বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ শাহিনা আক্তার (৪০) ও ফরিদ মিয়া অবশেষে মারা গিয়েছেন ।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার গভীর রাতে শাহিনা ও সকাল ১০টায় ফরিদ মিয়া মারা যান।
কি অপরাধ ছিল বীমা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শাহিনার ? কি অপরাধ ছিল সাধারন ফল বিক্রেতা ফরিদ মিয়ার ? এনারা দুজন কি বিএনপি জামায়াত জোটের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ? কেন তাদেরকে চলে যেতে হলো এই মায়াময় জগত থেকে ? টিভিতে এনাদের পরিবার পরিজনদের আহাজারি দেখে আমার চোখ ভিজে গিয়েছে কান্নায় । এই সুন্দর শাহিনা আপু তো আমারও বোন হতে পারতেন ।
গত শুক্রবার সকালে একই বাসে শাহিনা ও ফরিদ যাচ্ছিলেন। পরীবাগে অবরোধকারীরা পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারলে চালকসহ তারা দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়।
এদেশের সুশীল সমাজ নির্বাক থাকবে এই দুজনের মৃত্যু নিয়ে । সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মহিলা আইনজীবী প্রহৃত হয়েছেন সরকার দলীয় সমর্থকদের দ্বারা । অবশ্যই এটি নিন্দনীয় । সুশীল গণ টিভির টক শোতে সে ঘটনা নিয়ে মেতেছিলেন খুব । কিন্তু এই যে শাহিনা চলে গেলেন , তাঁকে নিয়ে তেমন কিছুই বলবেন না সুশীলগন । কেন বলবেন না ? মহিলা আইনজীবী কোন দিক দিয়ে শাহিনা আপুর চেয়ে বেশী ? মহিলা আইনজীবি বেঁচে আছেন , তাঁকে নিয়ে এত আলোচনা । শাহিনা আপু মরে গিয়েছেন , একে নিয়ে তো আলোচনা আরো বেশী হবার কথা ।আসলে দেশের সুশীল সমাজ পচে গিয়েছে ।
শাহিনা এবং ফরিদ মিয়ার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করি।
১৯টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ভালো লিখেছেন ।
কোন অপরাধ ব্যতীত এই মৃত্যুকে বরন করে নিতে হলো এদেরকে ।
সুশীলগন এসব মৃত্যু দেখে না ।
তারা একচোখা দানব ।
লীলাবতী
এসব মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী হবেনা ? এই খুনের বিচার হবেনা ?
আফ্রি আয়েশা
দেশের সুশীল সমাজ পচে গিয়েছে অনেক আগেই 🙁
লীলাবতী
পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ।
শুন্য শুন্যালয়
আর আলোচনা চাইনা …এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক..বন্ধ হোক 🙁
লীলাবতী
অবশ্যই এমন হত্যাকান্ড বন্ধ হতে হবে ।
মোঃ মজিবর রহমান
টকশোর সুশীল সমজ আমার ভালো লাগেনা।
তেমনি গতকাল ০৮/০১/২০১৪ বাংলাভিসনের ফ্রন্ট লাইনের আলচনায় জনাব মতিউর রহমান সাহেব
একবার বললেন ৪০% ভোটার যদি ভোট দেয় তাহলে কি ৪০% মুক্তিযদ্বের আমি তখন ফোনে অনেক বার ট্রাই করে পারি নাই। কারন অনেক মুক্তিযদ্বের পক্ষের মানুষ ভোট দেয়নাই যেমন আমার অনেকে দেই নাই। একমাত্র কারন সরকার সাধারন মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যারথ। গত ২০০১ সালে আমাদের গ্রামের আমাদের ছোট্ট একটি বাজার বিএনপি নেতারা ভেজ্ঞে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। আওয়ামিলীগ কোন নেতা জায়নি সহানুভুতি পর্যন্ত দেইনি। আমাদের বংশে একটি ভোট বাহিরে জাইনি কোন দিন।
কার জন্য ভোট দিব কাকে দিব, আওয়ামইলীগ নেতাদের মনুসত্য বোধ নাই। গ্রামে গঞ্জে তারা কর্মী নেতা ও সমর্থকদের ভালো মন্দ দেখে না। কারন এই মুহূর্তে ভোট দিতে গেলে বিএনপি ও জামাত চিন্নিহিত করে রাখত পরে তাড়া সময় বুঝে ভাঙচুর ও নির্যাতন করত।
সরকার নিজেই দুই নম্বর মাল। তাড়া নিজেরা ভেজাল।
যে সর্ষের তেলে ভুত ছাড়াবেন সেই সর্ষের তেলে ভেজাল।
লীলাবতী
🙁 🙁 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এ সহিংসতার দ্বার রুদ্ধ হোক চিরতরে ।
লীলাবতী
কিভাবে যে হবে , তাই বুঝে উঠতে পারছি না ।
মা মাটি দেশ
হু!তবে যা বলি সবই যেন অসাড় ওদের কাছে যাদের কারনে আমজনতার এত দুর্ভোগ আর আতংকিত ।জেগে উঠুক সমাজের বিবেকবানরা (y)
লীলাবতী
এমন হত্যাকান্ড আর দেখতে চাই না ।
খসড়া
আর সহ্য করা যাচ্ছে না।
লীলাবতী
না , ভাইয়া , আর সহ্য হচ্ছে না । আমিও তো এমন ভাবে মারা যেতে পারি ।
নীলকন্ঠ জয়
ঘৃণা শব্দটা আজকাল খুব প্রিয় হয়ে গেছে বড় ভাই। 🙁
লীলাবতী
এই সব সন্ত্রাসীদের কঠিন শাস্তি চাই ।
বনলতা সেন
শাহিনা এবং ফরিদ মিয়ার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া
আর কিছুই করার নেই ।
লীলাবতী
আসলেই , প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই ।
জুলিয়াস সিজার
কোন বিচার হবে না। একদিন আমিও মরতে পারি এদের হাতে। আপনিও মরতে পারেন। তখন অন্য কেউ হয়তো এভাবে লিখবে। কিন্তু বিচার হবে না।