: অজ্ঞতার দাপুটে পুলিশ ! এমন এমন কর্মকর্তা রয়েছেন ডিজিটাল কিংবা অনলাইন সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। বিচিত্র! এমনও পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন এই আধুনিক যুগে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার জানেন না। শেখারও কোন আগ্রহ নেই। তাহলে তাদের মনস্তাতিক চেতনা কতটা নিন্ম। দেশ বিদেশে অনলাইন মিডিয়ার জয়জয়কার চলছে এখনও ওই পুলিশ কর্তারা ইন্টারনেট সম্পর্কে অজ্ঞ। বিস্ময়কর! প্রশ্ন হচ্ছে এরা কি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সহায়ক ? নাকি ডিজিটাল বাংলাদেশ’র উল্টো রথে হেঁটে চলছেন। প্রশ্নবিদ্ধ। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এরকমও পুলিশ কর্তা রয়েছেন তারা জানেনই না যে অনলাইন পত্রিকা রয়েছে। আর ব্লগ যে কি জিনিস তাও জানে না। অবশ্য আবার অনেক কর্মকর্তাই রয়েছেন ইন্টারনেট জগত সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখেন। তারা ইন্টারনেট জগতে জ্ঞান ভান্ডারে বিচরন করেন। অন্যদিকে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও তো জামায়াত শিবির রয়েছে। বিশেষ করে ইন্টারনেট জগত বিষয়ে অজ্ঞ যেসব পুলিশ কর্তা এরাও তো এক দৃষ্টিভঙ্গিতে “হেফাজত ইসলাম”। কারন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মরিয়া হয়ে ওঠা ধর্মের নামে অধর্ম কর্মকান্ডে লিপ্ত হেফাজত ইসলামও তো জানে না ব্লগ কি জিনিস। এসব দাপুটে পুলিশ কর্তারা কি জনগনের সেবকের ভুমিকায়! যারা ওয়াকিবহাল নয় তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে। এখনও তারা রয়ে গেছে অন্ধকারে। হায়েনার কায়দায় আস্ফালন। এখনও সেবকের ভুমিকার বিপরীতে নাটক সাজিয়ে হেনস্থা করছে নারী পুরুষকে। মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে ব্লাক মেইলের ফাঁদে ফেলানো হচ্ছে নিরপরাধ মানুষকে। কন্ট্রাকে মানুষকে হয়রানী করছে। এহেন অজ্ঞতার জলন্ত দৃষ্টান্ত বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন। ওসি সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে জামায়াত কানেকশনের অভিযোগসহ অন্তহীন অভিযোগ থাকলেও অদৃশ্য শক্তিতে থাকছেন বহাল তবিয়তে। এর আগে তিনি বরিশাল বিমান বন্দর থানায় ছিলেন। সেখানেও যতসব অপকর্মের নাটের গুরু ছিলেন সাখাওয়াত। এরও আগে ছিলেন রাজধানীতে। অভিযোগ রয়েছে রাজধানীতে চাকরীকালীন সময়ে চোরাচালান সিন্ডিকেটসহ অপরাধ জগতের সঙ্গে তার ছিল বেশ দহরম মহরম। অন্যায় অপকর্মে বেশ কামিয়েছেন। বনে গেছেন কোটিপতি। বাড়ি পিরোজপুর। গ্রামের বাড়িতে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভাই প্রার্থী হওয়ায় প্রভাব বিস্তার করে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের নানামুখী হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে। জনশ্রুতি রয়েছে সাখাওয়াত বিএনপিপন্থী এক নেতার আর্শিবাদপুষ্ঠ হয়ে পুলিশের চাকুরীতে যোগদান করেন। কোতোয়ালী মডেল থানায় আরেকজন রয়েছেন ক্ষমতাধর বেপরোয়া পুলিশ মহিউদ্দিন। বেশামাল মহিউদ্দিন জনগনের মাঝে আতংকিত। থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চেয়ে পাওয়ারফুল মহিউদ্দিন। এই সাধের অজ্ঞতার দাপুটে পুলিশ ! নাকি ওদের আষ্ট্রেপৃষ্ট্রে লেগে থাকা বর্বরতা! অথচ পুলিশ যখন জামায়াত শিবিরের নির্যাতনের শিকার হয়েছে বা হচ্ছে তখন স্বোচ্ছার ব্লগার’র ব্লগিং। এসব পুলিশদের ভিলেনি স্টাইল বন্ধে রাষ্ট্রযন্ত্রের দেখার কি কেউ নেই।
লেখক : (সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক)
Mail : [email protected]
৫টি মন্তব্য
বনলতা সেন
অনেক সরকারী অফিসার আছেন যারা নেট বলতে বুঝে খারাপ কিছু .
শিশির কনা
আজ একটি লেখা দেখলাম ফেইসবুকে । একজন হেফাজত ইসলাম কর্মীর কাছে প্রশ্ন : ব্লগ সম্পর্কে কিছু জানেন ? উত্তর দিল হেফাজত কর্মী : অবশ্যই জানি , ব্লগ দিয়ে নেটা চালায় ।
এই হচ্ছে হেফাজত এর বিশাল জ্ঞান 😛
লীলাবতী
হেফজত ইসলাম নয় কোন মতেই , ওরা ফেফাজত জামাত , রাজাকার ।
জিসান শা ইকরাম
অসির বিরুদ্ধে জামাত কানেকশনের অভিযোগ ? অবাক হলাম বেশ ।
যাযাবর
অনেক কিছু জানলাম ।