হুমায়ুন আহম্মেদ….

মনির হোসেন মমি ১৩ নভেম্বর ২০১৩, বুধবার, ০৪:৩৬:২৪অপরাহ্ন বিবিধ ৯ মন্তব্য

https://www.facebook.com/groups/quote.humayun/ লিংটিতে আছে স্যারের ভক্তদের পোষ্ট । ইচ্ছে করলেই জয়েন করতে পারেন।

চলে গেল হুমায়ুন আহম্মেদ ,আমাদের হৃদয়ে সাহিত্যের বাদশার ৬৫তম জম্ম বার্ষিকী।যার জম্ম না হলে বাংলা সাহিত্যে এত পরিবর্তন আসতনা, জম্ম নিত না নতুন নতুন সাহিত্যের প্রতিভাবান ব্যাক্তির।সেই স্যার সম্পর্কে  আমার মত ক্ষুদ্র ভক্তরা কি আর লিখবে তার পরও মহান এই সাহিত্যিক সম্পর্কে কিছু একটা না লিখলে যে নিজেকে অপরাধী মনে হয়।

তখন তরুন মাত্র।বিটিভি থেকে মানুষ দিন দিন যখন মূখ ফিরিয়ে নিয়ে বিদেশী চ্যানেলে দিকে চলে যাচ্ছিলেন তখন একমাত্র হুমায়ুন স্যারের  একে একে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটকগুলো  বিটিভি বিমুখ মানুষগুলোকে তার রসালো জীবন বৃত্তিক নাটকগুলোর মাধ্যমে  বিটিভি দেখতে বাধ্য করেন।আর যাই হোক স্যারের নাটক শুরু হলে নাওয়া খাওয়া-লেখা পড়া বাদ দিয়ে চলে যেতাম টিভির সেটে।প্রানবন্ত অভিনয় আর গল্পে মনে প্রশান্তি এনে নিশ্চিন্তে ঘুমাতাম পরদিন যে যেখানে সেখানেই প্রচারিত নাটকের প্রসংসা।আমার জানা নেই কেউ তার লিখনিতে মন্দ সমালোচনা করতে পেরেছে ।সেই সুযোগ তার গল্পের লিখুনিতে সে দেয়নি।জীবনের সকল চাহিদাই ছিল তার গল্পে।সুখ দুঃখ হাসি কান্না সব মিলিয়েই নাটকের প্রতিটা পর্ব তৈরী করতেন।৭০ দশকে প্রথম উপন্যাস “নন্দীত নরকের” জনপ্রিয়তার মাধ্যমে সে তার সাহিত্যের গুরুর আসনটি পেয়ে যান।কত চরিত্র যে সে সৃষ্টি করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।এই সব দিন রাত্রীর “বাকের ভাই” এর এটি একটি মাইল ফলক চরিত্র।পৃথিবীর বিনোদন জগতের ইতিহাসে এমন নজির আমার মনে হয় আর নেই -নাটকের “বাকের ভাই”এর জন্য বাস্তবে দেয়াল লিখন,মিছিল মিটিং প্রতিবাদ “বাকের ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে” এ যেন সাহিত্যের বিজয়।এই চরিত্রের মাধ্যমে লাইটে চলে আসেন আসাদ্দুজ্জামান নূর বর্তমানে রাজনৈতিক জনপ্রিয় নেতা।অয়োময়,বহুব্রীহি,নন্দীত নরকে,এই সব দিন রাত্রী, এমন প্রায় ৪০০ গল্প,উপন্যাস,কাব্য লেখা আমাদের জন্য রেখে গেছেন।মিছির আলী আর হিমু চরিত্রতো রীতিমত তরুনদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলেছন।আগুনের পরশ মনি,শ্যামল ছায়া মত চলচ্চিত্রগুলো ছিল তার অনবদ্য সৃষ্টি।

সাহিত্য ছাড়াও আরো অনেক প্রতিভার স্বাক্ষর সে আমাদের জন্য রেখে গেছেন লিখে গেছেন অসংখ্য হৃদয় স্পর্শী গানের কথা সুর।সে সব সময় প্রকৃতির মাঝে বসবাস করতে পছন্দ করতেন।সেই প্রকৃতির টানে গড়ে তুলেছেন প্রাকৃতিক স্বর্গ বিশাল এলাকা জুড়ে এক “নুহাশ পল্লী”যেখানে সে ঘুমিয়ে আছেন স্রষ্টার পরম আদরে।

বরেণ্য লেখক তার সাংসারিক জীবনেও ছিলেন সজাগ।দ্বীতৃয় বিয়ে যদিও তাকে কিছুটা বির্তকের সৃষ্টি করেছিল কিন্তু তার দায়ীত্ত্ববোধ তাকে রক্ষা করে।সন্তানদের প্রতি ভালবাসা ছিল ইর্শ্যনীয়।রাষ্ট্র,মুক্তিযুদ্ধ,সামাজিক অবক্ষয়ের পাশাপাশী চিত্রজগৎকে ভালবেসে শীলা তার মেয়েকে এক সময় আগুনের পরশ মনি চলচ্চিত্রের নিয়ে আসেন।স্ত্রী শাওনও এর ব্যাতিক্রম নয়।স্যারকে হারিয়ে আমরা শোকাহত কিন্তু সে যা অমুল্য সম্পদ আমাদের এবং ভবিষৎ প্রজম্মের জন্য রেখে গেছেন তা আমাদের চলার পথে প্রেরনা হয়ে থাকবে।আমরা তার অনুপ্রেরনায় এগিয়ে যাব।তার মত লেখক আর হয়তো জম্মাবেনা এ দেশে কারন তার মত নক্ষত্র পৃথিবীর বুকে সৃষ্টি হয় হাজার বছরের ব্যাবধানে।আমরা তার জম্ম দিনের শুভেচ্ছা এবং শাহাদৎ বরণে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

 

১১৯৯জন ১১৯৯জন
0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ