‘সে’ কে জিজ্ঞেস করি, এবার কী লিখবে?
ভুত-চমক মেরে বলে আমি আবার কবে লিখলাম? কখনও কিচ্ছুটি লিখেনি/লিখছি না/লিখবও-না,
কস্মিন কালেও কিছু লেখার কথা ভাবিনি, দিব্যি দিচ্ছি।
এ দেখছি ভাঁজা-মাছেও অরুচি! বেড়াল তপস্বী!!
ঐ-যে-সবাই ঘোষণা দিয়ে পুরুত ডেকে যজ্ঞের আয়োজন, সে এক দক্ষ জজ্ঞ কাণ্ড!! লেখক/কবি হবেই হবে!! কেউ কেউ আবার পূজো শেষের আগেই কিছু একটা হয়ে বসে আছে!! এই অকুতভয় (বাহ্যত) লিখিয়েদের সাধুবাদ, ক্ষণজন্মা এরা, জাতি এদের জন্য মুখিয়ে (গালাগালি না) থাকে অপার আগ্রহে,
অধির হয়ে (আমারা)।
তা বটে, তা বটে, সে তো কাক-চোখের মতই পরিষ্কার, ওদের ব্যাঘ্র (বাচ্চা নয়, সোমত্ত) হুঙ্কারে মাটি কাঁপাকাঁপা হচ্ছে; অবশ্য ওদের এ সব দেখে-টেখে সাধ জাগে গোটা-গোটা করে কিছু একটা লিখে-টিখে ফেলি। কিন্তু ক্ষীণ বক্ষে সদম্ভ হুঙ্কারের তীব্র আওয়াজ তুলতে পারছি না, নিজেকে নিজের হুঙ্কার শুনিয়ে লেখাদের সাথে ভাও/ভাব!! তাও করা যাচ্ছে না, তবে মালকোঁচা মেড়ে চুলে ঝুটি বেঁধে ডঙ্কা বাজিয়ে লণ্ডভণ্ড হাওয়ার সোরগোল তুলে দুষ্টু-দুষ্টু ভাব নিয়ে সব কিছু ভেঙেভুঙে অপূর্ণ সাধ পূরণ,
কোন এক নিশার-নিশীথে ঠিক-ই করে ফেলব, জলজ্যান্ত কথা দিচ্ছি;
আই-ঢাই করে কথার ভুয়া জাল মেলে/ফেলে চালশে-চোখে আর যা হোক লেখা/লিখি হয় না (কবিতা!! তা তো দূর অস্ত), ও সব ঢের দেখা আছে, লেখার গুড়ে বালি না, স্রেফ চামচিকের বিচ্ছিরি গন্ধ। লেখারা থাকে পাতার শিরায় শিরায় সুউচ্চ গাছের মগ ডালে, মাটিতে বসে কান্না-কুহকের মিতালিতে কাজ হবে না। যতই কস্তাকস্তি হোক, সবই বিফল!! লেখারা যতা-তার সাথে খেলে না, খেলে দিছে খেলে দিছে বলে পুচ্ছ নাচালে লেখা-প্রেম হয় না। কলমে কামড় বসালে কলম ভাঙ্গে, মুখে কালি মেখে যায়, লেখারা পালায়, দূর হতে দূরে, বহু দূরে!!
অতএব
গহীনের গভীর কোন গিরি খাদে লুকিয়ে নখ খুটে খাওয়াই উত্তম, বুড়িয়ে যাওয়া বেশে;
অবশ্য কে-ই-বা শোনে কার মঙ্গল-গাঁথা! পাকে-চক্রে গোত্তা খাওয়া নারী/পুরুষ।
পরকীয়া!
নয় এত সহজিয়া,
নয় খুঁটে খাওয়া খড়কুটো
বোঝা-না-বোঝার পায়েসান্ন!
চলিবে…………………….
২৬টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
চলিবে চলিবে চলিবে। চলুক যার যার মত। কার কি দায় আছে! আপনারা লিখবেন, পাঠক পড়বেন, এইতো নিয়ম। সবাইকে লেখক হতেই হবে, এমনতো কথা নাই। তবে সেইই কালে, যখন স্কুলে গেলো, লেখকতো তখনই হয়ে বসলো তা তালপাতা বা স্লেটে লিখেই হোক। নাকি ভুল বললাম!
আপনার সাথে সহমত, লেখালিখি সহজ কম্য নয়। মগডালে চড়াও সহজ কিছু নয়। ভয় হচ্ছে এমন লেখা পড়ে নাজানি আবার ভবিষ্যৎ লেখকরা পালিয়ে যায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কবি, ভুল আপনার সাজে না, তবে কথা হলো স্লেটে লিখেই শুরু এটি খুব-ই খাঁটি কথা!
এখন যদি বলেন ভূমিষ্ট হওয়ার সময় ডাক্তারের হাতে উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখে প্রথম চর খেয়ে
ওয়া করে ওঠাকে কবিতা আবৃতি হিসাবে আপনি ভাবলেও ভাবতে পারেন, সবাই তা নিতে পাড়বে না।
আপনি আশ্বস্ত হতে পারেন…………’অবশ্য কে-ই-বা শোনে কার মঙ্গল-গাঁথা! পাকে-চক্রে গোত্তা খাওয়া নারী/পুরুষ।’
কেউ পালাচ্ছে না।
মাহমুদ আল মেহেদী
কবিতা বুঝি কম
তারপরও আপনি
বোঝাতে সক্ষম!
ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
আমি নিজেও কিন্তু কবিতা লিখতে পারি না।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
যাচ্ছিলাম এ পথ ধরেই।তাকাবোনা,তাকাবো না করে চোখটা পড়েই গেলো।কি করবো ,কাকের চোখ বলে কথা !!এতো গরম গরম খাদ্যে মুখ দিতেও ভয়,,হজম হবে কি !মনে জাগে সংশয় 😜😜
নাহ,,চলেই যাই।মালকোঁচা মেরে,চুলে ঝুঁটি বেধে,ডঙ্কা বাজিয়ে সোরগোল তুলে,দুষ্টু দুষ্টু মনে লন্ড ভন্ড করে কিছু একটা করে ফেলা আগমনী বার্তা বাহক-কে ভয় খাচ্ছি খুবই।উঠবো -কি মগ ডালে,পৌছবো-কি চাঁদে ,নিজের গন্তব্য খুঁজি।😶
বিদায় পিতিবি 😂😂
ছাইরাছ হেলাল
বিদায় চাইলেও লেখকদের বিদায় দিতে পিথিবি রাজি হবে বলে মনে হয় না।
তাছাড়া ‘চলিবে’ তো মাত্র শুরু হলো!! কেঁদে বাঁচি বললে তো হবে না।
এমন আজগুবি খাবার গরম/ঠাণ্ডায় কিছু আসে যায় না। একটু অভ্যাস হয়ে গেলেই আর সমস্যা থাকবে না।
আপনি লেখক তাই চাঁদ/সূর্যে পৌঁছানো কোন ব্যাপার না।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঠিক,ঠিক ,,আজগুবি খাবারে গরম ঠান্ডায় কিই-বা যায় আসে !!
মনে আছে পণ,নয়তো সাধারন
দমন হবে নাতো “সে” । 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, বেশ বেশ,
অসাধারণ মনে পণ নিয়ে-ই থাকুন।
পথহারা পাখি
কবি দাদা, এ এক উচ্চমার্গীয় কবিতা….আমার মতো আনাড়ির পক্ষে বুঝা অসম্ভব! ^:^ ;? ;(
ছাইরাছ হেলাল
এগুলো কোন কবিতা না,
এখানে লেখক নিজেকে নিজে পঁচানি দিচ্ছে।
তাছাড়া আপনি আনাড়ি নন, নিয়মিত পড়ার জন্য ধন্যবাদ
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখক ভালোই পঁচানি দিলো। নিজের নাকি অন্যের, সে উত্তর আন্দাজে বুঝে নিলাম। সমস্যা হলো এই পঁচানির মর্মার্থ অনুধাবন করা সহজ কম্ম নয়। ইহা একমাত্র জ্ঞানী-গুণীজন-ই বুঝিতে পারিবেন। আমি সাধারণ জনগণের অন্তর্ভুক্ত। 🙏
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে না বলছি ভাল হয়ে যেতে!!
অসাধারণরাই এমন ভং-চং করে সাধারণের বেশে।
না মানে, লেখাক নিজেরেই নিজে পঁচায়!! ভুল হইছে!! আপনারে পঁচাইছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমারে পঁচাইছেন? কন কি!!! আমি বড়োই প্রফুল্লবোধ করতাছি। যাউকগা তাইলে মুই একটা লেক-এর হক-দার (লেক+হক=লেখক)।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন যারে-তারে পঁচানি দেওয়া যায় না, দেয়া ঠিক-ও না।
একটু ফোকলা-দাঁতি হাসি অন্তত দিন।
আপনি সব সময়-ই ভালু গুরু-কবি/লেখক!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আমারে যারে-তারে কইলেন? ;(
ছাইরাছ হেলাল
ভুল হই গেছে!!
আপনি কবিদের গুরু!!
এট্টু অভিশাপ দিয়ে দিন!!
নীলাঞ্জনা নীলা
অভিশাপ ফ্রিতে দেইনা। 😀
ছাইরাছ হেলাল
এ তো দেখছি মহা ফ্যাসাদ!!
উহ্ ফোকলা দাঁত!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কি কইলেন ফোকলা দাঁত? 😡
৩০ টা দাঁত আছে। মোটেও ফোকলা দাতি নই আমি। তা আপনার মাথার উপরে পরচুলা কি স্থান গ্রহণ করেছে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
সে পরচুলা তো আপনার আয়ত্তে!!
কুড়িয়ে পাওয়া দাঁত শুধু ত্রিশ কেন পঞ্চাশ হলেই বা কে নিষেধ করে।
রিতু জাহান
লেখাটি পোস্ট হবার পর থেকেই বোঝার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না। কে যে কার সাথে খুনসুঁটিতে লেগেছে বোঝা মুশকিল।
আমি সাধারণ পাঠক। তাই চিন্তা কম।
তবু, অ ব ক ঠ লিখে ফেলি মনের জোরে। লেখক হওয়ার তীব্র ইচ্ছায়।
তবে যাইহোক, পাঠক তো এক আধটু লিখতেই পারে। কি বলেন?
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, আমারে ইট্টু কবি/লেখক বানান যায় না। খুব কিন্তু ইচ্ছে!!
আপন ভেবে আপনাকেই মনের কথা বলে ফেললাম!! (দেখবেন রাষ্ট্র করে দেবেন্না যেন)
কিছু লিখতে না পারা থেকেই এখানে নিজের সাথের নিজের ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ!!
লেখা শিখে গেলে এ অসুখ ভাল হয়ে যাবে, তখন অতিব সাধারণ-পাঠক হয়ে যাব, পাক্কা কথা দিচ্ছি।
জিসান শা ইকরাম
তারা কিন্তু লেখক, কবি হয়ে গেছেনই
যতই নখ খুটুক,
ছাইরাছ হেলাল
তাই-তো দেখতে পাচ্ছি চোখ বুজেও।
সাবিনা ইয়াসমিন
চোখ খুলে মানুষ এখনো নব্বই ভাগ জিনিসও ঠিক মতো দেখতে পায় না।কিন্তু মহামানবেরা চোখ বুজে তিন পৃথিবীর যাবতিয় দৃশ্য একসাথেই দেখে ফেলেন ! কি আজব !!কি আজব !!! আমরা ধন্য,আমরা গর্বিত এমন মহা মানবের সান্যিধ্যে থাকতে পেরে । \|/
ছাইরাছ হেলাল
ওহ্
আপনি কী সেই তৃ-নয়নী!!
সোনালা যাকে খুঁজছে!!
আগে বেলেন-নি কেন!!
খোঁজার পণ্ড-শ্রম থেকে আমরা বেঁচে যেতাম।