চাশমিশ টা জ্বালিয়ে খেলো। সেই দুই হাজার মাইল দূরে থেকেও পিছু ছাড়ার নামটি নেই। ক্যাম্নে করে বলি এই সারাক্ষন হাসি হাসি মুখ দেখলেই জ্বলি। কার কথা বলছি আবার বুঝতে পারছেননা? অইযে পোড়ামুখি নীলাঞ্জনা নীলা।
সেদিন ঝট করে মুখের সামনে স্ক্রিন জুড়ে দেখি সেই হাসি। কপাল আমাদের নির্ঘাত ভালো ছিলো সেদিন, মুখপুড়ির কোন কথা আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম না, শুধু সে শুনতে পাচ্ছিলো আমাদের কোকিলা কন্ঠস্বর। ও হ্যাঁ তার একটা কথা ঠিক ঠিক শুনেছিলাম “এই মেয়ে তুমি এতো সুন্দর কেন” আরে! আমি কুশ্রি হলে বুঝি তোমার খুব সুবিধে হতো! কী সুবিধা বলতো দেখি! আমি তোমার ভাতের কোন থালে ছাই দিলুম!
২৬ অক্টোবর দিনটি আমার ছিলো, হুম আমারই। সবাইকে দেখবার ইচ্ছে এক মূহুর্তের মধ্যে সেদিন সত্যি হয়ে ধরা দিলো। আমার পিচ্চি বুবু ঠিকই বলে, ভীষন করে চাইলে তা পূরণ হয়। নীলাপু সেই কানাডা থেকে স্কাইপে আমাদের সাথে, উহ ভাবাই যায়না। তবে খাবার আগে তাকে ভাগিয়ে দিয়েছি। সে যেমন রেসিপি দেখিয়ে দেখিয়ে একা একা খায়, আমরাও তার শোধ নিয়েছি কড়ায় গন্ডায়। মিস করা আমাদের বদভ্যাস তাই মিস করেছি তোমাকে সেদিন খুব। মন খারাপ করোনা হিংসুটে মেয়ে, বটতলার আড্ডাতো এখনো রয়েছেই।
****************************************************
আড্ডার কথা শুনে সবার আগে যাকে দেখবো বলে ভেবেছিলাম, সে অনিকেত নন্দিনী আপু। সত্যিই দেখেছি তো!!
যেদিন প্রথম কথা বললাম, ঠান্ডা ধীর স্থির মিষ্টি করে কথা বলা আপুর কন্ঠ অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো বারবার। পরে বললো আপুর অনেক জ্বর। মনটাই খারাপ হয়ে গেলো শুনে। একে তো অফিসের একটি দিনে, তারপর দূরে ভেন্যু ঠিক হওয়ায় মনে হচ্ছিল হয়তো বৃষ্টিখেকো আপুর সাথে এবার দেখা হলো না। কিন্তু জিসান ভাইয়ের মুখে যখন শুনলাম নন্দিনী আপু বলেছে, অ্যাম্বুলেন্স এ করে যেতে হলেও আমি আড্ডায় যাবো, তখন মন খারাপ তুড়িতেই উধাও।আমি কিন্তু সেদিন বলতে ভুলে গিয়েছি, আমি জানতাম আপনি নীল শাড়ি পরে আসবেন। 🙂
দরজা দিয়ে ঢুকবার সময় একবারের জন্যেও মনে হয়নি আপুকে আজ প্রথমবার দেখছি। আপুর কন্ঠস্বর, কথা বলা তার লেখার মতোই। এতো সুন্দর করে শাড়ি পরা দেখে কিছুটা ঈর্ষিত। তবে আপুর বাসায় আমি দাওয়াত নিয়েছি, পরেরবার শিখে আসবো নিশ্চিত।
আপুর সাথে কিছু সময়ের স্মৃতিঃ————-
ছবি ক্রেডিটঃ সোনেলার সোনারা
****************************************************
আড্ডার জন্য এটুকু মাত্র সময় আমার মোটেও ভালো লাগেনি। তবে ভূমিকা ছোট হলেই বা! এরপর জমিয়ে আড্ডা দেব ঘন্টার পর ঘন্টা।
কৃতজ্ঞ আমি প্রিয় মানুষগুলোর প্রতি। আর যারা কষ্ট করে মূহুর্তেই সব আয়োজন করে ফেললেন সেই দুই পিলারের প্রতি। না দেখেও চিরচেনা সব মানুষগুলো, এই-ই আমাদের সোনেলা। মিস ইউ মাই সোনেলা ফ্যামিলি। দেশে আবার কবে যাবো??
৪৫টি মন্তব্য
রাসেল হাসান
বেশ ভালো লাগলো অনেক দিন পর সবাইকে এক জায়গাতে দেখে। তবে আফসোস আমি উপস্থিত থাকতে পারলাম না! 🙁
শুন্য শুন্যালয়
ব্যাপারনা ভাইয়া, পরেরবার চেষ্টা করবেন। দেখা হবে ইনশাল্লাহ্। সবাইকে দেখতে পেয়ে খুবই খুশি ছিলাম। থ্যাংকস ভাইয়া।
ব্লগার সজীব
দুই ‘ ণ ‘ দিয়ে পোস্ট আরম্ভ করলেন 🙂 নীলাদি আড্ডায় থাকলে আড্ডার পুর্নতা পেত। সবার বডি ল্যাংগুয়েজই বলে দিচ্ছে কত আনন্দ উপভোগ করেছেন সবাই। সোনাদের সোনামুখ আনন্দে উচ্ছল উজ্জ্বল।
আপনি দেশে এসে সোনাদের এক করে ফেললেন 🙂 আপনার ছবি প্রমান করে আপনিও কিন্তু পিচ্চি 🙂 -{@
শুন্য শুন্যালয়
দুই ‘ণ’ তাইতো! কতকিছু খেয়াল করে সে। একে একে সবাই আসবে। নীলাপু তো আড্ডায় ছিলো, কতদূর থেকে কাছে ছিলো, এই আড্ডার মজাই তো আলাদা।
হ্যাঁ অনেক মজা করেছি, তবে এতো অল্প সময়ে আমার কিছু হয়না। তুমি কী রাস্তায় বোরখা পরে যাও সজু? না গেলে এখন থেকে যেও, কেউ যেন তোমারে দেখতে না পায় কোনদিন।
আমি পিচ্চি? :@ আমার হাতের কানমলা তো বাবার জন্মে খাওনি, নিজের আসল নাম ডিরেক্টরি খুঁজে বের করতে হবে। আমার বুবুর শিষ্য বলে এখনো কিছু বলতেছি না। ভবিষ্যতে গুরুর নামও আর কাজে আসবেনা। সাবধানন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্ন।
রিমি রুম্মান
এইসব দেখে দেখে আমার মনখারাপ হয় না বুঝি ? আমারও কপাল মন্দ ছিল, নইলে ওইসময়য়েই জিশান দাদাভাইয়ের নেটকানেকশান থাকলো না কেন ? যখন কানেকশন পেলো, তখনই শুন্যআপু চলে গেলোই বা কেন ? 🙁
শুন্য শুন্যালয়
🙁 আপু এতো আমাদেরও দূর্ভাগ্য, এতো প্রিয় মানুষটাকে সেদিন দেখতে পারলাম না। তবে দেখা অবশ্যই অবশ্য হবে। এর আগে দুইবার আড্ডা হয়েছে আমার মনও এমন খারাপ হয়েছিল। এরপর আপনি আড্ডা দেবেন আমি মন খারাপ করবো অথবা দুজন একসাথেও হয়ে যেতে পারি এক আড্ডায়। ভালো থেকেন প্রিয় আপু। (3
নীরা সাদীয়া
এরকম আড্ডায় শামিল হতে পারলে আরো ভাল লাগত।
শুন্য শুন্যালয়
যান্ত্রিকতার সময়গুলোর মধ্যে এরকম সবার সাথে এক হওয়া সত্যিই অনেক আনন্দের। পরেরবার নিশ্চয়ই চেষ্টা করে দেখবেন। আমাদের সোনেলার সোনারা সবাই অনেক মজার।
মিষ্টি জিন
সুস্বাগতম শুন্য -{@
অনেকদিন পর আপনার দেখা পেলাম। 😀
সোনেলার মিলন মেলায় খুব মজা করেছো সবাই মিলে। খুব মিস করেছি।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি, তুমি। ও আপু তুই টা বাদ কেন? আপনি আমাকে তুই বলে ডেকেন, আমার ভাল্লাগবে। 🙂
খুব মজা করেছি। আপনাদের সবাইকে মিস ও করেছি। আপনাদের সবার কথা আলাপ করেছি।
আপু বেশ ঝামেলার মধ্যে আছি, দোয়া করবেন যাতে কাটিয়ে উঠি শিঘ্রই। এরকম আসা যাওয়ার মধ্যেই থাকতে হবে কিছুদিন।
লেখা কইইইইইইইইই? কতদিন পড়িনা।
মিষ্টি জিন
নতুন ব্লগারকে :p আমরা আপনি বলে সম্মোধন করি।
আমি আমার ছোট বোন ,নিস,নেফিউদের তুই করে সম্মোধন করি। আপন আপন লাগে।
হ্যা তাড়াতাড়ি ঝামেলা কাটিয়ে ফিরে আস । ব্লগে মাঝে মাঝে আড্ডা না হলে ঠিক জমে না।
কাজের মেয়েটা দেশে চলে যাওয়াতে একটু ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি । তারউপর আলসেমি ভর করেছে। কত গুলো লেখা অর্ধেক করে ফেলে রেখেছি।
অনেক দোয়া প্রিন্স আর তোমার জন্য । লাভ ইউ। (3
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা, নতুন ব্লগার পুরনো হইতে কয়দিন লাগে? একদিন পরেই পুরনো। 😀
হ্যাঁ তুই আমার বড্ড প্রিয় সম্বোধন।
ঝামেলা তো বিশাল আপু, সহজে মিটবেনা, তবে এর মধ্যেই আসার চেষ্টা থাকবে নিয়মিত। খুব মিস করছি ব্লগ আড্ডা। লীলাবতী টাই বা গেলো কই!!!
আপনার নতুন লেখাটা এখনো পড়িনি, তবে খুশি হয়েছি লেখা দেখে। থাংকু। পড়ে জানাবো।
হ্যাঁ আপু, আমাদের এখন অনেক অনেক দোয়া চাই এই কঠিন সময়ের জন্য। আপনাদের সবার ভালোবাসায় ঠিক পেড়িয়ে যাবো। লাভ ইউ ঠু মিষ্টি আপু (3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
দারুণ একটা সময় কেটেছিল সে দিন জীবনের চাকা ঠেলতে ঠেলতে ফ্রি সময় বের করে এমন আড্ডা দেয়া আমার তেমন একটা হয় না তবে এ আড্ডাতে আপনি বলে কথা।সোনেলার প্রিয় মুখ পাহাড় পর্বত ডিঙ্গিয়ে দেশে এলেন তাকে না দেখার উপেক্ষা করি কি করে।তাইতো এলাম খেলাম তার পর বিষাদময় প্রস্থান।
বাড়তি আয়োজন নাসির ভাইয়ের জন্ম দিনটি পালন।মজাই মজাই \|/ \|/ \|/
শুন্য শুন্যালয়
সত্যিই ভাইয়ার জন্মদিনটা আড্ডায় প্রাণ এনে দিয়েছিল সেদিন। আপনাদের শুদ্ধ মুখগুলো দেখবার ইচ্ছে ভীষন রকম ছিলো, সেকারনেই পূরণ হয়েছে ইচ্ছেটা। ব্যস্ততার মধ্যেও সবাই সময় বের করেছেন এজন্য কৃতজ্ঞ ভাইয়া। দেখা হবে আবারও।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্ বাহ্, শুরুতেই লেডিগুরু! সেদিন কথাবার্তা না বুঝলেও ফোকলা দাঁতের হাসি খানা যা ছিল না মাইরি!
অবশ্যই দূর দূর না সবাই কাছের সোনা তা আবারও প্রমাণিত,
একটু সাবধানে ভাইয়া (রং এর ব্যাপারটা এসে যাচ্ছে কিন্তু),
সে যাই হোক, এত অল্প সময়ে এভাবে সবাইকে এক ছাদের নীচে আনতে পারার কৃতিত্ব এক অর্থে আপনারই,
আপনি ঠিক বলেছেন এত অল্প সময়ে তড়িঘড়ি করে মনের মত করে আড্ডা দেওয়া আসলেই অসম্ভব, সবার কথা তো
শোনাই হল না,
রোগশোক পায়ে ঠেলে বীর বেশে এসেছেন এটিও আমাদের সৌভাগ্য,
যাই হোক খাম্বা বলেন নি সেও অনেক ভাগ্য,
ওহ্, আপনি দেশে নেই! ইস বলেও গেলেন না! (কান্দনের ইমো ভেবে নিন)
শুন্য শুন্যালয়
বলতে গেলে যদি বেশি কান্নাকাটি করেন এজন্য বলে আসিনি। যদি বলে বসতেন “যেওনা সাথী, ও ও ও ” তখন? ইশ রে গান শোনা হলো না।
খাম্বা কে বৃষ্টিখেকো আপু? হা হা হা। আপনাকে পেলে খবর করে দেবে দেইখ্যেন। 😀
হ্যাঁ নন্দিনী আপু অন্ননেক ভালো, জ্বর নিয়েও এতদূর এসেছে পায়ে ঠেলে না, পায়ে করেই 🙂
ফোঁকলা দাঁতের হাসি দেখেই তো লোকে কাইত, কথা শুনতে পেলে না জানি কী হইতো!
আবার রং!!! মন রঙ্গিন হলে রং ছাড়া আর নজরে কিছুই আসেনা।
অল ক্রেডিট গোজ টু টু পিলার। আগেই বলেছি 🙂
অনিকেত নন্দিনী
2 পিলার নিজেই নিজেকে খাম্বা বলতে বললেন। সর্বত্র বাংলার ব্যবহার করতে হবে, মনে নাই?
ওইদিন স্কুলে যাইনি। সকালেও উঠে দাঁড়াবার অবস্থায় ছিলামনা। তারপর কেমন করে জানি ওঠার সাহস পেলাম, চলেও গেলাম। 🙂
ইঞ্জা
আসলেই মিষ্টি আপু, আবার কবে আসবেন, খুব মিস করছি সোনেলার সোনাদের আড্ডার আসর, একবারও মনে হয়নি প্রিয় অদেখা বোনটিকে দেখছি, মনেই হয়নি আমরা সবাই (জিসান ভাই ছাড়া) অচেনা কিন্তু যেন সবাই একটা ফামিলি, আশা করছি আবার আমাদের দেখা হবে, সাথে থাকবেন না দেখা আরো ভাই বোনদের।
ভালো থাকবেন আমার গল্পের অবণীর বন্ধু, ভালো থাকবেন আমার মিষ্টি আপু। -{@
শুন্য শুন্যালয়
ভাইয়া অনেকদিন অনুপস্থিত থাকায় অনেকগুলো পর্ব মিস করেছি, আমি স্যরি 🙁 সময় করে সবগুলো একবারে পড়ে নেবো। আমি অবনীর বন্ধু? দারুন তো 🙂
অবশ্যই দেখা হবে। আর পরেরবার ছুটির দিন সারাদিন ধরে আড্ডা হবে। আসবো আবারও শিঘ্রই। দোয়া করবেন ভাইয়া
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম মিষ্টি আপু। -{@
শুন্য শুন্যালয়
চলে আসবো শীঘ্রই 🙂
গাজী বুরহান
চরম “আড্ডাবাজী “
শুন্য শুন্যালয়
হুম মজা করেছি খুব। থ্যাংকস।
আবু খায়ের আনিছ
আমি মাইন্ড করি নাই, বড় হয়ে নেই তখন বললে মাইন্ড করব, এখনো পিচ্চি আছি।
শুন্য শুন্যালয়
🙂 এইনা আমাদের পিচ্চি ভাইয়া। তাহলে পিচ্চি ভাইয়া গ্রান্টেড? পিচ্চি ভাইয়া যখন বড় হয় তখনো কিন্তু পিচ্চি থাকে 😀
আবু খায়ের আনিছ
হিসাব ঠিক আছে, পিচ্চি বড় হবে, বড়রা আরো বড় হবে। আমি পিচ্চি ভাইয়া হয়ে থাকতে চাই, অনেক আদর পাব তাহলে।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা। আদরের পাশাপাশি মাইরের ব্যাপারটাও মাথায় রেখো। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
এই মেয়ে এতো সুন্দর একটা নাম দিলাম তোমাকে, “তিলোত্তমা”, আর তুমি কিনা আমাকে চশমিশ বলে ডাকলে? 🙁 ;(
আমাকে দেখে তুমি জ্বলো কেন, আমি কি আগুণ না মরিচ পাউডার? আমি অবশ্য তোমাকে দেখলে জ্বলি-টলি না, বরং হার্ট বেশী বেশী ধক ধক করে। তিলোত্তমা সেদিনটি আমার জন্যেও দারুণ একটা দিন ছিলো। তোমাদের সবাইকে দেখতে পাওয়া। জানো আমি না এর আগের দিন সকালে নানাকে ফোন, কি হলো ভিডিও চ্যাট ওপেন করো। শুন্য আপুরা কি এসেছে সবাই? নানা বলে, “ও নাত্নী আজ তো না। কালকে পার্টি।” তাহলেই বোঝো কি অধীর আগ্রহে অপেক্ষার ভেতর প্রতীক্ষা ছিলো? হুম আবার আড্ডা হবে।
নন্দিনীদির শাড়ীখানা, আহা! আমার অমন একখানা শাড়ী চাই-ই চাই। 😀
আমার এই ছবি কোথায় পাইলা গো তিলোত্তমা? ;?
এই মেয়ে প্লিজ এখন আবার নিয়মিত হও। প্লিজ। -{@
শুন্য শুন্যালয়
তোমাকে দেখলে জ্বলবো না কেন? ওমন করে হাসো কেন? পঁচা করে হাসতে পারোনা?
তুমি হইতেছ লাভা। 😀 এই দেখোতো আশেপাশে তোমার কুবিরাজ আছে নাকি? দেখলেই রং বলে নাক ঢুকিয়ে দেবে।
তোমার আগেরদিন অপেক্ষা করা নিয়ে আমরা অনেক হাসাহাসি করেছি। ইশ তর বুঝি আর সহ্য হচ্ছিলো না? 🙂
নন্দিনী আপুর শাড়িটা খুব সুন্দর, আর এতো সুন্দর করে পরেছিল সে। তুমি দেশে গেলে নিয়ে এসো চেয়ে।
তোমার ছবিতো আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, খপ করে ধরে আনলাম। 🙂
চেষ্টা করছি তো নিয়মিত হবার এতো ঝামেলার মধ্যেও। সাথে থেকো চশমিশ 😀 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
“পাগলে কি না কয়!”-া—–কুবিরাজরা সাধারণত পাগল কিসিমের হয়। তাইতো উলটাপালটা কথা কয়! :p 😀
শোনো পঁচা কইরা ক্যামনে হাসে এইটা শিখাইয়া দাও। সুন্দর আর পঁচা হাসি নিয়া পোষ্ট দেও। বুজছো?
তিলোত্তমা তোমার নিয়মিত উপস্থিতির অপেক্ষায় থাকবো। 🙂 -{@
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দরী পঁচা কইরা হাসি ক্যাম্নে দেয় শুইন্যা কী করবা? তোমারে দিয়া প্রাক্টিস কইরাও হবেনা, বুজ্জো?
আইচ্ছা, পাগলের সাত উল্টাপাল্টা মাপ, এর বেশি গেলেই খবর আছে।
নিয়মিত তো হতেই চাই গো, কিন্তু খেলারাম এখন আমায় নিয়ে খেলছে, দেখি কতোদিন সে পারে! দোয়া করো তো আমার জন্য বেশি করে। তুমি দোয়া করলেই ঠিক উৎরে যাবো। ভালো থেকো কেমন? -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আজব ব্যাপার! আমাকে কি তুমি ফেল করা ছাত্রী ভাবো? পঁচা হাসি শিখিয়ে দাও, তারপর দেখো আমি কনফার্ম বোর্ডে স্ট্যান্ড করবোই করবো। 😀
তিলোত্তমা এ জীবনে কাউকে অভিশাপ দেইনি, কারো অমঙ্গল প্রার্থনা করিনি। অবশ্যই তোমার সব ভালো হবে।
মানুষের কর্ম কখনো মানুষকে ছেড়ে যায়না গো। হেব্বি লেকচার দিলাম। 😀
ভালো রেখো। -{@
অনিকেত নন্দিনী
আমার শাড়ি নিয়ে কাড়াকাড়ি হচ্ছে মনে হচ্ছে! ;?
লক্ষণ তো মোটেও ভালো নয়। -:-
মোঃ মজিবর রহমান
আবার হবেত দেখা এই দেখায় শেষ দেখা নয়তো?
শুন্য আপনার টুকটুকে মুখখানি জলন্ত হাসিমাখা এখনও ভেসে উঠে ঐ সোনেলার মাঠখানি ভরে উঠেছিল সেদিন।
প্রান চঞ্চল ছিল সবার অন্তর ছিল সদা প্রফুল্ল্যময়। -{@
শুন্য শুন্যালয়
আপনি কী জানেন? আপনাকে নাম দিয়েছি কিউটেস্ট ব্লগার অফ সোনেলা? 🙂
খুব ইচ্ছে ছিলো সবাইকে নিয়ে আলাদা করে পোস্ট দেব, কিন্তু তা আর সম্ভব হচ্ছেনা। বিশাল প্যাঁচের মধ্যে সময় পার করছি।
আপনাদের সবাইকে দেখাই ছিলো প্রফুল্যের উৎস। দেখা অবশ্যই অবশ্য হবে। এবং এর পরে আরো বড় করে হবে। কালচারাল প্রোগ্রাম সহ বড় করে করার ইচ্ছে আছি, দেশে আসলেই। দোয়া করবেন আমার জন্য মজিবর ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
অবস্যই আপু সর্বদা সকল বিপদ ও ঝামেলামুক্ত থাকুন এই কামনা করি। আর আল্লাহ সবাইকে ভাল রাখুন আমিন।
নাসির সারওয়ার
হু, আমি জানি লেডিজ ফার্স্ট। এমন কি উপস্তিত না থেকেও ছিলেন তিনিরা!!
একসাথে এতোগুলো ভালো লাগা মানুষদের দেখে আমার বেশ লেগেছে। সবার ছবি মনে মনে ধরে রেখেছিলাম। মোটামুটি ঠিকই ছিলো শুধু আপনারটা বাদে।
ভেবেছিলাম অনেক গোলাবারুদ দেখা যাবে, কিন্তু গর্জন আর বর্ষণ যে এক না।
আবার হবে এই অন্তরের মেলা। একটা উছিলার জন্য হোলেও আপনাকে ধন্যবাদ দিলাম। ভালো থাকুন …
শুন্য শুন্যালয়
আমাকে দেখে খুব শান্তশিষ্ট মনে হয়েছে? আমি কিন্তু অনেন্নন্নন্নেক রাগি, এই রকম :@ এটম বললেও ভুল হবেনা!
🙂
আমাকে এমন ভাবে সবাই! নাকি শুধু আপনি! চিন্তায় পরে গেলাম যে ;?
নিশ্চিত হবে আবারো এমন করে। তবে প্রথম দেখার এক অন্যরকম অনুভূতি রয়েছে, যেটা অপরিবর্তনীয়।
আমি তো সেইদিন দেখতে চাই, যেদিন পুরুষকে এগিয়ে দিয়ে বলবো জেন্টস ফার্স্ট 🙂
ভালো থাকুন আপনিও এক মাসের শিশু।
অরুনি মায়া অনু
সবাইকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। বিশেষ করে নীলাপু, নন্দিনী আপু ও শুন্যাপুকে। খুব মজার একটা সময় পার করলেন সবাই মিলে। আসলেই সুন্দর মুহূর্তগুলো কেন যেন দ্রুত ফুরিয়ে যায়। যাক শুধু সিরিয়াস বৈঠকটি ছাড়া বাকি সবার হাসি হাসি মুখ দেখতে পেলাম। ভাল লাগল সবাইকে একসাথে দেখে। ভাল থাকুন সবাই সবসময় এই কামনা করছি। -{@
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ সুন্দর কিছু সময় পার করেছি সবাই মিলে। বৈঠকে সিরিয়াসনেসেরও দরকার আছে 🙂 ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
শত ব্যস্ততার মাঝেও এখানে এসে পোষ্ট দিচ্ছেন দেখে ভাল লাগছে,
এমন একটি সুন্দর মিলন মেলা আপনার সৌজন্যেই আসলে সম্ভব হয়েছে,
বছরের এই সময়টিতে কখনোই আড্ডা দেয়া হয় না, আপনার ইচ্ছেটা দেশে আশার পূর্বে জানলে আরো বড় করে এটি আয়োজন করা যেতো।
আপনি সহ অনেককেই এই প্রথম দেখলাম, সামান্য সময়ের জন্যও মনে হয়নি প্রথম দেখা আমাদের। যেন চিরচেনা অতি আপনজন সবাই।
অনিকেত নন্দিনীর আসাটা নিশ্চিত ছিল না, কিন্তু তার ইচ্ছের কাছে রোগ পরাস্ত হয়েছে।
নীলা তো আগের দিনই এলার্ম দিয়ে ঘুম থেকে জেগে বসে ছিল 🙂 আমাকে কল দিয়ে বলে যে সবাই এসেছে? হা হা হা হা , এমন পাগল হয়েছিল সবাইকে দেখার জন্য।
আপনার সহজাত গুনে সবার সাথে হাসিমুখে এবং একান্ত পরিচিত জনের মত মিশে গিয়েছিলেন দেখে বেশ অবাকই হয়েছি। এধরনের আড্ডায় আপনি এই প্রথম অংশ নিচ্ছেন তা মনেই হয়নি।
ছবিগুলো দেখে ঐ দিনের মূহুর্তগুলো মনে পরে গেলো।
২৬ অক্টোবর আপনারই দিন, আমরা সবাই আপনার দিনের অংশ ছিলাম।
এমন পোষ্ট আপনাকেই মানায় -{@
শুন্য শুন্যালয়
দেখুন আমি কিন্তু একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, আপনি খুব লেখাচোর হয়েছেন। আস্তে আস্তে সব লেখার দায়ভার কমিয়ে আমার উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। প্রতিদিন উঁকি দিয়ে গিয়েছি হয়তো আড্ডার পোস্ট পাবো আপনার, কিন্তু কই লেখা!
সে যাই হোক, সোনামুখ ১+২ দেখে বুঝতে পেরেছেন হয়তো সিরিয়াল করে লেখার ইচ্ছে নিয়ে শুরু করেছি, কিন্তু সেটা আর সম্ভব হচ্ছেনা, খুব ঝামেলার মধ্যে আছি।
আমিতো এমন করেই মিশি সবার সাথে, এতদিনে সোনেলায় দেখেও বোঝেন নি? কারন কাউকেই আমার প্রথম দেখা মনে হয়নি, তাই সবার সাথে একান্ত আপনজনের মতো মিশে গিয়েছি। তবে সবাই যদি এমন না হতো তাহলে কী তা সম্ভব হতো? আমাদের সোনেলার সব্বাই এমন।
দিনটি শুধু আমার নয়, বোধহয় সবারই ছিলো। তবে আমার ইচ্ছে পূরন হয়েছে, তাই আমার।
এমন সুন্দর মিলন মেলা আপনি আয়োজন না করলে সম্ভব হতো!! এমন আয়োজনা আপনাকেই মানায়! শুধু আপনাকেই। -{@
জিসান শা ইকরাম
নিয়মিত হতে পারছিলাম না আসলে চোখের সমস্যার কারনে,
চোখের সমস্যাটা প্রায় চলে গিয়েছে,
সোনেলার মিলন মেলার পোষ্ট অবশ্যই দেব,
কিছুটা সময় নিচ্ছি, আর কিছু না।
আপনি দেশে এসেছেন তাই এই মিলন মেলার আয়োজন, একারনেই এটি আপনার।
আবার যখন আসবেন দেশে, আরো বড় পরিসরে সবার অংশ গ্রহনে মিলন মেলা হবে আশাকরি।
ভাল থাকুন প্রবাসে।
শুভ নববর্ষ -{@
মৌনতা রিতু
মুই কাট্টি। (-3 মুই কাইন্দা ফালাইছি আবার ;( তবে এই শীতে কাঁদায় নামতে পারব না
সত্যি খুব মিস করেছি সেদিন। তবে তোমার সাথে কথা বলে কিছুটা স্বাদ মিটেছে। দেখা হলে তো কথাই ছিল না। ষোলো আনা পূরণ হতো।
কেমন আছ বলো? বাবা আমার কেমন আছে?
অনিকেত নন্দিনী
ভীষণ মন খারাপ হয়েছিলো এই ভেবে যে আমার যাওয়া হবেনা। তারপর একজন প্রস্তাব করলেন (ওইটা আসলে প্রস্তাব কম, হুমকি বেশি ছিলো) আমাকে নাকি এম্বুলেন্সে করে হলেও নিয়ে যাবেন। কেমলমাত্র এম্বুলেন্সে চড়ার ভয়েই মনে হয় আমার অসুখ পালিয়ে গিয়েছিলো।
বাব্বাহ! আমি নীল শাড়ি পরে যাবো তা আগেই জানাছিলো কীভাবে? শুনি তো!