মার্চ।
ভয়াল কালরাত্রির মার্চ।
পিতার অঙ্গুলী হেলনে জাগরণের মার্চ,স্বাধীনতার অগ্ন্যুৎসবের মার্চ।
একজন মাত্র মানুষের বজ্রকন্ঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল সেদিন সামরিক শাষকগোষ্ঠীর ভিত্তিমুল। শানিত চেতনাতে বাঙ্গালী জেগেছিল স্বাধীনতার জন্য। পৃথিবী অবাক তাকিয়ে দেখেছে একটা মাত্র মানুষ কেমন করে হয়ে ওঠে পুরো একটা দেশ, একটা জাতির স্বপ্নযাত্রা কেমন করে আবর্তিত হয় একজন মানুষের “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” ঘোষনায়।
পিতা সেদিন রেসকোর্সে মুলত ঘোষণা করেছিলেন বাংগালীর মুক্তির সনদ। অজস্র বঞ্চনা আর শোষণ এর বিরুদ্ধে বাঙ্গালীর ফুঁসে ওঠার সংগ্রামের দিক নির্দেশনা ছিলো ৭ই মার্চের ভাষন। যার সাথে তুলনা করা চলে গেটিসবার্গ এড্রেসের, একটা জাতির স্বাধীনতা তার ভবিষ্যৎ তার রক্তাক্ত জন্মের পটভূমিতে সেই ভাষন ছিলো এবং আছে পাথেয় হয়ে। পিতার সে বক্তব্য তার প্রজ্ঞা এবং রাজনৈতিক দুরদর্শীতার এক প্রোজ্বল দলিল। বাংলার স্বাধীনতার সামগ্রিক রুপরেখা।
৭ই মার্চের ভাষনে পিতা একদিকে যেমন সামরিক জান্তার প্রতি কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন “তোমরা ব্যারাকে থাক, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না ” অপরদিকে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছেন সন্তানসম বাঙ্গালীর যাতে কষ্ট না হয়, “ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে, যাতে মানুষ তাদের মায়নাপত্র নিবার পারে ” আজো বাঙ্গালীর সাহস জোগানের শব্দগুচ্ছ “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। “
মার্চ এলেই চোখে ভাসে, অগ্নিদগ্ধ নগরীতে হায়েনার উল্লাস, ভাইয়ের, কন্যার খন্ডিত লাশ। হাহাকারের নগরী। ধর্ষিতা জননী। সব ছাপিয়ে ওঠে, সফেদ পাঞ্জাবি আর কালো ফ্রেমের চশমায় পিতার আশাজাগানিয়া মুখচ্ছবি।” আমরা মরতে শিখেছি, আর আমাদের দাবায়া রাখতে পারবা না “
মার্চের অগ্নিস্রোত চেতনায় শুদ্ধ হোক বাংগালী প্রাণ, জেগে উঠুক পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
৯টি মন্তব্য
রিমি রুম্মান
এমন মানুষ জন্মেছিলো বলে আজ মাথা উঁচু করি বিশ্বে। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে বলি, আমার একটি দেশ আছে… বাংলাদেশ।
জিসান শা ইকরাম
আমার পরম সৌভাগ্য যে ১৯৭১ এ এই ভাষন রেডিওতে শুনেছিলাম প্রথম প্রচারেই।
সরাসরি প্রচার করতে দেয়নি
পরদিন শুনেছি।
সে কি উল্লাস মুক্তিকামী জনতার
আব্বা পাই রেডিও এবে রেখেছিলেন দোকানের সামনে, রাস্তায় বিছিয়ে দিয়েছেন হোগলা( পাটি)
শত শত মানুষ হোগলায় বসা
দাঁড়ানো তার চেয়ে বেশী
অপেক্ষা করছিলেন সবাই
কখন ঘোষণাটি আসে
কখন বাঁশিওয়ালা বাজাবেন জনতার হৃদয়ের কাঙ্খিত সেই সুর
অবশেষে —
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’
আকাশ বাতাস কাপিয়ে জনতা শ্লোগান দিয়ে উঠলো……… জয় বাংলা ………
একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো কিছু জনতা
আনন্দের সে অশ্রু এখনো দেখি আমি………।
ছাইরাছ হেলাল
পিতার স্বপ্ন স্বপ্নই খেকে যাচ্ছে। আমরা এগিয়ে যেতে পারছি নাতো।
মোঃ মজিবর রহমান
স্মরি তব নাম তমারি
বাঙ্গালী জাতির জনক
খেয়ালী মেয়ে
যে মানুষ ভীরু কাপুরুষের মতো, করেনি কো কখনো মাথা নত–এনেছিল হায়েনার ছোবল থেকে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা–কে আছে বাঙ্গালি তার সমতুল্য, ইতিহাস একদিন দেবে তার মুল্য–যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই……
নুসরাত মৌরিন
একজন বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন বলেই বাংলাদেশ জন্মেছে।
প্রিয় পিতাকে জানাই হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা।
ব্লগার সজীব
এমন হিমালয় সম মানুষটিকে আমরা হত্যা করেছি,আমরা আমাদের পিতাকে হত্যা করেছি 🙁
শুন্য শুন্যালয়
জাতির পিতাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। কোন কিছুর বিনিময়েই তার রক্তের প্রতিবাদ দিতে পারবো না আমরা। তবু বাংলাদেশ নামের সাথেই মিশে থাকবে বংগবন্ধু। স্মরি তব নাম: পিতা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আর আবেগ নয় প্রয়োজন বুলেটের -{@