যে শহরে তোমার বাস, সেই মাটির ঘ্রাণ নিয়ে বেঁচে থাকি আমি প্রতিদিন
অথচ তোমার শহরের বাতাস দূষিত পেট্রোল-ডিজেলে,
হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে চাটাই পেতে শুয়ে থাকা শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণায় কাতর রোগী;
বৃষ্টির দিনে হাটু-জল কাদায় ডাষ্টবিনের ময়লা ভাসতে থাকে, একবেলা খাদ্য জোটেনা যে শহরে
যে শহরকে ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে একটুকু সুখের খোঁজ করতে,
কেবল ওই শহরে তুমি থাকো বলেই এখনও আমি ভালোবাসি।
এখনও আমি ওই মাটির বুকের অস্বচ্ছ ঘ্রাণে আচ্ছন্ন হই!
আচ্ছা প্রেম কি মানুষকে বেসামাল করে দেয়? হয়তো তাই!
তা নইলে বুকের ভেতর সুনামি, আর বাইরে আমি কি শান্ত, চুপচাপ!
আবার হাসছিও, এমনকি ছবিও তুলছি, বেড়াচ্ছি, ঘুরছি। কেউ বুঝতেই পারবেনা, আমার নি:শ্বাসে তোমার শহরের ঘ্রাণ।
বুঝতে দেবোই বা কেন? ভালোবেসে খুণ করেছি নিজেকে, সে কথা জানাবোই বা কেন?
জানো আজ সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই অন্যরকম এক ঘ্রাণ নাকে এলো!
আচ্ছা তুমি কি এখন আমার শহরে এসেছো? বাতাসে আমি তোমার শরীরের গন্ধ পাচ্ছি যেনো!
ভৌগলিক সীমারেখা পেরিয়ে বহুদূরে তোমার শহরকে মনে হয় ওখানে আর কোনো ঘ্রাণ-ই নেই।
আচ্ছা তুমি কি এখন আমার শহরে এসেছো?
আমার এই খাজনার শহরে…!
এই মাটিতে…!!
লুকোচুরি খেলছো?
তুমি কি খেলা…কোথায় তুমি!
মেঘের ভেতর তোমার ঘ্রাণ, লুকোচুরী মেঘ-রোদ্দুর ঘ্রাণ…!!!
২০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, বেশতো এই ঘ্রাণ-ঘ্রাণ খেলা
লুকোচুরির হাতে হাত ঘসা,
সে শহর এ শহর একাকার
এ- বেলায়;
চলুক, চলুক লুকোচুরি
ঘরময় পায়চারী
খুড়িয়ে খুড়িয়ে জড়াজড়ি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাকে দেশ টানছে। খুব বেশি। চলে আসবো আমার প্রিয় শহরে।
“যে(এই)শহর জানে আমার প্রথম সবকিছু
পালাতে চাই যতো সে আসে আমার পিছু পিছু।”—বুঝেছেন? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আহেন আহেন,
শহর ওৎ পেতে আছে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার শহর তো শমশেরনগর কুবিরাজ ভাই। এইবার যদি যাই, তাহলে ঢাকা হবে শুধু ট্রানজিট নগর। 😀
নীহারিকা
লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প কিন্ত ভালো হয়েছে।
ও দিদি ল্যাহা এমুন কালা বোল্ড হইছে ক্যাম্নে? চৌক্ষে আন্ধার দেহি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিও খেয়াল করিনি আপু। ঠিক করে দিয়েছি এখন।
সামিনার গানখানা আমার বড়ই প্রিয় কিন্তু।
আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
মিষ্টি জিন
ভালবেসে খুণ করেঁছি নিজেকে ,সে কঁথা জানাই কেমন করে, একদম ঠিক। এই খুনের কথা ,অন্তরে রক্ত ক্ষরনের কথা কাউকে বলা যায় না।
অনিচ্ছা সত্বেও মুখে হাসি ঝুলিয়ে রাখতে হয়।
লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প, তারপর হাত ছানি অল্প ,
চায় চায় উডতে, মন চায় মন উড়তে, উড়তে।
অনেক ভাল লিখেছো দিদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু গো খুণ করতে মজা, খুণ হতে না। আর আমি নিজেকে খুণ কখনোই করিনা। বুঝেছো? 😀
তয় একবার অন্য কাউরে খুণ করতে মুঞ্চায়। :p
সামিনার ওই গান ফোনের রিংটোনে ছিলো। এখন রিংটোনে রেখেছি “যেনো মুঠোর রুমাল।” কি যে দারুণ শুনতে!
আপু অনেক ভালো থেকো।
ইঞ্জা
ভালোবেসে খুন করেছি নিজেকে, লুকোচুরিরর খেলাটি কিন্তু বেশ জমেছে, চলুক খেলা। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া লুকোচুরি করতে পারলাম কই?
লুকোচুরিতে আমি ধরা খাই। 🙁
মনকাড়া মন্তব্য কিন্তু। 🙂
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো থাকবেন ভাইয়া। -{@
সৈয়দ আলী উল আমিন
কবিতাটি আমাকে মুগ্ধ করেছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের এই মুগ্ধতাই নতুন কিছু লিখতে প্রেরণা জাগায়।
জিসান শা ইকরাম
লেখাটিতে মন্তব্য করতে তিনবার এসেছি এর পূর্বে,
প্রতিবারই আর একবার লেখা পড়ে মন্তব্য করতে ভুলে গেছি,
এত ভাল কিভাবে লেখো তুই!!
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহাহাহাহাহা! বয়স হয়েছে তোমার নানা। :p 😀
বারবার বলো ভালো লিখি। আমি তো খুঁজেই পাইনা।
ভালোবাসা অন্ধ হয়, বুঝেছো? -{@
শুন্য শুন্যালয়
শহর ছুটেছে এক পায়ে
নেশার টালে টালে, গ্রাস করেছে নদীজল, পুকুরঘাট
মেঘ রোদের বিছানায় শহরের ভাতঘুম।
ওদিকে পালটে যাচ্ছে শহরের নাম
এ শহর আমাকে কিচ্ছু দেয়নি, দিতে পারেনি
আমি দিয়েছিলাম সব, তাই ফিরিয়ে নিচ্ছি ফের।
শহর তুমি কেউ নও
আমিই আমার শহর……
যাক বাবা, তোমার কবিতা আমাকে দিয়ে অ আ লেখালো তাই বা কম কী!
অসাধারণ নীলাপু। নিয়ে নিলাম লেখাটি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওয়াওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওও!!! আপু দুর্দান্ত! ফাটিয়ে দিয়েছো।
আমি কেন ওভাবে লিখতে পারলাম না? কি দারুণ লিখেছো তুমি! -{@
এতো সুন্দর মন্তব্য পেলে বেশি বেশি লিখতে ইচ্ছে করে।
ভালো রেখো আপু।
মৌনতা রিতু
ফেসবুকে পড়েছিলাম। দারুন লিখেছো। আমি বিশ্বাস করি, প্রেম মানুষকে বেসামাল করে।
এ শহর আর ভাল লাগছে না। বড় বেশি অসহনীয় মনে হচ্ছে।
একটা গান শুনেছো,” গোলাম আলীর ‘হাম তেরে শহরমে আয়্যেহে মুসাফিরকি তারা” দারুন একটা প্রিয় গান আমার। ভাল থেকো নীলনদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
গানটা শুনেছি। আগেকার গানের কথাগুলোর সাথে সুরের মেলবন্ধন কি দারুণ!
জানো মনটা খুব চাইছে গানের একটা আসরে গিয়ে বসতে। যেখানে বর্তমান GUN নয়, প্রাণের গান শোনা যায়।
গানটা আবারও শুনলাম। মনটা উদাস হয়ে গেলো আপু।
ভালো থেকো।