সিলেটের লালাখাল । স্বচ্ছ নীল পানির নদী , অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য , ৪৫ মিনিটের নৌ ভ্রমণ , প্রকৃতিকে একান্তে অনুভব করতে পারার জন্য স্থানটি বেশ উপযোগী । পাহাড়ে ঘন সবুজ গাছ , সব কছু মিলিয়ে এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ প্রিয় একটি স্থান। বাংলাদেশের সবোর্চ্চ বৃষ্টিপাতের স্থান এটি। নৌপথে যেতে যেতে যে দিকে চোখ যায় মুগ্ধ হতে হবে সবাইকে। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত। শীতের সময়ে যাওয়া ভালো – বর্ষা হলে পানির রং টা নীল থাকে না।
যেভাবে যাবেন : সারা দিনের জন্য একটি মাইক্রেবাস বা কার ভাড়া নিলে ভালো হয়। বেশী লোক হলে মাইক্রো ভাড়া নিলে ভালো। খরচ টা কম হবে। মাইক্রোর ভাড়া ২০০০ টাকা , কার এর ভাড়া ১৫০০ টাকা। খুব ভোরে যদি সিলেট থেকে রওয়ানা দেয়া যায় , তবে লালাখাল দেখে বিকেলটা জাফলং এ কাটাতে পারবেন। সিলেট থেকে জাফলং সড়কের গোয়াইন ঘাট নামতে হবে। ওখানে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া ৮০০ টাকা , বা স্পিড বোট ভাড়া ২০০০ টাকা। ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ৪৫ মিনিট এর নৌ ভ্রমণ । কমপক্ষে ১৫- ২০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে , ভাড়া একই ।
লালাখাল যেখানে নৌযান ভিড়বে ওখানেই আছে খুব সুন্দর এক চা বাগান সহ ফ্যাক্টরি । বাগানটিও খুব পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর।
লালাখালের কিছু ছবি
পানির রং পাল্টে যায় ক্ষণে ক্ষণে
কিছু সময় এমন নীল পানি
একই স্থানে পানির দুই রং
উচ্ছলতা আছে এখনো গ্রাম বাংলায়
এমন দৃশ্য হয়ত দেখবেন আপনি
সিলেট বালি উত্তোলন নদী থেকে
পাহাড়ি বাশ নদীতে ভাসিয়ে নেয়া
নৌকার মাঝে বসেই দেখা
গোয়াইন ঘাটে এই ইঙ্গিন চালিত নৌকা পাবেন , একটিতে উঠে পরুন
লালাখাল চা বাগানের কিছু ছবি
সুন্দর পরিচ্ছন্ন মাটির রাস্তা দিয়ে হেটে যান সামনের দিকে
সবুজের মাঝে ডুবে থাকা যাবে একাকী
পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজে ব্যাস্ত
সমতল এবং পাহাড়ে চা বাগান
দুপুরের আহার , কিছুটা আড্ডাও
জীবনকে বয়ে নেয়া
দেখা শেষ , এবার ফিরে চলা
উৎসর্গ : সেই মানুষটিকে যিনি অশরীরী হয়ে সারাক্ষণ সাথে থাকেন আমার।
১৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর জায়গার সুন্দর ছবি ।
যেতে হবে আবারও ।
জিসান শা ইকরাম
নীল পানি দেখতে পারলাম না এবার। শীতে দেখা যাবে বৃষ্টি হীন দিনে ।
যাবো আবার ।
জবরুল আলম সুমন
চমৎকার ছবি সম্বলিত পোষ্ট, সিলেটে যারা বেড়াতে আসবেন তাদের বেশ কাজে লাগবে…
জিসান শা ইকরাম
এমন সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমি খুব কম দেখেছি।
নির্জন , সুন্দর – সবকিছু নিয়ে অসাধারন একটি জায়গা ।
একজন আরমান
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। আমাদের বরিশাল এর সৌন্দর্য নিয়েও লিখবেন আশা করছি। 🙂
জিসান শা ইকরাম
নির্জন , কোলাহল মুক্ত এমন পরিবেশ আমি খুব কম দেখেছি। খুবই সুন্দর এই স্থান ।
বরিশালকে নিয়ে লিখবো । একটা লিখেছি http://www.jeshan4u.com/archives/337
ধন্যবাদ মন্তয়ের জন্য।
পেন্সিলে আঁকা পরী
অসাধারন কিছু ছবি।সিলেটে গেলাম,কিন্তু কিছুই দেখলাম না!!ভাবছি আবার নতুন করে সব দেখতে হবে।ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
শীতে সম্ভব হলে ঘুরে আসুন লালাখাল । তখন পাহাড় থেকে পানি নামেনা। লালাখাল এর পানি থাকবে স্থির। স্বচ্ছ পানিতে নদীর তলদেশ পর্যন্ত দেখা যাবে। নীল স্বচ্ছ পানি – অসাধারন লাগবে অবশ্যই।
শুভকামনা আপনার জন্য।
বনলতা সেন
খুব সুন্দর ছবি।লালাখালের কথা শুনেছি আগে। আমার পরিচিত অনেকেই গিয়েছেন ওখানে। যাবো যাবো করেও যাওয়া হয়নি।আপনার দেয়া ছবি দেখে যাবার ইচ্ছে প্রবল হয়েছে এখন আবার।
জিসান শা ইকরাম
ঘুরে আসুন একবার। আমি নিশ্চিত , ভালো লাগবে আপনার।
একজন আরমান
পড়েছি। আমারও লিখার ইচ্ছা আছে। কিন্তু এতো ভালো বর্ণনা দিতে পারি না। আর সব থেকে বড় সমস্যা হল আমার ক্যামেরা নেই। 🙁
জিসান শা ইকরাম
লিখতে লিখতে বর্ণনা চলে আসবে । ক্যামেরা কোন সমস্যা নয়। ফেইসবুকে একটা গ্রুপ আছে ‘ মোবাইল ফটোগ্রাফি । খুজে দেখ , দেখবে কত সুন্দর ছবি মোবাইলেও হয়। ব্লগেও অনেকে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি দিয়ে পোস্ট দেয়।
এক বেইমানের মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি গুলো আমি এডিটও করে দিয়েছিলাম 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
কিছু দিন আগে মেঘালয় গেলাম। চেরাপুঞ্জিতেও গেছি। সম্ভবত আপনার বর্ণনার এলাকাগুলো দেখেছি। একবার লালখাল দেখার ইচ্ছা আছে।
কামাল উদ্দিন
লালা খাল অনেক চমৎকার জায়গা, কিন্তু আপনার সবগুলো ছবিই কোন কারণে ডিলিট হয়ে গেছে 🙁
তৌহিদ
এখানেও ছবি নাই!