(১) আকার বিভ্রাট —
————————–
হ্যালো দোস্ত আছিস?
– এখন রাখ! পরে রিপ্লাই দিতেছি, দৌড়ের উপ্রে এখন।
কই যাস হাউখাউ কইরা?
– বিয়া করতে!
মেসেজ দিলাম- ভাবী ঘটনা কি! ও নাকি আবার বিয়া করতে গেলো- শুনছেন কিছু?
– আরে কি বলেন এসব! দাঁড়ান আজ ওর চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার না করছিতো!
কিছুক্ষণ পরে-
– হ্যা ভাই, পাত্রীর বাবা জরুরী তলব করেছে। আপনার বন্ধু এই বিয়ার ঘটক কি না!
করতে ও করাতে— আকার বিভ্রাট!!
টাইপিং এ সচেতন হোন। একটি আকার-ই একবেলা অনাহারী রাখতে যথেষ্ট!
(২) শয়তানের ধোঁকা —
—————————–
টিভিতে খবর দেখতে দেখতে মশারি টানানো প্রায় শেষ। বিছানার উপরে থাকা রিমোটে পায়ের চাপ লাগতেই কানে এলো খবর পাঠিকার কন্ঠে বাঁচাও বাঁচাও আওয়াজ!
তাকিয়ে দেখি অন্য চ্যানেলে রিয়াজ এবং রাজীবের মধ্যকার শ্বাসরুদ্ধকর বন্দুকযুদ্ধ। হারজিতে নির্ভর করছে নায়িকা পূর্ণিমার প্রেমের ক্যারিয়ার। ছোট ঘর থেকে ফাইনাল রাউন্ড দিয়ে এসে লেপের তলে যাবার ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রেখেছে টিভি স্ক্রীন!
এদিকে একহাতে মশারির কোণা ধরে দাঁড়িয়ে থাকা আমি কোথাও যেতেও পারছিনা, ঐদিকে তাদের পিস্তলের গুলিও শেষ হচ্ছেনা। অবিরাম গোলাগুলিতে নায়িকার বান্ধবীরা তিড়িংবিড়িং নাচে চিৎকার করছে উহ! আহ! উরে! ইস! ইশ!…বাঁচাও!!
(৩) বিশ্বাস —
—————-
কৈশোরে এক কবিরাজ বলেছিলো — তোর প্রেমিকার নামে লিখা আমার তাবিজটা কোনো খরস্রোতা নদীতে ফেলে আসবি। নদীতে যতশত ঢেউ তাবিজকে ছুঁয়ে যাবে ততশতবার সে তোর জন্য পাগল হবে।
আম্মার কাছে ধরা খেয়ে দিশেহারা আমি সেই অমুল্য তাবিজ হাতছাড়া হবার পর থেকেই তক্কে তক্কে ছিলাম। পিকনিকতো আসলে বাহানা, পদ্মা সেতুর শক্ত পিলারের গোড়ায় একদিন তার নামের আদ্যক্ষর লিখে দিয়ে এসেছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ ‘S’ দিয়ে যার নাম শুরু সে এখন আপনাদের ভাবী।
১৩টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
সবগুলা ব্যাপারই অন্যরকম😜😜
কিন্তু শুধু একবেলা নয়, অনেকবেলাও হত্পােরে। আমি হলে তো আরও বিপদ ঘটাতাম।
“গুলিও শেষ হচ্ছেনা। অবিরাম গোলাগুলিতে নায়িকার বান্ধবীরা তিড়িংবিড়িং নাচে চিৎকার করছে উহ! আহ! উরে! ইস! ইশ!…বাঁচাও!!” বাংলা সিনেমার ঐতিহ্য বলে কথা। না থাকলে জমত না।
শেষটায় অপশন নাই বয়স হইছে। তব্পােঠক মহোদয় চেষ্টা করতে পারে।
ওভারঅল শীতের এ সময় দেদারছে ওজন বেড়ে একাকার। হাসির চোটে আশেপাশের লোকজন যেহেতু ভয় পেয়েছে। তার মানে শরীরও হাসির ঝাঁকুনি পিডুনিতে কিছুটা হলেও ওজন কমবে সবার। মানে বহুত মজা😜😜😜😜
তৌহিদ
মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। প্রেমের বয়স লাগেনা। অনলাইনে কত সার্কাস যে হচ্ছে যদি দেখতে পেতেন!
শুভকামনা আপু।
খাদিজাতুল কুবরা
দারুণ!
আকার বিভ্রাট যদি বউয়ের সার্থে লাগে, তবে পুরো ব্যাকরণ মুখস্থ করিয়ে তারপর ভাত কপালে জুটবে এটা মোটামুটি স্থির।
বাংলা সিনেমার সিনগুলি সত্যি হাস্যকর!
এদের সুমতি কবে হবে কে জানে।
হুজুর তাবিজ যদি প্রিয় মানুষকে মিলিয়ে দিতে পারে তবে জয় হোক হুজুরের জয় হোক তাবিজের।
রম্য লেখা আমার বরাবরই ভালো লাগে।
তৌহিদ
ঘর আগে! বুঝলেন না! হোম মিনিস্টার ঠিক তো সব ঠিক। বাংলা সিনেমা হাসার জন্যই দেখি। তবে ভালো সিনেমাও আছে প্রচুর।
ভালোবাসা জোর করে তাবিজেও কাজ হয়না কিন্তু। সুন্দর বললেন আপু। শুভকামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
ঘরের ব্যাপারটা বুঝি, কেননা আমি ও যে হোম মিনিস্টার!
একদম ঠিক বলেছেন, বাংলায় ভালো সিনেমা ও আছে।
আগে দেখতাম খুব।
ভালোবাসা হচ্ছে কিছুটা অর্জন কিছুটা তকদীর।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আকার বিভ্রাট পড়ে খুব মজা পেলাম। একবেলা না বলেন কয়েকদিন, মাস ও কেটে যেতে পারে । সংসার পর্যন্ত ভেঙে যায় এই একটু ভুলের বিষের ছোবলে।
সিনেমার এই সাইড রোল গুলো খুবই ন্যাকামি, ভাঁড়ামি হয়ে থাকে।
হুজুরের তাবিজে কাজ হয়না রে ভাই খালি দৌড়ঝাঁপ আর টাকার জলাঞ্জলি।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
তৌহিদ
লিখার সময় টাইপিং মিসটেক হয় যা লক্ষ্য রাখা উচিত। সিনেমা আসলে বিনোদনের জন্যই।
আর হ্যা, ভালোবাসায় বিশ্বাস না থাকলে তাবিজ কবজেও কাজ হয়না কিন্তু। সুন্দর বললেন আপু।
ধন্যবাদ জানবেন।
বন্যা লিপি
ভাবলাম, বুঝলাম, ভাতারডাল বলে কত যে বিপদে পড়তে দেখেছি নিজের চোখে😃😃 যখন মাঝখানে কোনো ফারাক না রেখে কেউ ভাত আর ডাল একত্রে উচ্চারন করে…..!! আ কারের অভাবে ভাত তো দূরে থাক, রান্নার হাড়ি পাতিলের অবস্থান সঙ্কটে পরে না যায়, ভাববার বিষয় বটে।
শেষ দানে যা দিলেন না!
ফাটাফাটি…….
তৌহিদ
ভাতের ডাল! কাম সারছেরে! খাওয়া বুঝি এইবেলাতেও হইলোনা আফা 😃
মন খারাপ হলে সিনেমা দেখুন, আর হ্যা ভালোবাসায় বিশ্বাস জরুরী।
ভালো থাকুন আপু।
আলমগীর সরকার লিটন
না হাসে পারলাম না তৌহিদ দা অনেক শুভেচ্ছা রইল
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা আপনাকেও।
আরজু মুক্তা
ঐ এস বর্ণ এখন সবার!! হা হা
ভালো থাকুন সবসময়
তৌহিদ
আমারটা আমার, হা হা হা।