এত্তেলা পাঠালেন, জরুরী-ই মনে করি,
ভয় পাব-কী পাব –না, ভেবেই মরি!!
পালিয়ে থাকাই উচিৎ-কাজ, তাও ভাবি,
সে-যে, অকস্মাৎ এক-কালে ভেসে যাওয়া সোনারতরী!
না, কোন গুহাযুগের-গুহাবাসীর গল্প-সল্প নয়
নয় কোন এস্কিমো আবাসে জেগে ওঠার কম্প-কল্প!
নয় কোন অযুত-নিযুতের পরণ-কথা;
এই- তো সেদিন, গতকাল বা পরশু,
বা একটু আগে, এক্ষুণি-তো
আকাশীজ্যোৎস্নায় চাঁদ-হাসা
তেপান্তরের মাঠে-মাঠে-মাঠ পেরিয়ে
বালখিল্যের শিশুহাসি হেসে, কাশবনের লুকোচুরি,
এই তো এখনও ঘর্মাক্ত দেহভারে কালের হারিয়ে যাওয়া,
অজস্র ফুলরেনু, হিমশিশিরে ভেজা পেঁজা-পেঁজা শিউলি;
নিরবিচ্ছিন্ন নিরবদমিত-চোখে, রাগবাহুল্যের ঘূর্ণি এড়িয়ে
চোখেচোখে চোখ-রেখে মেপে নেব কতটা অচেনা থেকে
চেনায় এলে বা চুড়ান্ত অচেনায় ফেলে দিলে!!
এই মেলার এ-বিকেলের ভীড়ে!!
কাঁচবাড়ির আঙিনায় অবিরত অনবরত খুঁজি
হারানো জননী-কোল, তাও
বালির-কাফন-ঠেলে-ফেলে-উঠে-এসে বলি
সালাম আম্মাজান, কেমন আছেন;
মেলার এই আগুন-ফাগুনে?
(ভয়ে ভয়েই বলি, সানুনয়েই বলি, অনুমতি দিন, সামান্য একটু ছড়িয়ে বসি!!)
২২টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
হুম, ভাল হয়েছে পত্র, বা স্মৃতি চারণ,
লিখলাম না কিছু মন্তব্যে
সবই বুঝি,
দেখা যাক।
ছাইরাছ হেলাল
পত্রচারণের চেষ্টা করলাম,
লেখা লেখাই এর মত।
নিহারীকা জান্নাত
আম্মাজানের কাছে ভয় কি?
নির্ভয়েই বলুন।
মা তো আপনই হয়।
(কিছু কি বুঝলাম?)
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আম্মাজান খুবই আপন,
ভয় পাওয়ার কথা না, ঠিকও না,
তবে কী যেন অজানা-জানা ভয় সহসাই গ্রাস করে বসে,
আমিই তো ভাল বুঝলাম না।
নীহারিকা জান্নাত
দিলেন তো কনফিউজড করে!
🙁
ছাইরাছ হেলাল
লেখক নিজেই তো কিরাম-কিরাম!!
অনিকেত নন্দিনী
শিরোনামহীন পত্র পাঠ করলাম ঠিক, আগামাথা কিছুই বুঝলামনা। এত্ত ভয়ডর পাবার কী আছে? নির্ভয়ে থাকুন, বলুন, চলুন। ডারউইন তত্ব মনে আছে তো? না থাকলে আওয়াজ দিয়েন, মনে করিয়ে দেবোনে।
বারবার কোথাকার কোন এক মেলার কথা বলেছেন। কোন মেলায় গিয়েছিলেন লুকিয়ে চুরিয়ে শুনি?
কাঁচঘরের কথা শুনে লোভ লাগছে। এই অধমরে দাওয়াত দেন। কাঁচঘরের ভেতরে বসে বাইরে ওড়া জোনাকিপোকা দেখবো, আকাশের নক্ষত্র দেখবো।
ছাইরাছ হেলাল
না, না , ভয়- ডরের কিচ্ছু নেই, জানি, বুঝি,
শুধু টাইম-মত হাত-পা কাঁপা-কাঁপা!!
মানব মেলায় লুকোচুরি- লুকোচুরি করতে চাইলেই বা হচ্ছে কই!!
সহজ নয় মোটেই,
আচ্ছা দাওয়াত দিমুনে, তয় আমারে না-ডরানোর তাবিজ-তুবিজ দিয়েন,
অনিকেত নন্দিনী
ছু মন্তর ছু
যন্তর মন্তর ফুঁ
যান, ঝাড়ফুঁক দিয়ে দিলাম। এবারে নির্ভয়ে থাকুন। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি নামী ওঝা হলে এ যাত্রা বেঁচে যাব!
মিষ্টি জিন
এবারের কবিতা সত্যি বুঁঝতে খুব কষ্ট হচ্ছে বার বার পড়েও সঠিক উত্তর খুজে পাইনি। তাই মন্তব্য করতে দেরী করেঁছি। আবার যা বুঝলাম তা সঠিক কিনা তা নিয়েও দ্বীধান্বিত।
এত ভাবার দরকার কি?
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, ভাবা-ভাবি বন্ধ,
কিন্তু কাঁপোন বন্ধ করার তরিকা দিয়ে দিয়েন।
আবু খায়ের আনিছ
খালি পড়েই গেলাম, শেষের ব্যাক্রেটে এসে মন্তব্য আটকে গিয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন লেখক নিজেই আটকা পড়েছে ব্রাকেটের মধ্যে!!
তবে মাঝে-মধ্যে আটকে-পড়া আটকে-যাওয়া মন্দ লাগে না।
শুন্য শুন্যালয়
এতো দেখি পৌরাণিক পুঁথি থেকে উঠে আসা পেলাব অক্ষর! কতো কথা, শেষ কী হলো? শেষ কী আর হয় আম্মাজান! তবে অইযে ছড়িয়ে বসা, বুঝেশুনে কিন্তু; জননী -কোলের কথা বলা আছে।
বেশ লেগেছে, শব্দরা টাইপ হয় নাকে নাঁচে?
ছাইরাছ হেলাল
পচা-ধচা-ঠসা অক্ষরের মধ্যেও পেলবতা পেয়ে যান!!
ইস্কুলের ঠিকানা কন!
আম্মাজানের সাথে শেষা-শেষি বলে কিচ্ছু নেই, ভাইয়া,
শুধু ছড়িয়ে বসার অনুমতির অপেক্ষা মাত্র!! (যদি দেয়)
নাক দেখছি উঠোনে ভরে গেছে!!
কলি-কাল! কত্ত-কী দেখতে হবে কে জানে!
মৌনতা রিতু
পেজা পেজা শিউলী ;? মোর আরো পড়তে হবে।
মুই আধো আধো বুঝতেছি।
এত্তো কুঠিন ক্যান লাগে!
ছাইরাছ হেলাল
পড়ুন পড়ুন, আম্মাকথন পড়ুন,
কী!! আপনি আধো-আধো বুঝে ফেলেছেন!!
আমি কিন্তু সিকিতেও পৌঁছুতে পারিনি।
আমার কাছেও জবর কঠিন লাগতেছে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ওরে বাবারে মাথায় এতো ব্যথা করে ক্যান? আম্মাজান এই কথা কয় নাই কুবিরাজ ভাই? 😀
ডর খাইছি, ভাগাল দিলাম। \|/
ছাইরাছ হেলাল
আম্মাজানের তুলনা আম্মাজানই,
সে জানে, বোঝেও।
ভাগাল দেয়ার
রুদ্ধ যে পথ…………
খামোখা দিক হারায়,
নীলাঞ্জনা নীলা
দিক হারানোর দিন শেষ কুবিরাজ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
কুল খুঁজে পেয়েছেন মুনে লয়!!