মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি আননোন নাম্বার।
হ্যালো!
পরিচয় পেয়ে দেখি যুঁথি আপু আর সাদিয়া আপু আগেই চলে এসেছে। বিকেলে ওরা পতেঙ্গা যাবে, ওদের সঙ্গ দিতে হবে।
এদিকে জিসান দাদার কথামতো ফয়েজ লেক সিলেক্ট করেছি। ওখানকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমার বন্ধু। সবকিছু ৩০% কমিশনে করেছি। আর ওখানে লেক, পাহাড়, কটেজ, রেস্টুরেন্ট, ওয়াটার পার্ক, এ্যামিজমেন্ট পার্ক, চিড়িয়াখানা। এক কথায় চমৎকার। সবাইকে মুগ্ধ করবে আশা করি।
আমি ডেট অনুসারে যথাসম্ভব গুছিয়ে কাজ করছি।
পরেরদিন ফয়েজলেকে গিয়ে সবকিছু ঠিক আছে কিনা চেক দিলাম। আমার এক বন্ধু ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। ওকে মঞ্চের দায়িত্ব দিলাম। আমি ৫ কেজি ছুরি শুটকি আর রূপচাঁদা মাছ কিনে বাড়ি ফিরলাম।
১০ তারিখ আমি, নাবা, ওর বাবা, ফয়েজলেকের গেটে ১০০ গোলাপ দিয়ে তাদের বরণ করে কটেজে পৌঁছে দিলাম। আমাদের নারী ব্লগাররা যেহেতু চটপটে, ওনারা দ্রুত ফ্রেশ হয়ে যা যা তৈরি নাস্তা আনছে ওগুলো হলরুমে আনলো। ওখানকার বয় বেয়ারা সুন্দর করে প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন করলো।
এবার বেড়িয়ে পরার পালা। লেকে নৌকা ভ্রমণ এবং সেই সাথে ওয়াটার পার্কে ভ্রমণ। ফিরে খাওয়া দাওয়া সারা হলো চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে।
লেকের পাশে মঞ্চ রেডি। ব্লগারদের হাতে ছোট ছোট কাগজ দেয়া আছে। সবাই ঐ অনুসারে গান, নাচ অভিনয়, কৌতুক বলে আসর জমিয়ে তুললো। সবশেষে, আমাকে ইন্জা ভাইয়ের টপিকস অনুসারে বক্তৃতা দিতে বলা হলো।
ছোট শব্দ। অথচ এই শব্দটাই পাল্টে দিতে পারে আমাদের জীবনকে। প্রতিকূলতাকে জয় করতে, নিজের জীবনের মোড় ঘোরাতে হলে আমাদের দেখতে হয় স্বপ্ন। এটা মানুষের মানবিকতার একটা অংশ। হয়তোবা সবচেয়ে বড়। রোবট বা কম্পিউটার এদের সাথে মানুষের বড় পার্থক্য এটাই।
আমরা হয়তো বিদ্যুৎ গতিতে কাজ না করতে পারি। কিন্তু অসাধারণ অসম্ভব সব স্বপ্ন দেখতে পারি। নানা জটিলতায় পিছিয়ে গেলেও ইতিহাস বলে বহু মানুষ পেরেছে।
সিগমুন্ড ফ্রয়েডের মতো আমিও বলি, ” #স্বপ্ন মূলত মানুষের গোপন আকাঙ্খা এবং আবেগগুলোর বহিঃপ্রকাশ। ” প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করতেন, স্বপ্নের মাধ্যমেই ঈশ্বরের সান্নিধ্য পাওয়া যায়।
কলেজে পড়ার সময় রসায়ন স্যার বলেছিলো, ” স্বপ্নেই যখন খাবি, বড় রসগোল্লাটাই খাইস।”
বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। এই চিরসত্য কথাটা পথশিশুদের ক্ষেত্রে খাটেনা। মায়ের স্নেহ কী, ওরা জানেনা। তাদের বাবা মা নেই, অনেকের থেকেও নেই। অবহেলা শব্দটি ওদের সঙ্গে জড়িত। যে সময় ওদের হাতে বই থাকার কথা, তখন খাদ্যের সন্ধানে ওদের কাটে কাগজ কুড়িয়ে, বোঝা টেনে কিংবা ভ্যানের পিছনে ঠেলা দিয়ে। কেউবা খারাপ লোকের দ্বারা পরিচালিত হয়ে ভুল পথে পা বাড়ায়। এদের এমন এক স্কুল দরকার যেখানে তারা খেলার মাধ্যমে কাজ করবে এবং পড়বে। সাথে থাকবে নৈতিক শিক্ষা।
আমার বাড়ি থেকে দুই মাইল দূরে একটা এতিমখানা আছে। যেখানে তারা শুধু একবেলা খায়। আশেপাশের গ্রাম থেকে কিছু খাবার না আসলে, তাদের এভাবেই দিন কাটে। কতো কষ্টকর জীবন তাদের!
সোনেলার প্রত্যেক সদস্যকে বলছি। আমরা কি পারিনা এদের জন্য কিছু করতে? আমরা মাসে যদি ২০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে একটা ফান্ড করে জমা দেই। তাহলে বছরে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা হয়। এভাবে পাঁচ বছর পর যে এ্যামাউন্ট দাঁড়াবে। তা দিয়ে এরকম একটা এতিমখানা বা পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানো যায়।
জানি, এ পথে সাফল্য এতো সহজ নয়। তবে, অসম্ভব নয়।
আমরা কিন্তু ২০ টাকা দিয়ে এক প্লেট ফুচকা বা চটপটি প্রতিদিন খাই।
আমার ভাবনাটা আপনাদের মাঝে দিলাম। স্বপ্ন তো নিছক কল্পনা নয়। স্বপ্ন মানে গন্তব্য।
বাইবেল থেকে একটা উক্তি দিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।
” He who liveth, he who believeth, shall never die. ”
সবাই ভালো থাকবেন। সোনেলার অগ্রযাত্রা শুভ হোক।
এরপর বিদায়ের পালা। সবাই সবার মতো সৌজন্য কথাবার্তা সেরে নিচ্ছে। এমন মিলন মেলার জন্য আবারও একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে।
সাউন্ড বক্স থেকে গান ভেসে আসছে, ” আবার হবে তো দেখা? এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো? ”
৭০টি মন্তব্য
রেজওয়ানা কবির
পড়লাম সর্টকাট কিন্তু এতিমখানা ব্যাপারটি বেশি ভালো লাগল।ভাল উদ্যেগ।
আরজু মুক্তা
জি, ধন্যবাদ।
সিকদার সাদ রহমান
পড়লাম, ভালো লেগেছে তবে লেখাটা গল্পের চেয়ে প্রবন্ধ বেশি মনে হয়েছে। এবং সর্বশেষ একটা প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। প্রস্তাবটি ভালো।
আরজু মুক্তা
না, প্রবন্ধ হলে টপিক একটা থাকে। ক্যারেকটার থাকেনা। এ্যামিজমেন্ট থাকেনা।
প্রস্তাবটি ভালো লেগেছে জেনে, আমার ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
শুটকী, রূপচাঁদা এগুলো কেমন লাগলো কিছুই বললেন না?
ইঞ্জা
আপু সকালে আসবো।
আরজু মুক্তা
সেই অপেক্ষায়
ইঞ্জা
আপনার আকুতিটা মনে ধরলো আপু, দেখা যাক আমরা কিছু করতে পারি কিনা।
সাথে আছি আপু।
আরজু মুক্তা
আপনার সহযোগিতা সাথে অন্যদের মতামত কামনা করছি। কিন্তু গল্প কেমন লাগলো সেটা বললেন না?
ইঞ্জা
আপু উপরের কমেন্টটিই তো বলে দেয় যে লেখা খুব ভালো লেগেছে। 😊
সাদিয়া শারমীন
আপু একেবারে অন্যরকম স্বপ্ন দেখালেন আমাদের। সত্যি যদি ছোটো ছোটো ফুলগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সোনেলা পাশে থাকে তবে এ হবে মহৎ উদ্যোগ।ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
আপু, আপনার কমেন্ট ভালো লেগেছে। আসলে ছোট মুখগুলো চোখে ভাসে।
শুভকামনা
আরজু মুক্তা
শুটকী, রূপচাঁদা মাছ কেমন লাগলো তা বললেন না। আবার পতেঙ্গা ঘুরালাম। কিছু একটা তো বলেন?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু লেখাটি শেষ হয়েও শেষ হলোনা। আরো কিছু যোগ করলে সম্পূর্ণ লাগতো। উদ্দেশ্য টা ভালো। স্বপ্ন এমনি হতে হয় যা আমাদের কে ঘুমাতে দেয় না। আপনার বিষয় নির্বাচন দারুন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
আরজু মুক্তা
উপস্থাপনাটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
শুভকামনা জানবেন
আরজু মুক্তা
শুধু লেখা আর আনুসাঙ্গিক অন্য কিছু?
খাদিজাতুল কুবরা
আমার মনে হয় এমন স্বপ্ন দেখা ও পূণ্যেেে কাজ।
আমার খুব ভালো লেগেছে। আমিও চট্টগ্রামবাসী তাই মিলনমেলাতে উচ্ছ্বসিত হলাম। যদি সত্যি এমন হতো।
এতিমখানার বিষয়টি বাস্তবায়ন করা গেলে অনেক বড়কিছু হবে। আপু আপনার সাথে আমি একমত।
অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা রইল স্বপ্নের জন্য।
আরজু মুক্তা
আপু, মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
শুভকামনা জানবেন।
খাদিজাতুল কুবরা
পূণ্যের
আরজু মুক্তা
ওকে
ফয়জুল মহী
অনুপম লেখা I
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই
নিতাই বাবু
ভালো গাগলো আপনার স্বপ্ন নিয়ে লেখা। তো আপনার ভালো লাগা গানটি কিন্তু আমারও প্রিয় গান।গানটা এখানে আছে! আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক, এটাই কামনা করি। তবে হ্যাঁ, সোনেলা ব্লগের সকলের সাথে আমিও আছি। ২০ টাকা নয়, যদি মাসে ৫০-১০০ টাকাও হয়; তাতেও আমি রাজি আছি। যেহেতু এই টাকা দশজন এতিমের কাজে লাগবে, তাই।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি।
আরজু মুক্তা
দাদা, গানটা আবার শুনলাম। আসলেই, এরকম একটা উদ্যোগে সবাই থাকবো।
আপনি ভালো থাকবেন, আশা করি।
ছাইরাছ হেলাল
আহা কতদিন শুঁটকি রান্না করি না!!
মেজবানের কথা তো কিছু কৈলেন না !!
আপনার প্রস্তাবনা অনেক সুন্দর, সবাই যান্ত্রিক প্রচেষ্টা নিলে অনেক অসাধ্য ই সাধন করা যায়।
গল্পটি আপনি ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেলেন।
আরজু মুক্তা
আচ্ছা, কোন একসময় আপনার বাসা গেলে শুটকি রান্না করে নিয়ে যাবো।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আপু ভালো লাগলো।
ভালো উদ্যোগ সবসময়ই প্রশংসনীয়।
আপু তারা ছিল কি?আর একটু হলে ভালো হত।
আরজু মুক্তা
আপনি তাহলে ভালো করে পড়েনি। ১০০ ব্লগারদের কথা বলা হয়েছে। ওখানে কি তাঁরা নেই?
শুভকামনা আপনার জন্য।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
“আপু তারা ছিল কি?আর একটু হলে ভালো হত।”
সরি তারা নয় তাড়া হবে॥বানান ভুল হয়েছে।
আর একটু হলে ভালো হতো মানে খুব মনোযোগ দিয়েই পড়ছিলাম হঠাতই শেষ হয়ে গেল।
আর একটু টেস্ট নিতে চাচ্ছিলাম।
ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকুন। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
ছোটখাটো অনুষ্ঠান। এক বেলায় শেষ করতে হবে, খাওয়া দাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবি থাকলো। আর কি করা যেতো? বলেন যোগ করে দেই।
সুপায়ন বড়ুয়া
বোনটি আমার চট্টলার
ছোট লেখা গুছিয়ে
শেষ করলেন স্বপ্ন ধারায়
রূপ লাবন্য মিশিয়ে।
প্রিয় আমার চট্টলায়
ফয়েজ লেকের আঙিনায়
শুটকী ভত্তা রূপচাঁদা মাছে
প্রীত হল সবজনায়।
শুভ কামনা আপু
আরজু মুক্তা
দাদা, ভালোবাসা জানবেন।
সুরাইয়া নার্গিস
লেখাটা ভালো লাগলো আপু ভালো উদ্যোগ ব্যক্তিগত ভাবে আমি অনেক ভাবে অনেকজনকে সাহায্য করি। ইনশাল্লাহ্ ব্লগ থেকে এমন উদ্যোগ নিলে অবশ্যই পাবে থাকবো।
সবার গল্প পড়তেছি এবার আমার পালা জানিনা সবার মতো এত গুছিয়ে লিখতে পারবো না কিনা! তবে চেষ্টা করবো লিখার যতটা পারি।
ভালো থাকবেন আপু, শুভ কামনা রইল।
আরজু মুক্তা
আমরাও অপেক্ষায়।
ভালো থাকবেন
তৌহিদ
আপনার সহজ সরল সৎ স্বপ্নের কথা জেনে ভালো লাগলো। সবাই মিলে কিছু করতেই পারি। ১০০ লাল গোলাপ এটি দারুণ একটি ব্যাপার কিন্তু! মেজবানি রান্না! কত্তদিন খাইনা, এবার ফয়েজলেকে যদি কেউ খাওয়ায় তাহলে স্বপ্ন স্বার্থক হবে।
কিন্তু গতপর্বে স্বপ্নের শেষ কোথায় হয়েছিলো তা এখানকার শুরুটাতে ধরতেই পারলামনা। আবার আপনার স্বপ্ন শেষ যে কোথায় হলো পরের পর্বের লেখক তা ধরতে পারবে কিনা সেটাতেও সন্দিহান আমি।
যাক, খাপছাড়া স্বপ্নকে গুছিয়ে নিলেই হবে।
ভালো থাকুন আপু। শুভকামনা রইলো।
সুরাইয়া নার্গিস
ভাইজান আমিও শিওর না, তবে গান শোনতে শোনতে স্বপ্ন দেখা শুরু করবো..
তৌহিদ
এখন ঠিক আছে, লিখুন আপু।
আরজু মুক্তা
সম্পাদন করা হলো। পড়ে দেখেন।
ভালো লাগবে
কামাল উদ্দিন
আগের সবগুলো পর্ব পড়িনি সময়াভাবে, পরে আমি পড়ে নেবো। কিন্তু আপনি গরীব মানুষদের ভালো রাখার জন্য যে স্বপ্নটা দেখছেন তার জন্য অবশ্যই স্যালুট। এসব বাস্তবায়ন করা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের কথাটা আমি সব সময় মনের ভেতর ধারণ করি “স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে স্বপ্ন দেখতে হবে। আর স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখ, স্বপ্ন হল সেটাই যেটা পুরণের প্রত্যাশা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।”
আরজু মুক্তা
জি ভাইয়া।
ভালো থাকবেন
কামাল উদ্দিন
আপনিও সব সময় ভালো থাকুন আপু।
রেহানা বীথি
একটা মহৎ উদ্দেশ্যের কথা শুনলাম। উদ্দেশ্যটা স্বপ্নে রূপান্তরিত হোক।
ভালো লাগলো আপনার লেখা।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ আপু
আরজু মুক্তা
আপনাদের সবার সহযোগিতা পেলে অনেক কিছু সম্ভব
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর একটি মিলন মেলা আবার একটি সত্যের অবলহন। হ্যা আমরা অবশ্যই পারি। সেখেত্রে পিছুটান নাহি চাই। কে কি বলল সেটা দশের কাজ করতে গেলে ভাবলে হয়না।
শুভকামনা রইল।
আরজু মুক্তা
ভাইয়া, কমেন্ট ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল থাকুন
তৌহিদ
এখন শুরুটা মোটামুটি ঠিক আছে আপু। দেখলেনতো কত্ত সহজ!
শুভকামনা সবসময়।
আরজু মুক্তা
আমি তো সব পারি। আপনার আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ
সাবিনা ইয়াসমিন
স্বপ্ন সিরিজ নতুন আঙ্গিকে মোড় নিয়েছে এই পর্বে।
স্বপ্নের বিষয় বস্তু অবশ্যই নিজ স্বপ্ন দিয়েই লেখা ভালো। তবে এটা যেহেতু সম্মিলিত গল্পের অংশ তাই এর ধারাবাহিকতাও বজায় রাখতে হবে।
আপনার সুস্বপ্নের কথা জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। দশে মিলে কোনো উদ্যোগ নিলে সেইকাজ বৃথা যায় না। মাসিক বিশ টাকা হারে বছরে দুই লক্ষ বিশ হাজারের হিসেবটা বুঝিনি। ব্লগে মোট ব্লগার কতোজন তা কখনো পুরোপুরি নির্নয় করা সম্ভব না। এখানে নিত্ত ব্লগারদের আগমন ঘটে, আবার চলে যান অনেকেই।
স্বপ্ন সফল হোক। জয় হোক সোনেলার।
শুভ কামনা 🌹🌹
আরজু মুক্তা
আপু, চেষ্টা করলাম জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার। ধারাবাহিকতা একটু একটু বজায় রেখেছি তো। খাওয়া দাওয়া, অনুষ্ঠান সবি তো থাকলো।
১০০ জন ২০ টাকা করে চাঁদা দিলে হয় ২০০০। এটা এক বছরে ২ লাখ ৪০। যারা যারা রাজি তারা দিলেই হবে। ঐটা আমি এমনি হিসেব দিয়েছি। আর স্বপ্ন মানেই তো গন্তব্য। সবাই মিলে করলে অসম্ভব নয়।
আপু আপনাকে শুভপচ্ছার ফুলঝুড়ি।
কামরুল ইসলাম
ভাল লাগলো,
স্বপ্নটা ও জানা হলো,
হ্যা, আমরা পারি স্বপ্নটা বাস্তবে রুপ দিতে,
,
শুধু ইচ্ছে টা থাকলেই হয়, বা সম্ভব
আরজু মুক্তা
জি ভাই। ইচ্ছে থাকলে হয়। আর ফয়েজ লেক ঘুরাঘুরি কেমন হলো? কিছু বললেন না যে?
কামরুল ইসলাম
আমি তো যাইনি আপু,
জানি ও না,
অনেক দিন ব্লগে ডুকিনি
জানতে পারলে যেতাম অবশ্যই, সবার সাথে পরিচয় হওয়ার সুযোগ ছিল
আলমগীর সরকার লিটন
কল্পনিক শক্তি বেশ মুক্তা আপু অনেক শুভেচ্ছা রইল
আরজু মুক্তা
কই বেশি? আপনার মতো। ফয়েজ লেক, খাওয়া দাওয়া এসব বিষয়ে কিছুই বললেননা?
শবনম মোস্তারী
আহা! ফয়েজ লেকের কথা শুনে মনটা উচ্ছসিত হয়ে উঠলো।
ভালো লাগার একটা জায়গা। ❤
এতিমদের জন্য কিছু করতে পারলে সত্যি আমাদের খুব ভালো লাগতো।❤
সুন্দর আহ্বান।
ভালো লাগলো আপু।
আরজু মুক্তা
দুই টোনাটুনি ঘুরে আসুন। ডাকলে আমিও রাজি।
তৌহিদ ভাইকে কিন্তু আমার কিপটা মনে হয় না।
জি ভাবি। সবাই মিলে শুধু ইচ্ছেটা প্রকাশ করলে হয়।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
সুরাইয়া পারভীন
দারুণ লিখেছেন আপু
এই লেখায় সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সঞ্চয়ী ব্যাপারটা। আমরা এটা সিরিয়াসলি করতে পারি। শুধু ২০টাকা কেনো আমার মনে হয় মানে ১০০টাকা করে রাখলেও আমাদের কারো গায়ে লাগবে না।
চলুন না এমন একটি উদ্যোগ নিয়েই নিই।
আরজু মুক্তা
আমরা সবাই একমত এবং ইচ্ছেটা জাগ্রত থাকলেই সম্ভব।
আপু শুভকামনা জানবেন।
জিসান শা ইকরাম
এই প্রথম আড্ডা ধরনের স্বপ্ন পোস্ট এর বাইরে গিয়ে কেউ পর্ব লিখলো। এজন্য অবশ্যই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
স্বপ্ন বাস্তবে দেখে স্বপ্ন পর্বে আনায় লেখাটি অনন্য উচ্চতায় স্থান পেয়েছে।
পথ শিশুদের পাশে দাড়ানোর মহৎ চিন্তাটি ভাল লেগেছে খুব। অন লাইনে সাহায্য নিয়ে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কারনে এ নিয়ে কাজ করতে ভয় করে খুব। তারপরেও ব্লগারদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করার ইচ্ছে আছে।
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
শুভ ব্লগিং।
আরজু মুক্তা
আমরা অপেক্ষায় কোনদিন সেই ঘোষণা আসবে? পথশিশুদের পাশে দাঁড়াবো।
এই গল্পটা লিখতে গিয়ে মোট আট পৃষ্টা নষ্ট হয়েছে। বরাবরি আমি চেয়েছি একটু আলাদা করে লিখতে। আমি লিখি মেয়েকে পড়াই। আবার কাটি। শেষ পর্যন্ত এতোটুকু লিখা।
আর আপনাদের প্রশংসা আমাকে লেখার অনুপ্রেরণা য়োগাবে এটাই বড়। সবকিছুতে একটু ব্যতিক্রম ভাবাটা আমার দোষ। তবুও লেখা চালিয়ে যাওয়া। দোয়া করবেন। কথা ও কাজে যেনো সফল হতে পারি।
শুভকামনা। ভালো থাকবেন সবসময়
মনির হোসেন মমি
স্বপ্ন গল্পে আপনার লেখাটা মানবিক দিকের দেখা পেলাম।আসলে ২০ বা তারও কম-বেশ টাকা জমিয়ে একটি বিশাল আর্থপিরীত গোষ্টিকে সহযোগীতা করা কোন ব্যাপার না। সোনেলা মুলত সাহিত্য চর্চার ্লাটফর্ম হলেও ব্লগারদের মানবিক উপক্ষেতিত।এ ব্লগের ব্লগার অনেকেই তা করে আসছেন।আপনার প্রস্তাব অনুযায়ী সোনেলা ব্লগের ব্লগারদের সম্মেলিত মানবিক কর্ম প্রচেষ্টা করা যেতে পারে।এ বিষয়ে ব্লগ কর্তৃপক্ষ চিন্তা করবেন বলে আশা রাখছি। ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
আমিও মনে প্রাণে তাই চাই। জোর করার দরকার নাই। স্বইচ্ছায় যে আসে আসুক। আমাদের ইচ্ছাশক্তি পারে অনেক কিছু করতে।
মমি ভাই, ভালো থাকবেন। শুভকামনা
দালান জাহান
ব্লগারদের গল্পের ধারাবাহিকতা এ-ই গল্পে পাইনি। যেটুকু পেয়েছি তা ছিটানো পানির মতো। তবে গল্পের শেষাংশ অন্য কিছু প্রকাশ করছে সমাজ বদলের অগ্রগতি সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
আরজু মুক্তা
ছিটে ফোটা খুঁজে পেয়েছেন, এজন্য আমি ধন্য।
আর স্বপ্নতে আপনি সমাজ বদলের অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছেন। আর এটা যদি সফল হয়। আমি সবার কাছেই কৃতজ্ঞ থাকবো।
ভালো থাকবেন ভাই।
দোয়া করবেন
মোঃ খুরশীদ আলম
অনে কি চিটাইংগা মাইয়্যা পোয়া না ? (আপনি কি চট্টগ্রামের মেয়ে?),
অনে চিটাংঅত কডে থাক্কন? (আপনি চট্টগ্রামের কোথায় থাকেন?)
তাড়াতাড়ি হন, দেরী গড়িলে লেট অই যাইবো । (তাড়াতাড়ি বলেন, দেরী করলে লেট হযে যাবে।)
আরজু মুক্তা
হা হা। হালিশহর।
মোঃ খুরশীদ আলম
হেতাল্লাইতো অনেরে আনতুন চিনা চিনা লার। (সেজন্যইতো আপনাকে আমার চেনা চেনা লাগছে)
আই অবা পোর্ট কলোনীর বন্দরের পোয়া। অনের লগে পরিচিত ওইয়্যেনে বালা লাগের। ( আমি ভাই পোর্ট কলোনী, বন্দরের ছেলে, আপনার সাথে পরিচিত হয়ে ভাল লাগছে।)
আরজু মুক্তা
খুশি হলাম