আমার একবার একটি রোগ হয়েছিল। রোগের নাম হলো ” কিছু ভালো লাগে না “। খেতে, পড়তে, কাজ করতে ,কথা বলতে এমনকি ঘোরাঘুরি করতেও ভালো লাগতো না। দিনের পর দিন সেই অবস্থা চলতে থাকলো। এক সময় পরিবারের সবাই আমার রোগটি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ল। ঠিক করা হলো যেভাবেই হোক রোগটি দূর করা হবে। প্রথমে নেয়া হলো ডাক্তারের কাছে। তিনি পরীক্ষা করে দেখলেন ,আমার শারীরিক কোন রোগ নেই। তিনি কিছু ভিটামিন আর ঘুমের ঔষধ লিখে দিলেন। তাতে আমার তেমন লাভ হলো না। তারপর আমার জন্যে আনা হলো পাঁচ লিটার পড়া পানি। রোজ দুইবেলা করে সেই পড়া পানি খাওয়া লাগবে। কয়েকদিন খাওয়ার পর খেয়াল করলাম, পড়া পানি খাওয়ার পর রাগ একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিনা। কারণ পানির স্বাদ চেন্জ হয়ে গেছে। খুব বাজে দুর্গন্ধ পেতাম। ফেলে দিলাম পানি পড়া। ভালো না লাগা রোগটি তখন আরো বেড়ে গেছে।
কেউ একজন পতি দেবকে ধারনা দিয়েছিলেন সম্ভবত আমার উপর জ্বীনের আসর হয়েছে। খারাপ জ্বীন, তাই দ্রুত জ্বীনকে আমার কাছ থেকে ভাগিয়ে দিতে হবে। পতিদেবতা অনেক কষ্ট করে একজন জ্বীন তাড়ানো ওঝার সন্ধান পেলেন। সেখানে অনেক ভিড়। আগের থেকে সিরিয়াল দিতে হয়। যার জন্ম যেইবারে তাকে সেইবার মোতাবেক যেতে হয়। আমার জন্ম বৃহস্পতিবার। সেদিন ওঝা সাহেব অর্ধবেলা রোগী দেখেন। আমাকে খুব ভোরবেলায় সেখানে নিয়ে যাওয়া হলো। আমার সিরিয়াল নম্বর ছিলো ১০৭। তখন ৭৮ নম্বর চলছিলো। আমি বসে বসে মানুষ দেখছি। নানারকম মানুষ, তাদের নানারকম সমস্যা। অনেক সমস্যার সমাধান একেবারেই সোজা। কয়েক জনকে সমস্যার সমাধান করে দিলাম নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকেই। ততক্ষনে নিজের মধ্যে যে রোগটি ছিলো সেটাও কাটতে শুরু করেছে টের পাচ্ছিলাম। একসময় আমার পালা এলো,, আমি ভেতরে প্রবেশ করলাম। ঢুকে দেখি এলাহি কান্ড। একজন লোক একটা বড় চেয়ারে বসে আছেন। পরনে সবুজ আলখেল্লা, মাথায় বিভিন্ন পাখির পালকে তৈরী একটা মুকুটের মত টুপি। তার সামনে অনেক গুলো বাটি, বাটি গুলোতে নানারকম লতাপাতা, শেকড়-বাকর। তার ডান পাশে একটি মাঝারি সাইজের বাক্স রাখা। আমাকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন অজু আছে ? আমি বল্লাম ফজরের নামাজ পড়ার আগে অজু করেছি এখন আছে না নেই জানি না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন জ্বীন তোমার সাথে কি কথা বলে ? আমি বল্লাম আমিতো কোন জ্বীনই দেখিনা। শুনে ওঝা সাহেব বেশ গম্ভীর হয়ে গেলেন। আমাকে বললেন , তোমার ডান হাত এই বাক্সের মধ্যে ঢুকাও আর চোখ বন্ধ করে রাখো। আমি দেখলাম সেই বাক্সে হাত ঢুকানোর ছোট একটা জায়গা আছে। আল্লাহর নাম নিয়ে হাত ঢুকিয়ে চোখ বন্ধ করে বসছিলাম। অনন্তকাল পর টের পেলাম আমার হাতের উপর লোমষ একটা হাতের ছোঁয়া। ঐ হাতটা ছিলো খুব ঠান্ডা আর লোম গুলো ছিলো একেবারে মোলায়েম, বলে ঠিক বোঝাতে পারবোনা। তখন আমার খুব শীত করছিলো, আর ঘুম পেয়েছিল। যখন আমাকে চোখ খুলতে বলা হলো তখন ঠিকমত চোখ খুলতে পারছিলাম না। আমার মাথায় একটা হাড় (কিসের হাড় জানিনা ) দিয়ে মৃদু ভাবে সাতবার আঘাত করা হলো। তারপর ওঝা মুখে হাসি এনে বললেন যাও, এখন থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে। যতদিন বেচে থাকবে বৃহস্পতিবার দিনটিতে একটু সতর্ক থাকবে। বাড়ি ফেরার সময় লক্ষ্য করলাম আমার “ভালো লাগেনা ” রোগটি উধাও হয়ে গেছে। সেটাকি ঐ হাতের জাদু ছিলো না ওঝার জাদু তা আজো জানা হয়নি।
আমার পতি দেব মাঝে মাঝেই ঘরে ফিরে বলেন মাথা ব্যাথা করছে ,একটু টিপে দাও। অনেক সময় হাতে খুব কাজ থাকে, তখন বলি মাথা ব্যাথার ট্যাবলেট দিচ্ছি খাও ঠিক হয়ে যাবে। উনি বলেন ঔষুধে হবেনা তুমিই আসো, তুমি হাত রাখলেই ভালো হয়ে যাবে। তোমার হাতে জাদু আছে। আমি কথা না বাড়িয়ে হাতের জাদু দেখাই। কখনো মাথায়, হাতে, পায়ে, কোমড়ে, পিঠে যত ব্যাথা সব দুর করি। ইদানিং তার গলায় ব্যাথা , আমি ভাবছি সে কখন ডাকবে। অপেক্ষায় আছি হাতের সেই রকম জাদু দেখানোর জন্যে।😂
* সমাপ্ত *
৪৬টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
দয়া করে গলা পর্যন্ত যাবেন না। এমন ওঝা’র আড্ডায় ভীড় জমুক উপচে পড়া,”কিছু ভালো লাগেনা “রোগীদের। আঙুলের জাদু’র জবাব নেই। ভালোবাসা রেখে গেলাম।
শুভ কামনা। -{@
সাবিনা ইয়াসমিন
শুভ কামনা নিলাম বন্যা ,,অনেক ভালো থাকুন ।💞
মায়াবতী
উপসংহার পড়ে তো হাসি থামাতে পারছি না সাবিনা আফা :D)
আসলে ই কি আছে নাকি জ্বীনের আছর আফা? ডরাইতাছি তো আফা 🙁 কিন্ত তোমার হাতে ই শুধু যাদু আছে এই টা কিন্ত সত্যি না তোমার লেখায় কথায় চোখে মুখে যাদু আর যাদু…. মুগ্ধ হয়ে আমি তোমার যাদুর টান অনুভব করি। শুনো তুমি কি আমাকে তোমার হাত দিয়ে একটু ছুঁয়ে দিবে সোনামনি আমার না মন টা ভরা ব্যাথা…অনেক অনেক ব্যাথা। (3 (3 (3
সাবিনা ইয়াসমিন
জ্বীন-ভুত সবার উপরে আছর দেখায় না মায়া আপু,,স্পেশাল গুন থাকতে হয়। আমার মাঝে ওসব কিছুই নেই।
একটা সময়ে মনে যখন খুব ব্যাথা পেতাম তখন, চোখ দিয়ে অটোমেটিক জল গড়িয়ে পড়তো,,অনেক চেষ্টা করেও আটকাতে পারতাম না। মাঝে মাঝে বেলুন কিনে মনের কষ্টগুলো লিখে বেলুনের সাথে উড়িয়ে দিতাম। এতে কষ্টগুলো কেমন করে যেন কমেও যেত। এখন মন অনুভুতি শুন্য হয়ে গেছে আপু,,,ভালোবাসা,,মায়া এগুলো থেকে দুরে থাকি,,,,মায়ার জাদু খুব খারাপ হয়,,,জড়াতে ইচ্ছা করে না তবুও জড়িয়ে যাই ভালো লাগায়-ভালোবাসায়,,,,,,সোনেলায় না এলে আপনাদের সাথে কখনো দেখা হত কিনা জানিনা,,,অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন আমাকে। আমি যেখানেই থাকি আমার নির্মল ভালোবাসা আপনাকে ছুঁয়ে থাকবে অবিরত।
শুভকামনা ❤❤❤❤❤
মায়াবতী
সোনেলায় না এলে আমি ও তো তোমাদের পেতাম না সোনা মনি 🙂 খুব সত্য কথা গুলো ই লিখেছো বোন, এখন নিজের ভেতরের বোধ গুলো খুব শুন্য শুন্য লাগে।তোমার মত মিষ্টি মেয়ের নির্মল ভালবাসা পেয়েছি বলে ই তো ভালবাসতে পেরেছি তোমাকে
😀
তোমার শুভ শুভ কামনা যেন সারাক্ষন আমাকে ছুঁয়ে রয় হে করুণাময়ী….. (3
সাবিনা ইয়াসমিন
🎈💞💕
ছাইরাছ হেলাল
গল্পের হাত আর লিখিয়ের হাত এক, এমন ভাবনার অবকাশ এ লেখায় নেই।
তবে আজকাল জ্বীনের ডাক্তারদের সেই দিন আর নেই, তাদের জাড়িজুড়ি ফাঁস হইয়ে গেছে,
ভাগ্যিস আপনার সাথে লোকজন ছিল!! না থাকলে চিকিৎসা কেমন হতো কে জানে!!
দেখবেন, টিপতে গিয়ে আবার খুন-খারাবিতে জড়িয়ে না জান!! সাধু সাবধান।
সাবিনা ইয়াসমিন
কথাটা আমিও ভাবি। তখন বয়স কম ছিলো,জ্ঞান মোটামুটি থাকলেও প্রতিবাদ বা প্রতিরক্ষা শক্তি তেমন ছিল না। সাথে লোক ছিলো বলেই হয়ত শুধু হাড্ডির বাড়ি খেয়েই ফেরত আসতে পেরেছিলাম,,নয়ত চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন হতো আল্লাহ মালুম।
খুন খারাবিতে আপাতত জড়াতে চাই না,,,আমি ভদ্রভাবে মরতে চাই,,ফাঁসিতে ঝুলতে একদম ইচ্ছা করে না।
ছবির হাত লেখকেরই,,,জ্বীনের হাতে অনেক বড় বড় লোম ছিলো 😂
ছাইরাছ হেলাল
যাক লেখকের হাত জেনে নিশ্চিন্ত হলাম, যা দিন কাল!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনিকি কালপুরুষ হয়ে যাচ্ছেন মহারাজ !! দিন-কাল যেমনই হোক বদলে যাওয়া চলবেনা,,আপনার বিবর্তন সোনেলাবাসি মেনে নেবে না। :T
ছাইরাছ হেলাল
আমি আবার কী করলাম!!
গপ্পো লেহি তো, নিয়মিত।
সাবিনা ইয়াসমিন
গপ্পো লিখতে লিখতে ডাইনি ছানাগুলোর দিকে খেয়াল রাখা ছেড়ে দিচ্ছেন,,এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে মহারাজ। তারা মরে শুকিয়ে গেলে আপনার সেনাবাহীনির মর্মান্তিক ক্ষতি হয়ে যাবে। সিংহাসন-রাজত্ব সব শেষ করে বনবাস নিতে চাইছেন ??
অনেকদিন হলো ছানাবড়া খাওয়াচ্ছেন না,,,অপেক্ষায় থেকে থেকে ক্ষুদা না শেষ হয়ে যায় ! ;?
জিসান শা ইকরাম
লোমস হাত! বাপরে আপনার সাহস তো কম না। ভাইরে আপনার হাতের যাদু কি শিখানো যায় গোপনে? কাউরে বলুমনা, ১০০% গ্যারান্টি। ৯৬ সন থেকে ব্যাক পেইনে ভুগতেছি, ডাক্তার বলে দিছে এই পেইন আর কমবে না। আপনার মত একটা হাত দরকার আমার। গোলাপ নেয়া লাগবে জাদু আরম্ভ করার আগে? গোলাপটা আবার জাদু নয়তো?
সাবিনা ইয়াসমিন
৯৬ সাল থেকে ব্যাকপেইন নিয়ে ঘুরছেন ? ওটাতো এতদিনে অভ্যাস হয়ে যাবার কথা,,এখন ব্যাথা ভালো হয়ে গেলে আপনারই খারাপ লাগবে। এত বছরের সঙ্গীকে কেন যাদুটোনা করে ছাড়াতে চাইছেন !!
আমার গাছে প্রতিদিনই দুই-তিনটি করে গোলাপ ফোটে আর একজন সেগুলোকে চুরি করে নিয়ে যায়। সেদিন তাকে হাতেনাতে ধরলাম,,বললাম ফুলটা দাও একটা ছবি তুলে আবার ফেরত দিয়ে দিবো। এটা সেই ফুলটাই। যাদুর নয়,,আমার খুব আদরের গাছ থেকে পাওয়া।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা।
মায়াবতী
আসলে ই তো এতো বছরের পেইন তো অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবার কথা :p
জিসান শা ইকরাম
হ্যা আসলেই ব্যাথা অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। এ ব্যাথা আমার সারাক্ষনের সবচেয়ে কাছে সাথী যাকে আমার কাছ থেকে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। এর মানে এটি আপনারই হাত! এই সেই হাত যার স্পর্সে ব্যাথা ভালো হয়ে যায়? হাত দেখলেও তো ভালো হয়ে যেতে পারে 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
খাদ্য দর্শনে যদি অর্ধ ভোজন হয়,,
হস্ত দর্শনে যাতনা দমন হইলেও হইতে পারে,,,😂😂
সাবিনা ইয়াসমিন
@ মায়া আপু,,,,,মানুষ স্বভাব চাইলেই বদলাতে পারে,,কিন্তু অভ্যাস এর কাছ থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারে না। ☺ -{@
মায়াবতী
আচ্ছা শুনো এক কাজ করা যায় , হাতের যাদু টা ফু দিয়ে স্যার কে একটু ক্যাট ওয়াক করিয়ে দেখো না ব্যাথা টার কোনো সুরাহা হয় কি না…. 😀 😀
সাবিনা ইয়াসমিন
মায়া আপু আপনি সবার উপরে মায়া করা বন্ধ করবেন কবে বলুনতো ?
তৌহিদ
শেষটা কিন্তু বেশ ছিলো। দেইখেন সত্যি সত্যিই কিন্তু সেখানে হাতের জাদু দেখাবেননা।
সাবিনা ইয়াসমিন
আচ্ছা দেখাবো না,,ভাইয়ের কথাতো আর অমান্য করতে পারি না ।😂😂
আপনি অনেক ভালো লেখেন,,,আপনার কাছ থেকে বেশি বেশি গল্প পড়তে চাই ভাই।
ভালো থাকবেন,,শুভকামনা -{@
রিতু জাহান
এই ভালো লাগে না রোগটা আমার কখনো হয়না তেমন। হলেই রিক্হাসা নিয়ে বের হই। উরাধুরা ঘোরাঘুরি করি।
হা হা, শোনো সে হাত কার ছিলো আমি জানি। আরে আমার কাছেও এসছিলো।
তোমার তো দেখি অসম্ভব সাহস!
গলা টিপে ধরার আগে মুখোশ পরে নিও। নতুবা তোমার বরের ভুত এসে তোমারও গলায় হাতের যাদু দেখাবে।
দারুন লিখেছো।
সাবিনা ইয়াসমিন
তোমার কাছেও হাতটি গিয়েছিলো নাকি ? কি করেছিলে হাতটার সাথে ?
সাহস টাহস কিচ্ছু না,,বিপদে পড়লে সবাইকেই একটু আধটু সাহসী হতে হয় এইইই,, 🙂
ঐব্যাটা এবার আমার জাদু দেখার প্রতি একদম আগ্রহ দেখায়নি,,বলতে পারো নিরাপদ দুরত্বেই ছিলো কয়েকদিন। হা,হা,হা,,
চার তারিখ কিন্তু শেষ হয়ে গেছে ,,আমরা কি এবার আমাদের ঋতু কন্যা রিতুকে ফেরত পেতে পারি ?
মোঃ মজিবর রহমান
আমার কখন কখন কিছু ভাল লাগেনা। ঘর সংসার ফেলে দোড়াতে ইচ্ছে করে সব ফেলে কোথাও না কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে কর।
না আপনি পতি সেবা করেন দেক্ষছি তাইলে তো সমান সুযোগ পেলেন না।
গল্প ভাল লাগলো আপু। ভাল থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঠিক ভাই সমান সুযোগের অবকাশ নেই,,,মাঝে মাঝে মনে হয় পুরুষ হয়ে জন্মালে বেশি ভালো হতো। জাহাজের নাবিক হতে পারতাম,,,কত কত দেশে বিদেশ ঘুরতে পারতাম ,,কত অজানাকে জানতে পারতাম।
ইদানিং ব্লগে কম কম দেখছি আপনাকে,,আশা করছি ভালো আছেন ভাই।
ভালো থাকন শুভ কামনা -{@
মোঃ মজিবর রহমান
ঐ যে আপু ঐপারেতে সরবসুখ আমার বিশ্বাস………।। কিন্তু নাইরে নাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
তারমানে দুইপারেই সমান সুখ ভাই ?
প্রহেলিকা
সম্ভবত এই প্রথম আপনার কোনো লেখা পড়লাম। অবশেষে রোগমুক্ত হয়েছেন এটাই যথেষ্ট। জ্বিনের কথা বলে ভয় বাড়িয়ে দিলেও সহজ সরল সাবলীলভাবেই লিখেছেন। সাবলীলভাবে উপস্থাপনা করতে পারাটা একটা গুণ। যাক কাঠখোট্টা কবি ও কবিতার হাত থেকে সোনেলা রেহাই পেলো। কাঠখোট্টা কবি বলতে আমি অবশ্যই হেলাল ভাইকে ইঙ্গিত করিনি।
মায়াবতী
হাহাহাহাহাহা :Dকাঠখোট্টা কবি
ছাইরাছ হেলাল
ওহ্, ব্রুটাস!! আপনিও!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনি যে হেলাল সাহেবকে ইংগিত করেননি সেটা আমি বুঝতে পেরেছি,,তবে কিনা আমাদের যে কবি মহারাজ আছেন সে একটু অবুঝ,,,,আর হেলাল সাহেব কিন্তু মোটেও কবি নন,,,তিনি হলেন ,,,,,,,,কি জানি ভুলে গেছি। 😂😂
আপনার মন্তব্য পেয়ে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি,,,আমরা যারা নতুন নতুন লিখতে চেষ্টা করছি তাদের জন্যে আপনার মন্তব্য অনেক অনুপ্রেরনাময়। এই মন্তব্যটি একটা সার্টিফিকেট এর মতো ,,আমি পারছি,,আমারটা হচ্ছে ঠিক এমন মনে হলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো খারাপ যেমনই লাগুক কিছু বলবেন, এটাই প্রত্যাশা রইলো। ভালো থাকুন,,শুভ কামনা। -{@
ছাইরাছ হেলাল
ধুনো-তুলো দেখতে পাচ্ছি।
যা দিন কাল!! তাতে এই-ই অনেক প্রাপ্তি!!
প্রহেলিকা
পড়াটা নিজের জন্য যখন অবশ্যই পড়ব। লিখুন আপনি। আপনিসহ এখানে অনেকেই ভালো লিখেন। শুভকামনা সকলের জন্যই।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজা হলো আমার এই “ভালো লাগেনা” রোগটা ছিলো। আর বাপির কাছে গিয়েই সবসময় বলতাম বাপি ভালো লাগেনা। প্রথম প্রথম বাপি জানতে চাইতো কি হয়েছে! পরে একদিন একটা আলতো চড় লাগিয়ে দিয়ে বললো, “আর যদি কুনুদিন ভালো লাগেনা কইবে, মারিয়া ভুত ছুটাইমু।” সঙ্গে সঙ্গে বলা শুরু করলাম, “ও বাপি আমার খারাপ লাগে।” :D) বাপি বললো আবার? বললাম তুমি বলেছো ভালো লাগেনা না বলতে। বাপির হাসি, জড়িয়ে ধরে বুঝিয়ে বলার পর সেই যে গেলো, আজও বলতে পারিনা ভালো লাগেনা। 😀
আপনার হাতের স্পর্শের দরকার আমার। ভাঙ্গা কোমড়টার ব্যথা কমাবার জন্য। কি পাবো? এতো সুন্দর আঙুল, নোখগুলোও। কর পৃষ্ঠে গোলাপটা আলতো আদর পাচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। এতো সুন্দর লেখেন কিভাবে বলুন তো! 🌹
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার নীল নীল চোখে লেখাগুলো পড়েন বলেই এতো সুন্দর হয়ে যায়,,,, আপনার মন্তব্যগুলো আমার লেখায় আলপনা একে দেয় নীলা আপু,,,,
আপনারা নানা-নাতিন একদম একরকম,,,ব্যাথা-বেদনা নিয়েই হাসিমুখে ব্লগে ঘুরে বেড়াচ্ছেন,, জাদুতো আপনাদের কাছ থেকেই শিখতে হবে।
ভালোবাসা নিরন্তর ❤💛💙💚💜
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার নানা তো আমার কাছে বহু আগেই বুড়ো হয়ে আছে। বুড়ো বয়সে অমন একটু আধটু ব্যথা তো হবেই। আমি মাত্র সপ্তদশী, আমার কথা ভাবুন তো! :p :D)
অনেক ভালো থাকুন। 🌹
সাবিনা ইয়াসমিন
হুম্ম তাইতো !! নাতনী সপ্তদর্শী হলে নানাতো বুড়ো হবেই ,,,চরি চরি নীলা আপু ভুল হয়ে গেছে,,,জাদুর হাতটা দিয়ে বাতাস পাঠিয়ে দিলাম। একদম কোমড়ের উপরেই পরশ বুলিয়ে আসবে ,,,,
কথা হলো সপ্তদশী কিশোরীর কোমড় ভাঙলো কি করে ? মাইকেল জ্যাকসনের শাগরেদ হয়েছিলেন নাকি 😂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
লেখাটা যেন আমার চোখে পড়ে নাই এটা কেমন কথা!আচ্ছা এই চোখে না পড়ার কোন কি ঝার ফু আছে নি আননেগো ঐ ওঝার কাছে।শেষের কথাগুলো বেশ ভাল লাগছে,মনে রাইখেন স্বামীর পায়ের তলেই স্ত্রীর বেহস্ত লুকাইয়া আছে হুম। -{@ চমৎকার লেখা।
সাবিনা ইয়াসমিন
হা,হা,হা,, স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর বেহেস্ত,,এই কথা কি ভোলা যায় ?? কেউ যদি ভুলতেও চায় পুরুষেরা কি সেটা আদৌ ভুলতে দিবে !!
ওঝার কাছে ঝাড় ফুকের এই ধরনের ব্যবস্থা আছে কিনা আপাতত বলতে পারছিনা ভাইসাহেব,,,তার ফেইসবুক আইডির লিংক খুজে পেলে তাকে এই ব্যপারে জিজ্ঞাসা করে দেখবো 😂😂।
লেখায় বিলম্ব মন্তব্যদানে আমিও কিঞ্চিত চমতকৃত হইয়াছি,,,,সু-স্বাস্থ্য কামনা করি। -{@
মাহমুদ আল মেহেদী
লেখাটা পড়ে মন্তব্য ও করেছিলাম কিন্তু গেল কই খুঁজে পাচ্ছি না কেন? যাক এই কারনে সবার মন্তব্য পড়া হয়ে গেল। সোনেলায় সবার মন্তব্য ও পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে। লেখাটা অনেক ভাল লেগেছে ধন্যবাদ আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
যাক শেষ পর্যন্ত সব ভালো লেগেছে,,এটাই ভালো হলো। অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন। -{@
ইঞ্জা
:D) হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল, ভাইয়া দেখছি জ্বীন ভূতে বিশ্বাস রাখেন, ভালো ভালো। :D)
শেষের লাইনটা এপিক। :D)
সাবিনা ইয়াসমিন
ইঞ্জা ভাই ,আপনার ইঞ্জিন এতো স্লো কেন ? এতদিন পরে কমেন্ট দিলেন ?
ইঞ্জা
আপু, আজকাল লেখালেখি কম করি, গ্রুপে যা দেখেন তা আমার ২০১৭ সালের সোনেলার ব্লগ পোস্ট, ফলশ্রুতিতে ব্লগে আসা কম হয়।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
লেখা এবং মন্তব্য সবগুলো পড়ার পরও মনে হচ্ছে আমি যেন কোথাও একটু কম বুঝতেছি….