শুধু অমাবস্যা বা পূর্ণিমা এলেই নয় , বিশেষ দিনগুলোতেও যেমন জন্ম বা মৃত্যু দিনে তাদের শুল বেদনা চরমতম পূর্ণতা লাভ করে।তখন চিপা-চাপায় জড় হয়ে চিঁচিঁ শুরু করে। চালু করে ফুঁপিয়ে কান্না। নিভৃতে গুজুর গুজুর ফুসুর ফাসুরে মনোকষ্ট নিবারণের ব্যর্থ চেষ্টা করে। মেয়াদোত্তীর্ণ চরম ভীত সন্ত্রস্ত খুঁতখুঁতে অসুস্থ হৃদয়ে উচ্চ কণ্ঠের ভাব নিয়ে মিহি সুরে রোদন জারি রাখে গুষ্ঠি উদ্ধার সহ। হুয়াক্কা হুয়া ডাকে উচ্চ কণ্ঠ হতেও ভয় ,কী জানি আচম্বিতে মেরুদণ্ডের দণ্ডটি আবার কনুইয়ের চাপে বা গুঁতোয় এঁকেবেঁকে না যায়। এমন মার খেয়েছে তাঁর জীবদ্দশায় সামনে ও পেছন থেকে, তা মনে হলেই এখন ঘুমহীন চোখে ভর দুপুরেও দুঃস্বপ্নেরা তাড়া করে ফেরে।
একেই বলে বরেণ্য বগলবাজ বিষণ্ন বলদদের হালুয়া টাইট এবং কেরোসিন/পেট্রল অবস্থা।
ইনিয়ে বিনিয়ে মূল অভিযোগ একটিই। তিঁনি বাজার সর্বস্ব লেখক।কোন দিগ্বিজয়ী মহাকালোত্তীর্ণ মহামহিম সাহিত্য সৃষ্টির ধারে কাছেও না গিয়ে শুধু বইয়ের আধা পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা জুড়ে আউল ফাউল বানিয়ে ছানিয়ে জগাখিচুড়ি মতন কিছু একটা লিখেই লেখক সম্রাট সেজে শুধু যুবক সম্প্রদায়ের নয় সমগ্র দেশ-কাল ও জাতির অপূরণীয় অননুকরণীয় ক্ষতি সাধন করে ফেলেছেন। সাকুল্যে প্রাপ্তি শুধুই গুটি কয়েক সফল চাটুকার।
তা দিগম্বর দিগ্গজ মহামতি জলকুন্তল মহাজনেরা ,আপনারা জাতির এহেন জাতীয় দুর্দিনে মহান কোন অমর মহার্ঘ বাল ছাল কাব্য-কূট রচনায় ব্রতী হয়ে আমাদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়তে কাল বিলম্ব কেন করছেন ? জাতি তা জানতে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আসুন আমাদের উদ্ধার করার ছলে নিজেও কায়-কষ্টে পুলসিরাত পার হয়ে বেঁচে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করুণ।
শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে অকৃত্রিম সম্মান , ভালোবাসা ও তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
তাঁর ভক্তকূলের সামান্য একজন না হয়েই।
৪৪টি মন্তব্য
মা মাটি দেশ
শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন স্যারে আত্ত্বার মাগফিরাত কামনা।সুন্দর একটি পোষ্ট হুমায়ুন স্যরের একজন ভক্ত আপনাকে ধন্যবাদ। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আমি তাকে সম্মান করি তাঁর প্রতিভার জন্য । এমন মানুষ বার বার আমাদের মাঝে আসেন না ।
ভক্ত নই কোন ভাবেই । তাঁর বই পড়েছি মাত্র কয়েকটি ।
ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
শ্রদ্দেয় হুমায়ুন আহমেদকে বাংলা সাহিত্যের হ্যামিলনের বাশিওয়ালা বলা যায়
বাংলাদেশের পাঠককে তিনি বই পড়ায় ফিরিয়ে এনেছেন
পশ্চিম বাংলার সাহিত্যিকদের একচ্ছত্র আধিপত্য রুখে দিয়েছেন তিনি।
অনেকের ব্যবসা নষ্ট হয়েছে এই বই বানিজ্যে , রুষ্ট তো হবেনই অনেকে।
বই বিক্রীর তালিকায় এখনো তাঁর বই তালিকার শীর্ষে ।
শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন আহমেদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি ।
ছাইরাছ হেলাল
কিছু বরেণ্য বগলবাজ বিষণ্ন বলদদের হালুয়া টাইট এবং কেরোসিন/পেট্রল অবস্থার জন্যই
এই মনোবেদনা অকৃতজ্ঞদের ।
অবশ্যই তাঁকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা ।
জিসান শা ইকরাম
এর আর একটা কারন হচ্ছে , সমালোচনাকারীদের কাউকে চেনে না সাহিত্য প্রেমীরা।
হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে কিছু লিখে নিজেদের চিনিয়ে দেয়ার একটা কৌশল এটা।
ব্লগার সজীব
আমাদের স্যার আমাদেরকে শিখিয়েছেন ‘ তুই রাজাকার ‘ । সম সাময়িক অন্য কোন লেখক এটি শিখাতে পারেননি। আমাদের স্যারকে হলেই চলবে।
স্যারের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি -{@ -{@
ছাইরাছ হেলাল
তাঁর লেখনীতে ছিল রাজাকারদের প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা । নাটকে এই অভিনব ঘৃণার প্রকাশ
আগে এমন করে হয়েছে কী না জানি না ।
তিঁনি শান্তিতে থাকুন ।
মিসু
যেনারা হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে এমন বলেন, তাঁরা কি লিখেছেন এখন পর্যন্ত ঝাতি তা জানতে চায়।
ছাইরাছ হেলাল
তেনারা অশ্বডিম্ব ছাড়া আর কিছুই দিতে পেরেছে বলে আমার অন্তত জানা নেই ।
মাঝে-সাঁঝে আপনি একটু পড়লে ভালই লাগে ।
ধন্যবাদ ।
খসড়া
শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ছাইরাছ হেলাল
শ্রদ্ধাঞ্জলি অবশ্যই ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার লেখা চাই-ই ।
লীলাবতী
হুমায়ুন স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমার। বাংলাদেশের লেখকদের লেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন তিনি আমাকে। সিনেমা দেখা আবার শুরু করেছি তাঁর সিনেমা দেখে। কে কি বললো তাতে স্যারের কি আসে যায় ?
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ । পড়া বিমুখ একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে পড়ায়
নিয়ে এসেছেন প্রবল ভাবে । আবার আমরা সিনেমা হল মুখি হয়েছি তার ছবি দেখব বলে ।
কিছুই আসে যায় না তা তো দেখতেই পাচ্ছি । পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
হুমায়ুন আহমেদ এর তুলনা একমাত্র হুমায়ুন আহমেদই। আপনার লেখার সাথে সহমত ।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও আপনার সাথে একমত । পাঠকের ভালো লাগা ভালোবাসা নিয়ে কথা ।
লেখক ও আনন্দ নিয়েই লিখছেন , এটিই আমাদের বড় পাওয়া ।
পড়ার জন্য শুভেচ্ছা ।
আজিম
আপনার এ লেখায় মন্তব্য করতে ভয় লাগে। কি জানি কী বলে বসেন আবার।
হূমায়ন আহমেদ শব্দের যাদুকর ছিলেন, অসম্ভব প্রতিভাধরও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশে বাংলা সাহিত্যে তাঁর মতো এতো চমক সৃষ্টিকারী লেখক আর কেউ ছিলেনওনা, এখনও নেই। বিশেষতঃ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস সৃষ্টি তাঁর বই পড়ার মাধ্যমেই হয়েছিল।
তাঁর বই বেশি পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি, তাই জানিনা আর এর চেয়ে বেশি কিছু।
ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য। আপনি লিখেন কম, পড়েন বেশি। খুবই ভাল অভ্যাস পড়া।
ছাইরাছ হেলাল
ওহ্ ব্রুটাস………………………
শেষ পর্যন্ত আপনিও !
আমি তাঁর ভক্ত পাঠক নই , পড়েছি ও অল্প কয়েকটি বই মাত্র । কিন্তু তাঁর সম্পর্কে
সাধ্যানুযায়ী সামান্য ধারনা রাখি । আর তাই লেখক না হয়েও এ বিষয় নিয়ে দু’এক কলম লেখার
চেষ্টা করলাম । তিঁনি যে সব বিষয়ে কাজ করেছেন তা সবই আমরা আনন্দের সাথে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি ।
আপনাদের মত সুন্দর করে লিখতে পারি না বলেই হয়ত এই ‘কম’ লেখা , পড়ার চেষ্টা করছি মাত্র ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অবশ্যই ।
শুন্য শুন্যালয়
মেয়াদোত্তীর্ণ হৃদয়. দারুণ দিয়েছেন কিন্তু।
একটা বয়স যখন ছেলেমেয়েরা দুস্টমি কিংবা ভুলভাল করেই অপচয় করতো, তাদেরকেও বইমুখি করার জন্য এই ব্যক্তির ভুমিকা অনেক। বলে শেষ করা যাবেনা। যারা চিঁ চিঁ করে তারা এখন এ বি সি ডি থেকে শুরু করবে হয়তো নয়তো দেখবেন ঠিকই হুমায়ূন আহমেদের স্টাইলে লেখা শুরু করেছে।
শ্রদ্ধা জানাই তার প্রতি। যেখানেই থাকুক শান্তিতে থাকুক।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যখন ‘দারুণ’ বলেন তখন অবশ্যই দারুণ এবং তা মেনেই বলছি , ভাগাড়ের প্রাণীরা
ওখানেই থাকুক ,আর ট্যাঁ ফোঁ করুক । করো অবদান যেন আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না । ধিক্ এ মানসিকতাকে । অনেকেই খাবি খাচ্ছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ।
ধন্যবাদ দিচ্ছি অনেক ।
শুন্য শুন্যালয়
সব রাগ ঝেড়ে ফেলেছেন? না কিছু আছে? 🙂
আমাদের ভরসা এখন কে বলুন তো, বই থেকে ১০০ মেইল দুরে আছি।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন কেউ তাঁর ধারে কাছ দিয়েও যাওয়ার যোগ্যতা দেখাচ্ছে না ।
শুধুই কথায় বড় বড় ।
আমাদের এখন কে ভরসা তা আমি সত্যি জানিনা ।
এই দূরত্ব শীঘ্রই ঘুচে যাবে । এখন নেটেই প্রায় সব পাওয়া যায় ।
শুন্য শুন্যালয়
হুম, কিছু ডাউনলোড করে রেখেছি, পড়ার সময় নাই শুধু। পড়লে ফেসবুকামু কখন? 🙁 আপনিই ভালো আছেন।
ছাইরাছ হেলাল
কী যে বলেন !
শিশির কনা
শিয়াল পন্ডিতদের যে বর্ননা দিলেন, আর একটু কম দিলে হতোনা? আপনার বর্ননা তারা কেয় পড়িলে নির্ঘাত সুইসাইড করবে।
স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
ছাইরাছ হেলাল
শিয়াল পণ্ডিতদের যে বর্ণনা দিতে চেয়ে ছিলাম তা রগ-রগে হতে যেতে পারে ভেবে কমই দিয়েছি ।
ওদের ঘেউ ঘেউ এর জ্বালায় অস্থির হয়ে পড়েছি । নিজেদের খবর নেই অন্যেরটা নিয়ে ত্যানা পেঁচানো ।
দু’বছর তো হয়ে গেল , অনেক আঁটি বেঁধে ফেলেছে কেই তেমন তো দেখছিনে ।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা তাঁকে ।
সঞ্জয় কুমার
আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখকের একজন ।
ছাইরাছ হেলাল
তিঁনি আমার প্রিয় লেখন নন । তবুও তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা ।
ধন্যবাদ ।
আদিব আদ্নান
‘একেই বলে বরেণ্য বগলবাজ বিষণ্ন বলদদের হালুয়া টাইট এবং কেরোসিন/পেট্রল অবস্থা।’
বহুদিন পর এসব শব্দ একসাথে দেখে হাসতে ইচ্ছে করে ।
কীভাবে লেখেন ?
আমি তার ভক্ত । নতজানু শ্রদ্ধা জানাচ্ছি স্যারকে ।
ছাইরাছ হেলাল
এ সব চাইলে যে কাউ লিখে ফেলতে পারে । এমন কিছু না ।
আমিও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ।
আজিজুল ইসলাম
-{@
ছাইরাছ হেলাল
শুধু ইমো দিলে তো হবে না ।
ধন্যবাদ ।
মা মাটি দেশ
বাকের ভাইয়ের ফাসি হলে
জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে -{@ (y)
ছাইরাছ হেলাল
সে এক অন্য রকম উন্মাদনা , আপনি নিয়মিত দেখে তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন নিশ্চয়ই ।
এখন আর এমন হয় বলে শুনি না ।
আগুন রঙের শিমুল
আপনারে পছন্দ করি তাই মন্তব্য এড়ায়ে গেলাম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমিও আপনাকে পছন্দ করি ।
ধন্যবাদ ।
মশাই
কলমের পর কলম, আর দিস্তার পর শেষ করে কেউ তার নাম লিখতে পেরেছে কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে অনেক। তবে চামড়ার মুখের অনেক কথার কথা বলে অনেকে বৃষ্টি নামাইছে কিন্তু হুমায়ন আহমেদ এর চুল ভেজাতে পারেনি বলেই জানি।সিংহ সব স্থানেই সিংহ।
ছাইরাছ হেলাল
আমরাও চাই আরও ভাল কেউ লিখুক , আমরা আরও বেশি করে পড়তে পারব ।
কিন্তু পাচ্ছি বলে তো মনে হচ্ছে না ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
প্রহেলিকা
তিনি এমন ভাবেই স্থান দখল করে আছেন বৃথাই হবে বাকীদের আস্ফালন।
ক্ষিপ্ত মনে হল কিছুটা অথবা কিছুটার চেয়েও বেশি।
ছাইরাছ হেলাল
অসহ্য এ আস্ফালন , আর তাই এ লেখা ।
ক্ষিপ্ত নয় বিরক্ত বেশ ।
লীলাবতী
তবে একটি সমস্যা হয়েছে আমার। অন্য কারো বই কিনতে ইচ্ছে করেনা এখন আর 🙂
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ ,এমন হতেই পারে । এটি কেটে যাবে । আবার অন্যদের বই ও যে
আমাদের পড়তে হবে ।
নুসরাত মৌরিন
হুম ভাইয়া।যারা হুমায়ূন আহমেদ স্বীকৃতি দিতে চাননি,চান না-তারা আসলে তার তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েই এই কাজটা করেন।একজন হুমায়ূন আহমেদ লেখক হিসেবে অনেক করেছেন,একটি জাতিকে বই পড়তে শিখিয়েছেন-এমন ক’জন পারে?তিনি যখন যেখানে হাত দিয়েছেন সোনা ফলেছে তাই হয়ত সমালোচকদের এত গাত্রদাহ।
ভালো লেগেছে লেখাটি… (y)
ছাইরাছ হেলাল
আমি তাঁর ভক্ত নই। কিন্তু আমার প্রিয় লেখক।
রেগে গিয়েই এমন লিখেছি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
তিনি মারা গেলেন অনেকদিন হনো, কই দেশ জাতি উদ্ধারে তো এগিয়ে আসছে এমন কাউকে তো
দেখছি না।