রাতে, নিভাঁজ প্রকৃতির সামনে দাঁড়ালে মাথা নত হয়ে আসে,
খুব গুটি গুটি লাগে নিজেকে।
আয়ত চোখে তপোবনের হরিন শিশুর পেলবতায়
উপচানো প্রসাদের থালা হাতে বলে ‘নাও না যা খুশি’।
লজ্জায় মিশে যেতে ইচ্ছে করে;
এ ভাবে কি কেউ নেয়? নাকি নেয়া যায়?
রাত-বিরাতে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে রাত
কখনও ঝুল বারান্দায় কখনও ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে;
কাঠের চেয়ারে হেলান দিয়েও বসে থাকে ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে,
বসে থেকে থেকে ঘুমিয়েও পড়ে কখনও-বা।
চড়ুই-চঞ্চল উৎসুক্য নেই , ছিল না তা কখনও।
৪৬টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
বাহ!!! ভালোই তো লিখেছেন..
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে ধন্যবাদ,প্রথম মন্তব্যের জন্য।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
‘ রাত-বিরাতে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে রাত ‘ এ কেমন রাতকে দেখালেন ? আমি তো এভাবে ভাবতেই শিখিনি।
ছাইরাছ হেলাল
এমন আউল-ফাউল সবাই ভাবতে পারে না। তবে আপনি যে কী ভাবতে পারেন তা বুঝতে
শুরু করেছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানালাম।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আমার ভাবনা পুরাই আউল ফাউল, আউলা ঝাউলা। কখন কি ভাবি নিজেই জানিনা :p
ছাইরাছ হেলাল
সমস্যা হবে না,নিজ দায়িত্বে বুঝে নেব আপনার লেখা ।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
তহলে ভরসা পাচ্ছি এখন 🙂
সাইদ মিলটন
মন্তব্য করতেও ডর লাগে –
অন্ধরাই সবচে বেশী দেখে আজ
অবিদ্যার মুখে সবচেয়ে বেশী লাজ
ছন্দ কি মিলেচে ? :p
ছাইরাছ হেলাল
ছন্ত মিলিলেই কপিতা হপে না।
সাইদ মিলটন
খিকজ
কাব্য প্রতিবন্ধিরা আজকাল কবিতা আর অকবিতার সার্টিফিকেট দিচ্ছে যে
ছাইরাছ হেলাল
মনে যা চায় তাই লিখব , কবিতা লিখতে হবে এমন মাথার দিব্যি
কেউ দিয়েছে বলে মনে পড়ে না।
কবিতা লিখি না। মনগাথা লিখি।
সাইদ মিলটন
লেখা পছন্দ হইছে
তিন তারকা 😀
ছাইরাছ হেলাল
তারকা এট্টু বাড়াইয়া দেন, যা আকাল আজকাল!
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
বলতে ভুলে গিয়েছি, লেখা কিন্তু ভালো লেগেছে ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার প্রশংসা শুনিয়া বড়ই প্রীত হলাম ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
‘নাও না যা খুশি’ , রাত কি দাতা হাতেম তাই হইছে ? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমার ও তাই মনে হয়, হাতেম তাই এর কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে হবে।
হৃদয়ের স্পন্দন
মন্তব্য করার ভাষা নেই
ছাইরাছ হেলাল
ভাষাহীন ভাষায় ই লিখে ফেলুন।
রিমি রুম্মান
রাত-বিরাতে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে রাত__ বাহ্ !
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
মেহেরী তাজ
আপনার লেখা একবার পড়ে বুঝিনা। অবশ্য পড়তে পড়তে এক সময় ঠিকই বুঝে যাবো।
ছাইরাছ হেলাল
বেশি বোঝা-বুঝির কিছু্ নেই। মন দিয়ে একবার পড়বেন । সেই যথেষ্ঠ।
নিয়মিত পড়ছেন তাতেই হবে। ধন্যবাদ।
মেহেরী তাজ
আচ্ছা। পড়ায় আমার ক্লান্তি নেই ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সবার পরে কি আমিই রাতের মন্তব্যে।এতটা নিঃসঙ্গতায় ছেয়ে যাওয়া লেখা লিখেন কি ভাবে।
ছাইরাছ হেলাল
নিজেদের মানুষের পরে আর আগে নেই , পড়লেই হয়।
যখন যা মনে আসে লিখে দেই।
ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
কাউকে যখন জ্বীনে ধরে, তখন তার সব কর্মকান্ডের দোষ জ্বীনের উপর। আমি করিনা, জ্বীনে করছে। আপনাকে নিশিতে পেলো, এখন যাবতীয় দোষ সব রাতের। ঠায় দাড়িয়ে থাকে, হেলান দিয়ে বসে থাকে আবার বসে বসে ঘুমিয়ে পরে। তবে ঝাড় ফুঁক মন্ত্রে যাচ্ছিনা আমরা। এমন করে রাতের আরেক রূপ দেখে যেতে চাই। নিয়ে যেতে চাই, সবার দেয়ার ক্ষমতা নেই। সবার নেয়ার ক্ষমতা আরো কম।
ছাইরাছ হেলাল
না না, রাতের দোষ হতে যাবে কেন ! তার সাথে এখন বেশ চলছে আমার। সে কী করে না করে তাই
একটু বলেছি মাত্র। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা সহজ কাজ নয়। নাছোড় বান্দা টাইপ বলা যেতে পারে!
দেয়া নেয়ার ক্ষমতা থাকুক বা না থাকুক দেয়া-দেয়ি ও নেয়া-নেয়ি চালু আছে থাকবে।
অলিভার
রাত, সে তো অনেক অনুভূতিই দিয়ে যায়। সত্যিই এভাবে যদি বলে বলে দিতো তাহলে হয়তো তার কিছুই নিতে পারতাম না। বারান্দায় কিংবা কার্নিশ ঘেঁষে দাড়িয়ে কিংবা ঘুমিয়েই একটা সময় ফুরিয়ে আসে…
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম…. -{@
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই রাতের গভীরে অনুভুতি গভীরতর হতেই পারে। এ তারই প্রকাশ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
বন্য
ঈশিতায় এমন রাতের জলবিম্ব ছুতে ছুতে কাটিয়ে দেওয়া যায় আরেক রাত,
কখনো কখনো পোড়ে, কখনো বা পোড়ায়
কখনো বা সরব নির্জনতায় সামনে এসে দাঁড়ায়।
হাজারো সুন্দরীর নোলক পরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রকৃতির এই গোলকে
সত্যিই নত হয়ে আসে শির, ফেরারী হয় অলীক সুঁতো।
বোধ জাগে ঘুমন্ত প্রাচীন বোধ, যেমন জাগে আপনার লেখায়। (y)
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতিকে সত্যি ভালবাসলে সে প্রতিদান দেয়।
অবশ্য দেয়া বা নেয়া জানতে ও বুঝতে হয় আমাদের।
সুন্দর করে বলার জন্য ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
যা চাব তা কি রাত আমারে দিবে ভাই।
নিঃস্ব পৃথিবীতে নিস্ব আমি কিই বা চাব।
ছাইরাছ হেলাল
আগে ভালুবাসা করতে হবে ,তাহলেই না চাওয়া পাওয়ার ব্যাপার-স্যাপার ঘটবে।
ব্লগার সজীব
আপনার রাতকে নিয়ে আরো লেখা চাই। চড়ুই-চঞ্চল উৎসুক্য নেই , ছিল না তা কখনও। (y) (y) আমারো নেই ।
ছাইরাছ হেলাল
চড়ুই-চঞ্চল উৎসুক্য আপনার নেই জেনে ভাল লাগল। চেষ্টা করব আরও লেখার।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মিথুন
কত লেখা মিস করেছি কে জানে। আজ এলাম আপনাদের কয়েকজনের লেখা পড়বো বলে,লেখাই তো খুঁজে পাচ্ছিনা। রাতকে কত ভাবে দেখেন ভাইয়া ?
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও মিস করছি আমরা।
রাতকে একটু পছন্দ করি বেশি, তাই ভাবি নানা রকম ভাবে।
এবারে আপনিও লিখতে শুরু করুণ।
লীলাবতী
রাতের প্রেমে ভালোই পড়েছেন মনে হচ্ছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিক ধরে ফেলেছেন ,এই না হলে আপনি লীলাবতী হলেন কী করে!
ধন্যবাদ।
ঘুমন্ত আমি
কবিতা পড়তে ভালো লেগেছে। আর রাত বিরাতে কার বারান্দার সামনে দাড়িয়ে থাকেন জাতি জানতে চায়!:D
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমিতো দাড়িয়ে থাকি না, রাত দাড়িয়ে থাকে।
সাইদ মিলটন
রাত দাঁড়িয়ে থাকে 😮
রাতরে দেখি শুধু পালাই পালাই করে , ধোঁয়ায় মিশে মিশে কখন যে খুন হয়ে যায় আলোর হাতে টেরও পাইনা মাঝেসাঝে 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এতো খুনোখুনি,জল বা ধোয়া ওড়ানোর ভালোবাসা নয় ।
ভালুবাসা আর ভালুবাসা ,তাই অনিঃশেষ দাড়িয়ে থাকা।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিহি সুতোর সূক্ষ্ণ কারুকার্য—
যেনো ওই আকাশ
বুনে চলছে প্রাহরিক স্পন্দিত রাত্রি
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ভিঁজিয়েই চলে উথলে ওঠা আবেগ,
তবুও খরায় ফেঁটে চৌঁচির রাত্রির জমিন।
এমনই বুঝি হয় ঘুমের সাথে ঘুমের দেখা না হলে। -{@