২০১৩ সন প্রায় শেষ । এই সনে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন থেকে বিদায় নিলেন কয়েকজন লক্ষত্র । দীর্ঘ কয়েক বছর এই নক্ষত্র গণ মাতিয়ে রেখেছিলেন ক্রীড়া বিশ্বকে ।
বিদায় নিলেন পোল ভল্টের রানী ইসিনবায়েভার
পোল ভল্টের রানী বলা হয় তাঁকে । ২৮ বার রেকর্ড ভঙ্গকারিণী রাশিয়ার ইসিনবায়েভা । ২৮ বিশ্বরেকর্ডের মালিক ইসিনবায়েভা স্বপ্ন দেখতেন ছেলেদের কিংবদন্তী সার্গেই বুবকার ৩৫টা বিশ্বরেকর্ড ভেঙে সব সীমা পেরিয়ে যাওয়ার। অসীমের সঙ্গে যার মিতালি তার কাছে ৩৫ এর সীমা আর এমন কি ? তবে শেষ পর্যন্ত মানুষ তো, তাই পারলেন না ইসিনবায়েভা।
ইসিনবায়েভা এর পোল ভল্টের দৃশ্য দেখতে এখানে ক্লিক করুন
বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে
বিদায় নিলেন ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম
ইংলিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম অবসরে গেলেন এই বছরে । ১৯৯৩ থেকে ২০১৩। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। দীর্ঘ দুই দশক আগাগোড়া সাফল্যে মোড়া। যেখানেই গিয়েছেন, পেয়েছেন সম্মান, ভালবাসা আর সাফল্য। ম্যানইউ, রিয়াল মাদ্রিদ, লস এ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সি, পিএসজিÑসব ক্লাবেই জিতেছেন একাধিক শিরোপা। সর্বশেষ ফরাসী লীগ ওয়ান জিতে প্রথম ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন চারটি ভিন্ন ভিন্ন দেশের শীর্ষ লীগ শিরোপা করায়ত্ত করে।
২০১২ তে বেকহ্যাম এর দেয়া কিছু গোল দেখুন এখানে ক্লিক করে
বেকহ্যামের বিদায়ী ম্যাচ ও ক্ষণ
ক্রিকেটার জ্যাক ক্যালিস এর টেষ্ট ক্রিকেট থেকে বিদায়ের বছরও ২০১৩
দক্ষিন আফ্রিকার ক্রিকেটার , অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন ।
১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আলোর রোশনাই জ্বেলে শুরু করেছিলেন যে পথচলার, ভারতের বিপক্ষে ডারবানে ইতি টানছেন তা। মাঝের ১৮টি বছর টেস্ট ক্রিকেটকে দুই হাত ভরে দিয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন খেলাটির সেরাদের কাতারে। ১৬৫ টেস্টে ৫৫.১২ গড়ে ১৩,১৭৪ রান নিয়ে তিনি টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং ও রাহুল দ্রাবিড়ের পর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় এখন চতুর্থ স্থানে। নামের পাশে জ্বলজ্বল করা ৪৪টি সেঞ্চুরি টেন্ডুলকারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বল হাতে সফল এ অলরাউন্ডারের শিকার ২৯২ উইকেট। একটি জায়গায় তো তিনি সেরাদেরও সেরা! ১১ হাজারের ওপর রানের সঙ্গে ২৫০’র বেশি উইকেট- টেস্ট ক্রিকেটে এমন অর্জন নেই আর কারো।
জ্যাক ক্যালিসের খেলা দেখুন
ক্রিকেট মাঠে আর দেখা যাবেনা সচীন টেন্ডুলকারকে
সচীন টেন্ডুলকার । কোন বিশেষণ দিয়েই তাঁর ক্রিকেটীয় সাফল্যকে পরিপূর্ণ ভাবে তুলে ধরা সম্ভব নয়। চলে গেলেন তিনি ক্রিকেট মাঠ থেকে । ছোট খাটো এই ক্রিকেটারকে আর দেখা যাবে না ক্রিকেট খেলতে ।
তার ব্যাটিং-কীর্তিগুলো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি শতক, টেস্ট-ওয়ানডে দুই ধরনের ক্রিকেটেই সবচেয়ে বেশি রান ও শতকসহ ব্যাটিংয়ের বহু রেকর্ড টেন্ডুলকারের অধিকারে। সে সব রেকর্ড কবে ভাঙ্গবে, বা আদৌ ভাঙ্গবে কিনা, তার ভবিষ্যদ্বাণী করা প্রায় অসম্ভব। ভারতীয়দের কাছে তিনি ক্রিকেটের ‘ঈশ্বর’, তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তবে দেশের বাইরেও টেন্ডুলকারের ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা। যেখানেই খেলতে গেছেন, পেয়েছেন স্থানীয় মানুষের প্রাণঢালা ভালবাসা। এমনকি ভারতের ‘চির বৈরি’ পাকিস্তানেও তাকে নিয়ে মাতামাতি। সেখানেও তিনি ভীষণ জনপ্রিয়।
অবসর সময়ে সচীনের বিদায়ী ভাষন
সচীন টেন্ডুলকারের বিদায় মুহূর্তের কিছু কথা পড়ুন
১৪টি মন্তব্য
খসড়া
বয়স কাউকে ক্ষমা করে না। ভাল পোস্ট। পুরানোরা সরে গিয়েইতো নতুনকে জায়গা করে দেবে।
ব্লগার সজীব
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ।
ছাইরাছ হেলাল
আমার প্রিয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার ও অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস কে আমি মিস কবর
ভীষণ ভাবে ।
ব্লগার সজীব
মিস করছি খুব আমিও ।
মা মাটি দেশ
নিঃসন্দেহে সোনেলা গর্বিত আপনার সঙ্গতে।ঘুড়ে ফিরে দেখা ২০১২ এবং ২০১৩ এর খেলায়ার বিদায়ের উল্ল্যেখযোগ্য দিক।যারা চাকুরী খুজে বাইভায় কাজে আসবে। (y)
ব্লগার সজীব
🙂 (3
জিসান শা ইকরাম
এরা সবাই আমার প্রিয় তারকা
বিশেষ করে সচীন এবং ক্যালিস ।
এদের ক্রিকেট মিস করবো খুব।
ব্লগার সজীব
মিস করছি খুব ।
লীলাবতী
সচীনের বিদায়ে কষ্ট পেয়েছি খুব ।
ব্লগার সজীব
আমার প্রিয় ক্রিকেটার তিনি ।
শুন্য শুন্যালয়
কি আর করা..শচীন আর বেকহ্যাম কে মিস করবো বেশি ..
ভালো লাগা পোস্ট ..
পোস্ট দিয়ে পোস্ট দাতাও বিদায় হলেন নাকি?
ব্লগার সজীব
বিদায় নেই নি তো , সোনেলাকে মিস করি :p
আফ্রি আয়েশা
শচীনকে মিস করবো 🙁
ব্লগার সজীব
আমিও 🙁