হে সময়,
আমাকে বয়ে নিয়ে যাও শব্দ-শূন্যতার
নিস্তল পরিখার আন্দোলিত শেষ তিথির দ্বারে,
ঘন বন-কুয়াশা আর প্রতুল ঝিরি ঝিরি বর্ষণ স্মৃতির
নিয়ম নিগড় এড়িয়ে;
পিন পিনে ফিন ফিনে কিন কিনে থিক থিকে
ভিড়ের ফাঁক গলিয়ে আগল বিহীন এক চিলতে
আলোতে ঘুরে দাঁড়াই, এখানে কেকা ধ্বনি নেই,
পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে কাঁদা খোঁচা নেই,
নেই দাঁতে নখ-কাটা, নেই ফাঁকা/ফাঁপা দেশ প্রেমের বুলি,
আঙ্গুলে শাড়ি/ওড়নার আচল প্যাঁচানো, নেই কামের বিকিরণ;
নেই নরক বাসের প্রতীক্ষা।
অদৃশ্যের মেলায় থাকা ঘূর্ণি-জ্বলা
বিদ্যুৎ-ঝলকের তোলপাড় চাই-না,
আদিগন্ত-অরণ্য-বুকে বজ্রের নিনাদ চাই,
চাই, পাথর-সুখের চির-সমুজ্জ্বল প্রদর্শনী,
স্বনির্মিত খাঁচার আগল ভেঙ্গে তীক্ষ্ণ ঝিলিকের
অন্তিমের অপরূপ সৌন্দর্যে।
=========================
অপাবরণ—— আবরণ উন্মোচন
২২টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
সময়ের বিস্ফোরণ দরকার।সময় এখন বৃদ্ধ, যাযাবর।থমকে আছে।প্রেমগুলো নিশ্চল,নির্বাক হয়েছে।বজ্রধ্বনির তোপধ্বনি হোক।আলোরা আগল ছেড়ে সমুজ্জ্বল করুক চারিদিক।আর প্রয়সীরাও মুগ্ধ করুক অপার সৌন্দর্যে। আপনার শব্দের কারুকাজ ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো দেখছি লিখিয়ের চেয়েও কয়েক ধাপ এগিয়ে!!
বৃষ্টি পেয়ে শব্দেরা নাচানাচি করতে চায় মনে হচ্ছে।
আরজু মুক্তা
আলহামদুলিল্লাহ বলেন এমন পাঠক পেয়েছেন।
শব্দরা কিল কিল বিল বিল করে আগাইতে চায়!
ছাইরাছ হেলাল
এগিয়ে যাক সমস্যা নেই, ঝাঁপিয়ে না পড়লেই হয়।
জিসান শা ইকরাম
শিরোনামের অপাবরণ শব্দেই তো আটকে আছি,
গুগল মামুও ফেল করছে।
শাহরিন
আমিও মানে জানতে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক ঠিক, আমিও জানতে চাই-ই!!
ছাইরাছ হেলাল
মামুর তো ফেল মারার কথা না!!
মাসুদ চয়ন
গভীর জীবন বোধ।আসলেই তাই-মাঝে মাঝে নির্জন বনদেশে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।চারিদিকে অন্ধকার প্রেক্ষাপট।মানুষের মনে স্বচ্ছতা নেই।
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই, এমন করে হারাতে পারলে মন্দ হতো না, কিন্তু পারছি কৈ!!
সাবিনা ইয়াসমিন
এতকিছু চাচ্ছেন সময়ের কাছে ! এগুলো দেয়ার ভয়ে সময় নিজেই চলে যাবে পরপারে !! তখন কাকে ডেকে শোনাবেন সময়ের আখ্যান ?
ছাইরাছ হেলাল
আমি আর এমুন কী চাইলাম!! বেশি বেশি চাওয়া তো আপনাদের-ই।
পরপারে যেতে দিচ্ছে কে, আর গেলেও সোনেলাবাসীদের কাছে বিচার দিয়ে বসব।
শাহরিন
কিছু সময় আছে চলে যাবার পরেও মনে করে ভালোলাগে আর কিছু সময় পাথরের মত অনড় হয়ে থাকে।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু ‘সময়’ ঝর্ণা হয়ে বয়ে যায়, কিছু ‘সময়’ জগদ্দল পাথর হয়ে বুকে বিঁধে থাকে।
শাহরিন
জগদ্দল মানে কি?
ছাইরাছ হেলাল
এমন গুরুভার যে নাড়ানো যায় না।
জিসান শা ইকরাম
উন্মোচিত হোক সব কিছু,
বজ্র কেন, পারমানবিক বোমার মত বিস্ফোরিত হোক,
জগত দেখুক, জানুক।
এখনই সময়,
ছাইরাছ হেলাল
চাইলেই যদি সব কিছু পাওয়া যেতে তাহলে জগতের
নিয়ম উল্টে যেত।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সময় অবিরত ঝর্ণাধারা।
বয়ে চলা তার ধর্ম।
একরাশ মুগ্ধতা দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হাফেজ আহমেদ রাশেদ
আপনার শব্দ চয়নটা বেশ মুগ্ধ করেছে,আর সময় নিয়ে যতো মেলবন্ধন ভালো না লেগে কি আর পারে
ছাইরাছ হেলাল
শব্দদের প্রতি এক ধরনের টান অনুভব করি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ