রাতের নিবিড় অন্ধকার
খান খান করে জ্যোৎস্না উঁকি দেয় নগ্ন হয়ে, দ্যাখে এমুড়া-ওমুড়া;
ভাবে, প্রতীকী দিন বানিয়ে ফেলবে, ভোরের অপেক্ষা না করেই,
অরণ্য ফ্যা-ফ্যা করে মিঠে-হেসে বলে, ‘পাগল হলে বুঝি এবার!!’
স্তোত্রপাঠ করতে হবে না, বকওয়াস করার ছলে,
চুপ-কর হারামি, চুপ-করে দেখতে থাক।
নদীর কাচ-জলে জ্যোৎস্না জমে, ঘূর্ণিগুলো ফেনা তোলে,
ছলাৎ শব্দে নদী-পাড়ে ছুঁইছুঁই করে, জড়িয়ে ধরে-না,
জোয়ার-ভাঁটার সন্ধি-বক্ষ, জোনাকির আলো-জ্বলা মিছিল
তুমুল ভোরকে আগলে রেখে হো-হো করে হেসে উঠতে পারে-না;
জলকসাইয়ের দক্ষতায় এক যুবা-গবেষক
‘হাঁটু গেড়ে বসে’ নিরীক্ষার ছলে লবন-স্বাধ চাখে
মরুভুমির আকাল বৃষ্টিতে;
শাদিশুদা জ্যোৎস্না এবার করুণ দৃষ্টিতে
ঘাড় গোজ করে থাকে;
‘আই এ্যাম ফিলিং অ্যা বিট ব্লু’
১৬টি মন্তব্য
নিতাই বাবু
নদী, জ্যোৎস্না, ঢেউ আর ঢেউয়য়ের ফেনা নিয়ে দারুণ লিখেছেন দাদা । মুগ্ধ হলাম আপনার কবিতা পড়ে । যখন পড়ছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল যে, আমি শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় দিয়ে হেটে যাচ্ছি ।
ছাইরাছ হেলাল
নদ নদী আমারও খুব প্রিয় বিষয়,
নিয়মিত পড়ছেন দেখে ভালোই লাগে।
মোঃ মজিবর রহমান
ছলাৎ শব্দে নদী-পাড়ে ছুঁইছুঁই করে, জড়িয়ে ধরে-না,
জোয়ার-ভাঁটার সন্ধি-বক্ষ, জোনাকির আলো-জ্বলা মিছিল
এই ছলাত ছলাতে মন ভেজায় রাংগিয়ে নিলাম অন্যগুলি ফসকা যাক।
ছাইরাছ হেলাল
খুব সাবধানে ফসকাতে হবে কিন্তু।
মোঃ মজিবর রহমান
হুম! ফস্কাতে আবার বিপদ না আসে তাইতো!!!
ছাইরাছ হেলাল
সাবধানের মার নেই।
শুন্য শুন্যালয়
আম্মম্মম্মম্মমাআআআআআআআআ ;( কী লিখছে এই কবি? আমারে কেউ বুঝায় দেন। এমন উদোম উদোম জ্যোৎস্না, রাইতেই তো ভালা আছিলো, নকলনবিশ ভোর বানানির কী দরকারডা পড়লো? খাস বরিশাইল্যার দেহা এইবার পাইলাম। চালাকি চুলাকি কইরা কীসব লিখছেন, হিন্দি বাংলা, ফারসি তালিম মিলাইয়া আমি কিচ্ছু বুঝিনাই।
ব্লুর জায়গায় রেড হওনের কথা ছিলোনা?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও কিছুই বুঝলাম না, কে কী কীভাবে লিখল!!
লেখায় চালাকি থাকে না, সত্য উপলব্ধি থাকে, আপনি বরিশাইল্লা কই পাইলেন কে জানে!!
যুবা-গবেষকের আওতায় এলে ব্লু না হয়ে উপায় নেই।
শুন্য শুন্যালয়
এমুড়া-ওমুড়াতো বরিশাইল্যা শব্দ বলেই জানি। কী জানি, বয়স হয়েছে, মনে রাখতে পারিনা কিছু।
যুবা গবেষকের আওতায় নাদান পাঠকের অবস্থাও ধরাশয়ী। বুঝিনি কবিতা, স্বিকার করছি।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্ এ শব্দটি আর বরিশাইল্যাদের না, যাতে উঠে গেছে।
আমিও তো অনেক কিছুই বুঝতে পারি না।
পাঠক এখন আর নাদান নেই, তবে ফাঁকি-ফুঁকি দেয়ার বিজ্ঞতায় নুপেল পাওয়ার মত অবস্থা!!
আসলে স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, বুঝিয়ে বলা সত্য-ই কঠিন ও শ্রমসাধ্য, তোলা থাকল!!
ইঞ্জা
আই এম ফিলিং বিট ব্লু, বাহ!
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিলাম, ভাই।
ইঞ্জা
আপনাকেও ধন্যবাদ দিলাম ভাইজান। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা ধন্যবাদ নিলাম, ভাই।
অলিভার
হয়তো কবিতা খুব ভালো বুঝতে পারি না বলেই কবিতা গুলো গল্পের মত মনে মনে সাজাতে চেষ্টা করি। আর এই কবিতা থেকে ভেবে নেয়া গল্পটি বেশ অদ্ভুত রকমের সুন্দর। তবে মাঝে মাঝে শব্দ গুলি আমার ভাবনার গল্পে জট পাকিয়ে ফেলে। স্কুল জীবনের শব্দার্থ খুব মনোযোগ দিয়ে না বুঝে পড়ার ফলাফল সম্ভবত এমন করেই শাস্তি স্বরূপ ফিরে আসে। Above all, the best part is, “আই এ্যাম ফিলিং অ্যা বিট ব্লু” too 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনার বোঝার পদ্ধতিটি চমৎকার এবং কার্যকরী-ও বটে।
শব্দার্থ কিছুটা আমাদের জানতেই হয় এবং তা ইচ্ছে করলেই সম্ভব, ব্যাপার-না কোন।
শেষ কথাটি ধার করা হলেও আমার খুব মনে ধরেছে,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।