাদা
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দিদি।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফয়জুল মহী
চমৎকার লেখা পড়লাম।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দাদা।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
তান্ত্রিকদের ভানুমতির খেল ভাল দেখালো
দুজনের বনিবনা নাথাকলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নেবেই।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দাদা।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম পর্ব থেকে পড়তে হবে। এই কয়দিন অনিয়মিত থাকায় ধারাহিক লেখাগুলো পড়া হয়নি ভালো মত।
শুরু থেকে কমেন্ট পাওনা হয়ে গেছে 🙂
প্রদীপ চক্রবর্তী
ঠিক আছে দিদি।
অবসরে পড়ে নিবেন।
সঞ্জয় মালাকার
তান্ত্রিকদের ভানুমতির খেল ভাল দেখালো ভালোই দেখালেন দাদা,
ঘরে থাকুন নিরাপদ থাকুন শুভ কামনা রইলো🌹🌹
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ দাদা।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
তৌহিদ
পতিতে জব্দ করার আনন্দের তুলনা নেই। রামলোচনের স্ত্রী সার্থক দেখছি। এসব দেখে ললিতাও বিলাস বাবুকে বশীকরণ করতে চাইছে। কানের দুলগুলো তান্ত্রিক মেরে দিল নাকি?
জম্পেশ গল্প লিখছেন দাদা। শুভকামনা রইলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
কানের দুলগুলো তান্ত্রিক মেরে দিয়েছে।
সাধুবাদ দাদা।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
হালিম নজরুল
পতি রামলোচনকে জব্দ করে সফল তার স্ত্রী
প্রদীপ চক্রবর্তী
একদম,
সাধুবাদ দাদা।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
রেহানা বীথি
বেশ বেশ, জব্দ করতে পেরেছে তাহলে রণচণ্ডী বউ!
প্রদীপ চক্রবর্তী
একদম,
সাধুবাদ দিদি।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।