আমার বান্ধবীর ছোট ভাই হঠাৎ করেই আজকে আমাকে ফ্রেন্ড রিকু পাঠালো
আমি একসেপ্ট করলাম, এবং সাথে সাথেই মেসেজ দিল।
—ভাইয়া কেমন আছেন?
হুম ভালো, তুমি ভালো আছ?
—জী ভাইয়া।
তুমি কোন ক্লাস এ পড়?
—ভাইয়া এইবার জে.এস.সি দিলাম।
ও আচ্ছা, দোয়া করি যেন A+ পাও
—থ্যাংকস ভাইয়া। ভাইয়া আপনি কি আপুর সাথে টাঙ্কি মারেন?
মানে?
—সরি ভাইয়া, প্লীজ আপুকে বল না যে আমি তোমাকে রিকু পাঠাইছি।
ওকে বলব না, কিন্তু আগে বল তুমি ওটা বললে কেন? তোমার আপু আমার সম্পর্কে কি বলেছে?
—না ভাইয়া, কিছুই বলে নি। আমি এমনি দুস্টুমি করে করলাম।
ওকে কিন্তু এসব কথা আর কখনো বলবা না, তাহলে তোমার আপু কে বলে দিব যে তুমি আমার সাথে চেটিং করেছ।
—ওকে ভাইয়া আর বলব না।
হুম, গুড বয়
—ভাইয়া আমার জন্য একটা মেয়ে খোঁজেন
মানে, বুঝলাম না? মেয়ে খুঁজব মানে?
—মেয়ে মানে Girl খুঁজেন।
তুমি যেন কোন ক্লাস এ পড়?
—বললাম না জে.এস.সি দিলাম, এবার ক্লাস নাইন এ উঠব।
তুমি এখনও হাফ প্যান্ট পড় না?
—জী ভাইয়া কেন?
কেন বুঝ না? তুমি এখনও হাফ প্যান্ট পড় আর মেয়ে খুঁজতে বলছ?
—সরি ভাইয়া ভুল হয়ে গেছে, আর বলব না, বাই আপু ডাকতেছে। প্লীজ আপুকে কিছু বল না।
বি.দ্রঃ আমি কোন কথা এডিট করি নি। হুবহু চ্যাট টাই এখানে লিখলাম।
আমি সত্যি আজ অবাক, ক্লাস 8 এ পড়া ছেলে বলে তার জন্য মেয়ে খুঁজতে। তাও আবার ৬ বছরের সিনিয়র ভাই এর কাছে। সত্যি বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল, সত্যি ছেলে মেয়েরা আজ অনেক এগিয়ে।
Teen-Age এ কি এই সমস্যা গুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠে? সত্যি আমি শঙ্কিত, আমি আতংকিত।
১২টি মন্তব্য
মা মাটি দেশ
-{@ (y) (y)
ব্লগার রাজু
🙂
সীমান্ত উন্মাদ
হা হা।
ব্লগার রাজু
😀 :D)
জিসান শা ইকরাম
কলিকাল
ঘোড় কলিকাল।
ব্লগার রাজু
:D)
প্রহেলিকা
লিখাটি পড়ে মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম। হা সময়টা আসলেই একটু পড়ন্ত বিকালের মত এই বুঝি সন্ধ্যা হয়ে গেল আঁধার নেমে আসলো। তবে ভাইয়া আগেই বলে রাখছি আমার কথায় কিছু মনে করবেন না। আমি সব সময় আমার নিজের সমালোচনা করতে ভালবাসি আর তাই দোষটা আপনার বান্ধবীর ছোট ভাইকে না দিয়ে আমার উপর নিলাম। আপনি কি মনে করেন এটার জন্য দায়ী কে ? একটু ভাবুনতো আজ থেকে কিছু বছর পূর্বে এমন ছিল? জানি জবাব আসবে “না”। আমাদের উপরে যারা রয়েছেন মানে আমাদের চেয়ে বয়সে বড় তাদের কাছ থেকে কিন্তু আমরা কিছুটা শিখতে পারছি আর যেই শিক্ষা পাওয়ার কারণে আজ আপনার মনে আতঙ্কিত বোধ জন্ম নিল কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে আমরা মানে বর্তমান সমাজের কিছু (সবাই না) যুবকের কারণে আজ এই অধপতন যার প্রভাব পরেছে আমাদের ছোট ভাইদের প্রতি। ওদেরকে আপনি কিভাবে দোষারোপ করবেন ওরাতো আমাদেরকেই অনুসরণ করে আসছে তাই নয় কি? আপনার চ্যাট এর দিকেই কিছু জিনিস লক্ষ্য করবেন যখন সে আপনাকে বলল যে আপনি কি আমার আপুর সাথে টাঙ্কি মারেন ? ঠিক তখনি কোনো জবাব না দিয়ে আপনার অর সাথে চ্যাট বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল যা আপনি করেন নি। যাইহোক শেষ পর্যায়ে এসে সে যখন আপনার কাছে মেয়ে খোঁজলো তখন আপনি তাকে উত্তর দিলেন কি ? **তুমি এখনও হাফ প্যান্ট পড় না?** এবার আপনি আমাকে বলুনতো জবাব তা কি ঠিক হয়েছে ??? সে আপনার বান্ধবীর ভাই হিসেবে না আগামী প্রজন্ম হিসেবে আপনার দায়িত্ব ছিল তার ভুলগুলো শুধরে দেওয়া। আমি বিশ্বাস করি একটু মানুষকে উত্সাহ, প্রেরণা, বুঝিয়ে ওদেরকে ঠিক করা যায় সঠিক পথে পরিচালিত করা যায়। একটা কথা খেয়াল রাখবেন ভাইয়া ওরা/ওদের মন এখন নরম কাদামাটির মত। নরম কাদামাটির উপর চাপ দিলে সেটা কিন্তু অবস্যই পরে যেই চাপটি শুকিয়ে গেলে চিরস্থায়ী রূপ ধারণ করে।
সর্বোপরি আমি শুধু এটাই বলতে চাই যে আমাদের বর্তমান সমাজের কিছু যুবকে অনুসরণ করেই আসলে তাদের এই অবনতি যার জন্য আমি দায়ী।
শেষ আরেকটি কথা বলি ভাইয়া দেখুন ও ৮ম শ্রেণীতে পড়ে মেয়ে খুজছে বলে শঙ্কিত বা আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই একটা বয়সে সবাই এমন করে। আপনি নিজেই বলুনতো আপনি যখন এই সময়ে ছিলেন তখন কি এসব নিয়ে ভাবেন নি ??? যদি নাই ভাবেন তাহলে ৯ম শ্রেণীতে আপনি বৃষ্টি কবিতা টি কিভাবে লিখলেন যে কবিতার প্রত্যেকটি চরণে রয়েছে প্রেমময় অনুভুতির কথা????
তাই আমি বলি আমি নিজেই দোষী। ভাল থাকুন ভাইয়া।
ব্লগার রাজু
অনেক কিছু শিখতে পারলাম আপনার কমেন্ট থেকে। এই ব্লগে লিখার শুরু থেকেই আপনি আমার প্রতিটি লিখায় যেভাবে আমার ভুল গুলো ধরিয়ে দিচ্ছেন সত্যি আমি অনেক আনন্দিত ভাইয়া। না আমি কিছু মনে করি না, যখন দেখি কারো কোন কথায় আমি কিছু শিখতে পারছি।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি আপনার কথাগুলো অসাধারণ (3
আজিম
জনাব প্রহেলিকার মন্তব্য পড়ে মন্তব্য না করে পারলামনা । প্রহেলিকার স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা আরো গভীর হোক, জীবন-সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত হোক, এই কামনা করি ।
ব্লগার রাজু
হ্যাঁ, প্রহেলিকা ভাইয়ের মন্তব্য না পেলে মনে হয় আমার লেখাটায় বৃথা। সত্যি উনার প্রতিটা কথা আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ি ও মানতে চেষ্টা করি। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
সময় পাল্টেছে… 🙂
ব্লগার রাজু
হ্যাঁ, অনেক বেশিই পাল্টেছে… 🙂