যারা সারাবছর ঘাপটি মেরে বসে থেকে ঠিক রেজাল্টের দিন এসে কষ্ট করে খোঁজ নেন আর দুচারটা নীতি বাক্য শুনান তাদের🧐 , যারা নিজের মেয়েকে এ যুগের মেয়ে বলেন আর বার বার সবার মা’কে মনে করিয়ে দেন “আল্লাহ্ , ভাবি আপনার মেয়ে কতো বড় হয়ে গেছে বিয়ে দিবেন না ?’ তাদের😱 ,
যারা নিজের বৌ এর কেলানি খেয়ে অন্যকে বলেন ” বৌকে এতো লায় দিস না মাথায় উঠবে” তাদের🤔 ,
অফিসের রাগ বৌ এর উপর ঝাড়েন তাদের🤓
আর যারা সারাক্ষণ নিজের মুখখানা খরচ করে সারাজীবন কষ্ট করে শ্রম দিয়ে পরনিন্দা নামক কারখানাটা চালু রাখছেন তাদের🤪 সবাইকে আমার মনের গভীর থেকে
🙄” শ্রমিক দিবসের শুভেচ্ছা ” 🙃
১৪টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
মজা করে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। আসলে কি আমাদের মানষিকতার পরিবর্তন হবে! হবে না। এই আমিই মাঝে মাঝে পরিবারের অনেকের উপর রাগ করে সমস্ত লেখালেখি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেই।ছেলের রেজাল্ট খারাপ হলে মায়ের হাতের ফোনটাই দায়ি হয়। কিন্তু অন্য ছেলের রেজাল্ট ভালো হলে কেউ ক্রেডিটটা মাকে দেয় না। আসলে আমরাই ভালো না। অনেক কিছু লিতে ইচ্ছে করছে কিন্তু আজ মনটা ভাল নেই। ফেসবুকে ঢুকি না। কিন্তু একপলক ফেলতেই নতুন কারো লেখার পোষ্ট চোখে পড়লো, তাই অক্সিজেন নিতে ব্ললে ছুটে আসলাম। সোনেলা পরিবারে স্বাগতম। ভাল থাকুন সব সময়।
গালিবা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য 🙂
জিসান শা ইকরাম
এদেরকেও শ্রমিক বানিয়ে ফেললেন? :D)
মজা পেলাম খুব আপনার লেখা পড়ে (y)
শুভ কামনা।
গালিবা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
আজ শ্রমিক নেতা শাহজাহান খান আর নজ্রুল ইসলাম খান
দুই খানে শ্রমিকরা ছেড়া তেনা।
শ্রমিক নিয়া এরা তামাশা করে।
গালিবা ইয়াসমিন
আপনি হয়তো আমার রম্য টি বুঝতে পারেন নাই , আমি শ্রমিকদের না , আমি সমাজে পরনিন্দা করা মানুষদের নিয়ে তামশা করেছি 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হা হা হা মনের ক্ষোভ ঝাল মিটালেন অল্প লেখাতেই।আসলেই এ সব কুৎসা রচনা লোকেরা কবে যে সুদরাবে!
গালিবা ইয়াসমিন
🙂
আবু খায়ের আনিছ
হা হা হা, রম্য হিসাবে যথেষ্ট / উপযুক্ত কথামালার ব্যবহার করেছেন।
দুটো লেখা পড়লাম, বেশ ভালোই দেখার চোখ আপনার। দেখতে থাকুন এভাবেই।।
গালিবা ইয়াসমিন
খুব ছোট বয়সে টাইফয়েডে চোখের পাওয়ার কমে গেছে তাই হয়তো 🙂
দুঃখিত বেক্তিগত কথা বলার জন্য , চোখের কথা বললেন তো তাই মুখ থেকে বেড় হয়ে গেলো ।
ধন্যবাদ 🙂
আবু খায়ের আনিছ
আপনার মন্তব্য আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না, আমার মন্তব্য আপনি নেগেটিভ ভাবে নিলে আমি দুঃখিত। দেখার চোখ বলতে আমি পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বুঝিয়েছি। একজন লেখকের বড় গুন হল তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা। সামাজিক অসংগতি গুলো এই পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার গুনেই ধরা পরে।
আমিও অন্ধ, চশমা ছাড়া চোখে দেখি না।
গালিবা ইয়াসমিন
না না না তা নয় , আমি নেগেটিভ নেই নি । আমি বোঝাতে চেয়েছি আশে পাশে উচ্চ ক্ষমতায় কতো মানুষ আছে যাদের চোখ ভালো তারা সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করে থাকে আর কবি লেখক রা সেসব দেখতে দেখতে চোখ খয়ে ফেলে আর লিখতে লিখতে আঙুল ক্ষয় করে ফেলে শুধু মাত্র মানুষের কল্যাণের জন্য 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশিরভাগ নারীদের ভাগ্যে এসব জোটে। যেমন,
রান্না খারাপ হলে, “কি রেঁধেছো এসব?”
ভালো হলে প্রশংসা বাক্যটুকুতেও আলসেমি।
সন্তান কিছু একটু খারাপ বা অন্যায় করলে সকল দোষ মায়েদের।
ভালো করলে, “আরে কার সন্তান দেখতে হবেনা?”
স্ত্রী প্রমোশন পেলে বেতন বাড়ে, স্বামীও খুশী হয়।
কিন্তু স্ত্রী’র কাজের চাপে ঘরে ফিরতে একটু দেরী হলে(অর্থাৎ কর্তা অফিস থেকে বাসায় এসে চা-নাস্তা না পেলে) “তুমি কি একলাই চাকরী করো যে এতো দেরী?”
আপনার পোষ্টটা দারুণ লেগেছে। কতো কী লিখিয়ে দিলো! আপনার লেখা ফেসবুকে “সোনেলা গ্রুপে” পড়েছিলাম। বেশ লেখেন আপনি।
স্বাগতম সোনেলায়। :c -{@
গালিবা ইয়াসমিন
জী , ধন্যবাদ 🙂