প্রতিদিন ট্রেনটা চলে যায় সমান্তরাল রেললাইন ধরে
তেত্রিশ বছরের পুরোনো ঘড়িটার কাটা তিনটিও একইভাবে দৌড়াতে থাকে
টুংটাং ঘন্টা বাজিয়ে চলে
শুধু ট্রেনটাই সময়ের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে হেরে যায় কখনো সখনো
গন্তব্যে পোঁছবার অপেক্ষায় থাকে যাত্রীরা
ওদিকে স্টেশনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকে আনন্দ এবং শোক
কী করে জানি যোগ-বিয়োগের যুদ্ধে বিয়োগের সংখ্যা বাড়ে
তবুও জয়ী হয় আনন্দেরাই,
নীরব কান্নাগুলো বুকের ভেতর জমাট বেঁধে থাকে সে আছড়ে পড়তে চায়;
শোক ধুয়ে যায় চোখের জলে।
সিংড়াউলি, শমশেরনগর
১৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ইং।
২৬টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
প্রথম হাজিরা দিলুম।
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বাগতম! অভিনন্দন!! 🎖🎖🎖🎖
মাহমুদ আল মেহেদী
বিয়োগের সংখ্যা বড় হলেও জয়টা যোগের।
এটাই মহাআনন্দের মহামানবের
নীলাঞ্জনা নীলা
এবার দেশে গিয়ে ট্রেনে চড়েছি। ছবিটা তোলার পরেই লেখাটা এলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
বিয়োগের হিসেব রাখি না, জানতেও চাই না,
শুধু জানি আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে।
লোনা জল ধুয়ে যাবে আনন্দ জলে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বিষাদের লেখাগুলো শেষ হবে কিনা কে জানে!
ছবিটা লিখিয়ে নিলো এই লেখাটা। কখনো সময় করে সিলেট থেকে হবিগঞ্জ পর্যন্ত রেলগাড়ী ভ্রমণ করে দেখবেন, অসাধারণ দৃশ্য চোখে পড়বে।
ছাইরাছ হেলাল
ছবিটি অবশ্যই সুন্দর।
ভ্রমন অবশ্যই হবে, তবে আপনার সাথে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আর হয়েছে! এবারে আশা করেছিলাম আপনি আর নানা আসবেন। যাক কিছুই বলার নেই।
বন্যা লিপি
“কি করে জানি যোগ-বিয়োগের যুদ্ধে, বিয়োগের সংখ্যা বাড়ে “বিয়োগের সংখ্যায় ভরে ওঠে আনন্দভারা, বিয়োগে বিয়োগেই হন্যে হয়ে আনন্দধাম খুঁজে বেড়ানো।
নীলাঞ্জনা নীলা
খুব সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
স্টেশনে গেলেই এই যে নানান মানুষের ভিড়, সবাই যে যার শোক, আনন্দে মগ্ন। আসলে বিয়োগের সংখ্যা বাড়লেও তারা শক্তিশালী নয়, তাই ও নিয়ে না ভাবাই ভালো।
ট্রেন, ট্রেনলাইন, ঘড়ির কাঁটা সব মিলিয়ে অনবদ্য এক লেখা, তোমার স্বভাবসিদ্ধ। শোক মিলিয়ে যাক ট্রেনের ব্যস্ত গতিতে..
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু শোক মিলিয়ে যায় ঠিকই সময়ের যাতনায়। তবে হারিয়ে কি যায়, যেতে পারে বলো তো?
অনেক ভালো থেকো।
জিসান শা ইকরাম
ট্রেন লাইন, ট্রেন ষ্টেশন, ষ্টেশনের মানুষ- এসবে আমি সবচেয়ে বেশী মুগ্ধ হই।
বিদেশে গেলে ট্রেন ষ্টেশনে যাবোই যাবো আমি।
লেখাটায় তোকে খুঁজে পেলাম নাতনী।
ভাল থাকিস সারাক্ষণ।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা দেশে গিয়ে ট্রেনে চড়ার মজাই আলাদা। শমশেরনগর থেকে হবিগঞ্জ পর্যন্ত দৃশ্য কী যে সুন্দর! একবার যেও।
প্রহেলিকা
একটি দীঘল রাত আর
ঝুলবারান্দারর মাঝে,
কুয়াশার মতো ঢুকে গেছে
বিয়োগের শূন্যতা।
দূরের প্লাটফর্ম এখনো জেগে আছে,
ঘরমুখো নীল চোখেরা
ক্ষণেক্ষণে বিস্ফোরিত হয় মায়ার সন্ধানে।
ডুমুরের ডালে বসে ছিল যে শালিক
সেও উড়ে গেছে বিনীত সাইরেনে
জ্যোৎস্নার মায়ায় ফেলে গেছে ছায়া।
আপনার লেখার প্রশংসা করা যায় না। প্রশংসা করতেও সেই দক্ষতা থাকতে হয়। আমার নাই, তাই পারি না।
আপনার লেখার তুলনা আপনি নিজেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
এমন কবিতা কেন পারিনা লিখতে? বিনীত সাইরেন, জ্যোৎস্নার মায়া, শালিক, নীল চোখ, ঝুলবারান্দা, নীল চোখ, বিয়োগের শূন্যতা শব্দগুলো খুবই সাধার। কিন্তু প্রয়োগ করা হয়েছে কী গভীর আবেগে!
পেরেছেন মন্তব্য করতে এবং খুব ভালোভাবেই করেছেন। এবং আমার লেখাকে আপনি অনেক উঁচুমাত্রায় তুলে নিয়ে গেছেন।
প্রহেলিকা
ছবিটা অসাধারণ। আমার প্রিয় এই সমান্তরাল পথ।
নীলাঞ্জনা নীলা
“রেললাইন বহে সমান্তরাল” খুব প্রিয় একটা গান। লেখাটা এই ট্রেন আর গান থেকেই এসেছে দাদাভাই।
তৌহিদ
যোগবিয়োগের হিসেব কষেতো আর জীবন চলেনা আপু, তবুও বিষাদে ছেয়ে যায় মন।
ছবি ও লেখা দুটোই সুন্দর।
ভালো থাকবেন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবিটা চলন্ত ট্রেনে বসে তুলেছি, যখন মোড় ঘুরছিলো। ট্রেনে উঠলে আমি বাইরের দিকেই চেয়ে দেখতে দেখতে যাই। কতো সুন্দর আমাদের দেশটা তখন বোঝা যায়।
অনেক ভালো থাকুন।
তৌহিদ
চলন্ত ট্রেনে মোবাইলটা পড়ে গেলে কি হত!! অবশ্য অতটুকু রিস্ক না নিলে এমন সুন্দর লেখা আর ছবি কোনটাই পেতাম না।
ধন্যবাদ আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মাঝেমধ্যে সৌন্দর্য ধরে রাখতে গেলে এমন রিস্ক নিতেই হয় ভাইয়া। এখন পর্যন্ত ভাগ্য ভালো মোবাইল পড়েনি। যেনো না পড়ে। তাহলে সাড়ে সর্বনাশ!
নিতাই বাবু
আপনার লেখা কবিতাটি পড়ে ট্রেনে চড়তে ইচ্ছে করছে। অনেকদিন ট্রেনে চড়া হয় না! শুভকামনার সাথে শুভেচ্ছাও থাকলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
দাদা একদিন চড়ে সিলেট চলে যান। চমৎকার কিছু দৃশ্য দেখতে পারবেন।
নিতাই বাবু
তা-ই হবে দিদি। অনেকদিন ট্রেনে চড়া হয় না। এজন্য দায়ী শুধু সময়!
নীলাঞ্জনা নীলা
শুভ নববর্ষ দাদা।
ভালো থাকুন।