★ এই মৃত্যু ও ধর্ষণের উপত্যকা আমাদের দেশ নয়—
হোক প্রতিবাদ ★
— শাহীন চৌধুরী ডলি
আর কতো অধঃপতন !
ধর্ষনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে ।
শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, চারত্রিক স্খলনের নজির সৃষ্টি করে চলেছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে সমাজের সর্ব নিম্নস্তরের পুরুষটি তার পুরুষত্ব দেখাতে যেন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । ঘরে বাইরে কোথায় মেয়েরা নিরাপদ? না বাবার কাছে, না প্রেমিকের কাছে, না শিক্ষকের কাছে, না নিকট আত্মীয়ের কাছে, না প্রতিবেশীর কাছে, না অচেনার কাছে ।
প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই,মিডিয়ায়,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবিধ ধর্ষণের খবর । সব খবর প্রকাশ পায়ও না, অগোচরে রয়ে যায় আরো বহু খবর ।
কাকে বিশ্বাস করবে মেয়েরা? প্রেমিক হয় কামুক । প্রেমের
ফাঁদ পেতে করে ধর্ষণ। কখনো একা, কখনো দলেবলে । দাওয়াতের নাম করে নিয়ে যেয়ে ধর্ষণ, ভালো কলেজে ভর্তি করে দিবে বলে নিয়ে ধর্ষণ, ছোট্ট শিশু বাচ্চাকে চকোলেট দেওয়ার নাম করে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ, ডাক্তার রুগীকে করে ধর্ষণ, শিক্ষক নাম্বার না দেওয়ার নামে জিম্মি করে করে ধর্ষণ, রাস্তায় নিরাপদে বাড়ি ফিরতে বাসে, গাড়িতে ধর্ষণ, ফেসবুকের বন্ধুর সাথে দেখা করতে যেয়ে ধর্ষণ, প্রেমের প্রস্তাবে রাজী নয় করো ধর্ষণ, কুপ্রস্তাবে রাজী নয় তাই জোরপূর্বক ধরে ধর্ষণ ।চাকুরীতে বসের কাছে হচ্ছে ধর্ষণ।। মিডিয়ার বেশি কাজ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে করে নিচ্ছেন ধর্ষণ ।
শুধু কি তিন বছরের শিশু থেকে সত্তর বছরের বৃদ্ধাই কেবল ভিকটিম? না তা নয় । রাস্তার উলঙ্গ নোংরা পাগলিনী, প্রতিবন্ধী মেয়েটি কেউ ধর্ষণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না । এমনকি শিশু ছেলেরা পর্যন্ত অহরহ বলাৎকারের শিকার হচ্ছে ।
জোরালো প্রতিবাদ হচ্ছে সর্বখানে কিন্তু এই বিভীষিকা কমছে না বরং প্রতিক্ষণে বেড়েই চলেছে । অন্যতম সামাজিক এই অবক্ষয় থেকে বাঁচার প্রধান অস্ত্র কঠিন আইনের সঠিক প্রয়োগ তাও স্বল্প সময়ে করতে হবে । এটা ঠিক কে কখন কাকে ধর্ষণ করবে না খুন করবে তা সরকারকে বলে কয়ে করবে না যে সরকার পাহারাদার নিয়োগ করে ধর্ষণ কমাতে পারবে । রাজনৈতিক ছত্রছায়া না দিয়ে আইনকে কঠোর হতে হবে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী কঠোর হলেই অপরাধের মাত্রা কবে আসবে। প্রতিটা ধর্ষককে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হোক। সমাজ হোক আরো বেশি সোচ্চার যাতে অপরাধী পার না পায় ।
সবচেয়ে বেশি যা জরুরী তা পারিবারিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি । শিশুবেলা থেকেই পরিবার থেকে প্রতিটি শিশুকে ভালো মন্দের পার্থক্য বুঝানো হোক, তাদের সেভাবে চালানো হোক । পরিবারে সুস্থ ভালোবাসা,শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির সম্পর্ক বজায় থাকুক।। নিজ নিজ বাবা মা হোক প্রতিটি শিশুর আদর্শ ।
শিক্ষক স্কুলে নৈতিকতার শিক্ষা দিক। শিক্ষক হোক শিশুর আদর্শ । বড় ভাইবোন তাদের ভালো কাজের মাধ্যমে ছোট ভাইবোনের কাছে আদর্শ হোক ।
বর্তমানের অস্থির সময়ে মেয়েরা যেন নিজ পরিবারের ( নিজের বাবা,ভাই, স্বামী ও ছেলে সন্তান) বাইরে কাউকে বিশ্বাস না করেন।বন্ধু বা প্রেমিক কাউকেই নয়।
যারা বাইরে চাকুরী ব্যবসা বা কাজের প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয় তারা সাথে অস্ত্র রাখি । বাইরেরটা দেখে ভেতরের রূপ যাচাই করা কঠিন। ফেসবুক থেকে সম্পর্ক হলো, তার সাথে দেখা করতে যখন তখন বেরিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। এক কাপ চায়ের নিমন্ত্রণেও না ।
বেশি রাতে পরিবারের সদস্য ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাই ।
নাম, যশ,খ্যাতি, বন্ধুত্ব এইসবের আগে যা প্রয়োজন তা হলো নিজের সম্মান ও নিরাপত্তা ।এই দেশে কোন পোষাকেই মেয়ে তুমি নিরাপদ নও, তা হোক বিকিনি বা আপাদমস্তক ঢাকা বোরখা ।
ফিরে এসেছে আইয়ামের জাহেলিয়াতের চেয়ে অধিক নোংরা যুগ । আসো মেয়েরা নিজের কাছে রাখা নিরাপত্তার হাতিয়ার দিয়ে লম্পটকে সজোরে হানি আঘাত । এতো সাবধানতার পরেও যদি মরতে হয় চলো মেরেই মরি ।
৩রা আগষ্ট ২০১৭
বাংলাদেশ ।
#####################################
৩টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
ঘরে বাইরে কোথায় মেয়েরা নিরাপদ? না বাবার কাছে, না প্রেমিকের কাছে, না শিক্ষকের কাছে, না নিকট আত্মীয়ের কাছে, না প্রতিবেশীর কাছে, না অচেনার কাছে ।
কিছুই বলার নেই।
বিচারে শস্তি না হয়ায় বড় কারন,
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
লেখাটা সময়পোযোগী।হোক প্রতিবাদ (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রতিবাদ হচ্ছে, তাও মানুষ নামের পশুদের জঘণ্য মনোবৃত্তি দূর হচ্ছেনা। কারণ ধর্ষকের পক্ষে বেশিরভাগ মানুষ। তাদের বাঁচাতে উকিলও কেস লড়ে। কী আর বলবো!