জিসান ভাই #স্বপ্ন দেখার মাঝে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে ঘুম ভেঙে নিজেকে খাটের তলায় আবিষ্কার করেছেন থ্রি স্টার মোটেল সোনালু’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ব্লগার ছাইরাছ হেলাল ভাইয়ের কাছ থেকে এমন খবরে বুকটা ধ্বক্ করে উঠলো। এই বয়সে কোমরে চোট লাগলে সমস্যা হবারই কথা। সোনেলার ব্লগারদের মিলনমেলা উপলক্ষে ঢাকায় যারা যাবো তারা অনেকেই হেলাল ভাইয়ের মোটেলেই উঠবো এমনটাই ঠিক হয়েছে। আজ বিকেল থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে তাই কখন রওনা হচ্ছি এটা জানার জন্যই তিনি ফোন দিয়েছেন। সেই সাথে জিসান ভাইয়ের এমন খবর শুনে কিঞ্চিত বিচলিত হলাম কারন তিনি মিলনমেলার মধ্যমণি হয়ে নিজে উপস্থিত হতে না পারলে আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে সবার।
এদিকে প্রিয় লেখকদের মিষ্টি মধুর আবদার রাখতে গিয়ে একেবারে নাকাল অবস্থা আমার। কেউ খাবেন গাইবান্ধার রসমঞ্জুরী, কেউ খাবেন রংপুরের গুড়ের জিলাপি। এসব কিছু কিনে প্যাকিং করে ব্যাগ গোছগাছ করেই ঊর্ধ্বশ্বাসে শবনমকে সাথে নিয়ে সকাল এগারোটা নাগাদ সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। নয় ঘণ্টার বাস জার্নিতে এসব মুখরোচক খাবার যে মুখে তোলা যাবেনা তা বলাই বাহুল্য। সেটা ভেবেই বিমানে আসার সিদ্ধান্ত আমাদের। তবে সাথে করে সারপ্রাইজ হিসেবে রংপুরের বিখ্যাত হাঁড়িভাঙ্গা মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছি। সবাই এখানকার হাঁড়িভাঙ্গা আমের কথা শুনেছেন। আমি নিশ্চিত এই নামে যে মিষ্টিও আছে তা অনেকেই জানেন না এবং এর স্বাদও গ্রহণ করেননি।
বিমানে ওঠার পরে সুদর্শন ফ্লাইট এটেনডেন্ট চিরাচরিত রোবটিক কন্ঠে সিট বেল্ট বাধার নিয়ম বলে দিচ্ছেন। শবনম বলে উঠলো আরে এ তো ব্লগার প্রদীপ দাদা! আমিও তাকিয়ে দেখি আরে হ্যাঁ, তাইতো! স্পিকারে বাংলা এবং ইংরেজীতে পাইলটের কথা শুনতে পাচ্ছি, গলার আওয়াজটা খুব পরিচিত লাগলো। বিমান ছাড়ার কিছুক্ষণ পরে প্রদীপ কাছে আসতেই বললাম দাদা বিমানের কফি যা ইচ্ছে তাই মুখে দেয়া যায় না। ক্ষুধা পেয়েছে, পাইলটের জন্য বরাদ্দ স্পেশাল স্যান্ডউইচ আর কফি দাও।
প্রদীপ মুচকি হাসি দিয়ে বলল ইঞ্জা ভাই নাকি প্লেন চালাচ্ছেন! আজকের ফ্লাইটের তিনিই পাইলট। এই মানুষটা একজন লেখক, আবার বাবা তাকে ডাকতো ইঞ্জিনিয়ার, এখন শুনছি তিনি পাইলট! আর কি কি করতে পারেন তিনি এসব ভাবতে ভাবতেই এক সুন্দরী এয়ার হোস্টেস হাতে ট্রে নিয়ে এসে আমাকে বলছেন ভাই আপনার কফি! মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি বন্যা লিপি আপু! চশমার ফাঁক দিয়ে আমাদের দেখছেন আর মিষ্টি মিষ্টি মিটিমিটি হাসছেন। স্বপ্ন দেখছি নাকি! বন্যা আপুকে বললাম আপনার তো ঢাকায় থাকার কথা, প্লেনে কেন? জবাবে শুধু হাসি দিয়ে বললেন পরে বলব। সে হাসি বড্ড রহস্যময় লাগলো আমার কাছে।
বিমান ঢাকায় ল্যান্ড করতেই আমি পাইলট ইঞ্জা ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছি। দেখি তার সাথে কো-পাইলট মনির ভাইও আসছেন। আচ্ছা সত্যি আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি, বিমানে এনারা কেন? রিমি রুম্মান আপু, রেজওয়ান আগেই ল্যান্ড করে শুধুমাত্র আমাদের জন্যই অপেক্ষায় করছিলেন। ব্লগারদের নিজেদের মধ্যে এই আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করে সবসময়।
ঢাকা বিমানবন্দরের চিরচেনা স্বাভাবিক সেই পরিবেশ নেই আজ। কেমন যেন চাপা উত্তেজনা চারপাশে। গার্ড, সিকিউরিটি, অভ্যার্থনা এসব মিলিয়ে অনেকটা ভিআইপিরা এলে যেমনটা হয় ঠিক তেমন। মনির ভাইয়ের কাছে শুনলাম কিছুদিন আগে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকায় বাঙালি লেখকদের যেকোনো মিলনমেলায় আগমন উপলক্ষে এখন থেকে তারা সবাই ভিআইপি সুবিধা পাবেন। বলাই বাহুল্য সোনেলার সব লেখকই ভিআইপি। আমরা সেই সুবিধা সবার আগে যেন পাই জিসান ভাই এবং পাখি শামীম ভাই উপরমহলে লবিং করে সব ব্যবস্থা করেছেন।
বড়ুয়া ট্রাভেলস এর গাড়িতে করে মোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবার সময় ড্রাইভারের দিকে চোখ পড়তেই দেখি তিনি আমাদের রুমন আশরাফ ভাই। গাড়িটি চল্লিশ সিটের লোকাল বাস। ট্রান্সপোর্ট এরেঞ্জমেন্ট করছেন সুপায়ন দাদা। আচ্ছা তিনি কি একটা ভালো গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারতেন না? এই লক্কড় ঝক্কড় বাসে গেলে পিকনিকের আমেজ পাওয়া যাবে বলেই তিনি নাকি এমনটা করেছেন। আসলে টাক মাথার এই কবি লোকটার মাথায় প্রচুর ঘিলু আছে। ভালো-মন্দ কুশলাদি জিজ্ঞেস করেই গাড়ি ছেড়ে দিলেন রুমন ভাই। আমার আশেপাশে বন্যা আপু ঘুরঘুর করছেন আর বাঁকা চোখে হাতে ধরা মিষ্টির ব্যাগের দিকে বারবার তাকাচ্ছেন দেখে মনে কুঁ ডাক দিল। মিষ্টির ব্যাগটি আরো শক্ত হাতে ধরে থাকলাম আমি।
ঢাকার রাস্তায় প্রচুর ট্রাফিক জ্যাম তবে আমরা ভিআইপি সুবিধা পাচ্ছি বলে আগে থেকে রাস্তা একদম পরিষ্কার, কোন যানজট নেই। সোনালু মোটেলটি নিউ পল্টনে। বাসটি নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় স্টপেজ দেয়া হবে। আমরা বিমানবন্দর ষ্টেশন দিয়ে বনানী হয়ে মহাখালী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহাবাগ এরপরে পল্টনে এই রুট ধরে যাচ্ছি। বিমানবন্দর ষ্টেশনে আগে থেকেই অপেক্ষায় আছেন সুরাইয়া পারভীন, সুরাইয়া নার্গিস, সাদিয়া শারমিন, রেজোয়ানা কবীর, মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী ভাই। তাদের তুলে নিয়ে বাস বনানীতে আসতেই হুড়মুড় করে উঠেছে মুক্তা মৃণালিনী, মনি কাশফিতা, পর্তুলিকা, শিরিন হক, মারজানা ফেরদৌস রুবা, ইকবাল কবীর ভাই। জানালার পাশে কে বসবে এই নিয়ে মনি এবং মুক্তার মাঝে কিছুক্ষণ মৃদুমধুর বাকবিতণ্ডা হলো। অবশেষে দুইজনেই আলাদা দুই জানালার পাশের সিট দখল করে নিয়েছে। রিমি রুম্মান আপু এসবই শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছেন।
আমাদের গাড়ি কারওয়ান বাজার পানির ফোয়ারার কাছাকাছি গিয়ে সাইড লেনে থামতেই সামনে দাঁড়ানো ট্রাফিক কনস্টেবলটি হম্বিতম্বি শুরু করে দিয়েছে। দেখতে অবিকল নৃ-মাসুদ রানার মত। সে বলছে এখানে নাকি বাস দাঁড়ানো যাবেনা। লেখদের জন্য বরাদ্দকৃত এই বাসে কিছু লেখক উঠবেন এবং আমাদের দাঁড়ানোর অনুমতি আছে একথা তাকে কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছেনা। বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় আর কি!
রাস্তার ওপারে এক সুন্দরী ট্রাফিক সার্জেন্ট হাত তুলে পারাপারের জন্য অন্যান্য গাড়িগুলোকে ফুঁ ফুঁ করে বাঁশী বাজিয়ে দক্ষ হাতে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন। ঝামেলা মিটাতে তিনি আমাদের এগিয়ে এলেন। আরে! এতো আমাদের প্রিয় ব্লগার সাবিনা আপু। তিনি কাছে আসতেই কাছুমাছু মুখ করে নৃ মাসুদ পালিয়ে গেলো।
এরইমধ্যে বাসে উঠলেন নীরা সাদিয়া, খাদিজাতুল কুবরা, রোকসানা খন্দকার রুকু, সাজেদুল হক, আলমগীর সরকার লিটন, ফয়জুল মহী, ইসিয়াক, দালান জাহান, ফজলে রাব্বী সোয়েব, আকবর হোসেন রবিন, মাছুম হাবিবী, নিরব সাগর, উর্বশী আপু। মাছুম বাসে উঠেই বেসুরো গলায় গান ছেড়ে দিয়েছে। রেজওয়ান বিরক্তি ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে। সাবিনা আপুকে ধন্যবাদ দিলাম আমি। তার দিকে তাকাতেই একবার মনে হল তিনি বন্যা আপুর দিকে তাকিয়ে চোখ টিপলেন। বুঝলাম ঘটনা যা ঘটার তা আজকেই ঘটবে। সমূহ বিপদ নিয়ে ঝড় আসতে চলেছে।
মোটেলে পৌঁছে দেখি এলাহি ব্যাপারস্যাপার। মূল ফটকে জাকিয়া জেসমিন যূথী আপুর ডিজাইন করা বিশাল একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে। সেই গেটে দাঁড়িয়ে সুপর্ণা দিদিভাই ক্লাসের রোলকলের মত করে সবাইকে ডেকে ডেকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন আর সবাই ইয়েস ম্যাডাম বলে ভিতরে প্রবেশ করছেন। আরজু মুক্তা আপু আগেই পৌঁছে হলরুম সাজানোর দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। তার সাথে আছেন মজিবর ভাই, শাহরীন আপু। মিলকরে লাল টুকটুকে শাড়ি এবং পাঞ্জাবি পড়ে রেহানা আপু আর দুলাভাই অনেকগুলি শপিংব্যাগ হাতে করে সবার জন্য গিফট নিয়ে মোটেলে এলেন। দুলাভাই এবং আপু দু’জনেই উদার মনের মানুষ আজ তার প্রমাণ নতুন করে পেলাম।
এখন দুপুরবেলা, হেলাল ভাই তার মোটেলেই খাবারের ব্যাবস্থা করেছেন। মাহবুবুল আলম ভাই, সিকদার সাদ রহমান এনারা খাবারের আয়োজন তদারকিতে ব্যস্ত। সাথে আছে আরজু মুক্তা আপুর রান্না করে নিয়ে আসা কচি বাঁশের তরকারি, মুক্তা আপুর পাটশাক, সুরাইয়া নার্গিস আপুর কাঁঠালের বিচি ভর্তা, সুরাইয়া পারভীন আপুর টকঝাল কচুর লতি রান্না, মণি আপুর স্নাকস, শিরিন আপুর ডেজার্ট এতসব খাবার মুহুর্তেই শেষ। জিসান ভাইয়ের ভাগেরটা হেলাল ভাই সাবাড় করেছেন। সঞ্জয় মালাকার দ্বিতীয়বার চাইতেই সুপর্ণা ফাল্গুনী তার দিকে কটমট করে তাকালো।
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে আমাদের নির্ধারিত কামরায় গিয়ে নিতাই দাদার সাথে পরামর্শ করে আমার প্রিয় কম্পাউন্ডার নাজমুলকে সাহায্যকারী হিসেবে নিয়ে মিষ্টির ব্যাগটা দাদার রুমেই রাখলাম। আর সাবধানের মার নেই ভেবে শবনমকে দিয়ে স্পেশাল হাঁড়িভাঙ্গা মিষ্টির প্যাকেটগুলি আমার খাটের তলায় লুকিয়ে রাখতে বলেছি। আসলে নাজমুল আমার হয়ে আগে থেকেই সবার দিকে নজর রাখছে। তার কাছে জানলাম কবিতা আবৃতি প্রাকটিস করতে করতে হালিম নজরুল ভাইয়ের গলা বসে গিয়েছে। সেই গলা ঠিক করার জন্য নাসির সারওয়ার ভাই লবন দিয়ে কুসুম গরম পানির ব্যবস্থা করতে গম্ভীর গলায় বয় বেয়ারাদের সাথে চোটপাট শুরু করে দিয়েছেন।
মিলনমেলার অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগে তাগড়া জোয়ানের মত জিসান ভাই উবার নিয়ে চলে এলেন। কোমর ব্যথার কোন চিহ্নই নেই তার চোখেমুখে। সব আয়োজন সম্পন্ন, ব্লগারদের মিষ্টিমুখ করে মিলনমেলা শুরু হবে। আমি মিষ্টি আনার জন্য নিতাই দাদাকে ইশারা করে স্পেশাল হাঁড়িভাঙ্গা মিষ্টির প্যাকেট গুলো নিয়ে যেতে নিজের রুমে এলাম।
হঠাৎ দরজায় নক হলো। শবনম দরজা খুলতেই দেখি বন্যা আপু রাগান্বিত মূর্তিতে দাঁড়িয়ে আছেন। বললাম ঘটনা কি? তিনি যা বললেন শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম! সাবিনা আপু এবং তিনি মিলে নিতাই বাবু দাদার ঘরে গিয়ে সব জিলাপি আগেই সাবার করার ফন্দি করেছিলেন। তবে সাবিনা আপুকে নাকি দুই সুরাইয়া বুদ্ধি করে নিজেদের দলে করে নিয়েছেন। বন্যা আপুর সাথে টেক্কা দেওয়া হয়েছে বুঝতে পেরে তিনি এখন আমার কাছে সব কথা ফাঁস করে দিতে এসেছেন।
তাহলে ঘটনা এই! এ কারণেই আমার ব্যাগের দিকে বিমানবন্দরে এভাবে তাকিয়ে ছিলেন বন্যা আপু! ভাগ্যিস হাঁড়িভাঙা মিষ্টিগুলি বুদ্ধিকরে নিজের কাছেই রেখেছিলাম। কম্পাউন্ডার নাজমুল ব্যাটা সাবিনা আপুদের কাছে তথ্য ফাঁস করেছে নিশ্চিত। কারওয়ান বাজার সিগনালে বন্যা আপুর দিকে তাকিয়ে সাবিনা আপুর চোখ টেপার রহস্য এখন বুঝতে পারলাম। আমি নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছি তার দিকে। তিনি চিৎকার করে বললেন- এ্যাই তৌহিদ ভাই শুনছেন! জিলাপিতো সব সাবার হয়ে যাচ্ছে এদিকে। তার মুখ থেকে পিচিৎ করে একফোঁটা রক্তলাল পানের পিচকারি আমার হাতে ছিঁটকে এলো।
প্রচন্ড রাগ হলো জিলাপি চোরদের উপর। রাগের মাথায় আমি হাত দিয়ে পানের পিচকারি লাগা সেই জায়গাটিতে ঘষতে লাগলাম, কেমন যেন চিনচিনে ব্যাথা করছে। বন্যা আপুর চিৎকারে সম্বিত ফিরে পেতেই দু’জনে মিলে নিতাই দাদার রুমের দিকে দিলাম দৌড়! জিলাপীগুলো কিছুতেই সাবাড় করতে দেয়া যাবেনা। চোর চোর চোর! গেলো সব জিলাপি চুরি হয়ে গেলো! ধর ধর! এসব বলতে বলতে বন্যা আপু ছুটছেন, আর তার পিছু পিছু নিজের ভাগের জিলাপি, রসমঞ্জুরী বাঁচাতে ছুটছেন বাকি সব ব্লগার! ঘুম ভেঙে গেল আমার।
ধড়মড়িয়ে বিছানায় উঠে বসে হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি পানের লাল পিচকারির জায়গায় একটা মশা রক্তাক্ত অবস্থায় মরে পড়ে আছে। এতক্ষণ তাহলে স্বপ্ন দেখছিলাম আমি!
১২৭টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
জমা খাতায় সালুট
তৌহিদ
শুভকামনা জানবেন ভাই।
দালান জাহান
তৌহিদ ভাই মোনাব্বর নামক একজন সম্মানিত কবিকে সোনেলায় যোগ করেছি। তিনি ইতিমধ্যে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। এ বিষয়ে কার সাথে কথা বলব?
তৌহিদ
দালান ভাই, তিনি মুল সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করলে আইডি পর্যবেক্ষণে আছে ভাই। মডারেটর এপ্রুভ করবেন।
তৌহিদ
দালান ভাই, মোনাব্বর ভাইকে নিয়মিত হতে বলুন। তিনি ভালোই লেখেন। সবার লেখা পড়তে এবং মন্তব্য করতে উৎসাহিত করুন।
আরজু মুক্তা
হা হা হা।
আপনি ফুপু আম্মার পিছনে ভালোই লাগছেন দেখি।
আর আমি বুঝিনা, সবাই আমাকে অনুষ্ঠান কিভাবে হবে, ঘর কীভাবে সাজানো হবে এগুলোর দায়িত্ব কেনো দেয়? আর এটা আপনি জানলেন কেমনে? রহস্যময়।
হ্যাঁ সাজেক থেকে বাঁশের রান্না আর কীভাবে মাঝে মাঝে বাঁশ দিতে হয় তাও শিখে আসছি।
ভাই, আপনাকে ১০০ তে ১০০। পানের রস আর মশার রক্ত কিন্ত ভালোই মিলছে।
রসিক ভাইজান, লাল সালাম।
আর একবার হাসি—– হি হি হি।
তৌহিদ
না না আমি বন্যা আপুর পিছে লাগিনি। আসলে আপু আমাকে পছন্দ করেন বলেই একটু মসকরা করি।
আপনার সম্পর্কে আমরা বহুত কিছু জানি কিন্তু!! কচি বাঁশের রান্না কবে খাওয়াবেন আপু?
বন্যা লিপি
তৌহিদ ভাউ, আপনে বুঝাইয়া দিছেন ভালো মতো কেডা কার পিছে লাগছে। শাক দিয়া আর মাছ ঢাকার চেষ্টা এহন বিফলে যাইব। উকিল আপার পরামর্শ আমারো মনে আছে😁
রেহানা বীথি
বন্যা আপু, কানে কানে একটা কথা কই, দরকার পড়লে আরও পরামর্শ দেওনের লাইগ্যা আমি রেডি, তয়… নাহ্ থাউক, মনে কষ্ট লাগলেও উকিলের ফী-এর কথাডা চাইপা গ্যালাম! প্রতিশোধ বইলা কথা!
তৌহিদ
বিশ্বাস করেন বন্যা আপু আপনার পিছে লাগিনাই কিন্তুক। শাক দিয়ে শুঁটকি ঢাকছি আপু, মাছ নয় ☺
তৌহিদ
রেহানা বীথি আপু পরামর্শ ফি ফ্রী তাই না?
রেহানা বীথি
তৌহিদ ভাই, একদম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমি ভাবছিলাম শাক দিয়ে জিলাপি আর হাড়িভাঙ্গা মিষ্টি ঢাকছে এখন দেখতাছি শুঁটকি। এজন্যই কেমন জানি উদ্ভট গন্ধ টের পাচ্ছিলাম। ☹️☹️ শেষপর্যন্ত কি যে জুটবো কপালে ঈশ্বর জানেন। কিছু একটা পাইলেই শান্তি সোনেলার হাড়ি থেকে। ওম শান্তি ওম
তৌহিদ
সুপর্ণা দিদি, শাক দিয়ে শুটকি! সেই ট্যাশ লাগে কিন্তু ☺
ইঞ্জা
হো হো হো হো, পাইলটা আমি আর মনির ভাই, মজা পেলাম ভাই।
মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে আপনার অতি চিন্তায় বলে দিচ্ছে আপনি অতি সতর্ক পাবলিক, কোনো ব্লগার বাদ পড়ে নাই দেখে ভালোই লাগলো, শেষের সিন বন্যা আপু ক্ষোভ, জিলাপি বাচানোর জন্য দৌড় সেই রকম ছিলো, পানের পিকের বদলে মশা ব্যাটার অবস্থা চিন্তা করে হাসতে হাসতে শেষ।
দারুণ হয়েছে ভাই, খুব ভালো লিখেছেন। 😆😆
তৌহিদ
দাদা, এরপরে আর কত কিছু যে হবেন! মিষ্টির প্যাকেট ভাগ্যিস নিজের রুমে রেখেছিলাম। মান ইজ্জত তবুও বাঁচলো বলে। সবাই বলছে আমরা নাকি বন্যা আপুর পিছে লাগছি, অথচ আপুকে কত্ত ভালোবাসি তাইনা দাদা কন?
আমাদের ব্লগারদের নজর খুব কড়া, কোন কিছু লুকিয়ে রাখলেও চোখে পড়বেই ☺
ভাবছি সাবিনা আপু কই, এখনো এলেন না!
ইঞ্জা
বন্যাপুর পিছে লাগবো আমরা?
মাথা খারাপ, আমাদের কি দুইটা মাথা?
সাবিনাপু শুধু নয়, রেহেনাপু, সুরাইয়াপু সহ অনেকেই অনেকদিন আমাদের পোস্টে কম আসছেন।
চালিয়ে যান ভাই আমরা আছি তো। 😊
বন্যা লিপি
ইঞ্জা ভাইজান, আপনেও? তৌহিদ ভাই অংপুইরা মিডা জিলাপীর মতো পেইচ্যা মিডা। পুরা স্বপ্নে উনি আসলে আমারে কী পরিমান ভালুবাসে তাহা প্রমান করিতে এক রত্তি কার্পণ্য করেননাই। শ্যাষকালে মশাও প্রতিশোধ নিয়া বুঝাইয়া দিছে, এবার স্বপ্পন দিয়া বাইরাও।
এত্ত বড় লম্বা স্বপ্ন আমি কোনোদিন দেকতারুম না।
ইঞ্জা
আপু সত্যি বলতে কি, আমরা সবাই আপনাকে খুব ভালোবাসি, এই জন্যই তৌহিদ ভাইয়ের এমন বিস্তারিত পরিবেশনা। 😊
তৌহিদ
ইঞ্জা ভাই, সেটাইতো! আমরা তাদের পিছে লাগতে পারি? বোন লাগে সবাই।
বন্যা লিপি
ইঞ্জা ভাইজান, এহানে কিন্তু জিলাপী একছের জোর হইরা টাইন্যা আনছে, পেরতেক হপনে(স্বপ্নে) জিলাপী টানোনই লাগবো এমন কুনো কতা আছে? এত্ত এত্ত মিডা(মিষ্টি) খায় কারা? মনে পরতেই আমার কেমন মাথা ব্যাথা শুরু হইয়া যায়।এত্ত এক্ত মিডা?? ওরে বাফু রে বাফু!!
ইঞ্জা
এই জন্যই তো জিলাপির পিছনে বেশি ছুটছেন আপনিই। 😜
তৌহিদ
স্বপ্নে জিলাপি যে প্রথম এনেছিলো ইঞ্জা ভাই তিনি অন্য কিছু নিয়ে এলেই হতো কিন্তু আপু ☺
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন উপভোগ্য কাহিনী লিখলেন তৌহদ ভাই।
সবাই স্বপ্নেই বিলিন খাওয়া হালখাতায়। আগামিবছর।
তৌহিদ
ইনশাআল্লাহ ভাই, মিলনমেলায় দেখা হবে, খাওয়া দাওয়া হবেই হবে।
তৌহিদ
আপনারা পড়তে থাকুন সবাই, আমি পরে আসছি।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনারা ভাল গল্প লেখেন আমি তো পচা কি করব তাই ভাবতেছি তৌহিদ ভাই।
তৌহিদ
আপনিও ভালো লেখেন মজিবর ভাই। লিখুন, অবশ্যই পড়বো।
মোঃ মজিবর রহমান
ইনশাল্লাহ
বন্যা লিপি
হায় হায় শ্যাষ পর্যন্ত আমার পেছনে দেহি আপনে আদাজল খাইয়া নামছেন । ঘটনা কি ভাই? ও পৌষি ভাবি আপনে গেলেন কই? এয়ার হোষ্টেস বানাইয়া খান্ত নাই! হেরপর আবার পানের পিক নিয়া এইরহম জঘন্য অপবাদ?
সত্যতিই ডরাইছি ভাই, এত্ত এত্ত নাম আমি মনে রাখতারুম না। তারপর যেই উড়ান দিছেন আপনে!! বাপরে বাপ!! এক কথায় ফাটিয়ে দিয়েছেন ভাউ😊😊 বাকি দিনগুলা এবার আমার মাথার তার ছিইড়া হাতে আইবো, আমি কি স্বপ্ন দেখমু😶😶😶
আবার আইতাছি পরে।
জব্বর লিখছেন ভাই ১০০ আউট অফ ১০০%
তৌহিদ
সত্যি আপনার পিছে লাগিনি আপু, আসলে গল্পে আমাদের সবাইকে একটু রসিকতা করে উপস্থাপন করলাম। অন্যেরা মাইন্ড খেতে পারে কিন্তু আমরা খাবোনা সেই বিশ্বাস থেকেই লিখেছি।
মাঝেমধ্যে পান কিন্তু আমিও খাই আপু, গোপন কথা আর কাউকে বইলেননা। লেখা ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। পাঠকের বিনোদন হচ্ছে লেখকের লেখার স্বার্থকতা।
আপনি লেখা শুরু করেছেনতো? অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন আপু।
শবনম মোস্তারী
আছি তো।।
এমন সুইট একজন এয়ার হোস্টেজ…😍
বন্যা লিপি
এই এই এই…… পৌষী ভাবি আপনিও? 😓😓😓😓আমি এয়ার হোস্টেজ হইবার চাইনাআআআআ, তাও যাক হইলাম না হয়, সোনেলা স্বপ্নের স্পেশাল ফ্লাইটের স্পেশাল এয়ার হোষ্টেস। কিন্তু ভাউ আমারে কি বানাইয়া ছাড়লো!! শেষতক মিষ্টিচোর😂😂??
তৌহিদ
আমাদের বন্যা আপু এয়ার হোস্টেস! ভাবতেই ভালো লাগছে।
রেহানা বীথি
মাঝে মাঝেই আমরা মিল করে শাড়ি-পাঞ্জাবি পরি, এটা একশোভাগ সত্যি কথা তৌহিদ ভাই। এবারের মিলনমেলায়ও পরেছিলাম। 😃
আপনার স্বপ্নেও আমাদের অবস্থার কোনও হেরফের হল না দেখে বড় প্রীত হলাম।
লেখাটা সাংঘাতিক হয়েছে। ব্লগের সবার ভূমিকাগুলো কী যে সুন্দর করে লিখেছেন! পানের পিক-এর জায়গায় মশার রক্ত, দারুণ!
তৌহিদ
দেখলেনতো আপনার ভাই কতদিকে খেয়াল রাখে! প্রচুর মাথা ঘামাতে হয়েছে আপু লিখতে। পড়ে মন্তব্য করেছেন দেখে আনন্দিত হলাম। স্বপ্নে মশা মারা এটি প্রায়ই সবারই হয় কিন্তু আপু। বন্যা আপুর পানের কোন দোষ নেই।
ভালো থাকুন আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমারে রোলকলের হাজিরা ম্যাডাম বানিয়ে দিলেন! সঞ্জয় দাদার দিকে কটমট করে তাকানো আহ্ সঞ্জয় দাদা মনে হয় ভয়েই দৌড় দিবো। জিসান দাদা ভাই তাহলে সুস্থ ই আছেন? শুনে খুব ভালো লাগলো। সাবিনা আপু আর বন্যা আপুরে খাদক বানিয়েই ছাড়লেন। বন্যা আপুর পান খাওয়াটা দারুন উপভোগ্য হচ্ছে সবার লেখাতেই । শেষ পর্যন্ত মশার রক্তের সাথে পানের পিক দারুন মিলালেন। খুব ভালো লাগলো সবাইকে এই গল্পে পেয়ে। শুভ কামনা রইলো
তৌহিদ
আপনি হচ্ছেন সবার মধ্যমনি, তাই রোলকলের দায়িত্ব আপনাকে দেয়া হয়েছে আপু। চেক করে সবাইকে প্রবেশ করাতে হবে, বলা যায়না মিষ্টির লোভে কে কোনদিক দিয়ে ঢুকে যায়!
ভালো থাকুন আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
😍😍😍😍 ইস কি যে আনন্দ দিলেন। মধ্যমনি হতে পেরে দারুণ আনন্দিত বিমোহিত হলাম। আপনাদের এই ভালোবাসা যেন ধরে রাখতে পারি এই কামনা করি ঈশ্বরের কাছে।
তৌহিদ
আপনার জন্যেও শুভকামনা আপু।
ফয়জুল মহী
অপার মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
তৌহিদ
ধন্যবাদ মহী ভাই।
খাদিজাতুল কুবরা
তৌহিদ ভাইয়া গল্প হড়ি আঁসতে আঁসতে হেডে খিল ধরি গেছে।
মাশাআল্লাহ গল্প লেখছেন জব্বর।
তবে বুদ্ধি করি আঁনরা নতুনেরগোরে কোন কাজ দেনন। ভালা কইচ্ছেন, আনাড়ি আতে সব ভন্ডুল অই যাইতো,
ফাউ ফাউ গিফট হাইছি, খানা খাইছি আল্লাহ আন্নের ভালা করক।
আঁর গান গাই আবার এক্কানা করি,
“যদি হাঁচাকতা কই ইগুন ছুঁডবো আঁরে লই “।
শেষকিনাদ্দি মিষ্টিখানা আন বানছালি না করলে অইতোনা,
আশা কইচ্ছিলাম মিষ্টি খাই দেরি কইত্তান্ন বাড়িদ্দিগে আঁডা ধরুম,
এরমইধ্যে তৌহিদ ভাইয়ের স্বপ্নভাঙি যনে কিছু অইলোনা,
আইচ্ছা থাক, পরের গল্পে খামু।
আর কিচ্ছু কইতান্ন,
নোয়াখাইল্লারা কতা কম কয়।
তৌহিদ
আন্নে গল্প হড়িচ্চেন দেকে ভালো লাগলো আফা। থ্যাঙ্কু অনেক অনেক ☺
নতুন পুরাতন কিছু নেই, সোনেলায় আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে এগিয়ে যাবো এটাই চাই। আর আপনাকে একটু রিলিফ দিলাম কাজ থেকে। ভাই থাকতে বোনদেরকে এত কাজ করতে দেই ক্যামনে?
সব মিষ্টি চুড়ি যায়নিতো! আমার কাছে যা আছে তাই নিয়ে আড্ডা হবে টেনশন নট!!
নোয়াখালীর মানুষ ভালা কিন্তু ☺
সিকদার সাদ রহমান
যথার্থ লিখেছেন। খুবই ভালো লেগেছে। তবে বন্যা আপা যে পান খায় তা এখন ইতিহাস হতে চলেছে।
তৌহিদ
জানেনতো! আমাদের দেশে পান খায় যারা তারাই প্রকৃত বধূ। বন্যা আপুও তাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
কামাল উদ্দিন
আমার মনে হয় আগের পর্বগুলোর লিঙ্ক সংযুক্ত করা থাকলে ভালো হয়।
তৌহিদ
ভালো বলেছেন ভাই, লিংক দেয়া হচ্ছে কিন্তু। ধন্যবাদ আপনাকে।
কামাল উদ্দিন
আম পড়ে হাড়ি ভাঙ্গতে পারে, কিন্তু মিষ্টি হাড়ি ভাঙ্গতে পারে এটা অবিশ্বাস্য। আপনাদের বিমান আর লক্কর মার্কা বাসে সিট না পেয়ে এই হাড়ি ভাঙ্গা মিষ্টির লোভেই আমি রিক্সায় করে ঘুরে বেড়িয়েছি সারা ঢাকা শহর। সোনালু মোটেলটা খুঁজেই পেলাম না ছাই!
তৌহিদ
আহারে! ভাইজান শেষপর্যন্ত রিক্সায়! এই দুঃখ কই রাখি!
হাঁড়িভাঙ্গা নামটি কিন্তু সুন্দর তাইনা? ভাঙা হাঁড়ির ভিতর এই আমগাছ হয়েছিলো বলে এই নাম ভাইজান।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভারী মজা পাইলাম।
তৌহিদ ভাই পারেন ও বটে
সবাইকে কায়দা করে এই করোনা কালে
ব্যস্ত করলেন কাজে।
শেষ করলেন মিষ্টি দেওয়ার আগে।
হাড়ি ভাঙা মিষ্টি দেখে ভারী লোভ লাগে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
তৌহিদ
হা হা হা, ভাইজান সবাই মিলে মিলনমেলা সফল করার মজাই আলাদা। বেঁচে থাকলে এই মিষ্টি খাওয়াওবো বটেই।
ভালো থাকুন দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাহ্!
কী দারুণ সম্মিলিতভাবে আড্ডা।
জিলাপি থেকে হাঁড়িভাঙা মিষ্টি।
খেতে ইচ্ছে করছে।
আপনাদের আনন্দের এ কথা শুনে নিজেকে আনন্দিত মনে হচ্ছে।
বেশ ভালো লাগলো।
শুভকামনা দাদা।
তৌহিদ
লেখা পড়ে পাঠক আনন্দ পেলে লেখক বাতাসে উড়তে থাকে কিন্তু দাদা! সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
মজাই লেখছেন গাইবান্ধার রসমঞ্জরী এক সময় খুব খাইতাম বেশ করে সকাল বেলার নাস্তা ———–
তৌহিদ
গাইবান্ধার রসমঞ্জরী আসলেই টেস্টি ভাই। সবাই মিলে খাব একদিন নিশ্চই।
ভালো থাকুন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
যাক ,পান খোরদের কারণে এ যাত্রা বেঁচে গেলেন। তা না হলে এর পর কী কী হতো কে জানে।
গুছিয়ে তাল ঠিক রেখে এতবড় লেখা কেমনে লেখে তা ভাবতেই আছি।
তৌহিদ
বন্যা আপুর জন্যই বেঁচে গেলাম কথা সত্যি। শেষপর্যন্ত মিষ্টি বাঁচাতে পেরেছি দেখে মানসম্মান রক্ষা ভাইজান। লেখাটির প্লট চিন্তা করে সবাইকে নিয়ে আসা একটু কষ্টকর কিন্তু আপনাদের অনুপ্রেরণায় লিখে ফেলেছি আর কি!
ভালো থাকুন ভাইজান।
শবনম মোস্তারী
হাহাহা.. আহা! জিলাপী..
শেষ পযর্ন্ত মিষ্টি লুকানোর দায়িত্ব আমার.. 😀😀
অনেক সুন্দর স্বপ্ন…😍
তৌহিদ
মিষ্টি সামলে না রাখলে মানসম্মান সব ডুবতো কিন্তু! পাহাড়া দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন সবসময়, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তৌহিদ
লুকিয়ে লাভ হয়নাই কিন্তু! শেষে দেখি আমার ভাগেরটাই নাই ☺
সুরাইয়া নার্গিস
গল্প পড়ে আনন্দে হেসে ফেললাম ☺
অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা পড়লাম ভাইয়া, ইঞ্জা ভাইজান,জিসান ভাইজান, মাহবুব আলম ভাইজান, এবার তৌহিদ ভাইজান সবাই এতো ভালো লেখছেন যে মন্তব্য করতে গিয়েও দুবার ভাবতে হচ্ছে।
তৌহিদ ভাইয়াকে একটা গল্পে সকল ব্লগারদের নাম উল্লেখ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবাইকে খুব সুন্দর ভাবে সব কাজে নিয়োজিত করেছেন,সবার কর্মকান্ড পড়ে তো আমি ভিষন খুশি,হাসছি। ওরে বাবা তৌহিদ ভাইয়া জানলেন কি করে,আমি কাঁঠালের বিচির ভর্তা পছন্দ করি!!
আমি ভর্তা নিয়ে গিয়েছি দারুন একটা বিষয় পড়ে মুগ্ধ হলাম ☺।
বড় আপু(বন্যা) শেষ পর্যন্ত আমাকে চোর বানিয়ে দিলেন 🤔
তৌহিদ ভাইয়া বিশ্বাস করেন বন্যা আপু,মিষ্টি আপু সাবিনা ইয়াসমিন দুজনে নিতাই দাদার রুমে মিলে মিষ্টি খেতে ঢুকলেন।
আমি আর সুরাইয়া পারভিন আপু দেখে ফেলার কারনে সাবিন আপু বললেন ওদের অল্প একটু খেতে দেই।
অমনি বন্যা আপু রক্তচক্ষ বর্ণ ধারন করে বললেন নাহ! ওদের দিব না।
সুরাইয়া পারভিন আপু বললেন সবাইকে জানিয়ে দিব,পরে বন্যা আপু শান্ত ভাবে বললেন ৪ ভাগের এক ভাগ তোমাদের দিব 😏।
আমরা রাজী হলাম বন্যা আপু বললেন আমি তৌহিদ ভাইয়ার রুম থেকে হাত ধুয়ে আসছি
🤔।
বড় আপু বাইরে এসে চিৎকার করে বললো আমি সাবিনা ইয়াসমিন আপু,সুরাইয়া পারভিন আপু আমরা নাকি মিষ্টি চুরি করতেছি 😩।
বড় আপু বললেই হতো আপনার ভাগটা কম হইছে 😷
আমাদের ভাগেরটা আপনাকে দিয়ে দিতাম চোরের অপবাদ নিতাম না 😥
জিসান ভাইজান কই আপনে, আপনার বোনকে সকল ব্লগার চোর বলে দৌঁড়াচ্ছে 👣…
ইসস! বাঁইচা গেছি! ভাগ্যিস চোর ধরার আগে সব ব্লগারের ঘুম ভেঙ্গে গেছে💝
দারুন,দারুন গল্প পড়ে আপ্লুত হলাম তৌহিদ ভাইয়া আমাকে এত সুন্দর ভাবে গল্পে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা সবার জন্য।
জয়তু সোনেলা।
বন্যা লিপি
এ স্বপ্ন আমার রেপুটেশন ব্যাড়াছ্যাড়া কইরা ছাড়লো তো! শেষ ঘা তুমি মারলা মনে হইতেছে 😒 দেখা যাউক স্বপ্ন কোনদিকে যায় আরো। সুরু-২ভালো করলানা কইলাম, এরাম বেইজ্জতি করলা বড়আপুরে😂😂
জিসান শা ইকরাম
@বন্যা লিপি, এ স্বপ্নে তোমার রেপুটেশন শেষ 🙂
তোমার স্বপ্নে এর প্রতিশোধ নিতে পারো।
সুরাইয়া নার্গিস
বড় আপু এটা তো ভালোব্সার খুনসুটি ☺
সুরাইয়া পারভীন
হা হা হা হা হা হা
দারুণ লিখেছেন নার্গিস আপু।
সবাই মিলে আমার মিষ্টি আপুর পিছনে পড়ছে দেখে আমার কিন্তু হেব্বি রাগ হতিছে😕😕
বন্যা লিপি
এই সুরু-১ তুই কনে ছিলি রে? পুরা স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু বানাই ছাড়িছে হামাক! আর ওডি লই হগ্গলতে মোরে পচান নাগছে, শ্যাষতক কান্দিদিউম কইলোম😂😂😂
তৌহিদ
কি নাম দিয়েছেন শুরু ১ ! হা হা হা!
বন্যা আপু দেখেছেন তো সবাই আপনাকে আমরা কত ভালবাসি? লিখুন লিখুন, আপনার পর্ব দেবার পালা কিন্তু কাল মনে আছে?
তৌহিদ
এই যে সুরু ২ আপা(পারভীন) আমার ভাগেরটাও খেয়ে নিলেন!!
জিসান শা ইকরাম
@সুরাইয়া নার্গিস, হা হা হা হা , চোর তো দেখছি প্রায় এক হালি, আপনি একা নন।
যাক সমস্যা নেই, স্বপ্ন তো ভেঙে গেলো, অপবাদও শেষ হলো।
তৌহিদ
ভাই এরা সবাই মিলে ফন্দি করে আমার মিষ্টির বারোটা বাজাচ্ছিল। ভাগ্যিস বন্যা আপু এসে সব বলেছেন। না হলে মিষ্টি আর কারো খাওয়া হতো না। ওনাকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে। তার জন্য দুইটা মিষ্টি এক্সট্রা কি বলেন?
তৌহিদ
তাহলে ঘটনা ছিল এই যাক বাবা শেষ পর্যন্ত আপনি আসল ঘটনা স্বীকার করলেন। ঠিক আছে আপনার জন্য এক্সট্রা মিষ্টি বরাদ্দ থাকলেও বাকি সবাই পাবে।
স্বপ্নের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন আপনি আপু। গল্প লেখায় আপনার হাতের যশ মন্তব্যের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ পেলাম। সুন্দর বলেছেন কিন্তু ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভাল থাকুন সবসময়।
গল্পে সবাইকে নিয়ে এসে আমারও খুব ভালো লেগেছে। আমরা একটি পরিবার, এই পরিবারে আমরা সবাই মিলেমিশে থাকবো এটাই চাওয়া। শুভকামনা জানবেন আপু।
নিতাই বাবু
আমি কোনও সময়ই দায়িত্বের বরখেলাপ করি না, দাদা। তবে আমার কাছে আপনার দেওয়া হাঁড়িভাঙা মিষ্টি পাহারা দিতে গিয়ে আমার মানের মাঝে একটু খটকাও বেঁধেছিল। খটকা বাঁধলো এখানে, যেখানে আপনি বলেছে হাঁড়িভাঙা মিষ্টি, সেখানে আমি দেখলাম আসলে মিষ্টির হাঁড়িটাই ছিল ভাঙা। আর ভাঙা হাঁড়ির ভেতরে মিষ্টির কোনও নামগন্ধও ছিল না, ছিলো ঢাকার রাস্তা পাশে থাকা ফুটপাত থেকে কেনা বাসি-পঁচা মাছি ভরা কিছু জিলাপি। তা দেখে আমার নিজে থেকেই খারাপ লাগছিল। এরমধ্যে শ্রদ্ধেয় কবি সাবিনা দিদি হাঁড়িভাঙা মিষ্টি মনে করে মিষ্টি খাওয়ার লোভ সামতে না পেরে চুপিচুপি আমার কাছে এসে ভাঙাহাঁড়ির কিছু মিষ্টি চেয়েছিল। তা আবার কবি বন্যা লিপি দিদি চুপিসারে চেয়ে চেয়ে দেখছিল। বান্যা লিপি দিদিকে আমি ফলো না করেই কবি সাবিনা দিদিকে বললা, “দিদি আমি কখনোই কারোর আমানত খোয়ানত করি না। এটা আমার নীতির বাইরে। ভাঙাহাঁড়িতে থাকা হাঁড়িভাঙা মিষ্টি যদি আপনার খেতে ইচ্ছে করে, তা আপনি হাঁড়ি থেকে নিজের হাতেই খেতে পারেন। আপনি যে সবার আগে তৌহিদ দাদার আনা ভাঙাহাঁড়ির মিষ্টি খেয়েছেন, তা অন্তত আমি বান্দা কারোর কাছেই বলবো না। আপনি এখন ইচ্ছেমতো ভাঙাহাঁড়িতে থাকা হাঁড়িভাঙা মিষ্টি নির্ভয়ে খেতে পারেন।” আমার কথা শুনে শ্রদ্ধেয় কবি সাবিনা দিদি খুবই খুশি হলেন। শ্রদ্ধেয় কবি বন্যা লিপি দিদি দূর থেকে নিজের দাঁত নিজেই কটমট করতে শুরু করলেন। কিন্তু কিছুই বলেন না। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছিলেন। আমি আমার সিটের নিচ থেকে ভাঙাহাঁড়িটা টেনে বের করে কবি সাবিনা দিদির সামনে দিলাম। কবি সাবিনা মনে মনে কোনোএক কবিতা আবৃত্তি করতে করতে হাঁড়িভাঙা মিষ্টির আশায় ভাঙাহাঁড়িতে হাত দিয়ে দেখে, হাঁড়ির ভেতরে মিষ্টির বদলে পঁচা জিলাপি ভর্তি। তা দেখে কবি সাবিনা দিদি রাগে গোস্বায় হাঁড়িটা একটা আঁছার দিয়ে ভেঙে ফেললো। তা দেখে আমি একটা দৌড়ে দিলাম। আমার সামনে দেখি শ্রদ্ধেয় কবি বন্যা লিপি দিদিও শাড়ির আঁচল কোমড়ে বেঁধে আমার সাথে দৌড়াচ্ছে। একপর্যায়ে আমি দৌড়াতে দৌড়াতে ঠাঁস করে পড়ে গেলাম। আমার আর কোনও হুঁশজ্ঞান ছিল না। ঘুম থেকে জেগে দেখি আমি নিজ ঘরে ভাঙা খাটে ছেঁড়া কাঁথা গায়ে দিয়ে শুয়ে আছি। মনে মনে বললাম, “হায়রে গরিবের স্বপ্ন! তুই কি শুধু দেখেই যাবি?”
বন্যা লিপি
হা হা হা হা হা……. দাদাবাবু আপনে তো আপনার পুরা স্বপ্ন এখানেই দেখে নিলেন। আমারে যে দৌঁড়ানীডা দেয়াইলো তৌহিদ ভাই, এর বিচার আমি কার কাছে চামু? সবতেই দেহি পিছে লাগছে আমার! যাই কই আমি? আমারে কি একটু সুস্থির করে দেখা যায়না? আমি এতও মিষ্টিলোভী না কিন্তু 😂😂😂😂
নিতাই বাবু
কেন? এর বিচার তৌহিদ দাদা করেনি? বিচার যে করেনি, তা এইমাত্র জানতে পেয়ে সত্যি কষ্ট পাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় কবি বন্যা লিপি দিদি। আর জানবো-ই-বা কি করে বলুন! আমিতো দৌড়াতে দৌড়াতে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছিলাম। আসলে তৌহিদ দাদা সেই বিচারটা করার দরকার ছিল। কিন্তু কেন যে কবি সাবিনা দিদিকে ছাড়া দিলেন, তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না, দিদি। আচ্ছা তৌহিদ দাদাকে এ-বিষয়ে জিজ্ঞেস করে নিই!
নিতাই বাবু
তৌহিদ দাদা দেখছি খুবই ব্যস্ত! তাহলে উপায়?
তৌহিদ
আপু আপনার সাথে যে আমিও দৌড়িয়েছি সে কথা কি ভুলে গেলেন? নাহ! এই জামানায় ভালোর কোন দাম নাই দেখছি!
তৌহিদ
নিতাই দাদা আপনাদের বিচার করার এই গুরুদায়িত্ব অথবা সাধ্য কোনটাই আমার নেই কিন্তু! সাহসে কুলাবেনা বুঝলেন?
তৌহিদ
আপনাদের বলতে আপুদের বুঝিয়েছি।
তৌহিদ
আপনি তো পুরা স্বপ্নই উল্টায় দিলেন দাদা। মান ইজ্জত সব ডুবালেন !আপনাকে বিশ্বাস করে সম্মান করে মিষ্টির পাহারাদার বানিয়েছি । আপনি বিশ্বাস ভাঙ্গেননি সেটা আমি নিশ্চিত। তবে ঢাকার ফুটপাত থেকে কেনা মিষ্টি কিন্তু ছিলনা, রংপুর থেকে তরতাজা মিষ্টি নিয়ে গিয়েছি। আপুরা সবাই মিলে আগেই মিষ্টি খেতে চেয়েছে তার জন্যই এই ব্যড়াছ্যড়া অবস্থা। ইজ্জত কিন্তু প্লাস্টিক করে দিলেন।
ভালো থাকুন দাদা।
নিতাই বাবু
এ… বলেন কি দাদা! মিষ্টির হাঁড়িটাই তো ভাঙা ছিল। তাছাড়া ভাঙাহাঁড়ির ভেতরকার মিষ্টি নামের জিলাপিগুলো ছিল বাসি-পঁচা। তা একমাত্র সাক্ষী শ্রদ্ধেয় কবি সাবিনা দিদি। আমাকে দোষারোপ করলে আমি ১৪০২ ধারা মোতাবেক মানহানি মামলা কুরুম। বুইঝা লইয়েন!
তৌহিদ
এসব মামলার ভয় দেখায়েন্না দাদা! আমি কিন্তু কঠিন পাব্লিক 😃😃
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
বাহ, খুব চমৎকার স্বপ্ন । ভালো থাকবেন ভাইয়া।
তৌহিদ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ,ভালো থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
হা হা হা হা হা হা হা
এ পর্ব পড়ে টানা ১৫ মিনিট এসেছি।
আহা বেচারী বন্যা আপু!! তাঁর কথা ভাবতেই হাসির মাত্রা কয়েকশ গুণ স্পিডে বেড়ে গেলো। জিলাপির ভাগ না পেয়ে রেগে গিয়ে আমাদের চোর বানিয়ে ছাড়লো।
যাক জিসান ভাইয়া ঠিক আছে দেখে বেশ ভালো লাগলো। উনাকে ছাড়া মিলন মেলা অসম্ভব।
এ যেনো বাস্তবে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা
দারুণ দারুণ লিখেছেন ভাইয়া
তৌহিদ
দেখলেন তো মেয়েরা মেয়েরা চুলোচুলি করলে কি হয় নিজেরা নিজেদের শত্রু হয়ে পড়েছেন হা হা হা হা।
আপনাকে হাসাতে পেরে ভালো লাগছে আপু । জিসান ভাইয়া ভালো আছেন ইনশাল্লাহ! তবে চিন্তা করবেন না মিষ্টি সবাইকে খাওয়াবো। ভালো থাকুন আপু।
নিজের যত্ন নিন, শুভকামনা সবসময়।
ব্লগ সঞ্চালক
স্বপ্ন চলুক দুর্বার গতিতে সোনেলার সোনালী মানুষদের নিয়ে ♥♥
তৌহিদ
স্বপ্ন লেখার প্রতিটি পর্বে সোলার ব্লগারদের স্বপ্ন সফলভাবে ফুটে উঠুক এটাই চাওয়া। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নাজমুল হুদা
আগে একটু হাইস্যা লই।
মিষ্টি সামলানোর দায়িত্ব দিয়া শেষমেষ পাকিস্তানি রাজাকার বানাইয়া দিলেন আমারে। যাক আপুদের পেট ভরাতে পারছি বলে স্বার্থক। মালিক আমারে বুঝলো না এতদিনেও আপুরা ঠিকই বুঝছে।😆
তৌহিদ
হাসো আরো জোরে জোরে হাসো। তবে জানো তো রাজাকার শব্দটিতে আমার ঘৃণা আছে। তুমি আমাদের সকলের আদরের ভাই। আপুদের সঙ্গে মিলিয়ে একটু দুষ্টুমি করেছে, এটা তেমন কিছু না। তাই বলে রাজাকার নয়। তোমার এমন দুষ্টুমি সবসময় ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা হবে প্রিয় কম্পাউন্ডার। ভালো থেকো ভাই।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলার সমস্ত একটিভ ব্লগারদের নিয়ে ভার্চুয়াল একটি মিলন মেলার স্বপ্ন গল্পের অসাধারন আয়োজন সম্পন্ন করলেন।
বিমান যাত্রা, বিমান বন্দর, পরিবহনের জন্য গাড়ি, হোটেলে যাবার গাড়ির রুট, বিভিন্ন স্টপেজ থেকে ব্লগার গাড়িতে ওঠা, রাস্তার ট্রাফিক পুলিশ, হোটেলে অভ্যর্থনা, খাবার দাবার নিয়ে খুনসুটি- সবকিছু অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে উঠিয়েছেন লেখায়। এই স্ক্রিপ্ট দিয়ে তো একটি দারুণ ভিডিও বানাতে পারতেন আপনি। ইউটিউবে আপলোড দিলে হিটে হিটায়িত হয়ে যেত মাস্ট 🙂
নিখুঁত একটি গল্প পড়লাম, যার চরিত্রে রুপায়ন করা পাত্রপাত্রীরা একান্তই চেনা, হৃদয়ের অংশ একেকজন।
পরের লেখকদের জন্য কঠিন করে দিলেন তৌহিদ ভাই। সত্যি খুবই ভালো হয়েছে পোষ্ট, এবং নিখুঁত আর উচ্চমানের।
যেভাবে সমস্ত ব্লগারদের নিয়ে আসলেন লেখায়, অন্য কেউ এভাবে পারেন কিনা সন্দেহ আছে।
সোনেলার প্রতি আপনার আবেগ, ভালোবাসা; অন্য ব্লগারদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আপনার লেখায় প্রকাশ পেয়েছে।
যে সমস্ত ব্লগারদের নাম আছে পোষ্টে, তাদের সবার অংশ নেয়া উচিৎ এই স্বপ্নের মিলন মেলায়।
ভালো থাকুন ভাই।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
ভাইজান,ইঞ্জা ভাইজান আর আমাকে তৌহিদ ভাই বিমানেই রেখে গিয়েছেন আমরাতো হাড়ি ভাঙ্গা মিষ্টি হতে বঞ্চিত হলাম।তবে হ্যা মনে কষ্ট থাকবে না যদি না আমাদের হাড়ি ভাঙ্গা মিষ্টি বাস্তবে খাওয়ান। অনবদ্য বর্ননা ।
তৌহিদ
মমি ভাই আপনি ভুলে গিয়েছেন প্লেন থেকে নেমে আপনি আমাদের সঙ্গে বাসে আসছেন। আপনার জন্যই তো আমি অপেক্ষা করছিলাম। ইঞ্জা ভাইকে সাথে নিয়ে এলেন বাসে উঠলেন। হাহাহা আপনি কি সব ভুলে যান? চাপে আছেন বুঝতে পারছি ।
তৌহিদ
ভাইজান প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এরকম একটি বিষয়কে ধারাবাহিক লেখায় আনা যেতে পারে সে ধারনা আমাদের সবার মাঝে দেয়ার জন্য। সেইসাথে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন দিয়েছেন উৎসাহ।
সোনেলার সকল ব্লগার তাদের নিজেদের স্বপ্ন লেখার মাধ্যমে এই ধারাবাহিকে প্রকাশ করবেন এটাই চাওয়া। আমি আমার গল্পে সবাইকে নিয়ে আসার অনুপ্রেরণা আপনার পর্বটির মাধ্যমেই পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা আপনার কাছে অবশ্যই।
লিখাটি লিখতে গিয়ে কোন ধারণাই আমার মাথায় ছিলনা পরে কিভাবে কিভাবে যেন লিখে ফেললাম এবং অবশ্যই আপনার দেয়া ধারণার মাধ্যমে। গল্পে সবাইকে নিয়ে আয় এসে চরিত্রে স্থাপন করে লেখা খুব কষ্টসাধ্য। তারপরেও পেরেছি ব্লগের সবার উৎসাহ অনুপ্রেরণায় যার প্রতিফলন এই ধারাবাহিকের মন্তব্যে সবার নাম দেখেই বুঝতে পারছেন।
আহা কোন পরিচালক যদি এই স্ক্রিপ্ট দেখতো! হয়তো একদিন আমরাই বানিয়ে ফেলবে এমন ভিডিও আশা করতেই পারি তাইনা।
সোনেলাকে ভালোবাসি বলেই আমার আবেগ একটু বেশি কাজ করে। ভুলত্রুটি অবশ্যই ক্ষমাযোগ্য। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। নিজের যত্ন নিন। শুভকামনা সবসময়।
মাহবুবুল আলম
তৌহিদ ভাই এইডা একটা কামের কাম করলেন.?
আমারে দিলেন আপ্যায়নের দায়িত্ব। আমি কী জিসান ভাইয়ের সামনে নিরপেক্ষ থাকতে পারবো! জিলেপির কাহিনিটা শোনেন নাই। হায় কপাল। আমার ওপরেই শেষ পর্যন্…
তৌহিদ
ভাইজান আপনি মুরুব্বী এবং আমাদের সবার থেকে আপনার অভিজ্ঞতা বেশি। তাই খানাপিনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব আপনাকেই করতে হবে কিন্তু তাইনা?
নিরপেক্ষ না হলেও এক আধটু হাত সাফাই করে খেয়ে নিবেন ভাই। কেউ দেখবে না ,হা হা হা হা। ডায়াবেটিস আছে তো কি হয়েছে? ভাবিকে আমাকে কিছু জানাবো না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন সবসময়।
নৃ মাসুদ রানা
আমাদের গাড়ি কারওয়ান বাজার পানির ফোয়ারার কাছাকাছি গিয়ে সাইড লেনে থামতেই সামনে দাঁড়ানো ট্রাফিক কনস্টেবলটি হম্বিতম্বি শুরু করে দিয়েছে। দেখতে অবিকল নৃ-মাসুদ রানার মত। সে বলছে এখানে নাকি বাস দাঁড়ানো যাবেনা। লেখদের জন্য বরাদ্দকৃত এই বাসে কিছু লেখক উঠবেন এবং আমাদের দাঁড়ানোর অনুমতি আছে একথা তাকে কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছেনা। বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় আর কি!
রাস্তার ওপারে এক সুন্দরী ট্রাফিক সার্জেন্ট হাত তুলে পারাপারের জন্য অন্যান্য গাড়িগুলোকে ফুঁ ফুঁ করে বাঁশী বাজিয়ে দক্ষ হাতে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন। ঝামেলা মিটাতে তিনি আমাদের এগিয়ে এলেন। আরে! এতো আমাদের প্রিয় ব্লগার সাবিনা আপু। তিনি কাছে আসতেই কাছুমাছু মুখ করে নৃ মাসুদ পালিয়ে গেলো।
সত্যি! অসাধারণ। খুব মজা পেয়েছি। হাসিও পেয়েছে খুব।
তৌহিদ
আমার লেখায় আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম মাসুদ ভাই। আশা করি নিয়মিত পাশে পাব। লেখা পড়ে ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। আপনিও ভাল থাকুন ভাই।
সাদিয়া শারমীন
খুব হাসলাম ভাইয়া। আর এত এত মিষ্টি,জিলেপির মাঝে নিজেকে হারিয়ে এখনই স্বপ্ন দেখছি। সবার মাঝে নিজের নামটা দেখেও ভালো লাগছে।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম ।অনেকদিন আপনার লেখা পাইনা কিন্তু?
লেখা পড়ে আপনার ভাল লেগেছে এটাই একজন লেখকের পরম পাওয়া। ভালো থাকুন সবসময়।
উর্বশী
স্বপ্নের মাঝেই দারুন মিলন মেলার অনুষ্ঠান,আর সেখানে আমাকেও রেখেছেন।সেজন্য ভাল তো লেগেছেই সাথে আন্তরিক ধন্যবাদ। এত নিখুঁত ভাবে চরিত্র গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে যেন চোখ বন্ধ করে অনুভবে সত্যি মিলন মেলা। বন্যা আপু জিন্দাবাদ, তিনি হ্যাট্রিক করে ফেলেছে।।প্লেনে দেখা, জিলিপী ভাগে না পেয়ে লাল মুখ করে ক্ষোপ প্রকাশ করা,অবশেষে পানের রস।সাবিনা আপু ও কম নয় বন্যা আপুর পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন।পড়তে পড়তে হেসেছি অনেক ভাইয়া।তবে নিজের নাম দেখে ভালো র পরিমান বেশী ছিল। লেখা এক কথায় পড়ে তৃপ্তি পাওয়া।
বন্যা লিপি
উর্বশী, লেখক সহ মন্তব্যকারীরাও আমারে টক অব দ্য সোনেলা ব্লগ বানাইয়া ছাড়লো। পুরাই হিট লিষ্টে তুইল্যা দিলো লেখক আমারে এই স্বপ্নে।
তৌহিদ
আপনি অবশ্যই সোনেলার মধ্যমনি আপু। আপনার জন্য আমাদের সকলেরই গর্ব হয় তা কি জানেন?
তৌহিদ
আর আপনে যে আম্রে ভূত বানায় টক অব দ্যা কাউন্ট্রি করলেন তার কি হপ্পে!!
তৌহিদ
আপু কেন যে আগে এলেন না সোনেলায়! আমরা এখানে একটি পরিবারের মতো। সেই পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনাকে পেয়ে আমরা ধন্য।
আমরা মাঝে মধ্যেই এরকম লেখার আয়োজন করে থাকে অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন এবং আমি নিশ্চিত আপনিও সেই আনন্দের একজন অন্যতম ভাগিদার হতে পেরে গর্ববোধ করবেন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। নিয়মিত আমার লেখায় আপনাকে পাব আশা করি ।শুভকামনা সবসময়।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আপনাদের মিলনমেলায় অনেক আগে এ্যাড হতে না পেরে কষটই হচ্ছে।কি ভালোবাসা আর অটুট বন্ধন।কেউ কাউকে ছাড়া অসম্পূর্ণ॥অনেক ভালো লাগলো।
তৌহিদ
আপু এই যে এখন এসে গিয়েছেন, কোন সমস্যা নেই। সোনেলা পরিবারে আগেপিছে বলে কোন কথা নেই। আমরা সবাই নিজেদের মতো সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেই। আপনিও তার বাইরে নন কিন্তু! মন্তব্যে প্রীত হলাম। ভাল থাকুন সবসময়।
শুভকামনা।
মনির হোসেন মমি
হা হা হা হু হু হু এতো হাসি কই রাখি! চরিত্রগুলো সব ঠিকাচ্ছে মনে হয় ভাবীর সাথে শলাপরামর্শ করেই এ সব চরিত্রের রূপ দিয়েছেন।বুঝা গেল বন্যাপু পেটে কথা রাখতে পারেন না।সব ঠিকাচ্ছে হেলাল ভাইজান আপনাকে খুজছে মোটেলের ব্যায় খরচ নাকি মিটিয়ে আসেননি।
বলা যায় স্বপ্ন এর একটি সফল চিত্রায়ণ।ধন্যবাদ প্রিয়।
আসলে এতো পরে আসলে মন্তব্য করার ভাষা আর থাকে না।সবায় কত কত মজা করছেন “স্বপ্ন” একটি ভার্চুয়াল আড্ডায় এক্সসেপ্ট আমি ছাড়া।ভাগ্যের বিড়ম্ভনায় জীবনের রং রস ফ্যাকাশে। তবুও সাথেই আছি থাকব।
তৌহিদ
ভাইয়া তা ঠিক বলেছেন, ভাবির সাথে পরামর্শ করে সব হয়েছে। না হলে মিষ্টি তো বাঁচাতে পারতাম না। কো-পাইলট হিসেবে আপনার অনুভূতি কেমন তা তো বললেন না? আকাশের প্লেন থর থর করে কাঁপছিল কিন্তু!
লেখায় আপনার মন্তব্যে খুবই ভালো লাগছে ভাই ।কবে নিয়মিত হবেন বলুন তো? আপনাকে খুব মিস করি।
স্বপ্ন ধারাবাহিক লেখায় সকল ব্লগারদের সফল অংশগ্রহণে চমৎকার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এর জন্য অবশ্যই জিসান ভাই এবং প্রথম লেখার জন্য ইঞ্জা ভাইয়ের ধন্যবাদ প্রাপ্য।
ভালো থাকুন সবসময় , শুভকামনা রইল।
মনির হোসেন মমি
জানি না কবে নাগাদ নিয়মিত হতে পারব তবে সাথেই আছি থাকব।
তৌহিদ
তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন ভাইডি ☺
সাবিনা ইয়াসমিন
গল্প পড়ে মাথা ঘুরাচ্ছে!! এতো ব্লগার আমাদের এই সোনেলায়!! আবার সবার নাম মনে রেখে তাদের একেকটা চরিত্রে চিত্রায়িত করেছেন, মানে আমার তো অবাক এর উপ্রে অবাক লাগছে!! ক্যাম্নে কি ভাই?
তৌহিদ
এত অল্পেই মাথা ঘুরালে হবে? জিসান ভাইজানের লেখা থেকে নিজে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখলাম আমিও। একটু কষ্ট হয়েছে বৈকি!
সাবিনা ইয়াসমিন
ভাইরে, আমি আসলেই তব্দা খেয়ে গেছি। এতো এতো ব্লগারদের নাম মনে রেখে তাদের চরিত্রে আনা সহজ কাজ নয়। কষ্ট সেই রকমের করেছেন বলেই লেখাটা এত মিষ্টি হয়েছে 🙂
তৌহিদ
লেখা মিষ্টি লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
আরজু মুক্তা আপুর রান্না করে নিয়ে আসা কচি বাঁশের তরকারি, মুক্তা আপুর পাটশাক, সুরাইয়া নার্গিস আপুর কাঁঠালের বিচি ভর্তা, সুরাইয়া পারভীন আপুর টকঝাল কচুর লতি রান্না, মণি আপুর স্নাকস, শিরিন আপুর ডেজার্ট এতসব খাবার….. বলি এতো এতো খাবার রেখে আমি মিষ্টিচোর হতে গেলাম কোন দুঃখে তৌহিদ ভাই?
তৌহিদ
আরে ছি ছি! কি বলেন আপু? ভাইয়ের আআনা মিষ্টি বোন খাবে এখানে চুরির কথা হচ্ছে কেন? আপনি হচ্ছেন পুলিশ অফিসার! তাই আপনাকে আসলে দুই সুরাইয়া ফুসলিয়েছে যাতে পরবর্তীতে আপনি কোন একশন না নেন। আর আপনি তাদের আদর করেন বলেই ভেবেছেন- যাক একটু মিষ্টি খাবে মজা করে এতে কোন সমস্যা নেই তাই কিছু বলেননি তাদের। ঘটনাতো আসলে ঘটিয়েছে নাজমুল। আপনিইতো সোনেলার মিলনমেলার কাণ্ডারি। এত ডিটেইলস লিখলে গল্পে মজা থাকেনা, কিছুতো বুঝে নিতে হয়!
ভালো থাকুন আপু। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে আমার লেখায় আপনি আড্ডায় অংশগ্রহণ করলে ভালো লাগতো।
শুভকামনা জানবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আড্ডায় না এসে কই যাবো, তবে কিনা আপনার এই বোনটা একজন যথার্থ গৃহকামলা। তাই সময়ের সাথে সব সময়ের সাথে পাল্লা দিতে পারে না 🙁
সুরাইয়া নার্গিস
তৌহিদ ভাইয়া সব দোষ সুরাইয়া পারভীন আপুর, তিনি তো আমাকে মিষ্টির খবর দিলেন।
আর যেখানে মিষ্টি আপু আছেন সেখানে মিষ্টি খাওয়াই যায়।
আমি শুধু সহযোগী ছিলাম সব প্লেন তৌহিদ ভাইয়ার তিনি গল্পের রিয়ের হিরো ☺
তৌহিদ
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় জানেনতো!! ☺
তৌহিদ
সুরু ১ (নার্গিস) আপু, মিষ্টি খেয়ে পেট ভরেছেতো! আমার ভাগেরটা খুঁজে পাইনি কিন্তু! কে যেন সাবাড় করে দিয়েছে।
নীরা সাদীয়া
মন্তব্য ১. এতগুলো মিষ্টির নাম জেনে বিশেষ করে পোস্টের ছবিটা দেখে এখন আমার এগুলো খেতে মন চাইছে!
মন্তব্য ২. এই গল্প পড়ার পর আমি আত্নবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি, আমি এত সুগঠিত গল্প লিখতে পারব না।
তৌহিদ
সামনে আসিতেছে শুভ দিন, মিষ্টি পাবেন যত সব খেয়ে নিন ☺
আত্মবিশ্বাস হারালে হবে? উৎসাহ, অনুপ্রেরণা নিন আপু।
শুভকামনা রইলো।
দালান জাহান
সব ব্লগারদের নিয়ে এমন রম্যগল্প সাজানো কোন সহজ কথা নয়। পুরো গল্পটা একটা ভ্রমন হলো যেন। সৈয়দপুর থেকে ঢাকা বিমানের পাইলট কো পাইলট এয়ার হোস্টেজ রাস্তার যাত্রী ট্রাফিক সার্জেন্ট মিষ্টি সবকিছু শেষে ঢুকলো এক জিলেপির প্যাচেে। খুব কষ্টসাধ্য কাজ করেছেন ভাই। আমি হয় তো পারতাম না। আপনাকে অভিনন্দন।
তৌহিদ
পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাই। আপনার অংশগ্রহণ চাই।
মণি কাশফিতা
তৌহিদ ভাই ভীষণ ভালো লিখেছেন। এবং সেই সাথে মুক্তা, মণিকে ভালোই চিনে ফেলেছেন বোঝা গেছে😍
তৌহিদ
আপনারা হচ্ছেন আমার আদরের বোন, আপনাদের চিনবোনা তাই কি হয়!!
ভালো থাকুন আপু।