তুমি ডাক্তার সুস্থ মানুষ, আমি অসুস্থ, আর আমাকে বলো তুমি ঐ রুমে যান,ওখানে টাকা দেন,আমি এসির নিচে বসে আছি,আপনি কাজগুলো করে আসেন। উল্টো বের হওয়ার সময় সুন্দর গলায় বলেন,আপনি সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন ৷ হাহা ব্যাপারটা কেমন জানি মজার হলো না!
টেস্ট দাও ভালো কথা,কি জন্য টেস্ট দেও সেটার আগা মাথা কিছুই জানো না তুমি। আর চেম্বার থেকে বের হয়ে রোগীকে নিয়ে ২০১ থেকে ১০২,আবার ১০২ থেকে ৪০২ নাম্বার রুমে দৌড়াও। ব্যায়ামাগার এর অপরনাম এখন হাসপাতাল নাকি শ্রদ্ধেয় ডাক্তার?
রোগীকে রোগী বানানোর দায়িত্ব খুব ভালো ভাবেই পালন করে এখন হাসপাতালগুলো।
মানবিকতা আজ অমানবিকতার বাক্সে বন্দি,যার পরিনামে যাচ্ছে এক একটা জীবন।
১৪টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
মানবিকতা আজ অমানবিকতার বাক্সে বন্দি,যার পরিনামে যাচ্ছে এক একটা জীবন,,,,একদম সত্য কথা।
নিজে সুস্থ এসির নিচে বসে রোগী ২০১-১০২/১০৩-৪০২দৌড়ানি দিচ্ছে। সত্যি ই দারুণ লিখেছেন
রাফি আরাফাত
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখাটি ফেসবুকে একবার পড়েছি। কার পোস্টে মনে করতে পারছিনা। কথাগুলো পছন্দ হয়েছে।
শুভ কামনা 🌹🌹
রাফি আরাফাত
ধন্যবাদ আপু
অনন্য অর্ণব
যতদিন রোগীকে চেম্বারে বসায় রেখে ডাক্তাররা রোগীর রিপোর্ট আনতে যাবে না, ততোদিন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হবে না।
হাজার কথার দরকার হয়না, এমন দু একটা কথাই প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সামাজিক অবক্ষয় থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।
রাফি আরাফাত
ভালো লাগলো ভাই৷ ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
শুধু হাসপাতাল না, এমন অবক্ষয় আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
রাফি আরাফাত
জি ভাই
মাহবুবুল আলম
“যতদিন রোগীকে চেম্বারে বসায় রেখে ডাক্তাররা রোগীর রিপোর্ট আনতে যাবে না, ততোদিন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হবে না।” সহমত
এস.জেড বাবু
অনেক ভাল লাগল ভাই, সত্যিগুলি বেড়িয়ে আসুক-
আমি বলি লিখাটা কোন ডাক্তারের ব্যাস্ত হৃদয়ে আঘাত করুক।
শুভকামনা রইলো।
সঞ্জয় মালাকার
সহমত দাদা
যতদিন রোগীকে চেম্বারে বসায় রেখে ডাক্তাররা রোগীর রিপোর্ট আনতে যাবে না, ততোদিন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হবে না।
মানবিকতা আজ অমানবিকতার বাক্সে বন্দি,যার পরিনামে যাচ্ছে এক একটা জীবন।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
ভুক্তভোগী আমি আমরা সবাই। মেডিক্যালগুলোতে এ অবস্থাগুলো বেশী দেখা যায়।ভর্তি হওয়া একজন রোগীর সাথে কয়েকজন বেকার খাটা।অথচ মেডিক্যালেই নিয়োগ আছ ওয়ার্ডবয় আয়া বুয়া আরো হোমরা চোমরা।তারা থাকে টাকা কামানোর ধান্দায় আর অসহায় রোগী সহ রোগীর লোকজন টেষ্ট এর যন্ত্রণায় জীবন যায়। কবে যে আমরা মানুষ হব!!
খুব ভাল লাগল।
জিসান শা ইকরাম
হাসপাতালগুলো রোগীদের গলা কাটার জন্য বসেই আছে,
আমি এ বছর দুইবার ডাক্তার দেখিয়েছি, দুইবারই ভুল চিকিৎসার স্বীকার হয়েছি।
অনেক টাকার টেস্ট করিয়েছে দু ডাক্তারই।
ভাল লেগেছে লেখা।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
এ মূহুর্তে আমি একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ওয়েটিং রুমে। বিকাল ৪টায় আসতে বলে সন্ধা ৭ টায়ও দেখানো সম্ভব হয়নি। এতো হয়রানি করতে হয়? ৬ টায় আসতে বললে সমস্যা কী হত?
ডিজগাস্টিং!!