আয়মনের মন বেশ খারাপ । তার স্বামী আরমানের সন্ধ্যায় এসে তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা । যতবার সে রাগ করে চলে আসে সন্ধ্যায় তাকে নিতে আসে ।
সে এখনো আসেনি । সে আরমান থেকে খুব বেশী কিছু আশা করেনা । এটুকু আশা করেছিল । গতরাতে রাগ করে সে বাবার বাড়ি চলে এসেছে ।
আয়মনের বিশ্বাস ছিল আরমান তাকে নিতে আসবে । এখনো আসছে না । তাদের সম্পর্ক কি খুব শীতল হয়ে গেছে ?
বিয়ের একবছরে কি কোন সম্পর্ক শীতল হয় ? আয়মন জানেনা । মা তাকে প্রায় বলে , ছেলেটার সাথে তোর কিছু নিয়ে ঝগড়া হয় সবসময় ?
ভাই বলে , আগেই বলেছিলাম এঁকে বিয়ে করবি না । বড়লোকের মেয়েদের মধ্যবিত্তর ঘরে পোষায় না ।
এসব শুনলেই আয়মনের রাগ লাগে । সে জানে নিজের পছন্দে বিয়ে করার কারনে তারা খুচিয়ে এসব জানতে চায় ।
২.
আরমানের মন এখন খুবই অস্থির । তার কলিগ ফারজানা ইয়াসমিনের বিয়ের কথা হচ্ছে । পাত্র পক্ষ অফিসে চলে এসেছে ।
খোঁজ খবর নিতে । তাদের সময় দিতে দিতে সন্ধ্যা পার হয়ে যাচ্ছে । অথচ তার এখন আয়মনকে আনতে যেতে হবে ।
এই মেয়ে দূরে দূরে থাকলে তার সারাদিন রোজা রোজা মনে হয় ।
কি যেন নেই ! অদ্ভুত হাহাকার । এই হাহাকারের জন্ম কোথায় ? ।
তার ইচ্ছা ছিল ফারজানা ইয়াসমিনের সাথে চমৎকার বন্ধুত্বটাকে নতুন মাত্রা দেবে ।
কিন্তু তার আগেই আয়মন এসেই সব এলোমেলো করে দিল ।
তার খালি মনে হতে লাগল , এই কার্টুন কার্টুন চেহারার মেয়েটাকে আমার চাই ।
৩.
আয়মনদের ড্রয়িং রুমটা সুন্দর । সাজানো গুছানো । বড়লোকদের বড় বড় ব্যাপার ।
আরমান অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে । হাতে একটা ম্যাগাজিন ।
ম্যাগাজিনে কিছু বলিউডি নায়ক নায়িকার ছবি আছে ।
ছবির নিচে কে যেন লাল কালিতে লিখে দিয়েছে “ হায়রে শাহরুখ , সুপারস্টার হয়েও দু’টাকা ছাড়ের বিজ্ঞাপন করো !!
আমাদের শাকিব খানেরও তো একটা ক্লাস আছে ” ।
তুমি এসেছো ? এতো দেরিতে ?
– অফিস থেকে বের হতে দেরি হয়ে গেলো
কেন ?
– কিছু কাজ ছিল । তুমি নিজেইতো চলে যেতে পারতে
পারতাম , কিন্তু তুমি “সরি ” বলে নিয়ে যাবে বলে যাইনি । এবার সরি বলো ।
– দোষ তোমার , আমি কেন সরি বলবো ?
দোষ করবো আমি , সরি বলবে তুমি , তাই বলবে ।
– সরি , চলো
দুলাভাই এসেছে , বারবিকিউ পার্টির আয়োজন হচ্ছে , খেয়ে যাবে ?
– না
কেন ?
– কেরানী টাইপের কাউকে পার্টিতে মানায় না ।
তুমিতো কেরানি না , ব্যাংকে ভালো জব করো
– আমার আব্বা কেরানি ছিলেন , তাকে মানুষ খুবই সম্মান করতো
-আমি তারচেয়ে অনেক ভালো চাকুরী করেও কেরানি হতে চাই । ঐ পেশাটাই আমার কাছে সবচে সম্মানের । পার্টিতে কেরানির ছেলেকে মানায় না ।
তাহলে কেরানীর ছেলের বউকেও মানাবে না , চলো যাই ।
—————-
গল্পটা শুন্য শুন্যালয় এর জন্য
প্রিন্স মাহমুদ ।
১৪টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর সুন্দর লেখা নিয়ে আসে আমাদের ভুলে যাননি বোঝালেন ।
আমাদেরও ভাল লাগল ফরে পেয়ে ।
উৎসর্গ ভাল হয়েছে ।
প্রিন্স মাহমুদ
ধন্যবাদ ভাই ।
খসড়া
ভাল লাগলো গল্প পড়ে। আরও লখুন।
প্রিন্স মাহমুদ
আচ্ছা 🙁
আদিব আদ্নান
কম কথায় অনেক সুন্দর লেখা পড়লাম ।
প্রিন্স মাহমুদ
;?
আমীন পরবাসী
খুব ভাল লাগলো। শুভেচ্ছা নিবেন।
মা মাটি দেশ
মাঝে মাঝে কোথায় উদাও হন না লিখে আমাদের পড়ার অধিকার খর্ব করা নয় কি?খুব সুন্দর গল্প ভাল হয়েছে। -{@ (y)
প্রিন্স মাহমুদ
ধুর ! আমার গুলা আবার লেখা !!!
বনলতা সেন
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম ।
ভাল লেখকের লেখা ।
প্রিন্স মাহমুদ
ধুর রররর
নীহারিকা
আমাদের প্রতিদিনের মান অভিমানের গল্প। ভালো লেগেছে।
শুন্য শুন্যালয়
গোছালো সুন্দর একটি গল্প.
আমার জন্য এমন প্রাপ্তি !!!
ধন্যবাদ দেবোনা. শুধু অনুরোধ অনেক অনেক লিখে যান.
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা -{@
রাসেল হাসান
সেদিন ফেসবুকে পড়লাম না! গল্পটা? 🙂