এখন তো অনেক কিছুই অচল হয়েছে সচল থাকার পরেও
হিসেবের খাতা থেকে কবেই হারিয়ে গিয়েছে পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা
পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সারও হিসেব এখন আর কেউ করে না।
কিছুদিন পর হয়তো এক টাকার কাগুজে নোটটিকেও জাদুঘরে রাখা হবে
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেখানো জন্য।
এক আনা, চার আনা, ছটাক আর সিকির হিসেব তো ভুলেই গেছে লোকজন
‘দেখ দাদু ঐ গোলের মত যে পয়সাটা দেখছিস সেটা দিয়ে পাঁচটি লজেন্স কিনে খেতাম আমরা’
এভাবেই হয়তো বলবে কোন বুড়োধাম তার আদরের নাতিকে জাদুঘরে নিয়ে গিয়ে
কপালের চামড়া আরও ভাঁজ হয়ে যাবে যখন দেখবে এক সময় স্বর্ণের কয়েন, রূপার কয়েন দিয়ে সওদা হতো দেশে।
এভাবেই একদিন সবকিছুই জাদুঘরে যাবে……………..
মানুষের পোশাক, নিত্যব্যবহার্য দ্রবাদি, সভ্যতার থালা-বাসন সব……
শুধু তু্মিই আমার পুরনো কবিতায় ইতিহাস হয়ে রবে।
২টি মন্তব্য
খসড়া
ইতিহাসে স্থান কি সব পায়? ঐ যে একটা কবিতা আছে না —
কত বীর দিল প্রাণ লেখা আছে ইতিহাসে
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর লেখা নাই তার পাশে।
শুন্য শুন্যালয়
আমি তো বুঝতেই পারিনি, শেষ লাইন এমনটা হতে যাচ্ছে 🙂
জাদুঘর ও কিন্তু ঐতিহাসিক, তাকেও জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েন না… 🙂