মনে করুন বাসে অনেক কষ্টে পাওয়া জানলার পাশের সিটে আপনি বসে আছেন । হালকা বাতাস আসছে জানালা দিয়ে । সারাদিনের ক্লান্তি কে উপেক্ষা করে এই বসার জায়গা বা একটু বাতাস আপনার মনে প্রশান্তির একটা ভাব নিয়ে এসেছে । সেই সময় কেউ একজন আপনার গায়ে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিল । আপনি দেখছেন আপনার বুক পেট বেয়ে আগুন উপরের দিকে উঠছে । আগুনে পোড়া শার্টের গন্ধ আপনি পাচ্ছেন ।আপনার শরীর থেকে চামড়া খসে খসে পড়ছে । আপনি শ্বাস নিতে পারছেন না । চিৎকার করতে পারছেন না । আগুন নেভাতে পারছেন না । বাসায় আপনার স্ত্রী-সন্তান বা বাবা-মা বা ভাই বোন অপেক্ষা করে আছে । অথচ আপনি বুঝতে পারছেন আর আপনার ফেরা হবে না । আগুন আপনার মুখ মাথা ঢেকে ফেলেছে । আপনার চোখ পুড়ে জাচ্ছে । ঠোট ডিমের অমলেটের মত খুলে পড়ছে । চুল পুড়ে যাওয়ার চট চট শব্দ আপনি শুনতে পাচ্ছেন ।
এসব একটু ভেবে দেখুন । ঠিক এভাবেই মানুষ পুড়ে মরছে বাঙ্গালি মরছে । একদিন হয়ত আপনিও এভাবেই মারা যাবেন । সমগ্র বাংলাদেশ পুড়ে গেলেও হয়ত এরা থামবে না। সোনার বাংলা হয়ত শ্মশান হয়ে যাবে। কিন্তু তারপরও আমি আপনি হয়ত চোখ বুজে বসে থাকব। অবরোধ উপলক্ষে দাম কমে যাওয়া মাছ ব্যাগ ভরে বাসায় নিয়ে আসব । টক শোতে কিছু শিক্ষিত মানুষ অবরোধের পক্ষে কথা বলবে । কিছু মানুষ আগুন লাগিয়ে গায়েবানা জানাজা পড়বে । আমরা সব দেখব ।
রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময় ।
১১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
হ্যা , রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময় । এসব আর সহ্য হচ্ছেনা ।
"বাইরনিক শুভ্র"
হুম । রাস্তায় নামতে হবে ।
খসড়া
আজ বড় ভয়ে ভয়ে একটু আধটু নিউজ বার পড়েছি। যদি দেখা যায় বাসে আগুন এই ভয়ে। এখনও এমন খবর পাই নাই তাই ভাবছি ১২টা ঘন্টা গেল আল্লাহ অন্য সময়গুলি ও ভাল কর। মানুষ মরুক বোমায় গুলিতে কিন্তু পুড়ে মরা খুব ভয়ের খুব কষ্টে র ।
"বাইরনিক শুভ্র"
ঠিক । প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে হবে ।
লীলাবতী
মানুষ কিভাবে পারে অন্য একজন মানুষের গায়ে আগুন দিতে ? এরা মানুষ ন , এদের গুলি করে মেরে ফেলা উচিৎ ।
"বাইরনিক শুভ্র"
এরা হায়েনা । এদের না মারলে মানুষ বাচবে না ।
শুন্য শুন্যালয়
আর কবে রুখে দাড়াবো? 🙁
"বাইরনিক শুভ্র"
এখন থেকেই । জে যেখানে আছে সেখান থেকে ।
নীলকন্ঠ জয়
মানুষ কিভাবে এত নির্দয়-নিষ্ঠুর হতে পারে? ভাবলে কষ্ট হয়। রুখে দাঁড়ানোর সময় এখনই।
"বাইরনিক শুভ্র"
হুম এখনই সময়
হতভাগ্য কবি
ওদের জন্য থুঃ