## “মার্চে মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় খুলতে বলা হয়। তারা এতে রাজি না হলে বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে। এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।”
——— মোঃ নুরুল ইসলাম, বাটিয়ামারা কুমারখালি।
## “যুদ্ধ শেষে ক্যাম্প থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়,যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ। অংশগুলো কাটা হয়ে ছিল খুব নিখুঁতভাবে।”
– ——-ডাঃ বিকাশ চক্রবর্তী, খুলনা।
## “যুদ্ধের পর পর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বেশ কিছু নারীকে। তাদের পোশাক এবং চলাফেরা থেকে আমরা অনেকেই নিশ্চিত জানতাম ওরা যুদ্ধের শিকার এবং ওদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।”
——— মালেকা খান, যুদ্ধের পর পুনর্বাসন সংস্থায় ধর্ষিতাদের নিবন্ধীকরণে যুক্ত সমাজকর্মী।
## “আমাদের সংস্থায় আসা ধর্ষিত নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত-বিক্ষত যৌনাঙ্গ। বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিড়ে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিড়ে ফেলা স্তন, বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছুরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।”
——–মালেকা খান, যুদ্ধের পর পুনর্বাসন সংস্থায় ধর্ষিতাদের নিবন্ধীকরণে যুক্ত সমাজকর্মী।
## “কোনো কোনো মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে।”
——— সুসান ব্রাউনি মিলার (এগেইনেস্ট আওয়ার উইল: ম্যান, উইম্যান এন্ড রেপঃ ৮৩)
## “এক একটি গণধর্ষণে ৮/১০ থেকে শুরু করে ১০০ জন পাকসেনাও অংশ নিয়েছে।”
——- ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির গ্রন্থ “যুদ্ধ ও নারী”
## “আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ, উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ঈমান রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান? আমরা সেই সন্তান তোমাদের দেব, তোমাকে দেব, তোমার বোনকে দেব, তোমার মাকে দেব, যারা হিন্দু নয়, বিশ্বাসঘাতক নয়, অবাধ্য নয়, আন্দোলন করে না, শ্লোগান দেয় না, কমিউনিস্ট হয় না। জাতির এই খেদমত আমরা করতে এসেছি। তোমাদের রক্ত শুদ্ধ করে দিয়ে যাব, তোমাদের গর্ভে খাঁটি পাকিস্তানী রেখে যাব, ইসলামের নিশানা উড়িয়ে যাব। তোমরা কৃতজ্ঞ থাকবে, তোমরা আমাদের পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তোমরা আমাদের সুললিত গান শোনাবে… ”
——— নিষিদ্ধ লোবান, সৈয়দ শামসুল হক….
উৎসর্গ :: সেইসব বেজন্মা বাংলাদেশীদের যারা “খেলা ও রাজনীতিকে” এক করে দেখে না….
৫২টি মন্তব্য
সঞ্জয় কুমার
গায়ে আগুন জ্বলে ওঠে । ওদের কথা শুনলে খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না ।
নওশিন মিশু
অভিন্ন অনুভূতি । ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ….
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
লোমহর্ষকর অনুভূতি উৎস্বর্গের ব্যাপারে শুধু এই টুকুই বলব যারাই পাকিদের সাপোর্ট করেন একটু ভেবে দেখবেন যারা মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে খেলেছিল তাদের খেলায় সাপোর্ট দেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত।এমন পাষান্ড শত্রুর কোন ক্ষমা বা সহানুভূতি থাকতে পারে না অন্তত আমার বেলায় তা হবে না।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এবং যুগৎসই একটি বিষয় উপস্হাপন করার জন্য। -{@
নওশিন মিশু
এই দেশের কিছু মানুষকে যখন পাকি জারজগুলোর জন্য সহানুভুতি প্রকাশ করতে দেখি আমার তো তখন রিতীমত শ্বাসকষ্ট হয় । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ….
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
আমার মায়ের পরিবার আওয়ামীপন্থী, বাবার বিএনপি। আমি বড় হয়েছি বিতর্ক শুনতে শুনতে। ইতিহাস এইদেশে ভয়ানক বিভ্রান্তিকর। একটা দেশ একটা স্বপ্নের মত। কত দুঃস্বপ্ন পেরিয়ে এই সময়টা পাওয়া গেছে সেটা আমাদের চেয়ে আগের প্রজন্ম ভালো জানে।
প্রতিটি যুদ্ধের ইতিহাস ভয়নকরভাবে একই রকম। রেপ অফ নাঞ্জিং, রেপ বাই দ্যা মোংগলস, পাকিস্তানিস ইন ৭১; অথবা বিশ্বযুদ্ধের কন্সান্ট্রেসন ক্যাম্প গুলোতে। অথবা সবশেষে বসনিয়া অথবা রুয়ান্ডায়।
বীরাংগনাদের নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম, পারিনি, নির্যাতনের বর্ননা আমার ভালো লাগেনা। যদিও অনেক নির্যাতন নিজেই দেখেছি।
তাই আমি সবসময় এ ধরনের পোস্ট এড়িয়ে যাই। এটা দুর্বলতা, দেশে কিছু দুর্বল মানুষও থাকতেই পারে।
নওশিন মিশু
কত দুঃস্বপ্ন পেরিয়ে এই সময়টা পাওয়া গেছে সেটা আমাদের চেয়ে আগের প্রজন্ম ভালো জানে। আর আমাদের প্রজন্মকে অনুভব করতে হবে তাদের সেই আত্মত্যাগ যার জন্য আমরা একটি স্বপ্নের মত দেশ পেয়েছি।
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন… 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হেট পাকিস্তান, হেট পাকিস্তানি খেলা। করি, করবোই। যারা এমন বলছে বুঝে শুনে, চোখে দেখে, ঘৃনা তাদেরও, তবে তাদের মা-কে গালি দিতে পারছিনা, কোনভাবেই না। ব্যর্থতার দায় আমাদের কম নয়, ধর্মের বীজ আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
নওশিন মিশু
মানুষ মৌলিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয় পরিবার থেকেই। তাই আমার মনে হয় কোন বাবা-মা এর দায় এড়াতে পারেন না। আমি আপনার সাথে একমত পোষন করে বলছি, বাংলাদেশে জন্ম হওয়া কোন পাকিস্থানিদের জন্য আমার Decency ঠিক কাজ করেনা। অবশ্য আমি সেটা চাইও না।
ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য …. 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
মিশু আপু,
কি বলব ভাষাতে বলতেও পারিনা ঘৃণা হয়।
আমি ক্লাস ৭ শ্রেনীতে পড়ি এই সময় প্রতিবেশি একজনের সাথে মিশে জামাতের ভোট এর জন্য আব্বাকে বলি।
বাবার উত্তর,” আমার বাড়ী ঘর কে পুড়িয়েছে আমি জানি আর এখন কে কি রাজনীতি করছে তাও জানি। বাবার কথা তুমি যা করবা কর আমাকে জামাতকে ভোট দিতে বল না।” আর কনদিন ঐপথ মাড়ায়নি।
তবে বেশ কিছু বই ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে অনুমেয় যে ধরমের রাজনীতি নোংরা হলেও জয়ী হয়। কেন জানিনা। তবে ধর্মের নিকট সবাই দুর্বল। হইতবা এই জন্যে।
আর কি মন্তব্য করব আপনার লেখার উপর তা জানিনা।
তবে আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হক।
নওশিন মিশু
জেনে ভাল লাগলো যে আপনি জামাতের বিষাক্ত পথে কখনো হাঁটেননি। আপনার বাবা যেমন আপনাকে রক্ষা করেছেন ঐ ভুল পথ থেকে, আপনিও নিশ্চয়ই পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করবেন বিষাক্ত থাবা থেকে। এই প্রত্যাশা রইলো আপনার প্রতি …. 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
চেষ্টা করছি আপু। এবং এব্যাপারে কম বেশি জড়িত। হয়ত আপনাদের মত তথ্য ও বেশি জানিনা।
নওশিন মিশু
আপনার এই মহৎ চেষ্টার জন্য আন্তরিক ভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি ভাই -{@ ।
আর আমি নিজেও খুব বেশি জানিনা তবে জানার ইচ্ছা রাখি … 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
পাকিদের রেখে যাওয়া নষ্ট প্রজন্মটাই এখন বিষ ছড়াচ্ছে। চক্রবৃদ্ধিহারে এদের সংখ্যা বাড়ছে।
আর নিরবতা নয়, সরব না হলে একদিন আমাদেরই নিশ্চিহ্ন হতে হবে।
আমাদের নিরবতা ওদের হাতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত পতাকা (আমাদের অহংকার) তুলে দিয়েছিলো। দম্ভে ওরা আমাদেরই মুক্তিযোদ্ধা, যে জীবন বাজি রেখে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলো, তাঁর পিঠে লাথি উঠিয়েছিলো।
আবার সুযোগ পেলে ওরা আর কি কি করতে পারে, একবার ভাবুন তো!!!
নওশিন মিশু
আপনার মন্তব্যের উপর আমার নতুন করে কিছু বলার নাই। ধন্যবাদ আপু ….. -{@
সীমান্ত উন্মাদ
এসব মনে হলে গায়ে আগুন জ্বলে উঠে। আর যেই সব নর পশুরা এদের সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে এই দেশের কিছু মানুষ করে রাজনীতিও। ধিক জানানো ছাড়া এই সব মানুষদের অন্য কিছু বলতেও ঘৃনা বোধ করি।
নওশিন মিশু
আসলেই ঘৃনা বোধ হয় কিছু বলতে কিন্তু তারপরেও বলতে হবে। কারন ওরা ওদের ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ করেনি।
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন ….
ফাতেমা জোহরা
আপু, এইতো এইভাবেই একটু একটু করে আমাদের শেকড়ের সন্ধানগুলো আমরা বের করবো। সবাইকে জানাবো। আমরা সবাইকে বুঝিয়ে দেবো, অনেক ত্যাগে অর্জিত এই স্বাধীনতা।কারো দানে পাওয়া না। কিপ ইট আপ আপু… 🙂
নওশিন মিশু
আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করবো আপু …. 🙂
জিসান শা ইকরাম
বীরাঙ্গনাদের কষ্টের অপমানের কাহিনী শুনলে এখনো শিউরে উঠি।
আমাদের মাতাদের সাথে যারা এমন করেছে, তাদের প্রতি শুধু ঘৃণাই থাকবে,অন্যকিছু না।
যারা পাকিদের খেলা দেখতে যায়, যারা রাজনীতি আর খেলাকে এক করে দেখে না, তারাই আসলে জুলফিকার আলী ভুট্টোর বলা ‘সুয়ার কা বাচ্চা ‘ [ https://www.youtube.com/watch?v=Vai1OfiWPbM ] ।
পাকিরা আমাদের দেশের মানুষকে এখনো কতটা ঘৃনা করে,তা বিদেশে অবস্থানরত বাংগালীরা জানে।
কিছুদিন আগে মালালা আমাদের দেশের ক্রীকেট দল সম্পর্কে বাজে টুইট করেছিলো টুইটারে। ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে তা সে প্রত্যাহার করে।
প্রহেলিকা
শুধু তাই না জাতি হিসেবে এই ফাকিস্তানিরা কত বর্বর তাও জানে।
নওশিন মিশু
হ্যাঁ প্রহেলিকা, ওরা জানে কিন্তু মানে না….
নওশিন মিশু
মালালা বাচ্চা ১টা মেয়ে, যার জন্ম ৭১’এর বহু বছর পরে। অথচ সে কি অসীম ঘৃনা পুষে রেখেছে বাঙ্গালীদের জন্য, আর বাঙ্গালীরা ওদের জন্য একবুক প্রেম …. !!! ছিঃ ….
ধন্যবাদ তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য ….
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এই দেশচেতনা চির জাগ্রত থাকুক তাই ই চাই।
নওশিন মিশু
ধন্যবাদ ভাই …. 🙂
মাহামুদ
সবার আগে বাংলাদেশ
নওশিন মিশু
সহমত …. 🙂
আগুন রঙের শিমুল
“আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ, উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ঈমান রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান? আমরা সেই সন্তান তোমাদের দেব, তোমাকে দেব, তোমার বোনকে দেব, তোমার মাকে দেব, যারা হিন্দু নয়, বিশ্বাসঘাতক নয়, অবাধ্য নয়, আন্দোলন করে না, শ্লোগান দেয় না, কমিউনিস্ট হয় না। জাতির এই খেদমত আমরা করতে এসেছি। তোমাদের রক্ত শুদ্ধ করে দিয়ে যাব, তোমাদের গর্ভে খাঁটি পাকিস্তানী রেখে যাব, ইসলামের নিশানা উড়িয়ে যাব। তোমরা কৃতজ্ঞ থাকবে, তোমরা আমাদের পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তোমরা আমাদের সুললিত গান শোনাবে… ”
——— নিষিদ্ধ লোবান, সৈয়দ শামসুল হক….
উৎসর্গ :: সেইসব বেজন্মা বাংলাদেশীদের যারা “খেলা ও রাজনীতিকে” এক করে দেখে না….
টেক মাই করডিয়াল স্যালুট ম্যাম 🙂
নওশিন মিশু
এই দেশ আমার। আমার দেশের জন্ম ইতিহাস জানা এবং জানানো দুটই আমার দায়িত্ব তার জন্য আমাকে স্যালুট দিতে হবেনা ভাই 🙂 । ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ ….
ছারপোকা
বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ।
দেশচেতনা সবার মধ্যে জেগে উঠুক এইটুকু এ ।
নওশিন মিশু
আসলেই ভাষা খুঁজে পাওয়া যায়না । আমিও আপনার মত প্রত্যাশা রেখে যাচ্ছি, দেশচেতনা সবার মধ্যে জাগ্রত হোক …. -{@
প্রহেলিকা
যুদ্ধের সময় আমাদের মা বোনদের উপর যে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে তারপরও যেই জারজ পাকিস্তানিরা এখনো খেলার মাঠে এমন প্লেকার্ড হাতে যায় তাদের কথা মনে হলে মাথায় রক্ত চেপে যায়। ভাবতেও অবাক লাগে তারা আজ পর্যন্ত এই দেশে আছে কিভাবে।
নওশিন মিশু
আমরা ওদের সহ্য করি তাই ওরা আছে। আসলে দোষটা আমাদেরই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে আর কত কাল এভাবে চলবে …!!!???
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য … 🙂
বনলতা সেন
আমাদের গল্ডফিস মেমোরি।
আপনাকে অভিনন্দন এমন লেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
নওশিন মিশু
ধন্যবাদ আপু … 🙂
খেয়ালী মেয়ে
সত্যি বলতে এধরনের পোস্টগুলো আমি এড়িয়ে চলি–মনের ভিতরে এক ধরনের যন্ত্রনা শুরু হয় এই ধরনের ছবি/লেখাগুলো দেখলে, অনেক কষ্ট হয়–
নওশিন মিশু
আমিও এড়িয়ে চলি কিন্তু তারপরো Post করতে হলো কারন “বিশ্বকাপ ক্রিকেট” যে ঘরের দরজায় 🙂
ব্লগার সজীব
পাকিস্তান ঘৃণিত এক দেশের নাম (y)
নওশিন মিশু
হ্যাঁ …. (y)
খসড়া
লিখুন বার বার লিখুন। দেখুক পড়ুক এই প্রজন্ম। যারা কিছু জানে না এই দেশের ইতিহাস। ৭৫পরবর্তি প্রজন্ম কিছুই জানে না।
নওশিন মিশু
আমাদের সবার দায়িত্ব আমাদের জন্ম ইতিহাস তুলে ধরা … 🙂
একজন আইজুদ্দিন
ইতিহাসের এই পাতাগুলোতে ধুলো পড়েছিল, ওরা ভেবেছিল, জং ধরা মরিচাপড়া ইতিহাসের পাতা থেকে সত্যটুকু মুছে ফেলা যাবে সহজেই। কিন্তু কিছু সত্যান্বেষী যে সেই ক্ষয়ে যাওয়া পাতাগুলো থেকে আবার নতুন নতুন ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করতে চাইবে, তা তারা ভুলেই গিয়েছিল।
এই ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে হবে পথে প্রান্তরে, গ্রাম মহল্লায়, পাড়ায় পাড়ায়। স্বাধীনতার বীজ ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, মগজ থেকে নিউরনে, মেধা থেকে শিরদাঁড়ায়। আজকের বেপথু বেভুল মানুষগুলোকে আবার নতুন করে শেখাতে হবে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়, নতুন নতুন লেখকদেরকে হাতে তুলে দিতে হবে বজ্র-কলম, অন্ধকারের আকাশ ফুড়ে এরাই দেশকে দেখাবে নতুন পথের দিশা, এদের হাতেই রচিত হবে দেশদ্রোহীদের কবর।
আপনার লেখা পড়ে মনে হল, আছে, এখনও কেউ আছে যারা শক্তহাতে সেই সকল দেশদ্রোহীদের মুখোশ উন্মোচন না করে, তাদের যথাযথ শাস্তি না দিয়ে, একাত্তরের ঋণ শোধ না করে ঘরে ফিরবে না।
অভিনন্দন নিন।
নওশিন মিশু
আপনি যেভাবে বলছেন অতটা পারবো কি না জানিনা তবে চেষ্টা করবো। এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ …. 🙂
নুসরাত মৌরিন
ঘৃনায় গা রি রি করে উঠছে,মুখ ভর্তি হয়ে যাচ্ছে থু থু,হাত হয়ে যাচ্ছে মুষ্ঠিবদ্ধ।
মানুষ ছিল না পাকিস্তানিগুলো… ছিল পিশাচ আর হায়েনা।ওদের আমি আমার সমস্ত অস্তিত্ব এক করে বলতে চাই, “কুকুরের দল,তোদের শুধু ধিক্কার আর ঘৃনা”।
নুসরাত মৌরিন
আর আমার বীরাঙ্গনা মায়েদের বলতে চাই,মা আমাদের ক্ষমা করো।
নওশিন মিশু
“Afridi please merry me”
এই যদি হয় আকাঙ্খা তাহলে বীরাঙ্গনা মায়েরা কিভাবে ক্ষমা করবেন এই নষ্ট প্রজন্মকে !!!??
নওশিন মিশু
হ্যাঁ, “শুধু ধিক্কার আর ঘৃনা”
ধন্যবাদ আপু …. 🙂
বৃষ্টিহত ফাহিম
যদিও পুরাতন, কিন্তু এখনো এর উপযোগীতা হারায় নাই। মতিচুর বাবা বলেছেন, খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না :@
নওশিন মিশু
সত্যি এইসব সহ্য করা মুসকিল ……
শাহানা আফরিন স্বর্ণা
প থেকে শুরু করে সবকিছুতেই ধিক্কার। খেলা গান মানুষ সবকিছুকেই এক করে আমি দেখবই। ঘ্রিণা করবই।
আর আমাদের যুদ্ধ রাজনৈতিক ছিল না তাই আমাদের সবকিছুর সাথেই এই যুদ্ধ মিশে থাকবেই। খেলাতেও।
নওশিন মিশু
আপনার এই অনুভুতি প্রতিটি বাঙ্গালীর প্রণের স্পন্দন হোক ।
পুরনো post খুঁজে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু … (3
শাহানা আফরিন স্বর্ণা
পুরনো ই তো। ৪৪ বছর পুরনো।
খুজে খুজে হলেও এ সত্যগুলো সাথে নিয়ে চলতে হবে 🙂
নওশিন মিশু
হ্যাঁ আপু, আমরা কখনোই আমাদের ইতিহাসকে পুরনো হতে দেবোনা …. 🙂