ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর ভারতবর্ষকে শুধু জ্ঞানের উৎকর্ষতা ই এনে দেননি তৎকালীন কুসংস্কার এ আচ্ছন্ন হিন্দু সমাজের উত্তরণে অপরিসীম ভূমিকা পালন করেন । সেই সময় কলিকাতার সংস্কৃত কলেজে ব্রাক্ষ্মণ ও বৈদ্য সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কোন গোত্রর অধ্যয়ন করার অনুমতি ছিলো না। ১৮৫১ সালের ২২শে জানুয়ারি বিদ্যাসাগর ঐ কলেজের প্রিন্সিপাল হয়েই আদেশ জারী করেন এক বছর বয়সী যে কোন গোত্রের বালক ঐ কলেজে অধ্যয়ন করতে পারবে।
তবে বিদ্যাসাগর এর সবচেয়ে বড় কাজটি হলো —- সমগ্র ভারতীয় দর্শন মন্থন করে ” পরাশর সংহিতা ” থেকে তিনি আবিস্কার করেন মোক্ষম একটি শ্লোক ——
” নষ্টে মৃতে প্রবৃজিতে ক্লীবে চা পতিতে পতৌ
পঞ্চস্বাপ ৎসু নারীনাং পতিরণ্যে ।।
★★★ এই শ্লোকে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র বিধবা নয় —- নষ্ট চরিত্র, অথর্ব এবং নপুংসক স্বামীদের স্ত্রীদেরও অন্য স্বামী গ্রহণ কর্তব্য ।।
বিদ্যাসাগর বিধবাবিবাহের যৌক্তিকতা ও সামাজিকতার এই শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা ইংরেজিতে অনুবাদ করেন ১৮৫৬ সালে, ” Marriage of Hindu Widows ” নামক গ্রন্থে ।।
সে বছরের ২৬শে জুলাই ” বিধবা বিবাহ বিল ” পাশ হয় ।।
১১টি মন্তব্য
আদিব আদ্নান
‘ বিধবা বিবাহ বিল ‘ একটি সামাজিক বিপ্লব ।
যে সময়ে যে অবস্থায় হাজারো প্রতিকূলতায় নিজ জীবনকে ঝুঁকির মুখে দাঁড় করিয়ে এ মহান
উদ্যোগ তিঁনি নিয়েছিলেন তা ভাবলেও ভয় পেয়ে যাই ।
এমন কী তাঁর ছেলেকেও বিধবা বিবাহ করিয়েছিলেন ।
স্বপন দাস
ধন্যবাদ আদিব আদনান, সহায়ক তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য।
আপনাদের এ সহযোগীতাই আমাকে প্রেরণা ।।
জিসান শা ইকরাম
” ” নষ্টে মৃতে প্রবৃজিতে ক্লীবে চা পতিতে পতৌ
পঞ্চস্বাপ ৎসু নারীনাং পতিরণ্যে ।। ” ——— লাখ লাখ শ্লোকের মাঝ থেকে এমন শ্লোক খুজে বেড় করে আনা বিশাল ধৈর্যের পরিচয় বহন করে।
ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ বিল পাশে যে অবদান রেখেছেন , তাতেই তিনি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
ব্লগার সজীব
শেয়ার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
বনলতা সেন
তাঁর সম্বন্ধে জানি সামান্যই ।
এ শ্লোকটি জানানোর জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ ।
আর হ্যা , আপনি আমাদের এ মন্তব্যের নীচে ডান দিকে ‘জবাব’ এ ক্লিক করে সবার
মন্তব্যের উত্তর দিলে মনে হয় ভাল হবে ।
বিসমিল্লাহ বলে চেষ্টা করে দেখুন ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
আজকের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে হিসেব করলে শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসে মাথা ।
স্বপন দাস
ধন্যবাদ বনলতা সেন ।। আপনার মন্তব্যের নিচের জবাব এ ক্লিক করেই বিসমিল্লাহ করলাম — জানিনা আবার সবার নীচে এটা পোষ্ট হয় কিনা ।।
ছাইরাছ হেলাল
চেষ্টা করুণ , এবারে না হলেও হয়ে যাবেই ।
ছাইরাছ হেলাল
তার আরও অনেক অবদানের মধ্যে এটি একটি ।
আরও অনেক অনেক বিষয় আছে (আমি ভাল যানি না ) যার জন্য
শত শত বছর তিঁনি আরাধ্য থাকবেন ।
খসড়া
বিল তো হল অনেক বিপ্লব হলো। যারা বিল পাস করেছেন যক্রা বিল্পব করেছেন সেই মুষ্ঠি মেয় কয়েকজনের মত কিছু লোককে বাদ দিলে সত্যিই কি কোন পরিবর্তন হয়েছে এই দেশের হিন্দু মুসিলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান নারীদের। ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে খুব পোস্ট টা। এই পোস্ট হয়ত একজনের দর্শন বদলাতে পারে।:)
ফাহিমা কানিজ লাভা
এই মহান মানুষটা না জন্মালে ভারতবর্ষের কি অবস্থাই না থাকতো। শ্রদ্ধা বিদ্যাসাগরকে।