যাকে ভালোবাসা যায়, তার সমালোচনাও করা যায়…
আমরা তারা ভালো করলে ভালো ও বলি, আবার তারা খারাপ করলে তাদের খারাপ কাজটার সমালোচনা ও করি যাতে তারা তাদের সেই খারাপ কাজটা শুদরিয়ে নিতে পারে…
আর এই ভালোবাসার যায়গাটা হচ্ছে লীগ, আওয়ামীলীগ…
আমরা লীগকে ভালোবাসি বলেই এমনটা করি…
অনলাইনে একটা ২৫০ জনের গ্রুপ আছে, আমরা সবাই সেই গ্রুপকে চিনি, এই গ্রুপের কাজ হচ্ছে সারাদিন লীগের গুনগান গেয়ে যাওয়া, তারা কখনোই সমালোচনা করে না, বা করতেই পারবেইয়ো না, কারন তারা দলটাকে ভালোবাসে না, তারা হচ্ছে পেইড এজেন্ট, যখন যারা টাকা দেয় তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়াই হচ্ছে এদের কাজ…
হয়ত দেখছেন আজকে এদের কথা বলছে পরে হয়ত অন্য কারো গুনগান গাইবে…
ভাই আমরা মন থেকে লীগকে সাপোর্ট করি কোন টাকা পয়সা, বা পোস্টের বিনিময়ে তাদের সাপোর্ট করি না, আমরা তাদের খারাপটা বলি শুধু তারা যাতে খারাপটা বাদ দিয়ে ভালোর পথে অগ্রসর হতে পারে সেই কারনে…
ভাই আপনারা যদি মন থেকে লীগকে ভালোবেসে থাকেন, বা একজন সত্যিকারের মুজিব সৈনিক হয়ে থাকেন, তাহলে দলের খারাপ কাজটাও ধরিয়ে দিতে বা তুলে ধরতে শিখুন…
আপনাদের দেখি শুধু ভালো কাজটাই তুলে ধরেন, ভালো কাজটা অবশ্যই তুলে ধরবেন, তুলে ধরাও উচিত, কিন্তু তার সাথে সাথে খারাপ কাজটাও যদি তুলে ধরতেন তাহলে লীগ যতটা না এগিয়েছে তার থেকে হাজারগুন বেশী এগিয়ে যেত…
একটা কথা মনে রাখবেন, ভালো জিনিসটা কারো কাছে তেমন একটা তুলে ধরতে হয় না, মানুষ সেটি আপনা আপনি টের পায়, বা বুঝতে পারে…
যাকে ভালোবাসেন তার খারাপ দিকটা বলুন, তুলে ধরুন, বা ভালো কাজটা করতে উধভুদ্ধ করুন যাতে করে যেই জিনিসটাকে ভালোবাসেন সেই জিনিসটা পার্ফেকশনিস্টের খেতাব পায়…
আমরা এই দলকে মনপ্রান দিয়ে ভালবাসি এবং সব মানুষের কাছে একটা ভালোবাসার দল হিসেবে দেখতে চাই বলেই তার ভুল্গুলো ধরিয়ে দিয়, বা সমালোচনা করি…
এই কাজটা করি বা করেছি বলেই যদি আমাকে চুতিয়া, গাদ্দার, বাম- ডান, জামাতি এজেন্ট ট্যাগ দেয়া হয়ে থাকে, তাদের উদ্দেশ্যে বলব ” ভাই এইগুলো বললে আমার কিছুই হবে না, বা কোনদিন হয়নি… ”
শেষ কথাঃ ভালোর পাশাপাশি দলের খারাপ দিকটাও তুলে ধরতে শিখুন, খারাপ কাজটা করা হতে তাদের বিরত রাখার চেষ্টা করুন, দেখবেন দল মানুষের কাছে যতটা না জনপ্রিয় ছিল, তার চেয়ে বেশী জনপ্রিয় হবে…
নিজের ঢোল নিজে পিটালে হয় না ভাই, ” আমি ভালো, আমি ভালো করলে কি হবে, আপনি ভালো মানলাম কিন্তু আপনার খারাপ দিকটাও তো আছে নাকি???? সেটাও মানতে শিখুন… ”
” কিছু অতিরন্জিত কথা বলে, অনলাইনে গালাগালি করে একটা সংহঠিত গ্রুপ, আওয়ামীলীগ দলের নাম খারাপ করছে বলেই, এই পোস্টটা দিলাম…
ভালো থাকবেন সবাই…
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবি হোক… 🙂
১১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
যে কোন কিছুর খারাপ দিক তুলে ধরা মানে তাঁর উপকার করা
ভুল গুলো ধরে তা শুধরে চলতে পারবে সে।
লীগের খারাপ গুলো তুলে ধরলেই সে জামাত হয়ে যাবে , এমন যে বা যারা বলেন , তারা নিজেরা হীনমন্যতায় ভুগেন । তারা একটা দলকে দানবে পরিনত করে ফেলেন।
ভালো লিখেছেন।
একজন নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক
জিশান দা এটাই তো তাদের বোঝাতে পারি না… :/
যাই হোক, ধন্যবাদ লেখার প্রশংসা করার জন্য… (y)
লীলাবতী
সঠিক পথে পরিচালিত হতে ভুলটা দেখিয়ে দিতে হবেই ।
একজন নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক
আপু ভুলটা দেখিয়ে দিব কিভাবে, আমরা ভুল দেখিয়ে দিতে গেলেই তো তারা গালাগালীর পশরা নিয়ে বসে… :/
ভোরের শিশির নীতেশ
সংগঠিত হয়ে যারা লীগের সমালোচনাকারীকে গালি দেয় তারা প্যেইড বলে আমি মানতে রাজি নই। আজকাল অনেকেই এই সংগঠিত গ্রুপের হয়ে গালি দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কজন তাদের মধ্যে সব জেনে শুনে দিচ্ছে? কেন দিচ্ছে? কেনই বা তারা হঠাত্ এই গালাগালির দলে জড়িয়েছে তা কি কেউ জানার চেষ্ঠা করেছেন?
গালি দিচ্ছে বলেই তাদের থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি কিন্তু এই দূরে সরে যাওয়া কি সঠিক???
শিবির করে যারা তাদের অনেকেরই ছাত্র হিসেবে সুনাম রয়েছে। কেন জানেন?? জামাতিরা ভালো ছাত্রদের পড়ালেখা থেকে পরিবারের খরচ যোগান দেয় আর তাই ভালো ছাত্ররা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে শিবিরে যোগদান করে, এরপরে তাদের উপরে চলে মগজ ধোলাই-এইসব অনেক আগে থেকেই সবার জানা।
ঠিক এমনি করে ভালো মনের মানুষদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। যাকে আমি দেখেছি খুব ভালো লিখতে সেই দেখি এখন কিছু মানুষের সাথে মিশে সমানে গালি দিয়ে যাচ্ছে! তাকে যুক্তি দিয়ে বা তার মত করে বোঝানো শুরু করলে সে কিছুক্ষণের জন্যে ঠিকই মেনে নেয় কিন্তু যেই তাদের মগজ ধোলাইকারীরা এসে পরে সাথে সাথে আবার গালি শুরু করে।
আমরা এমন একটি সময় পার করছি যখন আমাদের উন্নতির, মননশীলতার, সামাজাইক পট পরিবর্তনের ধারায় আছি। এই সময় ভ্রান্ত হয়ে যায় এবং যাচ্ছে অনেকেই। এদের থেকে দূরে যতই থাকবো ততোই আমাদের পরিবর্তনের ধারার বিপদ।
আসুন এদের সাথে আমাদের মনশীলতার ছোঁয়া দিয়ে আবারো এদের পথে ফেরাই।
আমাদের বাবা মা কিন্তু আমার ভুল বা খারাপ কাজের জন্যে আমাকে কখনই ত্যাগ করেনি। বরং সময় নিয়ে আমাদের সঠিক পথে রেখেছে ধৈর্যের সাথে। আমাদেরো ওদের পথে আনতে হবে। না হলে আমরা যারা ভালোকে ভালো এবং খারাপকে খারাপ বলে চেনাতে চাই তারাই খারাপের সংখ্যা বাড়িয়ে দেবো।
একজন নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক
ভাইয়া খুব সুন্দর একটা কমেন্ট করেছেন…
আমিও নিজেও এই দলের এক সদস্য ছিলাম, কিন্তু নিজে যখন বুঝতে পারলাম এরা এদের আসল পথ থেকে সরে গিয়েছে, তখন নিজ থেকেই তাদের থেকে সরে এসেছি, এরা এমন হয়ে গেছে যে, তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাদের আপন ভাইকেও তারা মারতে দিধ্বাবোধ করবে না…
আসলে সব কিছু হচ্ছে নিজের উপর, যারা তাদের সাথে এখনো আছে, তারা যদি একটা বার চিন্তা করত, আমি যা করছি তা কি ঠিক??? এই চিন্তাধারাটা আসলেই তারা এই কাজ কখনোই করত না, কিন্তু যারা এই প্রশ্নটা নিজেকে করতে পেরেছে তারা অনেকেই কিন্তু এর থেকে সড়ে এসেছে…
নীলকন্ঠ জয়
আমি একটা কথা সোজা বুঝি ‘চাঁদের যেমন নিজের আলো নেই, তেমনি বিএনপিরও নিজের কোন জনপ্রিয়তা নেই। ‘ আওয়ামীলীগের সফলতা ব্যার্থতার উপর তাদের জনপ্রিয়তা নির্ভর করে।
একজন নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক
আপনার কমেন্টের সাথে একমত??
শিশির কনা
(y) (y)
একজন নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক
আমি তেমন কোন ভালো লেখক নই, তারপরো লেখার প্রশংশা করার জন্য ধন্যবাদ… 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ভালো লিখেছেন .. (y)