বিছানায় একটা নিশ্চল দেহ
পড়ে হাত পা সমস্ত অঙ্গ নিথর
শুধু নাকের কাছে হাত রাখলে
বিষ্ময় সূচক চিহ্ন ইট-দেওয়ালে
দাগ কাটে ,পূর্ণছেদ পড়ে না
সেটাও বুকের উপর কানে আসে!
চোখ খুলতে গেলেও একটা শক্তি
লাগে না হয় ব্যথার ভার লাগে
সেই টুকুও নেই ,মৃত দেহের সঙ্গে
দেহটির পার্থক্য শুধু পালস!
দেহের একটা নাম থাকে,সেই নামে
দেহটিকে ডাকে!মানুষ বলে কেউই
ডাকে না,পালস চলে গেলে দেহটিকে
সবাই মিলে একটা নামকরণ করে -লাশ!শূন্য,স্পেস,পালস আর লাশ
এরই মাঝের কোনো এক মেরুতে
নিশ্চল দেহ ঘুমিয়ে থাকে!
হঠাৎ বেণীপুতুল যমের দরজায়
ধাক্কা মেরে শক্ত মনে জরায়ুর
অংশে হাত রাখে, ডাক পাড়ে
এই চোখ খোল! কোনো সাড়া নেই,
প্রতিবর্ত ক্রিয়াও নেই… অসাড়!
কবিরাজ গমণে ,কোনো ইশ্বরবাদী
নারদদেবতা নয়,বুকের উপর যন্ত্র
বসে-পালস নেই!কেউ কাঁদবেন না!
সিমেটেরিতে আছি…
ঈশ্বর ঘুমিয়ে থাকে,অসীমে বিশ্বাস
ছড়িয়ে ডাল-পালা মেলে,অবিশ্বাস
আর বিজ্ঞানের মাঝে কমা,স্পেস,
যতি চিহ্ন, শিওরে থাকে রিঠাফল!
তাং-১৯/০৪/১৩
৬টি মন্তব্য
বনলতা সেন
খুব ভালো লেগেছে ভাই ।
শিশির কনা
অসাধারন হয়েছে ।
প্রজন্ম ৭১
কবিতায় ভালোলাগা ।
জিসান শা ইকরাম
অনেক দিন পরে লিখলেন ।
খুব সুন্দর লিখেছেন ।
শুভ কামনা ।
যাযাবর
কবিতায় প্লাস
নীলকন্ঠ জয়
কবিতায় অনেক ভালো লাগা। আপনি ভালো লেখেন । তাই সোনেলায় নিয়মিত লেখার আহ্বান।