কখনও দেখিনি যুদ্ধের দামামা
দেখেনি যুদ্ধাহত লাশের স্তুপ,
দেখতে চাওয়ার ইচ্ছে টুকুও নেই
কারন কিছুই না শুধু যুদ্ধকে ঘৃণা করি।
শত্রুর রাইফেলটা যদি বুকে এসে বিধে
ভাঙ্গব তবুও মচকাবোনা,
বলব বার বার এদেশ তোমার আমার
তাড়াতে হবে নব্য আর পুরাতন রাজাকার।।
হরতাল!নাম শুনেই পিলে চমকে যাবার কথা আবার ডিজিটাল যুগের হরতাল কাপনতো দেহেতে আসবেই।যেটা ছিল আমজনতার স্বৈরাচার হটানোর শেষ অস্ত্র।তা এখন অহরহ যেন মামার বাড়ীর আবদার।এইতো কিছু দিন আগের কথা হরতাল এলে বেড়াতে বের হতাম এ বাড়ী ঐ বাড়ী আর রাজপথ দখলে থাকত ক্রিকেট প্রেমিদের ক্রিকেট খেলায়।আর এখন ওরে সর্বনাশ রাজপথতো দূরে থাক ঘর থেকে বের হতেই ভয় হয় কখন ককটেল এসে সাধের প্রানটা নিয়ে যায়।তাই আমার মনে হয় হরতালের নামের পরিবর্তন আনা দরকার শুধু হরতালের আগে হিংস্র শব্দটি যোগ করলেই এর সৌন্দর্য্য বাড়ে।এখন হরতালে লাশের সংখ্যা ভারি আর ধ্বংসের পরিমান বেশী না হলে হরতাল সফল হয় না।সরকারী দল বলে হরতাল জনগণ প্রত্যাহার করেছে আর হরতালকারী বলে হরতাল সফল হয়েছে কিন্তু জনগণ কি বলে?জনগণ বলে=- কে বল্ল হরতালের সফলতা আর ব্যার্থতা?আর হরতালই বা দিতে বল্ল কারা?হরতালের ছবিটিতে আমরা কি দেখছি জীবনের নিরাপত্তা কোথায়?এর জন্যই কি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল,ভিজে ছিল লাখো বাঙ্গালীর রক্তে লাল সবুজের পতাকা?বঙ্গবন্ধুর ডাকেও আন্দোলন হয়েছিল তখন ছিল অন্য প্রেক্ষাপট ক্ষমতায় ছিল শত্রুপক্ষ,ছিলাম পরাধীন তখনওতো এমন স্বদেশীদের আতংকে থাকতে হয়নি।মুক্তি বাহিনীর আক্রমনের ভয়ে আতংকে ছিল হায়না নামক পাক বাহিনী।আজ স্বাধীন দেশে পরাধীনের মত জীবন চালাতে হচ্ছে আমাদের।মা মাটি দেশের প্রতি যাদের সামান্যটুকু ভালবাসা থাকবে তারা এ রকম হিংস্র হরতালের পক্ষে যেতে পারেনা।আজ তাই হচ্ছে মূখে গণতন্ত্র আর মুক্তি যুদ্ধের বুলি অন্তরে প্রতিহিংসার আর ক্ষমতার তরে বিষের ছড়াছড়ি।ছোট ছোট কোমল মতি বাচ্চাগুলোকে আমরা কি শিক্ষা দিচ্ছি?যে বয়সে তাদের স্কুলে যাবার কথা সে বয়সে আমরা তাদের মরনাস্ত্র তৈরীতে প্রশিক্ষন দিচ্ছি।এই শিশুরা যাদের তৈরী করা হচ্ছে অপরকে ঘায়েল করতে এই তারাই যে একদিন আপনার উপর হামলা করবেনা তার কি গ্যারান্টি আছে?নোংরা রাজনিতী আমাদের শিরা উপশিরায় মিশে গেছে।তথাকথিক রাজনিতী বিদেরা তাদের শিকড়(পরিবার) পরদেশে নিশ্চিন্তে রেখে এদেশে ক্ষমতার জন্য হয়ে উঠে হিংস্র।অকাল মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে এ দেশের আমজনতা পেটের দায়ে এক মুঠো ভাতের জন্য খুজতে যাওয়া কর্মস্হল।হরতালের নামে চলে অতর্কিত বোমা বাজীর মহরা।আজ বর্তমান সরকার ৪২ বছর পর হলেও যুদ্ধাপরাধীর বিচারে হাত দিয়েছেন তাকে সাদুবাদ না জানিয়ে উল্টো কিছু নাম ধারী রাজনৈতিক দল এমন কি বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার পর দেশের ক্লান্তি সময়ে যে মহান লোকটি দেশের হালটি ধরে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাড়াবার পথ প্রদর্শক ছিলেন তারই উত্তসূরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আপোষ হীন নেত্রী এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে সরাসরি মত প্রকাশে না গিয়ে জাতিকে বিভ্রান্তিতে রেখে পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধের স্বপ্নবাজদের বিরোধীতাই করছেন।এখন সময় এসেছে আর এক বার মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে যুদ্ধে যাবার।এই যুদ্ধ হবে ভোটের যুদ্ধ।এই যুদ্ধ হবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বাস্তবায়নে আগামী নতুন প্রজম্মের তরে।আমাদের রাজনৈতিক নোংরামীর যুদ্ধাপরাধীর আশ্রয়কে ভেঙ্গে চুড়ে লাল সবুজের কলঙ্গকে পদ্মায় নিমজ্জিত করার।ভাবতে অবাক লাগে স্বাধীনতার শক্তিকে শক্তিশালী না করে ক্ষমতার লোভে অন্ধ কিছু মুক্তিযোদ্ধা কিছু দেশপ্রেমিক প্রবীন।তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে একপ্রকার বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে গঠন করে ভিন্ন ভিন্ন দল।সেই দলেরা আজ ঐক্যতার সুর তুলে কাদের বিরুদ্ধে ?মুক্তিযোদ্ধার পক্ষের শক্তিকে ম্লান করে কার স্বপ্ন তারা বাস্তবায়ন করবেন?আমাদের অগ্রজদের আজ সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নেবার কোন দিকে তারা?তারা কি মুক্তিযোদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নাকি শকুনদের বসবাসের স্হানকে পাকা পুক্ত করার জন্য রাজনিতী করছেন?যদি বলেন গনতণ্ত্রের জন্য তাহলে বলব গনতন্ত্রের ভাষাই আপনাদের জানা নেই।বঙ্গবদ্ধুর সাথে থেকে যেভাবে পাক বাহিনীকে এ দেশ ছাড়তে বাধ্য করে মা মাটি দেশের জন্য বয়ে এনেছিলেন লাল সবুজের পতাকা আজ জাতির এই ক্লান্তিকালে আপনাদের প্রেরনা উৎসাহ বড়ই প্রয়োজন ছিল বঙ্গ বন্ধুর কন্যা দেশ রত্মা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার।ক্ষমতায় কে এলো কে এলোনা সেদিকে আমরা তাকাবনা আমরা আতংকিত পরবর্তী সরকারের যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ভবিষৎ নিয়ে।এখন প্রয়োজন ঐক্য।
সেই সুদিনের অপেক্ষায়।
হয় এ বাংলায় শকুনের বসবাস
নতুবা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নবাজ।।
গানে গানে প্রতিটি দেশপ্রেমিকের হৃদয়ে
বার বার একটি সুরই তুলব
ধর্ম যার যার ……বাংলাদেশ সবার।।
১২টি মন্তব্য
নীলকন্ঠ জয়
উহ !! আর সহ্য করতে পারছি না। এই বাংলা আমরা চাইনা।
মা মাটি দেশ
সময়ের প্রয়োজনে গর্জে উঠুন আর একবার……
করতে হবে শকুনের সর্বনাশ।।ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
ভালো লিখেছেন ভাই ।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে হরতালকে কোনদিন পছন্দ করিনি ।
এখনো করিনা।
সাম্প্রতিক আগুন দিয়ে জনতাকে পুড়িয়ে মারা হরতাল কে ত্যাগ করার সময় হয়েছে ।
মা মাটি দেশ
সহমত (y) (3
শুন্য শুন্যালয়
হরতাল এর জন্য সুস্পষ্ট কোন নীতিমালা কেনো নেই? আর যদি থেকে থাকে তার প্রয়োগ নেই কেনো? মামুর বাড়ির আব্দারের মতো যখন খুশি চাইলেই হরতাল…ধিক এমন রাজনীতিকে. ….
শিশির কনা
আইন করে এসব হত্যা এবং ধ্বংসের আদেশ দাতার বিরুদ্ধে মাওম্লার বিধার করা উচিৎ ।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
এর অবসান হওয়া উচিৎ । ভালো লিখেছেন ।
মা মাটি দেশ
ধন্যবাদ (3 (3 -{@ (y)
রাতুল
হুম। হরতাল তো এখন সস্তা। মন চাইল আর হরতাল দিলো। সাধারণ মানুষ এর ক্ষতি করলো। দেশ টা তো মগের মুল্লুক। যেভাবে চলছে কবে যেন দেশ টা অরাজকতা দিয়ে ভরে যায়। 🙁
এর আগেই আমাদের সচেতন হতে হবে। রুখে দাড়াতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে, দেশ কে বাঁচাতে।
খসড়া
আমি হরতাল পছন্দ করি না আর হরতালের নামে মানুষ পোড়ানো সত্যিই ভয়াবহ। এর চেয়ে গুকি করে মারা বা জবেহ করা কম কষ্টের কম ভয়ের।
জিসান শা ইকরাম
এসব হিংস্রতার নিন্দা প্রকাশের ভাষা নাই —
ভালো লিখেছেন ।
তৌহিদ
স্বাধীনতার শক্তিকে শক্তিশালী না করে ক্ষমতার লোভে অন্ধ কিছু মুক্তিযোদ্ধা কিছু দেশপ্রেমিক প্রবীন।তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে একপ্রকার বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে গঠন করে ভিন্ন ভিন্ন দল।সেই দলেরা আজ ঐক্যতার সুর তুলেছে।