হাড় কঙ্কাল
দালান জাহান
এক
সারাদেশে এ কি অস্থিরতা এমন কথাও কি সহ্য করা যায় ? বিশ্বাস করতেও বিশ্বাসের ভয় যে , সমিলার মা সমিলার বাবাকে বলে , রাতে /বিরাতে তুমি এইসব কাজ করতে যাইওনা। তারচেয়ে ঢেড় ভাল , মানুষের জমিতে কাজ করো , চাষ করো, কুলি মজুরের কাজ করো , তবু ও এসব কইরোনা আমি তোমার দুইডা পায়ে পড়ি ! “সর সর কতার বাকুম সাজাইছছ , ফহিন্নির জি তোর বাফেরে ত কইছিলাম বিশ হাজার টেহা দিতে , তোর বাফে টেহা তো দিলই না ,উল্টা আমার বাফের টাইন কইল আমি নাহি গাঁজা কাই , আমি নাহি নেশাকোর, যা চুতমারানি” এই বলে সমিলার মায়ের পায়ে লাথি দিয়ে , গাঁজা টানতে টানতে বের হয়ে যায় মোতালেব !
রসুলপুরের আবছার আলীর মেয়ে নীলোফা। মোতালেবের কাছে বিয়ে হলো দু বছর তিনমাস। এর মধ্যে নীলোফার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। গাঁয়ের মাটির মেয়েরা ভালোবাসাকে স্পষ্ট করে বলতেও লজ্জা পায়। জীবনের সাধারণ সুখটাকেই তারা বড়ো ভালোবাসা মনে করেন। সেজন্যই তিনবার বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দিয়েছেন স্বামীর অত্যাচারের বদলে একটু সুখ শান্তির জন্য ।
কিন্তু শান্তি তো পেলইনা পেল শুধু বদনাম। তাই এখন শত কষ্ট হলেও বাপের কাছে বলেনা নীলোফা। বাপজান তোমার হালের গুরু বেইচ্চা আমারে ট্যাহা দেও । সেজন্য স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন শ্বাশুড়ির গাঁটুনি কত কিছুই না সহ্য করতে হয় নীলোফাকে।
মোতালেবের নেশা ধরেছে টাকার নেশা। রাতারাতি বড়লোকে হওয়ার নেশা। রাত হলেই গাঁজা কয়েক পুড়ি হলেই হলো। শহর থেকে এক সাহেব এসেছেন গাড়ি নিয়ে। রাত গভীর হলেই শুরু হয় কবর খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। আর এই কাজের প্রধান হলো মোতালেব।
৬টি মন্তব্য
খাদিজাতুল কুবরা
আশা করি ভালো কিছু হবে গল্পের ছলে। আপনার গল্প আগে ও পড়েছি।
অনেক শুভেচ্ছা
দালান জাহান
ধন্যবাদ আপু ভালো থাকুন সবসময় শুভেচ্ছা
হালিমা আক্তার
এ সমাজে অনেক নীলোফা আছে একটু সুখের আশায় এভাবেই দিন অতিবাহিত বাহিত করে। ঘুনে ধরা মোতালেব রা বোঝে না। চমৎকার লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো।
দালান জাহান
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন সবসময়
নার্গিস রশিদ
গল্পের আরম্ভ দেখে মনে হচ্ছে গল্পে জীবনের গল্প আছে। যা বাস্তব তাই থাকবে। যা চারদিকে ঘটছে তাই থাকবে। দেখি কি হয়।
দালান জাহান
ধন্যবাদ অনিঃশেষ