গত পর্বে ধর্ষণে ক্রসফায়ার এর সমর্থনে মত দিয়েছিলাম।ক্রসফায়ার যদিও একটি বিচার বহিভূর্ত কাজ যা মানবাধিকার লঙ্গনে সামিল।অন্য দিকে ক্রসফায়ারে অপরাধের মুল আসামী মানে হুকুমদাতারা ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে যায়। বাংলাদেশে প্রথমবস্থায় ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছিলেন তৎকালিন পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির নেতা সিরাজ সিকদার। ১৯৭৫ সালের ২ জানুয়ারি তাঁকে আটক অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয় এবং তার লাশ সাভারের তালবাগ এলাকায় ফেলে রাখা হয়েছিলো। অবশ্য বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের চিন্তা ভাবনা আসে ভারত হতে।ইন্দিরা গান্ধি সরকার নকশাল নিধনের নামে প্রথমে এটি চালু করেছিলেন । এ নিয়ে মহাশ্বেতা দেবীর বিখ্যাত উপন্যাসও আছে যা পরে ’হাজার চুরাশির মা’ নামে একটি সিনেমাও করা হয়েছিলো।
এরপর ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশে এই পদ্ধতির পুনরায় শুরু করেন বিএনপি ক্ষমতাসীন দল। সেময় সন্ত্রাস দমনের জন্য স্বল্প মেয়াদী অপারেশন ক্লিন হার্ট চালু করা হয়েছিলো।কিন্তু আইন বহির্ভূত হত্যা কাণ্ডের বিবেচ্য হওয়ায় এটা ব্যাপক বিতর্কের কারণ হয়ে দাড়ালে ২০০৪ সালে তা ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ পরিচালনার সময় পুনরায় এ ‘ক্রসফায়ার’ কথাটি ব্যবহার শুরু করা হয়েছিলো। সে সময় বাংলা ভাই সহ আরো জঙ্গিদের ত্রাসে জনগন অতিষ্ট ছিলো যেমন তেমনি অতিষ্ট ছিলো সরকার দলীও লোকদের ত্রাসে।তখন সরকার কুচকুচে কালো পোষাক আর কালো চঁশমার বাহারী সাঁজে আর্বিভুত হয় Rab যা দেখে সারা দেশের মানুষ একটু স্বস্তি অনুভুব করেন।অবশ্য সৃষ্টি হওয়ার এ কালো বাহিনীর পরবর্তী কাজগুলোও ছিলো নিরপেক্ষ ও প্রশংসিত।তার মধ্যে ক্রশফায়ারে বেশীর ভাগই ছিলো সরকারদলীও মানে বিএনপি’র সন্ত্রাসীরা।আমাদের নারায়ণগঞ্জ দিয়েই যদি বলি,তার মধ্যে শহর নারায়ণগঞ্জের ডেভিড, আদমজীর জাফর, আদমজীর মিনিষ্টার শাহলম।বিএনপির এসব মাঠ পর্যায়ের সন্ত্রাসীদের মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হলেও সরকারের নিরপেক্ষতার কারনে জনগণের নিকট সেসময় Rab বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে।একটা পরিসংখ্যানে দেখা যায় সারা দেশে ২০০৪ সালে র্যাব গঠনের পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত র্যাব-পুলিশের ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার বা বন্দুক যুদ্ধে ২ হাজার ২৯২ জন নিহত হয়েছিলো।বলা বাহুল্য বর্তমান Rab এর কার্ষক্রম অনেকটা ক্ষমতাসীনদের হুকুমে চলে তাই Rab এখন ক্রসফায়ারে বেশ বিতর্কীত।
গত পর্বেই বলেছিলাম নরীর জীবনে একজন নারীর সম্ভ্রমহানি হলে সে জীবনে জীবনকে উপলব্দের আর কি বা থাকে যদিও জীবনের সকল চাহিদা পূর্ণতা পেয়ে বেচে থাকা যায় কিন্তু মনকে কি ভাবে সামলাবেন? মনতো প্রতিনিয়ত তুষের আগুনের ন্যায় জ্বলতে থাকে সামাজিক ভাবে তার আত্মসন্মান আর বিবেকবোধ।তাই মাদক আর সন্ত্রাসের চেয়ে এই ধর্ষণ নামক অপরাধটির গুরুত্ব কম বা গুরুত্বহীন ভাবলে চলবে না। কারন এ যে জগত সংসারে এতো কিছুর মেলা তা সবটুকুতেই নারীর গুরুত্ব অপরিসীম।নারী কখনো কারো কন্যা কারো জায়া কারো বা জননী তা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।একজন আদর্শ মা ই জাতিকে দিতে পারে একজন আদর্শ সন্তান,দেশ পায় তার যোগ্য শাসক আমজনতা পায় তাদের বিশ্বস্ত সঠিক নেত।সুতরাং সেই মা জাতির জীবন হয় যেন নির্ভেজাল কলংক মুক্ত দেশ যেন পায় সঠিক পথের দিশারী।
আসুন জেনে নেই সংক্ষিপ্ত ভাবে ধর্ষণে কোন দেশে কি শাস্তি বিধান আছে:
সৌদি আরব: সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান হিসাবে আমরা সাধারণত ধর্মীও ভাবে ফলো করে থাকি।সৌদি আরবে ধর্ষণের শাস্তি অত্যান্ত ভয়ংকর ও লোমহর্ষকর।এখানে ধর্ষকে জনসম্মুখে প্রকাশ্যে বেধে পিটাতে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত না ধর্ষকের মৃত্যু নিশ্চিত হয়।প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এমন শাস্তির বিধানে অপরাধীরা বুঝতে পারে ধর্ষণে শাস্তির ভয়াবহতা।এ ছাড়াও ধর্ষণে সৌদির আরেকটি বিধান আছে তা হল জন সন্মুখে সরাসরি ধর্ষকের শিরচ্ছেদ করা।
ইরান: ধর্ষণে হয় ফাঁসি, না হয় গুলি। কারণ তাদের মতে, দোষী ধর্ষিতা নন, ধর্ষকই এই কাজে আসল দোষী।তাই দর্ষিতাকে আর কোন রকম ঝামেলায় না জড়িয়ে ডায়রেক্ট এ্যাকসান।
চীন: ধর্ষণে প্রমাণ পেলে আর কোন সাজা নয় সরাসরি মৃত্যুদণ্ড যা কার্যকর করা হয় খুব দ্রুত।
উত্তর কুরিয়া: অভিযোগের পাওয়ার পর সাথে সাথে গ্রেফতার। তারপর দ্রুতার সহিত অভিযোগ প্রমাণীত করে ধর্ষককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
আফগানিস্থান: আফগানিস্থানে সাধারনতঃ ধর্ষণ হয় না বললেই চলে। তবে, যদি কেউ সেখানে ধর্ষণ করে ধরা পড়ে তবে সোজা তার মাথায় গুলি করে মারা হয় এবং কখনো কখনো ফাসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়।
ভারত: ভারতে ধর্ষণে আইনটি ক্রমশতঃ কঠোরতার দিকে এগুচ্ছে।ভারতে ধর্ষণে ৭-১৪ বছর কারা দন্ড দেয়া হয় এবং ব্যাপক আলোচিত কিছু ধর্ষণে মৃত্যু দন্ডেরও বিধান আছে।
ফ্রান্স: অপরাধ প্রমাণিত হলে কম পক্ষে ১৫ বছরের জেল এবং অপরাধ গুরুতর হলে তা বেড়ে হতে পারে ৩০ বছরও হয়ে যায়।তবে এ সব মামলায় নারীদের নির্যাতনের অবস্থার উপর সাজার ধরণ নির্ভর করে।
নেদারল্যান্ডস: এদেশে নারী এমন কি বেশ্যা নারীদের সাথে শারীরিক মিলন বা অত্যাচার, জোর পূর্বক চুমু খাওয়াকেও নেদারল্যান্ডসে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও ভুক্তভোগীর বয়স কথা ভেবে ধর্ষককে ৪ থেকে ১৫ বছরের কারাদন্ড ভোগ করতে হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ধর্ষন, কিংবা শ্লীলতা হানিতেও এ দেশে সরাসরি ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে মৃত্যু দেয়া হয়ে থাকে। এ দেশের কোথাও কোন রকমের দেন দরবার বা ক্ষতি পূরণ দেয়ার সুযোগ নেই। ধর্ষককে কমপক্ষে ৭ দিনের মধ্যে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে।
গ্রীস: অভিযোগ সত্যি বলে প্রমাণিত হলে ধর্ষককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
মিশর: ধর্ষণের সংখ্যা কমাতে মিশর শুধু ধর্ষককে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলায় না বরং জনসচেনতা এবং ধর্ষকের মনে ভয় ঢুকাতে এ ফাসির কার্যক্রমটি জনসমাবেশের মত করে সরাসরি ফাসি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
যুক্তরাষ্ট্র: যদিও বিশ্বে ধর্ষণে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে তথাপি এখানে দুই ধরণের আইন ব্যবস্থা দেখা যায়। স্টেট ল’ এবং ফেডারাল ল’। আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ফেডারাল ল’ এর অধীনে অভিযোগ জমা দেয় তবে মৃত্যুদন্ড সহ জরিমানা করা হয়।আর স্টেট ল’ এর নিয়ম কানুনগুলো প্রতিটি রাজ্যভেদে ভিন্ন ভিন্ন শাস্তি পরিলক্ষিত হয়।
বাংলাদেশ:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ ধারা মতে এর সাজা সমুহঃ
ধারা ৯ এর ১নং: যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে,ধর্ষণকারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।
ধারা ৯ এর ২নং: যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তার অন্যবিধ কার্য কলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।
ধারা ৯ এর ৩নং: যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধ ভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তা হলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অন্যুন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।
ধারা ৯ এর নং: যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-
(ক) ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন;
(খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।
(৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কোন নারী ধর্ষিতা হন, তা হলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্ত রূপ ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরি ভাবে দায়ী ছিলেন, তিনি বা তারা প্রত্যেকে, ভিন্ন রূপ প্রমাণিত না হলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যুন পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন(কপি:বাংলাদেশ প্রতিদিন)
উপরোক্ত আলোচনায় ধর্ষণে যে ধরনের শাস্তির বিধান রাখা আছে তা বালাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের আইনের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় ধর্ষণে শাস্তি প্রদানে অনেক দূর্বল আমাদের দেশের আইন।যদিও মৃত্যু দন্ডের বিধান রাখা আছে কিন্তু অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের দেশের আইন বাস্তবায়নের কঠোরতা তা তেমন লক্ষ্য করা যায়নি।তা ছাড়া বিশ্বে অন্যান্য আইন শৃংখলার স্ব-রূপ বলেন আর বিচারিক কার্যের স্ব-রূপ বলেন তাতেও অনেক পার্থক্য-এ দেশে আইন ও বিচার কাজ চলে টাকা আর ক্ষমতার বলয়ে।বিচারক থেকে শুরু করে উকিল মুক্তাদের চলে মহা ধান্দার এক মহড়া যেখানে মানবতা, সততা, ন্যায় বিচারের পক্ষে গৌণতা পরিলক্ষিত হয়।এছাড়াও আমাদের দেশে পেশকৃত অগণিত অপরাধের বিচার কার্য ঝুলে আছে কেবল মাত্র বিচার বিভাগের সক্ষমতা,জনবল আর রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে।এ সব কারনে অনেক ধর্ষিতা বিচারের মুখো মুখি হতে ভয় পান।মামলা চালাতে এক সময় তারা জমি জমা সহ সর্বোস্ব হারিয়েও আরেক বার আদালত চত্বরে উলঙ্গ হওয়া থেকে বাদ যায় না।
বর্তমান সময়ে ধর্ষণের যেন মহড়া শুরু হয়ে গেছে। এ দেশের নরীদের লজ্জাই হল তাদের জীবনের প্রধান সম্পদ, সে জন্য কয়দিন আগেও তেমন একটা প্রকাশ পেত না। এখনো দেশের আনাচে কানাচে ঘটে যাওয়া সবগুলো ধর্ষণের ঘটনাই যে প্রকাশ পাচ্ছে তা কিন্তু নয়।মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা যতটুকুই ধর্ষণের খবরা খবর পাচ্ছি তাতে একটা ভয় আতংক কিন্তু আমাদের মাঝে শুরু হয়ে গেছে।বর্তমানে প্রকাশিত খবরে ধর্ষণে প্রা্য় ঘটনাগুলোই শিশু ধর্ষণ অথাৎ ৫ থেকে ১০/১২ বছর এর শিশু কিশোরীদের জীবনে ঘটে যাওয়া ধর্ষিত হওয়ার মত ঘৃণ্য লজ্জিত ঘটনাগুলো যা আমাদের কন্ট্রোলের বাহিরে চলে গিয়েছে।এটা একটা জাতির জন্য খুবই অশনি সংকেত।আবার অন্য দিকে দেখা যায় যেখানে মুসলিম নারীদের সবচেয়ে ভরসা স্থল শিক্ষাঙ্গণ মাদ্রাসা সেখানেও কিন্তু এ ধর্ষণ নামক ব্যাধি মহামাড়িতে রূপ নিয়েছে।স্কুল কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয় অন্যান্য স্থানতো আছেই।
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্রে আলাবামা অঙ্গ রাজ্যে এমন একটি আইনই পাস হয়েছে যা শিশুদের ধর্ষণ সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে।১৩ বছরের কম বয়সী কোন মেয়েকে ধর্ষণ করলে ধর্ষককে ইনজেকশন দিয়ে বা ওষুধের মাধ্যমে নপুংসক করে দেওয়া হবে।এই ইনজেকশন এক বার পুশ করলে ধর্ষক আর দ্বিতীয় বার কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন ৷ তার বাকীটা জীবন তাকে যৌনকামনাহীন মানুষ রূপেই বেচে থাকতে হবে।তবে এখানে একটা সুযোগ রাখা হয়েছে, তা হলো, এ আইন অনুযায়ী কোন অপরাধী যদি জেলে থাকে তবে তাকে এই ইনজেকশনটি দেয়া হবে না। আর যদিসে বাইরে থাকতে চায় তবেই তাকে ইনজেকশন দিয়েই ছেড়ে দেয়া হবে।কারন ইনজেকশন ছাড়া সে সমাজের জন্য নিরাপদ নয়।
শুধু তাই নয়, আমাদের দেশে আইনের মারপ্যাচে আবারো, ধর্ষিতাকেই আদালতে প্রমাণ করতে হয় যে, তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আবার যদিও আইন আছে ধর্ষিতার সকল পরীক্ষা বা তল্লাসি করাবে নারীরা কিন্তু আমাদের দেশে ঘটে এর উল্টো ঘটনা।ধর্ষিত নারী ধর্ষনের সকল পরীক্ষায় অধিকাংশই পুরুষ করে থাকেন।আবার ধর্ষীতার মুখের কথাই শুধু বিচার হবে না এর জন্য উপযুক্ত সাক্ষীও লাগবে মানে ধর্ষণের সময় যেন দুএকটা পুরুষও দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখেন।এছাড়াও বার বার পরীক্ষায়, আদালতের উকিলের খোলা খুলি জেরা, পরিবারের সম্মান, সমাজের ভালো-মন্দ ভাবার দিক একটা পরিবারকে জীবিত থেকেও যেন মেরে ফেলে হয়।একজন সাধারন নারী যাকে আমরা মা জাত ভাবি তাকে ধর্ষনে বিচার চাইতে মানষিক ভাবে কি যে একটা অশান্তি আর আত্মমর্যাদায় আঘাত করে তাতে অনেকেই বিচার চাওয়া হতে বিমুখ হয়ে পড়েন।
সুতরাং ধর্ষণে বর্তমান অবস্থার ভয়াবহতা আর বিচারিক কার্যের দুর্বলতা, ধর্ষীতার বিপক্ষে ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীদের দৌড়াত্বা রোধ করতে ধর্ষককে হয় জন সন্মুখে দ্রুত মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত নতুবা ক্রসফায়ার অথবা যৌন ক্ষমতাহীন ইনজেকসনস পুশ করা এখন সময়ের দাবী মাত্র।
……………………………………………………..
তথ্য ও ছবি
উইকিপিয়া
বাংলাদেশ প্রতিদিন
ফাপরবাজ.কম
জি-নিউজ
২০টি মন্তব্য
তৌহিদ
নারী কখনো কারো কন্যা কারো জায়া কারো বা জননী তা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।একজন আদর্শ মা ই জাতিকে দিতে পারে একজন আদর্শ সন্তান,দেশ পায় তার যোগ্য শাসক আমজনতা পায় তাদের বিশ্বস্ত সঠিক নেত।সুতরাং সেই মা জাতির জীবন হয় যেন নির্ভেজাল কলংক মুক্ত দেশ যেন পায় সঠিক পথের দিশারী। এই কথাটিই মাথায় রাখতে হবে সবার আগে।
বিভিন্ন দেশের শাস্তি দেখে অবাক হলাম এটা ভেবে এর যে কোন একটা আমাদের দেশে কার্যকর হলে নিশ্চিতভাবেই ধর্ষণ কমে যেতো। আইন সংশোধন এবং কার্যকর হওয়া অতীব জরুরী আমাদের দেশে।
তথ্যসমৃদ্ধ এমন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইটি।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ।আসলে দুএকটারে ক্রসফায়ারে না ফেললে অপধারীদের মনে দ্রুত ভয় জাগবে না।
শিরিন হক
বিভিন্ন দেশের শাস্তির তথ্য দিয়ে লেখাকে করেছেন সমৃদ্ধশালী। আমাদের দেশে এমন আইন দরকার তবে সেখানে অবস্যই সরকার প্রসাসনের সদ ইচ্ছা থাকতে হবে। যে আইন হোক না কেনো আইনের ফাকফোকর বন্ধ করা জরুরি আমাদের দেশে।
ধর্শনের বিচারের দাবী আজ সকল জনগনের। সরকার তথা রাস্টের এমন দৃষ্টান্ত দেখানো উচিত যেনো কারো সাহস না হয় এ জঘন্য কাজ করতে।
আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ দাবি করলেও অনেক কিছু শিখতে পারিনি বা পরিবর্তন করতের পারিনি আফসোস।
ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য।
মনির হোসেন মমি
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আইনের সঠিক প্রয়োগ-ই একমাত্র উপায়।
তবে ইঞ্জেকশনটি কিন্তু দারুন পদ্ধতি।
মনির হোসেন মমি
অতি সহজ পদ্ধতি
ধরা পড়লেই পুস।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাসুদ চয়ন
আইনের প্রয়োগটাই নেই এদেশে।বাকিটা ঠিক আছে।সত্যিই দুঃখজনক
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আরজু মুক্তা
আইন দ্রুত সংশোধন করে,সৌদি আইন চালু করা উচিত।
খোজা করিয়ে দেয়ার পদ্ধতিটা মন্দ নয়।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
জিসান শা ইকরাম
বর্তমানে এদেশে যে পরিমান এবং যেভাবে ধর্ষনের ঘটনা চলছে তা ইতিপুর্বে আর কখনোই ঘটেনি।
ধর্ষকামী পুরুষ যেন বুঝে গিয়েছে, ধর্ষন করলে শাস্তি নেই। আইনের মারপ্যাচে তারা রক্ষা পেয়ে যাবে।
আমাদের দেশ সহ অন্যান্য অনেক দেশের ধর্ষনের শাস্তির কথা বর্ননা করেছেন। যে সমস্ত কারনের জন্য আমাদের দেশে ধর্ষকদের শাস্তি সঠিক ভাবে হয়না তার কারনও ব্যাখ্যা করেছেন। একমত আপনার সাথে।
ভালো একটি পোস্ট।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান।
মোঃ মজিবর রহমান
এই অপরাধীর শাস্তি অবশ্যই ফাসি বা গুলি করে হত্যা করা উচিত।
সিরাজ শিকদার একজন সরাসরি বা জনতার মাঝে থেকে রাজনীতি করে নাই, তিনি আন্ডার গ্রাউন্ডে থেকে সরকার পতনের রাজনিতি করতে চেয়েছেন। তাকেগ্রেফতার করা হলে একপক্ষ প্রচার করে ইন্ডিয়ান এম্ব্যাসি উড়িয়ে দেব। এই অবস্থায় তাঁকে ক্রস ফায়ারে ফেলে।
আর রাজনিতির একটি সত্য বিষয় বি এন পিরা বলে জিয়া বহুদলীয় গনতন্ত্র চালু করেছিল এখানে এর পিছনে বিরাট একটি সত্য যে সর্বহারাদের বহুদলে আনেন নাই কারণ তাঁদের দিয়ে লীগ ক্ষতম উদ্যেশ্য ছিল।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ প্রিয় ভাইটি।সিরাজ সিকদারের ঘটনাটা এখানে আনতে হয়েছে রাষ্ট্রের বিশেষ প্রয়োজনে ঐ সময়ও ক্রসফায়ার ছিলো তাহলে এখন ধর্ষণ যেহেতু কন্ট্রোলের বাহিরে চলে গেছে তখন দুএকটারে ক্রসফায়ারে দিলে ওদেন মনে ভয় জমবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মোঃ মজিবর রহমান
সুবিচার হলেই সমস্যা নাই, কিন্তু কে করবে???????????
সাবিনা ইয়াসমিন
ইঞ্জেকশন পদ্ধতিটা আমাদের দেশেও আনা উচিত। একজন ধর্ষক শুধু ধর্ষকই নন। কারো সন্তান, ভাই, পিতা, স্বামীও হয়। এদের সরাসরি ফাঁসি দিয়ে দিলে ঐ পরিবার আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেহেতু আমাদের দেশের বেশিরভাগ পরিবারগুলোই অর্থনৈতিক কারনে পুরুষের উপর নির্ভরশীল। তাই অনেক পরিবার না চাইলে ধর্ষকের পক্ষে সাফাই গায়। কারন একটাই, উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটাকে তারা হারাতে চায় না।
তবে, শিশু ধর্ষন ও হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তির শাস্তি শুধুমাত্র ফাঁসি। এর কোনো বিকল্প নেই।
মনির হোসেন মমি
আপনার কথায় যুক্তি আছে তবে আজকের এর ভয়াবহতা কমাতে দুএকটা ক্রশফায়ার বা ইনজেকসনের বিকল্প নেই।আর এর ফাসি চাইলে মামলার ঝামেলায় বিচার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার আর ভোগান্তিতো আছেই।
রিমি রুম্মান
অনেক অজানা জানলাম লেখাটি পড়ে। সচেতনতামূলক পোস্ট।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।