কবিতা কে কি কারনে লেখে আমি জানি না!আমার মোমের আলোর কান্না যখন আমার বুকের উপর পড়ে ,আল্পনা আঁকে, তখন তোমরা বলো কবিতার আল্পনা।আমি একে বলি,’মোমের দহন-যন্ত্রনা’!
যতদিন মোম শিখা হয়ে জ্বলবে ততদিন এই ভাবে বুকের বেলাভূমিতে মোমের কান্না-জল আল্পনার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।
যে দিন মোমের শিখা নিভে যাবে,সেই দিন আমি হবো নিঃশেষ।
পড়ে রবে শুধু আমার একাকিত্বের দ্বারে আল্পনা।
তখন একাকিত্বার ঘরে কেউই থাকবে না,দুঃখ-কষ্ট,বিরহ- বেদনা, অভিমান-যন্ত্রনা।একাই থাকবে শুধু চিরন্তনের আল্পনা!
যদি চোখ পড়ে আমারই কোনো রক্ত-দূতের আমার একাকিত্বের দ্বারে,বইয়ে দেবে পথের ধারে নতুন রবির সোনালি- আলপনা।
মোমের শিখার মাঝে আছে ছোট্ট একটা মন।
মনের মাঝে আছে একাকিত্বে ঘেরা ছোট্ট একটা ঘর।
সেই ঘরের বাইরে সর্বক্ষণ সজাগ কানে থাকে দাঁড়িয়ে ‘শুধু আমি’।
আর ঘরে ভিতরে বাস করে ‘আমার আমি’।
‘আমার আমি’ কিন্তু একা থাকে না,সঙ্গে থাকে আত্মার আপনজন- একাকিত্ব,দুঃখ,কষ্ট,যন্ত্রনা,বিরহ, বেদনা,অভিমান আর স্বপ্ন।
এরা আমার কাছে কিছুই দাবী করে না!মুখও ফেরায় না!এদের নিয়ে আমার বাঁচা!এদের নিয়ে আমার কবিতা!
৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ভিন্ন স্বাদের লেখা। সুন্দর হয়েছে ।
প্রজন্ম ৭১
ভালো লিখেছেন ভাই।
শিশির কনা
খুব ভালো লেগেছে ।
সুরাইয়া পারভীন
আমার মোমের আলোর কান্না যখন আমার বুকের উপর পড়ে ,আল্পনা আঁকে, তখন তোমরা বলো কবিতার আল্পনা।আমি একে বলি,’মোমের দহন-যন্ত্রনা’!
দারুণ লিখেছেন