হঠাৎই দাঁড়িয়ে যায় “দুরন্ত এক্সপ্রেস”।না,এখানে কোন স্টেশন নেই।সামনের ব্রীজটার সংস্কার কাজ চলছে।তাই মাঠের মধ্যেই দাঁড়াতে হয় ট্রেনটিকে।ছাড়তে একটু দেরী হবে শুনে বাবার সাথে আরও অনেকের মত নেমে পড়ে শেখরও।দু’পাশের আশশেওড়া-সাঁইবাবলার গাছ,আম-কাঁঠালের বাগান,মৃদু হাওয়া আর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয় সে।
মাঠটি পেরোলেই সুন্দরপুর স্টেশন।ওদিকে তাকাতেই অপার সৌন্দর্য্য।এতক্ষণ ওদিকেই নজর ছিল শেখরের।অকস্মাৎ পাখির মত রঙিন কিছু একটা উড়ে আসতে দেখলো সে।হ্যাঁ একটা সুতাকাটা ঘুড়ি।কিছুটা দূরে পিছু নিয়ে দৌড়াচ্ছে একদল কিশোর-কিশোরী।এতগুলো ছেলেমেয়ের মধ্যে একজন একটু আলাদা।মাথায় দুইবিনুনী চুল,চোখে কাজল,কপালে টিপ।আলতা পায়ের এক দুরন্ত কিশোরী।সেও ছুটছে সুন্দর একটা লাটাই হাতে।
ট্রেনের হুইসেল বেজে গিয়েছে।যাত্রীরা যে যার মত আবার উঠে পড়েছে ট্রেনে।শেখরও বাবার সাথে উঠে পড়ে সিঁড়িতে।দরজায় দাঁড়াতে লাল-সবুজ ঘুড়িটা এসে পড়ে শেখরের হাতে।পেছনে দৌড়ে আসছে কিশোর ঘুড়ি মালিকের দল।কিন্তু ততক্ষণে ছেড়ে দিয়েছে ট্রেন।শেখরের হাতে ঘুড়ি।লাটাই হাতে ভগ্ন হৃদয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ট্রেনটি চলে যাবার দৃশ্য দেখতে থাকে ওরা।হুইসেল বাজিয়ে গতি ও দুঃখ বাড়াতে বাড়াতে চলে যায় নিষ্ঠুর ট্রেন।
ট্রেনের গতির সাথে মন খারাপের গতিটাও বাড়ছে শেখরের।ইচ্ছা থাকা সত্বেও ঘুড়িটা দিয়ে আসতে পারেনি সে।কতই না কষ্ট পেয়েছে ওরা।শেখরের বাবা শেখরকে শান্তনা দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
-এত মন খারাপ করছো কেন শেখর?এখানে তোমার তো কোন অপরাধ নেই।বরং তুমি তো ওটাকে ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছোই।তাছাড়া ঘুড়িটায় যেহেতু ঠিকানা লেখা আছে,তুমি ইচ্ছা করলে পরেও তো ওটা ফিরিয়ে দিতে পারবে।তুমি বাসায় ফিরে তোমার ঘুড়িবন্ধুদের জানিয়ে দিও,কেমন।
-হ্যাঁ বাবা,ঠিক বলেছো।আমি এটা ফিরিয়ে দিতে চাই।কোন কিছু পেলে,যার জিনিস তাকে ফিরিয়ে দিতে হয়,এটা তো তুমিই শিখিয়েছো বাবা।
-আচ্ছা দিও।আমিও তো সেটাই বলছি।
-ঠিক আছে বাবা।আচ্ছা বাবা,এই ঘুড়িটার রঙ লাল-সবুজ কেন।
-লাল সবুজ আমাদের পতাকার রঙ।দেখো এটা একদম আমাদের পতাকার মত।সম্ভবত ছেলেমেয়েগুলো দেশকে খুব ভালবাসে।যারা দেশকে ভালবাসে,তারা নি:সন্দেহে খুব ভাল হয়।
ঘুড়ি,পতাকা,দেশ নিয়ে কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসে শেখররা।বাসায় ফিরে মায়ের সাথে ঘুড়িবন্ধুদের গল্প শোনায় সে।মা তাকে চিঠি লেখা শিখিয়ে দেয়।শেখর চিঠি লিখে ঘুড়িতে দেয়া প্রিয়তির ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়।
প্রিয় বন্ধু প্রিয়তি,
তোমার ঘুড়িটা এখনো আমার কাছে রক্ষিত আছে।তুমি চাইলেই আমি ফিরিয়ে দিবো।তোমরা ভাল থেকো।
-ইতি ঘুড়িবন্ধু “শেখর”
কদিন পরই উত্তর আসে চিঠির।
সুপ্রিয় ঘুড়িবন্ধু,
তোমার চিঠি পেয়ে ভীষণ ভাল লাগলো।ঘুড়িটা এখনো তোমার কাছে আছে জেনে খুব ভাল লাগছে।তুমি ওটা যত্ন করে রেখে দিও।আমিও লাটাইটা যত্ন করে তুলে রাখলাম।যদি কখনো দেখা হয়,সেদিন ফিরিয়ে দিও।
-ইতি প্রিয়তি।
এভাবে মাঝেমধ্যে চিঠি আদান প্রদান চলে।ওই পথ দিয়ে যখনই ট্রেনে আসে/যায়,মনে মনে বলে ট্রেনটা যেন ওই ব্রীজটার ওখানে বা সুন্দরপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে।
সময় গড়িয়েছে অনেক।স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে শেখর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।আজ বেশী ভাল লাগছে না।তাই পরিচিত অপরিচিত বন্ধুদের সাথে পুকুরপাড়ের বকুলতলায় আড্ডা দিচ্ছে শেখর।অপরিচিতদের পরিচয়পর্ব চলছে।প্রিয়তির নামটা শুনেই বুকটা কেন যেন কেপেঁ ওঠে শেখরের।
-কি নাম বললে?প্রিয়তি?বাড়ি সুন্দরপুর?
-হ্যাঁ,প্রিয়তি।কিন্তু আমার বাড়ির ঠিকানা জানলে কিভাবে তুমি!
-জানি।তুমি তো দেশকে খুব ভালবাসো,তাই না?
-হ্যাঁ,যারা দেশকে ভালবাসেনা,তারা কাউকেই ভালবাসতে পারেনা।
-যারা দেশকে ভালভাসে,আমিও তাদের খুব ভালবাসি।
-বুঝলাম,তুমি আমাকেও তাহলে খুব ভালবাসো,কিন্তু বললে না তো ঠিকানা জানলে কি করে?
-আমি সেই শেখর,তোমার ঘুড়িবন্ধু।
চমকে ওঠে প্রিয়তি।এতদিন যাকে খুঁজে ফিরেছে সেই কি না স্বয়ং সামনে!কত স্বপ্ন দেখেছে শেখরকে নিয়ে।মনের মধ্যে উথাল পাথাল চলতে থাকে প্রিয়তির।
-শেখর,আমার ঘুড়ি কোথায়?
-আছে,যত্ন করে তুলে রেখেছি।এবার বাড়ি গেলে নিয়ে আসবো।তোমার আমানত তোমাকেই ফেরত দেবো।
-এখনো রেখে দিয়েছো!আমি ভীষণ খুশী হয়েছি শেখর।তবে ওটা তোমার কাছেই থাক।তোমার কাছে থাকা মানেই আমার কাছে থাকা।
-মানে!
-মানে তুমি আমার কাছে থাকলে আমি ঘুড়ির ঠিকানা পেয়ে যাবো।
আনন্দে শিউরে ওঠে শেখর।যে ট্রেনটিকে নিজের পছন্দের ঠিকানায় থামতে বলেছে বারবার,সেই ট্রেনটিই আজ নিজের আঁকা প্লাটফর্মে!
মাস্টার্সের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গতকাল।এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্ব শেষ।সবাই যে যার বাড়ি চলে যাচ্ছে।ব্যাগপত্র গুছিয়ে প্রিয়তির জন্য অপেক্ষা করছে শেখর।এখনই চলে আসার কথা।ব্যাগ নিয়ে বাইরে এলো শেখর।গেটের সামনে দাঁড়াতেই প্রিয়তি এসে হাজির।মনটা ভীষণ খারাপ।শেখরকে না দেখলে একদিনও থাকতে পারেনা সে।ভীষণ কষ্ট হয়।অথচ আজ লম্বা সময়ের জন্য একে অপরকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে দুজন।রেললাইনের সেই চারাগাছটি এখন বড় বৃক্ষে পরিণত হয়েছে।মনের মধ্যে নানা কৌতুহল খেলে যাচ্ছে।
-আবার কবে দেখা হবে শেখর?
-জানিনা।তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোমাকে দেখতে যাবো প্রিয়তি।
-তাই এসো প্লিজ।আমি তোমাকে ছাড়া একদম থাকতে পারিনা।ভীষণ কষ্ট হয়।
-আমিও পারিনা প্রিয়তি।চিন্তা করো না,আমি ঠিক চলে আসবো তোমাদের বাড়ি।সাথে নিয়ে আসবো তোমার সুতাকাটা ঘুড়ি।
-সত্যি তো শেখর?তুমি আমাকে ভুলে যাবেনা তো!শুনেছি আউট অফ সাইট,আউট অফ মাইণ্ড।
-আরে না।ভুলবো কেন!আমিও তো তোমাকে খুব বেশী ভালবাসি প্রিয়তি।
-শুনেছি মানুষ মরে গেলে পচে যায়,বেঁচে থাকলে বদলায়।তাই ভয় হয় শেখর।
-এই পাগলী কেঁদোনা তো।চলো দেরী হয়ে যাচ্ছে।
বলেই প্রিয়তির দু’চোখের জল মুছে দিল শেখর।বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে বললো ভাল থেকো প্রিয়তি,ভাল থেকো মাই লাভ।
বেশকিছুদিন হয়ে গেল প্রিয়তির সাথে যোগাযোগ করা হয়নি শেখরের।ভেবেছিল কয়েকদিনের মধ্যেই ওদের বাড়ি যাবে।গিয়েই একবারে সারপ্রাইজ দিবে।কিন্তু হঠাৎ বাবার মৃত্যুর কারণে যাওয়া হয়নি।চিঠিও লিখতে পারেনি মন খারাপের কারণে।আজ প্রিয়তিকে খুব মনে পড়ছে শেখরের।মাও বারবার যেতে বলেছে।তাই শেষমেষ প্রিয়তিদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো শেখর।
হুইসেল ক্রমশঃ ম্লান হতে হতে সুন্দরপুর স্টেশনে এসে পৌঁছে গেল ট্রেন।দারুন একটা সারপ্রাইজ দেবে ভাবতে ভাবতে ট্রেন থেকে নেমে এলো শেখর।হাতে সেই রঙিন ঘুড়ি,মনে অঢেল স্বপ্ন।যাত্রীদের নামা শেষ হলে অন্যদের উঠার পালা।হঠাৎ পরের দরজায় চোখ পড়লো শেখরের।এ কি!প্রিয়তি যে!কার সাথে ট্রেনে উঠছে সে!হাতে মেহেদী,চোখে কাজল,পায়ে আলতা,কপালে টায়রা।লাল বেনারসিতে দারুণ লাগছে প্রিয়তিকে!কিন্তু ঐ শেরোয়ানী পরা প্রবাসী ভদ্রলোকের পাশে বড্ড বেমানান লাগছে ওকে।প্রিয়তি শুধুই শেখরের।ভাবতে ভাবতে এগুতে চায় শেখর।কিন্তু পা আর উঠতে চায় না।জোর করে বলে ওঠে “প্রিয়তি তোমার ঘুড়ি”? প্রিয়তির চোখ যেন বলে ওঠে “বড্ড দেরী করে ফেলেছো শেখর।ও ঘুড়ি এখন আমার নয়।ও ঘুড়ির লাটাই এখন অন্য কারো হাতে।হয়তো উড়বে অন্য কোন আকাশে।”
বিষাদী হুইসেল বাজিয়ে স্টেশন ছেড়ে মুহুর্তেই চলে যায় অজানা ঠিকানায়।উল্টোদিক থেকে চলে আসে শেখরের ফেরার ট্রেন।কোনক্রমে দেহটাকে তুলে নেয় ট্রেনের ভেতর।ট্রেনের গতির সাথে সাথে যেন বাড়তে থাকে অশ্রুধারা।মনে মনে বলতে থাকে সুন্দরপুরের ব্রীজের কাছে আর কখনো থেমোনা ট্রেন।সুতাকাটা ঘুড়ির মত চলে যেও অন্য কোথাও,কোন এক অচেনা ঠিকানায়।
৩০টি মন্তব্য
অনন্য অর্ণব
কিছু গল্প নিজের অজান্তেই চোখ ভিজিয়ে দিয়ে যায়।
হালিম নজরুল
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই
ছাইরাছ হেলাল
সময়-স্রোত অনেক কিছু পাল্টে দিলেও কিছু স্মৃতি
থেকে যায় অমলিন।
আমার তো কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি চাইলে আর সুন্দর গল্প লিখতে পারেন।
হালিম নজরুল
ভাল লেখার প্রয়াস থাকবে ভাই।ধন্যবাদ।
তৌহিদ
শেখর আর প্রিয়তির ঘুড়িচিঠির গল্প দারুন লিখেছেন ভাই। লেখা পড়ে মনে হচ্ছে চোখের সামনে কোন রোমান্টিক বিরহের নাটক দেখছি। ভালোবাসার মানুষদের সবসময় পেতে নেই এটাই বুঝি প্রকৃতির নিয়ম। আর এ কারনেই ভালোবাসা চিরকাল স্মৃতিতে অম্লান থাকে। নিজের করে পাইনিতো কি হয়েছে সে দূরে চলে গেলেও আমারই থাকবে, নিজের হৃদয়ের কোঠরে। এটাইতো প্রকৃত প্রেম।
ভালো লেগেছে লেখা ভাই।
হালিম নজরুল
আপনার প্রেরণা আমার লেখায় নতুন শক্তি যোগাবে ভাই।
নৃ মাসুদ রানা
বাহ! বেশ ভালো লিখেছেন। তবে এতো দ্রুত পরিচয়টা একটু…..
হালিম নজরুল
এক পাতায় অনেক বড় জীবন তুলে ধরার চেষ্টা করলাম ভাই।তাই——-
এস.জেড বাবু
সে ট্রেনই আজ নিজের আঁকা প্লাটফরমে।
আপনার গল্পের নিয়মিত পাঠক,
ভালোলাগা সবসময়।
হালিম নজরুল
অন্তহীন ভালবাসা ও শুভকামনা রইল ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
রেললাইনের চারা গাছটি এক সময় বড় হয়ে যায়। ভঙুর পাথর গুলোর বদলে নতুন পাথরে পূর্ণ হয় রেলপথ। শুধু মিলতে পারেনা দুই লাইনের পথটি। একসাথে চলতে থাকে একটা আরেকটাকে না ছুঁয়েই। রেললাইনের মতই কিছু মানুষের জীবন হয়। শুরু আর সমাপ্তিটা মাঝ পথেই আটকে থাকে। জমে থাকা স্মৃতি নিয়ে জীবনের রেলটা চলতে থাকে, চলতেই থাকে।
গল্পটি ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা আপনাকে 🌹🌹
হালিম নজরুল
আপনার জন্যও অফুরান শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জিসান শা ইকরাম
অনেক দিন পরে একটি ভালো গল্প পড়লাম।
মাস্টার্স পরীক্ষার পরে বিদায় পর্যন্ত পড়তে বেশ আনন্দ লাগছিল, এখানে এসেই বুঝলাম যে পরিণতি মিলনাত্মক নাও হতে পারে। শেষে তাই হলো।
আমরা শেখরের অবস্থা জানলাম,
কিন্তু প্রিয়তি?
তার জীবনটা কি সুখের হবে?
আরো গল্প লেখুন,
শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
পাঠকের তৃপ্তি ও প্রেরণাই পারে একজন লেখকের চলার পথ প্রসারিত করতে।আপনার মন্তব্য আমার লেখার প্রেরণা হবে।ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
সুরাইয়া পারভিন
সব গল্প এমন হয় কেনো?কেনো গল্প গুলো মধুর না হয়ে হয় বেদনা বিধূর? জীবনের গল্প আর কল্পনার গল্প যেনো বার বার কাঁদিয়ে যায়।
চমৎকার লিখেছেন
হালিম নজরুল
আচ্ছা ঠিক আছে,সুখের গল্পও হবে।
মনির হোসেন মমি
গল্পের সার্থকতাই হল গল্পের শেষ দৃশ্যে যা আপনি খুব চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ঘুড়ি কখনো কারো আপণ হয় না সে উড়বেই অন্যের আকাশে। চমৎকার।
হালিম নজরুল
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
শিরিন হক
যতদূর থাকো যতো হও চোখের আড়াল যেনে নিও ভালোবেশে যাবো চিরোকাল।
না পাই যদি দেখা না পাই যদি কোনোদিন তোমায়
তবুও থেকে যাবে হৃদয়ের মনি কোঠায়।
হালিম নজরুল
অন্তহীন শুভকামনা রইল।
শামীম চৌধুরী
আপনার লেখা গল্পটা হৃদয়টা জুড়িয়ে দিলো আরো। আরো পড়ার নেশা বেড়ে গেল।
হালিম নজরুল
সাথে থাকবার জন্য ধন্যবাদ শামীম ভাই
চাটিগাঁ থেকে বাহার
প্লিজ, দাড়ি আর কমার পরে স্পেস দিন।
হালিম নজরুল
দাড়ি বা কমার পরে আমি জীবনে কখনোই স্পেস দেইনি।ব্যাকরণগত কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি না তাও জানা নেই।তবুও আপনার মূল্যবান মতামতকে অবশ্যই বিবেচনায় রাখবো।সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
অবশ্যই বাধ্যবাধকতা আছে!
আপনি জীবনে কখনো স্পেস দেননি শুনে অবাক হলাম! যাক, লেখার একটি সৌন্দর্য আছে, পড়ারও একটি গতিশীলতা আছে। দাড়ির পর কত সময় বিরতি নিতে হবে, কমার পর কত সময় বিরতি নিতে হবে। এগুলো বাক্যের পূর্ণতা প্রকাশ করে, কোনটার পর কতটা বিরতি নিতে হবে তা প্রকাশ করে।
যেমন,
কমা (,)= ১ বলতে যে সময় লাগে
দাঁড়ি/ পূর্ণচ্ছেদ (।)= এক সেকেন্ড
জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নসূচক চিহ্ন(?)= এক সেকেন্ড
বিস্ময়সূচক বা আশ্চর্যবোধক চিহ্ন(!)= এক সেকেন্ড
ড্যাস(-)= এক সেকেন্ড
কোলন ড্যাস(:-)= এক সেকেন্ড
কোলন(:)= এক সেকেন্ড
সেমি কোলন(;)= ১ বলার দ্বিগুণ সময়
উদ্ধরণ বা উদ্ধৃতি চিহ্ন(‘ ’/ ‘‘ ’’)= এক সেকেন্ড
হাইফেন(-)= থামার প্রয়োজন নেই
ইলেক বা লোপ চিহ্ন(’)= থামার প্রয়োজন নেই
বন্ধনী চিহ্ন.( ).= থামার প্রয়োজন নেই
সাধারণভাবে এগুলো জানার হয়তো বিশেষ প্রয়োজন নেই কিন্তু লেখক হিসেবে অবশ্যই এর গুরুত্ব আছে।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
বহুদিনের বয়ে বেড়ানো ভুলটি সংশোধন করে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাই। ভাল থাকুন সবসময়।
মোহাম্মদ দিদার
বেশ তৃপ্তি নিয়েই পরতেছিলাম, শেষে মনটা খারাপ করিয়েই ছারলেন।
খুব জানতে ইচ্ছে হয়।
এমন কেনো জীবন???
হালিম নজরুল
বেশ কয়েকদিন দেশের বাইরে থাকায় রিপ্লাই দিতে দেরী হওয়ায় দুঃখিত।ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
মুক্তা মৃণালিনী
ট্রেনের গতির সাথে সাথে যেন বাড়তে থাকে অশ্রুধারা। মনে মনে বলতে থাকে সুন্দরপুরের ব্রীজের কাছে আর কখনো থেমোনা ট্রেন।সুতাকাটা ঘুড়ির মত চলে যেও অন্য কোথাও , কোন এক অচেনা ঠিকানায়। গল্পের শেষ দৃশ্য মনটা খারাপ করে দিয়েছে। নিয়তি সত্যিই সবসময় প্রিয়তিদের সাথে থাকতে দেয় না। আকস্মিক ঝড় সাজানো সবকিছু তছনছ করে দেয়া মুহুর্তেই।
হালিম নজরুল
বেশ কয়েকদিন দেশের বাইরে থাকায় রিপ্লাই দিতে দেরী হওয়াই দুঃখিত।ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।